অনেক সাধনার পরে পর্ব ২

অনেক সাধনার পরে পর্ব ২
অরনিশা সাথী

–“আচ্ছা রুজবা, নুহাশ ভাইকে তোর পছন্দ না কেন?”
ফারিনের কথায় থেমে যায় রুজবা। শান্ত দৃষ্টিতে ফারিনের দিকে তাকিয়ে বলল,
–“ভালোবাসাটা সবার প্রতি আসে না ফারিন। নুহাশ ভাইকে যে আমার একেবারেই অপছন্দ ব্যাপারটা তেমন না। একজন মানুষ হিসেবে তাকে আমার ভালোই লাগে৷ কিন্তু অজানা কারণেই তার প্রতি ভালোবাসা আসে না আমার। উনাকে নিয়ে আমি ওরকম কিছু ভাবতে পারি না ফারিন।”

–“আচ্ছা আচ্ছা! আর বলছি না নুহাশ ভাইয়ের কথা। আমি এবার না হয় উনাকেই বুঝিয়ে বলবো, এ সম্পর্কটা হওয়ার নয়।”
রুজবা এবার আপত্তি জানিয়ে বললো,
–“তোর কিছু বলতে হবে না। এবার যা বলার আমিই বলবো, আর সরাসরি নুহাশ ভাইকেই।”
–“তোর যা ভালো মনে হয়।”
কথা বলতে বলতে দুজনে বাড়ির কাছাকাছি চলে এলো। আর একটু খানি পথ হেঁটেই দুজনে দুজনের বাড়ির ভিতর চলে গেলো।

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

রুজবার বাবা/চাচারা চার ভাই। নূরপুর গ্রামে রুজবাদের বিল্ডিংটাই সবচেয়ে বড়। চারভাই মিলে একসাথেই দোতলা বিল্ডিং দিয়েছে। ঢাকার শহরের মতো। নিচে দুই ফ্ল্যাট, উপরে দুই ফ্ল্যাট৷ রুজবার ছোট দুই চাচা দোতালায় থাকে আর রুজবার বাবা আর মেজ চাচা নিচ তালায় থাকে। রুজবার বাবাই সবার বড়৷ এলাকায় অনেক নাম আছে ওদের পরিবারের। রুজবার তিন চাচা প্রবাসী আর রুজবার বাবাও প্রবাসী ছিলেন, বছর খানেক আগেই দেশে ফিরেছেন।

তিনটে জাহাজ আছে, জাহাজ থেকে আসা টাকাতে বেশ সাচ্ছন্দ্য ভাবেই সংসার চলে যায় ওদের। রুজবার ছোট একভাই আর একবোন আছে৷ ভাই রাফাত আর ছোটবোন রুপশা। রাফাত ক্লাস নাইন এবং রুপশা ক্লাস ফোরে পড়ে। রুজবা নিজের রুমে ঢুকেই ব্যাগটা টেবিলে ছুঁড়ে রেখে কলেজ ড্রেসেই শুয়ে পড়লো বিছানায়। রাফাত রুপশা দুজনেই স্কুলে। শান্তির একটা ঘুম দেওয়া যাবে। যেই ভাবা সেই কাজ। ওভাবেই ঘুমিয়ে পড়লো রুজবা।

বিকেল চারটা নাগাদ মায়ের ডাকাডাকিতে ঘুম ভাঙে রুজবার৷ আড়মোড়া ভেঙে উঠে বসে গোসল করতে চলে গেলো। প্রায় ঘন্টা খানেক পর গোসল সেরে বের হলো রুজবা। খেয়ে দেয়ে ফারিনদের বাসায় চলে গেলো। বাড়িতে থাকলে বেশি সময় রুজবা আর ফারিনের একসাথেই কাটে৷ দুই বান্ধবী মিলে মেতে উঠলো আড্ডায়।

মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আছে রুজবা আর নুহাশ। রুজবাই ডেকে পাঠিয়েছে নুহাশকে। ফারিন আর কিয়ান ওদের কথা বলতে বলে পাশেরই একটা বেঞ্চিতে বসে আছে। নুহাশ বললো,
–“ডেকেছো?”
রুজবা কোনো ভণিতা ছাড়াই বললো,

–“দেখুন নুহাশ ভাই, আমি জানি আপনি আমাকে পছন্দ করেন। কিয়ান ভাইয়ের মুখ থেকে বহুবার এই কথা শুনেছি আমি। কিন্তু আমার আপনার প্রতি সেরকম কোনো অনুভূতি আসে না নুহাশ ভাই। আপনি আরো বেটার কাউকে ডিজার্ভ করেন৷ যেখানে আমার আপনার প্রতি কোনো টান নেই সেখানে আপনি আমার পেছনে শুধু শুধু সময় নষ্ট করছেন। পড়ালেখায় মনোযোগ হোন, স্টাব্লিশড হোন দেখবেন বেটার কাউকে পাবেন। যে আপনার অনুভূতির দাম দিচ্ছে না তাকেই পছন্দ করে যাওয়াটা নেহাৎই বোকামী। আমি কি বলতে চাইছি আশা করি বুঝতে পেরেছেন।”
নুহাশ কিঞ্চিৎ হেসে বলল,

–“তোমার প্রতি আমার ভালোবাসা, ঘৃণা যা অনূভুতি’ই থাকুক না কেন সেটা তো আমার মনেই আছে রুজবা। আমি তোমাকে কখনো বিরক্ত’ও করিনি, তোমার সামনে ভালোবাসার দাবী’ও রাখিনি কোনোদিন। তাহলে নিজে নিজেই এসব কথা বেকার বেকার শোনাচ্ছো যে? আমি কি একবারো নিজ মুখে বলেছি, আমি তোমায় ভালোবাসি?”

নুহাশের কথায় রুজবা কি বলবে ভেবে পেলো না। আসলেই তো নুহাশ ওকে নিজে থেকে কখনো কিছুই বলেনি। তাহলে ও আগ বাড়িয়ে এসব বলতে এলো কেন? রুজবা লজ্জায় মাথা নিচু করে নিলো। নুহাশ যে এসব কথা বলতে পারে ভেবেই দেখেনি ও। তাছাড়া নুহাশ কখনো সামনা-সামনি কথাও বলেনি রুজবার সাথে। রুজবা বুঝতে পারলো ও সবকিছু উল্টেপাল্টে দিয়েছে। আমতা আমতা করে বললো,

–“কিয়ান ভাই, ফারিন ওরা যে বললো আপনি____”
–“ওরা যা’ই বলুক, আমি কি তোমাকে কিছু বলেছি রুজবা? আমার অনূভুতি’টা একান্তই আমার। তবে নিশ্চিন্ত থাকো, তোমাকে না আগে বিরক্ত করেছি আর না সামনে কখনো বিরক্ত করবো।”
রুজবা আমতা আমতা করে বললো,

–“আমি আ্ আসলে___”
–“ইট’স ওকে, আমার ক্লাস আছে আমি আসছি।”
কথাটা বলেই প্রস্থান করলো নুহাশ। রুজবা’র এখন নিজের উপর প্রচন্ড রাগ হচ্ছে। ও এরকম বেকুবের মতো একটা কাজ কি করে করতে পারলো? সেটাই ভেবে পাচ্ছে না।

রেস্টুরেন্টে বসে বসে চিকেন ফ্রাই খাচ্ছে রুজবা আর ফারিন। ক্লাস শেষে দুজনেই কলেজের পাশের রেস্টুরেন্টে এসেছে। সেসময়ে তিনটে ছেলে এসে রুজবাদের পাশের টেবিলে বসলো। রুজবা একপলক তাকিয়ে চোখ ফিরিয়ে নিলো। পরমূহুর্তেই আবারো তাকালো ছেলে তিনটার দিকে। সাদা শার্ট আর ব্লু জিন্স পড়া একটা ছেলের চোখে চোখ আটকে যায় রুজবার। ছেলেটার চোখজোড়া ছাড়া আর কিছুই দেখা যাচ্ছে না। মাস্ক পড়া আছে ছেলেটা।

জোড়া ভ্রু’র নিচে ভাসা চোখজোড়ায় এক সমুদ্র মায়া আছে। তিনজনেই কফি অর্ডার দিলো। আর ওই ছেলেটা উঠে বেসিনের কাছে চলে গেলো। রুজবা দৃষ্টি ফিরিয়ে নেয়। আড়চোখে আরো একবার ছেলেটার দিকে তাকায় ও। পেছন থেকে শুধু ছেলেটাকেই দেখা যাচ্ছিলো। ক্ষানিকটা নিচু হয়ে থাকায় চোখজোড়া আর দেখতে পারলো না। ছেলেটা এবার ঠিকঠাক ভাবে দাঁড়িয়ে হাত ভিজিয়ে চুলগুলো পেছনে ঠেলে ঠিক করে নিচ্ছিল।

এমন সময় ছেলেটাও বেসিনের আয়নার দিকে তাকালে রুজবা আবার ছেলেটার চোখজোড়া দেখতে পায়। রুজবা মাঝেমধ্যেই আড়চোখে আয়ানায় তাকিয়ে ছেলেটার চোখজোড়া দেখছে। হঠাৎ ছেলেটাও লক্ষ্য করলো পেছনের টেবিল থেকে একটা মেয়ে বারবার এদিকে তাকাচ্ছে। ছেলেটা সরাসরি পেছনে তাকালো কিন্তু রুজবা ততক্ষণে চোখ নামিয়ে নিয়েছে৷ পরমূহুর্তেই আবার আয়নার দিকে তাকাতেই ছেলেটার চোখে চোখ পড়লো রুজবার। ছেলেটা এবার আগে থেকেই আয়নায় রুজবার দিকে তাকিয়ে ছিলো। রুজবা লজ্জা পেয়ে যায়। ইশ্!

ছেলেটা কি ভাবলো ওকে? নিশ্চয়ই ভাবছে একটা মেয়ে ওর দিকে নির্লজ্জের মতো তাকিয়ে ছিলো। রুজবা দ্রুত চেয়ার বদল করে বসলো। ছেলেটা রুজবার দিকে তাকালো, পেছন থেকে রুজবার পিঠ ছাড়া কিছুই দেখা যাচ্ছে না। রুজবার কান্ডে ছেলেটা মুচকি হাসলো। তারপর নিজের টেবিলে ফিরে গিয়ে বন্ধুদের সাথে বসে আড্ডা দিতে লাগলো। খাওয়া শেষে রুজবা কাউন্টারে গিয়ে বিল মিটিয়ে আসলো। তারপর দ্রুত ফারিনের হাত ধরে রেস্টুরেন্ট থেকে বেরিয়ে গেলো। কেননা, ছেলেটা রুজবার দিকে তাকিয়েছিলো আর এতে রুজবার অস্বস্তি হচ্ছিলো বেশ। রুজবা আর ফারিনকে তাড়াহুড়ো করে বের হয়ে যেতে দেখে এবার ছেলেটা স্বশব্দে হেসে উঠলো। তা দেখে ওর বন্ধুরা ভ্রু কুঁচকে তাকায় ওর দিকে৷ মাহিন বলল,

–“কারণ ছাড়া এভাবে হাসছিস কেন পাগলের মতো?”
ছেলেটা হাসি থামিয়ে মাহিনের দিকে তাকিয়ে বললো,
–“জারাফ জুহায়ের অকারণে হাসে না, এটা নিশ্চয়ই তোদের জানার কথা?”
জারাফের আরেক বন্ধু সাহিল বললো,
–“তা অবশ্য জানি, কিন্তু তুই হাসছিস কেন? সেটা তো বলবি।”
এমন সময় ওয়েটার এসে কফি দিয়ে যায়। জারাফ কফির মগ হাতে নিয়ে বললো,
–“অন্যসময় বলবো।”

এই বলে কফিতে চুমুক দেয় জারাফ। মাহিন আর সাহিল কয়েক সেকেন্ড জারাফের দিকে তাকিয়ে থেকে ওরাও কফির মগ হাতে নেয়। তিন বন্ধু কফি খেতে খেতে অন্য আড্ডায় মেতে উঠে।
রেস্টুরেন্ট থেকে বেরিয়েই বাসায় যাওয়ার জন্য রিকশায় উঠেছে রুজবা আর ফারিন। ফারিন বললো,
–“ওভাবে টেনে রেস্টুরেন্ট থেকে নিয়ে এলি কেন? মানুষ কি শুধু রেস্টুরেন্টে খেতেই যায়? খাওয়া শেষে যে ওভাবে টেনে নিয়ে আসলি।”

রুজবা চুপ করে আছে। কিছুক্ষণ চুপ থেকে রুজবা বললো,
–“ছেলেটা নিশ্চয়ই বাজে মেয়ে ভেবেছে আমায় তাই না?”
রুজবার কথায় ফারিন থতমত খেয়ে যায়। মাথা ঠিক আছে তো রুজবার? কিসব বলছে ও? কোন ছেলের কথা বলছে? ফারিন সন্দেহের দৃষ্টিতে বললো,

–“কোন ছেলের কথা বলছিস তুই? আর কোনো ছেলে তোকে বাজে মেয়ে ভাবতে যাবে কেন?”
–“না মানে__তেমন কিছু না।”
রুজবার আমতা আমতা কথায় ফারিনের এবার সত্যি সত্যিই সন্দেহ হলো৷ কি লুকাচ্ছে রুজবা? ফারিন রুজবার হাত চেপে ধরে বলল,

–“কিছু তো অবশ্যই আছে৷ এখন কি লুকাচ্ছিস আমার থেকে সেটা বল?”
–“আমি কেন তোর থেকে কিছু লুকাবো?”
–“আমার থেকে লুকিয়ে বেশিক্ষণ রাখতে পারবি না। তাই আগেভাগেই বলে ফেল। কোন ছেলের কথা বলছিস তুই?”
রুজবা রেস্টুরেন্টের কথাগুলো বললো ফারিনকে। সেসব শুনে ফারিন হেসে ফেললো। রুজবা গোমড়া মুখে বলল,
–“হাসছিস কেন?”
ফারিন হাসি থামিয়ে বলল,

–“আরেহ এতে বাজে মেয়ে ভাবার কি আছে? একটা ছেলের দিকে তাকাতেই পারিস, আর তাছাড়া ছেলেটাও তো তাকিয়েছে তোর দিকে। তাহলে শোধবোধ।”
–“তুই বুঝছিস না, ছেলেটার থেকে আমিই বেশি তাকিয়েছিলাম আড়চোখে। আর আমরা যখন রেস্টুরেন্ট থেকে তাড়াহুড়ো করে বেরিয়ে আসি ছেলেটা তখনো আমাদের আসার দিকে তাকিয়ে শব্দ করে হেসে দেয়।”

–“ভালো লেগেছে ছেলেটাকে?”
ফারিনের আচমকা এমন প্রশ্নে থমকে যায় রুজবা। তারপর বলে,
–“ছেলেটার চেহারাই তো দেখিনি, ভালো লাগার প্রশ্ন আসছে কোত্থেকে?”
–“তাহলে বারবার ছেলেটার দিকে তাকিয়েছিস কেন?”
রুজবা অন্যমনস্ক ভাবেই বলল,

–“জোরা ভ্রু এর নিচে ভাসা ভাসা বড় চোখজোড়া ভয়ংকর মায়াবী আর সুন্দর ছিলো।”
–“শেষমেশ চোখের প্রেমে পড়লি রুজবা? আচ্ছা ছেলেটা তো মাস্ক পড়া ছিলো, ছেলেটার চেহারা যদি অসুন্দর হয় তখন?”
–“ধুর তুই ও না! কিসব উল্টাপাল্টা বলছিস? তুই যেমন ভাবছিস তেমন কিছুই না।”

রুজবার কথায় ফারিন উচ্চস্বরে হেসে উঠলো। এমন সময় রুজবাদের রিকশার পাশাপাশি একটা বাইক রিকশার সমান তালেই চলছে। রুজবা বাইকটার দিকে তাকিয়েই সঙ্গে সঙ্গে চোখ সরিয়ে নিলো। বাইকে জারাফ, মাহিন আর সাহিল বসা। এখানেও জারাফ মাস্ক পড়াই আছে। জারাফের চোখদুটো দেখে চিনতে একটুও অসুবিধে হয়নি রুজবার যে এটাই ওই ছেলেটা। রুজবা ফারিনের কানের কাছে মুখ নিয়ে বলল,

–“দেখ, ওই ছেলেগুলো।”
রুজবার কথায় ফারিন রুজবার পাশে তাকালো। জারাফের চোখদুটো সত্যিই অসাধারণ। যে কেউ ওই চোখের মায়ায় অনন্ত কাল ডুবে থাকতে পারবে। ফারিন চোখ সরিয়ে বললো,
–“সত্যিই ছেলেটার চোখ ভয়ংকর সুন্দর রুজবা। সাবধান ওই চোখ থেকে নয়তো তুই গেলি।”

কথাটা বলেই মৃদু হাসলো ফারিন। রুজবার বেশ অস্বস্তি হচ্ছে। জারাফ হঠাৎ পাশের রিকশায় তাকাতেই রুজবাকে দেখতে পেলো। দুজনের নামই দুজনের কাছে অজানা এখনো। রিকশার চাকায় চোখ পড়তেই দেখলো, রুজবার উড়না অনেকটা নিচের দিকে পড়ে আছে। আর একটু হলেই উড়না চাকায় পেঁচানো শুরু করবে। জারাফ বাইকটা আরো একটু রিকশার কাছাকাছি নিয়ে এলো, তারপর উড়নাটা উঠিয়ে রুজবার কোলের উপর রাখলো। রুজবা আচমকা তাকালো জারাফের দিকে। জারাফ একপলক রুজবার দিকে তাকিয়েই জোরে বাইক টান দিয়ে চলে গেলো। কেননা, জারাফের চোখে স্পষ্ট ধরা পড়েছিল রুজবার অস্বস্তি হচ্ছে। হয়তো ওর কারনেই তাই আর রুজবার অস্বস্তি বাড়াতে চায়নি। ফারিন একগাল হেসে বলল,

–“বাহ বাহ, কেয়া সিন হ্যায় মেরি দোস্ত। এতো একেবারে সিনেম্যাটিক সিন হয়ে গেল।”
ফারিনের কথায় এবার রুজবা সত্যি সত্যিই লজ্জা পেলো। লাজুক হেসে বললো,
–“তুই চুপ করবি?”
রুজবাকে লজ্জা পেতে দেখে ফারিনও মৃদু হেসে চুপ করে গেলো। মনে মনে ভাবলো,

–“আমার বান্ধবীর মনেও তাহলে ধীরে ধীরে কেউ খুব শীঘ্রই জায়গা করে নিতে যাচ্ছে।”
ফারিন এইটুকু ভাবতেই ওর মুখটা মলিন হয়ে গেলো নুহাশের কথা ভেবে। রুজবা ডাকতেই ফারিন ওর দিকে তাকিয়ে আবারো হাসলো। রুজবা এবার চোখ কটমট করে তাকিয়ে বললো,

অনেক সাধনার পরে পর্ব ১

–“তুই আবার হাসছিস?”
ফারিন হাসি থামিয়ে বললো,
–“আচ্ছা বান্ধবী, আর হাসছি না এই যে দেখ।”
বলেই মুখে আঙ্গুল দিয়ে চুপ হয়ে গেলো ফারিন। এতে রুজবা হেসে উঠলো।

অনেক সাধনার পরে পর্ব ৩