অনেক সাধনার পরে পর্ব ৩৪

অনেক সাধনার পরে পর্ব ৩৪
অরনিশা সাথী

নুহাশ দ্রুত কদমে লিয়ার সামনে গিয়ে দাঁড়ায়। লিয়া কিছু বলার পূর্বেই তার ডান গালে ক*ষে থাপ্পড় মেরে দেয় নুহাশ। লিয়া চমকে তাকায় নুহাশ এর দিকে। রুজবাও চমকে উঠে, ও অশ্রুসিক্ত নয়নে চেয়ে রয় নুহাশ, লিয়ার দিকে। পর পর লিয়ার বাম গালেও নুহাশ থাপ্পড় বসায়।

দুই গালে চার’টা থাপ্পড় মেরে নুহাশ থামে। একবার অশ্রুসিক্ত নয়নে চেয়ে থাকা রুজবার পানে তাকায়। ইশ! মেয়ে’টার একটুকুতেই কি অবস্থা হয়ে গেছে। সব এই লিয়ার জন্য। নুহাশ এর চোখ দুটো অসম্ভব লাল হয়ে আছে। রাতে তো ঘুম হয় নি, এরপর লিয়ার এই বেহায়া-পনায় তার রাগ তিড়তিড় করে বেড়ে উঠছে। রুজবার কান্না-মাখা মুখ দেখে লিয়া’কে তার জাষ্ট মে*রে ফেলতে ইচ্ছে হচ্ছে।

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

এই মেয়ে কেনো এতো ছ্যাঁছড়ামী করে? বিয়ের আগের’টা নাহয় বাদ। কিন্তু নুহাশ এখন বিবাহিত। তার উপর একমাত্র রুজবার অধিকার। সে কোন সাহসে নুহাশ এর শরীর টাচ করলো? প্রচন্ড ক্ষিপ্ত মেজাজে লিয়ার দিকে তাকায় সে। যেনো চোখ দিয়েই সে লিয়া’কে ঝ*ল*সে দিবে।

লিয়া গালে হাত দিয়ে ছলছল নয়নে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে। সে ভাবতেই পারে নি এমন কিছু হবে। সে তো ভেবেছিলো রুজবা এসব দেখে ভুল বুঝবে নুহাশ’কে। এরপর নুহাশ এর জীবন থেকে চলে যাবে রুজবা, তারপর নুহাশ শুধু তার হবে। কিন্তু তার প্ল্যান যে এভাবে ভেস্তে যাবে কে জানতো? যদি সে জানতো এমন অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু ঘটবে তাহলে কি সে এমন কিছু করতো? কখনোই না হয়তো! নুহাশ ক্ষিপ্ত সুরে ধমকে বলে উঠে,

–“কার অনুমতি নিয়ে আমার রুমে এসেছো? তোমার সাহস কিভাবে হলো আমার রুমে ঢুকার?
নু্হাশ এর ধমকে রুজবা ভয় পেলো খানিক। এর আগে কখনোই এভাবে নুহাশ’কে রাগতে দেখে নি কিনা। ভয়ে লিয়া চুপ করেই রইলো কিছুক্ষণ। নুহাশ যে বেশ রেগে আছে। সে বুঝতে পারছে। তাই চুপ থাকাই ভালো মনে হলো তার। কিন্তু সে চুপ রইলো না। বলে উঠলো,

–“নুহাশ আই লাভ ইউ। কেনো বুঝো না তুমি আমায়? তোমাকে অনেক ভালোবাসি আমি। বিশ্বাস করো, নিজের সব’টা দিয়ে আগলে রাখবো তোমায়। রুজবার চেয়ে বেশী ভালোবাসা দিবো তোমায়। প্লিজ নুহাশ আমার হয়ে যাও তুমি। আমি ভালো…”
আর কিছু বলবে তার আগেই নুহাশ রক্ত চক্ষু নিয়ে বললো,

–“এই তোমার লজ্জা সরম বলতে কিছু নেই?এতো অপমানিত হওয়ার পরও আমার পিছু ছাড়ছো না কেনো? ভালোবাসি না তোমায় আমি। কয়বার বলবো এটা? তোমার একটুও বিবেক বুদ্ধি নেই? আমি বিবাহিত এইটা জানার পরও বেহায়ার মতো পিছেই পড়ে আছো, কেন? লজ্জা লাগে না একটুও? এভাবে সবাই বাড়ি থেকে বের হয়ে যেতে বলার পরও ছ্যাঁছড়ার মতো এই বাড়িতেই পড়ে আছো।

আমাদের তো কোনো কাজের লোকের দরকার নেই। তাহলে তুমি এভাবে পড়ে আছো কেনো এই বাড়িতে? অবশ্য তোমার মতো বেহায়া’রে কাজের লোক’ও করতাম না আমি। কাজের মেয়ের’ও অনেক দাম। তারা নিজেদের পেটের দায়ে কাজ করে। আর তুমি? তুমি তো ছ্যাঁছড়া। তাদের সাথে তোমার তুলনা করলে তাদেরও অপমান হবে। তোমার মতো ছ্যাঁছড়া আমি আর দুটো দেখি নি।”
তাচ্ছিল্য করে নুহাশ এক দমে সব বলে, থামে।জোরে শ্বাস টেনে ফের বলে,

–“তোমার লজ্জা থাকলে তুমি এখন এই মুহুর্তে আমার বাড়ি থেকে বের হয়ে যাবে। তোমাকে যেনো আমার বাড়ির ১০০ হাত দুরেও না দেখি। আমার কাছে তো দূর, আমার বাড়ি থেকেও দূরে থাকবে তুমি। তোমার মতো মেয়ের চেহারাও দেখতে চাই না আমি। এতোদিন অনেক সহ্য করেছি আর না। আজ তুমি সব সহ্যের বাঁধ ভেঙ্গে দিয়েছো। মামার মুখের দিকে তাকিয়ে কিছু বলি নি এতোদিন যাবত।

মামার একমাত্র মেয়ে তুমি, তিনি জানলে কষ্ট পাবে ভেবে বলি নি। কিন্তু তুমি দিন দিন সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছো। বার বার সুযোগ পেয়ে মাথায় চেপে বসেছো। এখনি আমার বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাবে। লাজ-লজ্জা থাকলে আজকের পর আর তোমার মুখ’ও দেখাবে না আমায়।”

পিনপিন নিরবতা ছেয়ে রয়েছে রুমে। লিয়া লজ্জায় অপমানে মাথা নিচু করে রয়েছে। সে কিছু বলার ভাষা খুঁজে পাচ্ছে না। সে তো ভালোবাসে নুহাশ’কে। নুহাশ’কে নিজের করে পেতে চায়। এটা কি অপরাধ? ভালোবাসা’টা তো অন্যায় নয়। আচ্ছা নুহাশ তো রুজবা’কে একপাক্ষিক ভালোবেসেছিলো। সে তো জানে একপাক্ষিক ভালোবাসায় কত’টা যন্ত্রণা। সেই যন্ত্রণা থেকেই তো সে এতোদিন ভালো-মন্দ দিক ভুলেই বসেছিলো।

মাথা থেকে বেরিয়ে গেছিলো নুহাশ ম্যারিড। নুহাশ এর বউ আছে। এবং তার বউই যে তার সব। হবেই তো তা। এতো অপেক্ষা-আকাঙ্খার পর সে রুজবা’কে পেয়েছে। সব তো স্বাভাবিক। তাহলে সে কেনো পারছেনা মেনে নিতে? মন তো আর বাঁধা মানে না। মুখ বুজে কেঁদে চলেছে লিয়া। নুহাশ অন্যদিকে মুখ করে নিজেকে শান্ত করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। এতক্ষণ রুজবা সব চুপ-চাপ দেখছিলো।

হুট করেই তার ভীষণ খারাপ লাগলো লিয়ার জন্য। লিয়ারও বা কি দোষ? সে তো ভালোবাসে নুহাশ’কে। পর মুহুর্তে ভাবে নুহাশ শুধু তার। তারই থাকবে। নুহাশ এর উপর একমাত্র অধিকার রুজবার। অন্য কেউ কেনো ভালোবাসবে তার স্বামী’কে? এসব নিজ মনে ভেবে কেঁপে উঠে রুজবা। নুহাশ এর ভালোবাসা’টা কতটা গভীর তা আবারো উপলব্ধি করে রুজবা।

অথচ জারাফ? সে তো টাকার পিছে ছুটতে ব্যস্ত ছিলো,রুজবার ভালোবাসা পায়ে ঠেলে। রুজবা বুঝতে পারে সে হীরে রেখে এতোদিন মরীচিকার পিছনে ছুটেছিলো। যাইহোক, এখন আর সে অতীত ভাবতে চায় না। বর্তমান ভবিষ্যত সব’টা জুড়ে এখন শুধু নুহাশ থাকবে। অনেক্ক্ষণ চুপ থেকে রুজবা বললো,

–“লিয়া আপু ভালোবাসা’টা কোনো অন্যায় না। তবে অন্যের জিনিস ছিনিয়ে নিতে চাওয়াটা অন্যায়। আপনি একবার ঠান্ডা মাথায় ভেবে দেখেন তো, আপনি এতোদিন ঠিক কি কি করেছিলেন? আপনি কি পারবেন সহ্য করতে যখন আপনার বিয়ের পর আপনার হাসবেন্ড’কে নিয়ে অন্য কোনো নারী টানা-হেঁচড়া করবে? ভালো লাগবে কি তখন? আমারও ভালো লাগে নি লিয়া আপু। দেখেন ভালোবাসা’টা জোর করে হয় না। মনের উপর কেউ কি জোর করতে পারে? ভালোবাসা’টা অনুভূতির বিষয়। অনুভব করতে হয়। চাইলেই কি জোর করে তা হয় বলেন? ভালোবাসলেই যে পেতে হবে এমন তো কোনো কথা নেই। তাই না আপু? কিছু অপূর্ণতায় ঘিরা আমাদের না পাওয়া মানুষ গুলো নাহয় মনের গহিন কোনেই থাকুক? দূরে থেকেও তো ভালোবাসা যায়। সত্যিকারের ভালোবাসলে নিজের ভালোবাসার মানুষ’টাকে, তার প্রিয় মানুষের কাছে সুখে থাকতে দেখা গেলে তাকে সুখে থাকতে দিতে হয়। সে যেভাবে ভালো থাকতে চায়, তাকে সেভাবেই ভালো থাকতে দেওয়া উচিত। কিছু ভালোবাসা দূর থেকেই সুন্দর।”
লিয়া নিজেকে নিজে তাচ্ছিল্য করে মনে মনে ভাবে, তখন তার আবেগে কাজ করেছে বিবেকে না [এইটুকু পড়ে কেউ আবার গালি দিয়েন না🤐]

রুপশা এসেছে পর থেকেই জান্নাত আর আদিরার সাথে আছে৷ একটু আগেই আদিরা আর জান্নাত, এসে নুহাশ আর রুজবাকে নিয়ে যায় হলুদের ওখানে। যদিওবা কারোরই যাওয়ার ইচ্ছে ছিলো না। তবুও যায় কিয়ান আর ফারিনের জন্য। হলুদ লাগিয়ে নুহাশ আর একটুও দেরী করেনি, রুজবার হাত ধরে টেনে নিজেদের বাসার দিকে পা বাড়ায়। পথিমধ্যে রোমান সাহেব ডাকে নুহাশকে। নুহাশ রুজবার হাত ছেড়ে দিয়ে বলে,

–“আমার ঘরে যাও, আসছি আমি।”
রুজবা কিছু না বলে হেঁটে বাড়ির ভিতর চলে যায়৷ নুহাশ সেদিকে তাকিয়ে ফোঁস করে দীর্ঘশ্বাস ফেলে। মেয়েটা বোধহয় একটু না অনেক বেশিই ক্ষেপে আছে ওর উপর।

নুহাশের রুমের ব্যালকোনিতে দাঁড়িয়ে কাঁদছে রুজবা৷ ওর কাছে সবকিছু অসহ্য লাগছে। যন্ত্রণা হচ্ছে ভীষণ। লিয়া নুহাশকে বাজে ভাবে স্পর্শ করেছে। এ দৃশ্যটা যত বার চোখের সামনে ভেসে উঠছে তত বারই ইচ্ছে করছে ওই লিয়াকে খুন করে ফেলতে। ভীষণ রাগ হচ্ছে নুহাশের উপরেও। নুহাশ কি করে টের পেলো না? এতটাই গভীর ঘুমে মত্ত ছিলো যে একটা মেয়ে তাকে অন্য নজরে দেখছে, স্পর্শ করছে সেটা বুঝতে পারে না।

আচমকা এক জোড়া হাত রুজবাকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে। চমকায় না রুজবা। কারণ ও জানে এটা নুহাশ ছাড়া অন্য কেউ না। রুজবা নুহাশকে ঠেলে নিজের থেকে দূরে সরিয়ে দেয়। নুহাশ রুজবাকে নিজের দিকে ঘুরিয়ে দু গালে হাত রেখে বলে,

–“আ’ম স্যরি রুজবা। আমি বুঝতে পারিনি এরকম কিছু হতে পারে৷ দরজা লক করার কথা খেয়াল ছিলো না, শপিং থেকে ফিরেই ওভাবে শুয়ে পড়েছিলাম।”
রুজবা ভাঙা গলায় বলে,

–“আমি কোনো এক্সপ্লেইন চেয়েছি?”
–“তা চাওনি, কিন্তু কাঁদছো তো তুমি। তুমি যে ঠিক নেই তোমাকে দেখেই বোঝা যাচ্ছে।”
রুজবা দুহাতে চোখের পানি মুছে ভেজা চোখেই জোর করে হেসে বলে,
–“কই, কাঁদছি না তো। আমি একদম ঠিক আছি।”
–“তোমার বরকে অন্য মেয়ে বাজে ভাবে ছুঁতে চেয়েছে এরপরেও ঠিক আছো তুমি? এটা আমি বিশ্বাস করবো বলে তোমার মনে হয়?”

রুজবা এবার শব্দ করে কেঁদে দেয়। নুহাশের বুকের কাছের শার্ট দুহাতে খামচে ধরে কাঁদতে কাঁদতে বলে,
–“ওই মেয়ে আপনাকে কেন ছুঁতে চাইবে নুহাশ? আমি প্রথম দিন বলেছিলাম না? আমার হলে শুধুমাত্র আমারই হতে হবে। অন্যকারো বিন্দুমাত্র হতে পারবেন না? তাহলে এরপরেও লিয়া, লিয়া আপনাকে___”
কান্নার ফলে কথা জড়িয়ে যাচ্ছে রুজবার। নুহাশ ওর চোখের পানি মুছে দিয়ে বলে,
–“স্যরি বউ। আমি তো তোমারই আছি। কাঁদে না প্লিজ।”
রুজবা নুহাশের সারা মুখে আর বুকে হাত বুলিয়ে বলে,

–“এখানে এখানে স্পর্শ করেছে না লিয়া? ওর স্পর্শ আমি আপনার শরীরে থাকতে দিবো না, চলুন।”
কথাটা বলেই নুহাশের হাত ধরে টেনে ওয়াশরুমে নিয়ে যায়। ফেস ওয়াশ নিয়ে দুহাতে মাখিয়ে ডলতে থাকে নুহাশের সারা মুখে। বেশ কয়েকবার মুখ ধুইয়ে দিয়ে এবার নুহাশের শার্ট টেনে খুলে গায়ে থেকে। সাবান হাতে নিয়ে পাগলের মতো ডলতে থাকে নুহাশের বুকে। কাঁদতে কাঁদতে বলে,

–“লিয়ার কোনো স্পর্শ আমি রাখবো না আপনার শরীরে। ধুয়ে মুছে সব উঠিয়ে ফেলবো।”
কথাগুলো বলেই পাগলের মতো আচরণ করতে থাকে রুজবা। নুহাশ নিঃশব্দে হাসে রুজবার বাচ্চামোতে। একহাত দিয়ে রুজবার দুই হাত চেপে ধরে অন্যহাত দিয়ে রুজবার কপালের চুল সরিয়ে দিয়ে বাঁকা হেসে বলে,

–“লিয়ার স্পর্শ গুলো না এভাবে যাবে না রুজবা।”
রুজবা নিজের হাত ছাড়ানোর চেষ্টা করে বললো,
–“যাবে, আমাকে ভালো করে সাবান মাখাতে দিন। নিশ্চয়ই ওর স্পর্শ যাবে।”
–“উঁহু, যাবে না তো।”
রুজবা ঠোঁট উলটে ফেলে নুহাশের কথায়। নুহাশ রুজবার দিকে ঝুঁকে ফিসফিস করে বলে,
–“তোমার স্পর্শ পেলেই লিয়ার স্পর্শ যাবে রুজবা।”

রুজবা চকিত তাকায় নুহাশের দিকে। নুহাশ দাঁত দিয়ে নিচের ঠোঁট কামড়ে ধরে অদ্ভুত দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে রুজবার দিকে। রুজবা যেন আজ পুরো বাচ্চা হয়ে গেছে। আচমকা নুহাশকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে ও। দুই পায়ের বুড়ো আঙুলে ভর দিয়ে দাঁড়িয়ে উঁচু হয়।

লাজ লজ্জা ভুলে নুহাশের সারা চোখ মুখে ঠোঁট ছোঁয়ায় রুজবা। তারপর নুহাশের উম্মুক্ত বুকে নাক ঘঁষে, চুমু খায়। নুহাশের নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে কষ্ট হচ্ছে৷ কোনো ছেলেই একটা মেয়ের এমন স্পর্শে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না। তার উপর যদি মেয়েটা আবার তারই স্ত্রী হয় তাহলে তো হলোই। নুহাশ দুই হাতে রুজবার গাল ধরে ওর ঠোঁটের কাছাকাছি যেতেই পুরুষালি কন্ঠে ভেসে উঠে,

–“অফ যা ভাই, ঘরের দরজা খুলে ওয়াশরুমে গিয়ে দুজনে এরকম চুম্মাচাম্মি করছিস ক্যান? পুরো ঘরটা তো ফাঁকা পড়ে আছে।”
নুহাশ আর রুজবা একে অপরের থেকে ছিটকে দূরে সরে দাঁড়ায়। নুহাশ রাগী চোখে তাকায় কিয়ানের দিকে। দাঁত কিড়মিড়িয়ে বলে,

–“তুই আসলেই আমার প্রাইভেট টাইমে কাবাব এর মধ্যে হাড্ডি হওয়ার জন্য চলে আসিস।”
রুজবা লজ্জায় মাথা নিচু করে রেখেছে। কিয়ান বলে,
–“বা রে! তোরা দরজা খুলে ইয়েএএ___করতে পারবি আর আমি চলে আসলেই দোষ?”
রুজবার এবার এখানে দাঁড়ানো দায় হয়ে পড়ছে। দৌড়ে বেরিয়ে যায় নুহাশের ঘর থেকে। সেদিকে তাকিয়ে কিয়ান শব্দ করে হাসে। নুহাশ কিয়ানের পেটে কুনই দিয়ে গুঁতো মেরে বলে,

–“আজ না তোর বিয়ে? তুই এখানে কি করছিস?”
–“ডাকতে এসেছি তোকে চল।”
নুহাশ আলমারি খুলে পাঞ্জাবী পাজামা বের করে বিছানায় রাখতে রাখতে বলে,
–“তুই যা, আমি শাওয়ার নিয়ে আসছি।”
কিয়ান ভ্রু নাচিয়ে প্রশ্ন করে,

–“কি ব্যাপার মামা? এর মধ্যেই___”
নুহাশ বিছানা থেকে কুশন নিয়ে কিয়ানকে ছুঁড়ে মেরে বলে,
–“তুই যাবি এখান থেকে? নয়তো মারা পড়বি আমার হাতে আর একটা বেশি কথা বললে।”
কিয়ান কুশনটা বিছানায় ছুঁড়ে বলে,

অনেক সাধনার পরে পর্ব ৩৩

–“তোর বউয়ের সাথে তুই রোমান্স করবি, করতেই পারিস। এটা বললে চ্যাতস ক্যান মামা? বউ কি কাছে ঘেঁষতে দেয় না?”
নুহাশ রেগে এগোতে গেলেই কিয়ান দৌড়ে বেরিয়ে যায় ঘর থেকে।

অনেক সাধনার পরে পর্ব ৩৫