অনেক সাধনার পরে পর্ব ৪

অনেক সাধনার পরে পর্ব ৪
অরনিশা সাথী

প্রায়শই রুজবা জারাফকে দেখে ওদের বাড়ির সামনের রাস্তায়। কখনো বিকেলে কখনো বা সন্ধ্যায়। সেদিনের পর থেকে জারাফ একপ্রকার রুজবার পেছনেই পড়ে গেছে৷ আজ বিকেলেও যখন ছাদে উঠল তখনো দেখলো জারাফ কড়ই গাছের সাথে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে৷ মাঝেমধ্যে ওদের বাড়ির দিকেই উঁকিঝুঁকি দিচ্ছে। সেসময়ে রুপশা স্কুল থেকে ফিরছিলো। রুজবাকে ছাদে দেখে জোরেই বলে,

–“রুজবাপু তুই আজ আমাকে রেখেই ছাদে উঠেছিস কেন?”
–“প্রতিদিন তো তোকে নিয়েই উঠি, আজ তোর আসতে লেট হচ্ছিলো তাই আমি একাই এসেছি।”
রুপশা আর রুজবার কথাটা স্পষ্ট শুনতে পায় জারাফ৷ তড়িৎ গতিতে ছাদের দিকে তাকায়৷ রুজবা ছাদের রেলিং ধরে দাঁড়িয়ে আকাশ দেখছে। রুপশা ততক্ষণে বাড়ির ভিতরে চলে গেছে৷ জারাফ পলকহীন রুজবাকে দেখছে৷ বিকেলের মৃদু বাতাসে রুজবার শুভ্র রঙের উড়নাটা উড়ছে। সাথে কোমড় সমান খোলা চুল বারবার উড়ে মুখে এসে পড়ছে। রুজবা এতে বেশ বিরক্ত হলো। বারবার চুল সরিয়ে দেওয়া স্বত্তেও বারবার মুখের উপর এসে পড়ছে। রুজবা বিরক্ত হয়ে এবার চুলগুলো হাতখোপা করে ফেললো। এতে জারাফের হুশ ফিরে। চুলগুলো হাওয়ায় উড়ছিলো বেশ তো লাগছিলো দেখতে। খোপা করতে গেলো কেন? ক্ষানিকটা রাগ হলো জারাফের। জোরেই বললো,

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

–“রুজ, খোলা চুলে বেশি ভালো লাগছিলো। খোপা করলে কেন?”
পুরুষ কন্ঠে নিজের নাম কর্ণগোচর হতেই রুজবা তড়িৎ গতিতে পেছন ঘুরে দাঁড়ালো। দেখলো রাস্তায় জারাফ দাঁড়িয়ে আছে। আজ একাই আছে সঙ্গে আর কেউ নেই। এর আগেও জারাফ এই রাস্তায় এসে দাঁড়িয়ে থাকতো, কিন্তু কখনো কোনো কিছু বলেনি। আজ এসব বলাতে রুজবা চমকে উঠে৷ ওর বাবা বাড়িতেই আছে, যদি কথাগুলো শুনতে পায়? রুজবা আর দেরী না করে দ্রুত ছাদ থেকে নেমে পড়লো।

রাতের খাবার খেয়ে শুয়ে আছে রুজবা। ওরা দুই বোনে একসাথে ঘুমায়৷ রুপশা এখন গভীর ঘুমে তলিয়ে আছে৷ দুপুরে ঘুমানোর কারনে এখন রুজবার ঘুম আসছে না৷ তাই উঠে মায়ের কাছে গেলো। রুজবার মা তখন কিচেনে সবকিছু গুছিয়ে রাখছিলেন। রুজবা ওর মাকে বলল,
–“মা তোমার ফোন কোথায়?”
–“রুমে আছে।”

রুজবা রুমে চলে গেলো ওর মায়ের ফোন নিতে৷ রুজবার পারসোনাল ফোন নেই। বাড়িতে মায়ের ফোনই সারাক্ষণ থাকে ওর কাছে৷ আর মাঝে মধ্যে বাবাকে বলে মায়ের ফোন কলেজে নিয়ে যায়। রুজবা রুমে গিয়ে দেখলো ওর বাবা বিছানায় বসে হিসাব মিলাচ্ছেন। রুজবা বালিশের পাশ থেকে ওর মায়ের ফোন নিয়ে চুপচাপ বেরিয়ে গেলো রুম থেকে।
এফবি ইন্সটল করে এফবি আইডিতে লগইন করলো রুজবা৷ ফাঁক পেলেই ফেসবুক নিয়ে বসে ও। বেশ ভালোই বন্ধুবান্ধব আছে ওর আইডিতে। কয়েকজনের সাথে বেশ সখ্যতা গড়ে উঠেছে৷ নোটিফিকেশন চেক করতে গিয়ে দেখলো ‘Jaraf Juhayer’ নামের একটা আইডি থেকে ফ্রেন্ড রিকুয়েষ্ট এসেছে। নাম দেখেই রুজবার জারাফের কথা মনে পড়ে গেলো৷ মনে পড়ে গেলো সেই ভয়ংকর সুন্দর চোখজোড়ার কথা। ছেলেটার চোখের মতো মুখশ্রীতেও এক অন্যরকম মায়া আছে। রুজবা জারাফের আইডি ঘেটে দেখলো জারাফের অসংখ্য ছবি। রুজবা ফ্রেন্ড রিকুয়েষ্ট এক্সেপ্ট করার সাথে সাথেই জারাফ ম্যাসেজ করলো,

–“রুজ?”
–“আমার নাম রুজবা।”
–“সেটা তো জানিই তোমার নাম রুজবা। কিন্তু আমি তোমাকে রুজ বলেই ডাকবো।”
–“কেন?”
–“ভালো লাগছে তাই, কোন ক্লাস এইবার তুমি?”
–“ইন্টার ফার্স্ট ইয়ার। আপনি কোন ক্লাস?”
–“আমি তোমার মতো বাচ্চা না রুজ, আমি কোনো ক্লাসে পড়ি না।”
–“কিসে পড়াশোনা করেন সেটা জিজ্ঞেস করেছি।”

–“মাস্টার্সে।”
–“ফাইনাল ইয়ার?”
–“নাহ।”
–“কোন ভার্সিটি?”
–“ঢাকা।”
–“তাহলে এখানে কি করেন আপনি?”
–“মাঝেমধ্যে বাসায় আসি।”

–“আমার বাসার সামনে আসেন কেন আপনি?”
–“তুমিও তাহলে লুকিয়ে দেখছো আমাকে?”
–“একদমই না। আমি কেন আপনাকে লুকিয়ে দেখতে যাবো?”
–“তাহলে জানো কিভাবে আমি তোমার বাসার সামনে যাই?”
–“কালকেই তো ডাকলেন আমাকে।”
–“তাই? কি বলেছিলাম ডেকে?”
–“জানি না__বাই।”

এই বলেই রুজবা এফবি থেকে বেরিয়ে গেলো। জারাফের সাথে ও ম্যাসেজ করেছে ঠিকই৷ কিন্তু ম্যাসেজ করার পুরোটা সময় ওর বুক ঢিপঢিপ করেছে। প্রচন্ড নার্ভাস ফিল হয়েছে ওর। একদিকে জারাফের সাথে কথা বলতে ভালো লেগেছে অন্যদিকে অস্বস্তিও হয়েছে। মিশ্র একটা অনুভূতি কাজ করেছে ওর মনে।

সময় বয়ে চলে তার নিজস্ব গতিতে৷ বেশ কয়েকটা মাস কেটে গেছে এর মাঝে। সামনেই রুজবা ওদের ইয়ার চেঞ্জ এক্সাম। পড়াশোনায় কিছুটা ব্যস্ত আছে এখন রুজবা ফারিন দুজনেই৷ জারাফের সাথে রুজবার বন্ধুত্বটাও এখন অনেকটাই গভীর। প্রায়সময় দুজনে এফবিতে ম্যাসেজ করে৷ সামনাসামনি কখনো কথা বলেনি৷ জারাফকে সামনে থেকে দেখলেই রুজবার কি যেন একটা হয়৷ প্রচন্ড অস্থির অস্থির লাগে৷ ওকে দেখলেই পালিয়ে বেড়ায়।

জারাফ যে ক’বার ঢাকা থেকে গ্রামে এসেছে প্রত্যেকবারই রুজবার সাথে দেখা করতে চেয়েছে কিন্তু রুজবা রাজি হয়নি। যে ক’দিন গ্রামে থাকতো প্রতিদিনই রুজবাদের বাড়ির সামনে আসতো কিন্তু রুজবা তখনো বের হতো না৷ রুজবা নিজেই লুকিয়ে জারাফকে দেখতো। আর ওদিকে জারাফ চাতক পাখির মতো রুজবাদের বারান্দায়, ছাদে তাকিয়ে থাকতো। কিন্তু রুজবার দেখা পেতো না৷ এ নিয়ে জারাফ রাগ করেছিলো বেশ কয়েকবার। একটু বারান্দায় বা ছাদে আসলে তো আর মহা ক্ষতি হয়ে যেতো না। রুজবা কথা ঘোরানোর জন্য প্রতিবারই বলতো এরপর থেকে ছাদে যাবে কিন্তু রুজবা আর যেতো না। এতে রাগ করে জারাফ বেশ কয়েকদিন আর রুজবাদের বাড়ির সামনে যায়নি। রাগ করে তেমন একটা ম্যাসেজও করেনি। কিন্তু রুজবা কোনো না কোনো ভাবে ঠিক মানিয়ে নিতো জারাফকে।

রিকশার জন্য দাঁড়িয়ে আছে রুজবা আর ফারিন। তখনই বাইক নিয়ে কিয়ান আসে। সাথে আরো একটা বাইক নিয়ে নুহাশও আসে৷ কিয়ান বাইক থেকে নেমে রুজবার সামনে দাঁড়িয়ে বললো,
–“কেমন আছো শালীকা?”
–“আলহামদুলিল্লাহ কিয়ান ভাই, আপনি কেমন?”
–“ভালো।”
–“তা কি কারণে আজ এখানেই হাজির হয়েছেন?”
–“তোমার বান্ধবীকে আমার সাথে নিয়ে যাবো।”
–“ক্লাস?”
–“করবো না।”

চট করেই বললো ফারিন। রুজবা ফারিনের দিকে তাকিয়ে চোখ কটমট করে তাকালো। তারপর বললো,
–“তো তুই আমাকে আগে বলবি না এইটা? তুই থাক আমি তাহলে গেলাম।”
ফারিন দ্রুত রুজবার হাত ধরে নেয়। করুন কন্ঠে বলে,
–“তোকে ছাড়া একা কখনো কিয়ানের সাথে গেছি আমি?”
–“তো এখন থেকে যাবি।”
কিয়ান এবার বললো,

–“রুজবা চলো না। তুমি না গেলে ফারিন যাবে না।”
–“কিয়ান ভাই, ফারিন বাসরঘরে নিশ্চয়ই আমাকে নিয়ে যাবে না। তখন তো একা একা ধেই ধেই করে নাচতে নাচতে আপনার সাথে বাসরঘরে চলে যাবে।”
ফারিন কিছু না ভেবেই বলে ফেললো,
–“তখনো তোকে সাথে করেই নিবো পাক্কা। তাও চল।”

কিয়ান থতমত খেয়ে গেলো ফারিনের কথায়। অসহায় দৃষ্টিতে ফারিনের দিকে তাকিয়ে বললো,
–“ফারিন, কি বলো? ওর সামনে আমরা ইয়ে মানে বাসর করবো কেমনে?”
কিয়ানের কথায় ফারিন লজ্জায় পড়ে গেলো। নুহাশ বিষম খাচ্ছে ওদের তিনজনের কথোপকথন শুনে। এদিকে রুজবা মুখ টিপে হাসছে। রুজবা বললো,
–“তাহলে আমার সামনে প্রেম করেন কেমনে, কিয়ান ভাই?”
–“প্রেম আর বাসর কি এক হলো শালীকা?”
–“জানি না।”

কিয়ান পকেট থেকে চকলেট বের করে রুজবার হাতে দিয়ে বললো,
–“আর বাসরঘরে যেতে চেও না শালীকা৷ প্রতিদিন কম করে একটা চকলেট হলেও তোমাকে দিবো। এবার অন্তত চলো, নয়তো ফারিনও যাবে না।”
রুজবা একগাল হেসে বলল,
–“এত করে যেহেতু বলছেন আমি কি আর না করতে পারি?”
এতক্ষণে নুহাশ মুখ খুললো। রুজবার দিকে ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে বললো,
–“যেই হাতে চকলেট পেলে অমনিই পল্টি নিচ্ছো তাই না?”
রুজবা চোখ পাকিয়ে বললো,

–“নুহাশ ভাই, আপনি আমার সাপোর্টে থাকবেন। কিয়ান ভাই তো আপনার চাচাতো ভাই কম বেস্টফ্রেন্ড বেশি, তাহলে আপনারও হক আছে কিয়ান ভাইয়ের বাসর ঘরে থাকা।”
–“আমি কিন্তু সত্যিই এমন করে ভেবে দেখিনি।”
নুহাশের কথায় কিয়ান ওর পিঠে জোরে থাপ্পর মেড়ে বললো,
–“শালা, এমনিতেই রুজবাকে নিয়ে পারি না এর উপর আবার তুই।”
–“চিল মামা, আমি তোর শালীকার মতো তারছিড়া না।”
রুজবা নুহাশের দিকে আঙুল তাক করে বললো,

–“ভালো হচ্ছে না কিন্তু নুহাশ ভাই।”
ফারিন এবার সবাইকে চুপ করিয়ে দিয়ে বললো,
–“তোমরা কি যাবা? নয়তো আমি রিকশা ডেকে এক্ষুনি কলেজে চলে যাবো।”
–“যাচ্ছি তো।”
এই বলে কিয়ান দ্রুত বাইকে উঠে বসে৷ ফারিনও কোনো টু শব্দ না করে বাইকে উঠে বসে৷ রুজবা আর নুহাশকে আসতে বলে কিয়ান বাইক চালিয়ে চলে যায়৷ রুজবাকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে নুহাশ বললো,

–“উঠতে পারো, চিন্তা নেই তোমাকে নিয়ে পালাবো না। বলেছি তো কখনো কোনো অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে ফেলবো না তোমায়। তুমি চাইলে বাইকে উঠতে পারো, আবার না’ও উঠতে পারো এটা সম্পূর্ণ তোমার ব্যাপার।”
রুজবা ইতস্তত করে বাইকের পেছনে উঠে বসলো। সেদিনের পর বেশ অনেকদিন রুজবা আর নুহাশের সামনে পড়েনি। নুহাশকে দেখলে অকারণেই লজ্জায় মাথা নুইয়ে নিতো। তারপর একটা সময় আবার সব স্বাভাবিক হয়ে গেছে। রুজবা বেশ দূরত্ব রেখেই নুহাশের বাইকে বসেছে। রুজবা আমতা আমতা করে বললো,

–“কোথায় যাচ্ছি আমরা?”
–“জানি না। দেখি কিয়ান কোথায় যায়, সেখানেই যাবো।”
এইটুকু বলেই নুহাশ চুপ হয়ে গেলো। রুজবাও পরবর্তীতে আর কিছু বললো না। নুহাশ বাইক চালিয়ে চলে গেলো।
কাল রাতেই বাড়ি এসেছে জারাফ৷ সকালে কলেজে যাওয়ার জন্য রেডি হয়ে বের হয়েছে৷ উদ্দেশ্য রুজবাকে এক পলক দেখবে৷ কিন্তু বাসা থেকে বেরোতেই যে এমন কিছু দেখবে সেটা কল্পনাতেও ভাবেনি ও৷

রুজবা ফারিন প্রায়শই ব্রীজ পার হয়ে রুপনগর থেকে রিকশা নিয়ে কলেজে যায়। সেরকম ভাবে আজও এসেছিলো। কিন্তু এখান থেকে কিয়ান আর নুহাশের সাথে করে বাইকে যায় আজ। জারাফ রাস্তায় আসতেই দেখলো রুজবা নুহাশের বাইকে করে কলেজের বিপরীত দিকে যাচ্ছে৷ জারাফ যে কাল রাতে বাড়ি ফিরেছে সেটা রুজবা জানে না। জারাফ ভেবেছিলো হুট করেই কলেজে ওর সামনে গিয়ে সারপ্রাইজ দিবে ওকে। কিন্তু এখন জারাফ নিজেই সারপ্রাইজ হয়ে গেলো৷

রাগ লাগছে জারাফের প্রচুর৷ রুজবার সাথে নুহাশকে যেন কিছুতেই মানতে পারছে না ও। হঠাৎ করেই সবকিছু ভেঙে গুড়িয়ে দিতে ইচ্ছে করছে৷ মেজাজ বিগড়ে আছে প্রচন্ড। নদীর ধারে এসে বসে আছে জারাফ। সাথে সাহিল আর মাহিনও আছে। একাধারে সিগারেট টানছে জারাফ৷ মাহিন বললো,
–“রেগে আছিস মনে হচ্ছে?”
জারাফ থমথমে গলায় বললো,

–“নাহ।”
–“মিথ্যে বলছিস কেন জারাফ? তুই খুব বেশি রেগে না থাকলে এভাবে স্মোক করিস না।”
সাহিলের কথায় জারাফ তাকালো ওদের দিকে৷ বেশ কয়েকটা সিগারেট শেষ করায় চোখ লাল টকটকে হয়ে আছে জারাফের৷ সাহিল বললো,
–“কি হয়েছে সেটা তো বলবি।”
জারাফ কিছুক্ষণ চুপ থেকে সবটা বললো ওদের৷ সব শুনে মাহিন বললো,

–“রুজবার হয়তো ওই ছেলের সাথে রিলেশন আছে৷ আর তাছাড়া তুই আর রুজবা তো রিলেশনে নেই। রুজবার লাইফ ও যা ইচ্ছা তাই করতে পারে৷ যে কোনো ছেলের বাইকে বসতে পারে এটা সম্পূর্ণ ওর ব্যাপার। এতে তোর রেগে থাকার কোনো কারন দেখছি না আমি। আজ তুই রাগ দেখাতে পারতি যদি তোরা দুজন সম্পর্কে থাকতি। কিন্তু এরকম কোনো সম্পর্ক তো নেই তোদের। জাস্ট ভালো বন্ধু তোরা।”
জারাফ কিছু না বলে উঠে দাঁড়ালো৷ সাহিল বললো,

অনেক সাধনার পরে পর্ব ৩

–“কোথায় যাচ্ছিস?”
–“বাসায়।”
কথাটা বলেই গটগট করে বাইকের কাছে গিয়ে বাইক স্টার্ট দিয়ে চলে গেলো জারাফ৷ ওর যাওয়ার দিকে তাকিয়ে সাহিল আর মাহিন দুজনেই একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়লো।

অনেক সাধনার পরে পর্ব ৫