আমার শহরে তোমার আমন্ত্রণ সিজন ২ পরিচ্ছেদ ২ পর্ব ২

আমার শহরে তোমার আমন্ত্রণ সিজন ২ পরিচ্ছেদ ২ পর্ব ২
Raiha Zubair Ripte

( কিছু স্ল্যাং শব্দ ইউজ করা হয়েছে এবং সামনেও হবে। তাই যারা স্ল্যাং শব্দ পছন্দ করেন না তারা ইগনোর করতে পারেন)

খাঁন ভিলা তে বসার ঘরে পায়চারি করছে চিত্রা তৃষ্ণা। পাশেই সোফায় বসে আছে রাফি। রাফি এদিক ওদিক তাকালো। বসা থেকে উঠে দাঁড়ালো।
-“ বিয়ে টা তো হয়েই গেছে তাহলে এখন এতো কিছু ভেবে কি হবে?
তৃষ্ণা ঘাড় ফিরিয়ে তাকায় কটমট চাহনি নিয়ে বলে-

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

-“ পারলে একটা খবর এনে দাও, আর না পারলে মুখে কুলুপ এঁটে বসে থাকো,বকবক করে মাথা খারাপ করবে না।
রাফি চুপ হয়ে গেলো। পকেট থেকে ফোন বের করে কারো নম্বরে কল লাগালো। কল রিসিভ হতেই রাফি বলল-
-“ হ্যালো ব্রো কই তুমি? চিত্রা চকিতে তাকালো রাফির দিকে,’বিরাট কাণ্ড ঘটে গেছে যে। পুত্র বউ এসেছে শীগ্রই বাসায় ফিরো। ওপাশ থেকে কি বলল শোনা গেলো না।

-“ না ব্রো তুমিও না আমার ছেলে বিয়ে করবে কি করে, ওর কি বিয়ের বয়স হয়েছে। তন্ময় বিয়ে করেছে শীগ্রই ফিরো বউমা কে দেখতে যাব।
রাফি ফোন কেটে দেয়। চিত্রা অধীর হয়ে জিজ্ঞেস করে –

-“ কি বলল?
-“ ব্রো পার্টি অফিসে আছে মিটিং টা সেরেই চলে আসবে।
-“ চিত্রা মা আর দাদি তো ভীষণ রেগে আছে তোর উপর।
চিত্রা অসহায় চোখে তাকালো। শ্বাশুড়ি আর দাদি সবটা শোনা মাত্র ই ভীষণ রেগে যায়। একেই মা ছেলের মধ্যে দণ্ড তারপর আবার চিত্রার এমন বোকা কাজে মা ছেলের মধ্যে দূরত্ব আরো বেড়ে যাবে।

কথায় আছে ভাবিয়া করিও কাজ, করিয়া ভাবিয়ো না। চিত্রা কাজ টা করার আগে ভাবলো এখন আকাশকুসুম ভেবে কি হবে?
রোমিলা বেগম লাঠিতে ভর দিতে দিতে সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামে, শুনেছে তন্ময় বিয়ে করেছে।

-“ চিত্রা তন্ময় বিয়ে করেছে কথাটা সত্যি?
চিত্রা উপর নিচ মাথা নাড়ায়।
-“ আমার তন্ময়ের বউ কই?
-“ তন্ময়ের সাথে আন্টি।
-“ তন্ময়ের সাথে মানে? তন্ময় আসে নি?
-“ না।
-“ ফোন দিয়ে খোঁজ নিছিলা?
-“ ফোন ধরে নি খালা। রিং হচ্ছে রিসিভ হচ্ছে না।
তৃষ্ণার কথায় আশাহত হয় রোমিলা বেগম। চিত্রা তড়িঘড়ি করে রুমে চলে যায় এখন একজন ই পারবে তন্ময় কে একটু হলেও বুঝাতে।

ছয়তলা একটা অ্যাপার্টমেন্টের সামনে এসে গাড়িটি থামায় তন্ময়। আশেপাশে তাকিয়ে গাড়ি থেকে নামার জন্য উদ্যত হতেই চোখ যায় পাশে থাকা দোলনের উপর। যে সিটে মাথা দিয়ে ঘুমের দেশে তলিয়ে গেছে। তন্ময় বিরবির করে ঘুমকাতুরে বলল। তারপর গাড়ি থেকে নেমে গাড়ির ওপর পাশে দোলনের কাছে গিয়ে দোলন কে ডাকতে থাকে-

-“ এই মেয়ে উঠো,শুনতে পারছো? উঠো বলছি।
দোলন নড়েচড়ে চোখ মেলে তাকায়। ঘুম জড়ানো চোখে সামনে তন্ময় কে বিরক্তি নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে সোজা হয়ে বসে।
-“ বের হও।
দোলান গাড়ি থেকে বের হয়। তন্ময় পকেট থেকে কাউকে ফোন করে গাড়ি টা পার্কিং-এ পার্ক করে রাখতে বলে। তারপর দোলনের উদ্দেশ্যে বলে-

-“ আমার সাথে আসো।
তন্ময় হাঁটা ধরলো পেছন পেছন দোলন ও। লিফটের কাছে এসে পাঁচ তলার বাটনে ক্লিক করলো। মুহূর্তে বক্স লিফটি তার কাঙ্খিত জায়গায় যেতে লাগলো। বক্স লিফট টা উপরে উঠতেই ভয়ে দোলন তন্ময়ের হাত চপে ধরে৷ এর আগে একবার উঠেছিল এমন লিফটে হসপিটালে, তখন খুব ভয় পেয়েছিল। মরিয়ম মান্না তখন হাত চেপে ধরেছিল।
তন্ময় একপলক তাকায় দোলনের দিকে। ভয় ভাসমান তার মুখে। তবে কিছু বললো না। পাঁচ তালায় আসতেই লিফটের দরজা খুলে গেলো। দোলন হাত ছেড়ে স্বতির নিঃশ্বাস ছেড়ে দিলো। তন্ময় কে বের হতে দেখে সেও বের হলো তন্ময়ের পেছন।

তন্ময় নিজের ফ্ল্যাটের কাছে এসে দরজা চাবি দিয়ে খুলতে গিয়েও খুললো না। দোলন তাকিয়ে আছে দরজার পাশে থাকা তন্ময় শাহরিয়ার নামের দিকে। তন্ময় দরজায় টোকা দিলো। গম্ভীর কন্ঠে বলল-
-“ জাস্ট ফাইভ সেকেন্ডের মধ্যে দরজা খোলা চাই।

মুহূর্তে দরজা খুলে গেলো আর সাথে সাথে গোলাপের পাপড়ি শরীরের উপর পড়তে লাগলো। তন্ময়ের চোখ মুখ শক্ত হয়ে গেলো। দোলন দরজার দিকে তাকালো। তিনজন ছেলের আর দু’জন মেয়ে হাসি মুখে গোলাপের পাপড়ি ছুঁড়ে দিচ্ছে তাদের দিকে। তন্ময় শরীর থেকে পাপড়ি গুলোকে ফেলতে ফেলতে বলে-

-“ থামবি তোরা ইডিয়ট।
সবার হাত থেমে গেলো,কিন্তু মুখ থেকে হাসি সরলো না। মেয়ে দুটো বেরিয়ে এসে দোলনের সামনে দাঁড়ালো। লারা নামের মেয়েটা কিয়ৎ ক্ষন দোলনের দিকে তাকিয়ে বলে উঠল-
-“ আরে এই মেয়ে কে আমি কোথায় যেন দে…..
আর বলতে পারলো না লারা।

-“ ননসেন্সর মত বকবক না করে ভেতরে ঢুকতে দে আমাদের, সর।
তন্ময় ভেতরে ঢুকে গেলো। টায়রা নামের মেয়েটা দোলনের লারার দিকে একবার তাকিয়ে হেঁসে ফেললো। লারা ভেঙচি কেটে বলল-
-“ দেখছিস এখনও কি ভাব ধরছে ব্যাটা।

টায়রা দোলন কে নিয়ে ভেতরে ঢুকে। রাহাত, লিখন,সাব্বির তন্ময়ের পেছন পেছন তখনই ভেতরে এসেছিল। তন্ময় নিজের রুমে ঢুকে ফ্রেশ হয়ে ওদের নিজের রুমে দেখতে পেয়ে বিরক্তি নিয়ে বলে-
-“ তোদের বাড়িঘর নেই? আর কতক্ষণ পড়ে থাকবি অন্যের বাসায়?
লিখন বসা থেকে উঠে তন্ময়ের কাঁধে হাত দিয়ে বলে-
-“ মা’রবো এক শা’লা বিয়ে করছিস দেখে কি সাপের পাঁচ পা দেখেছিস। আমাদের বলছিস চলে যেতে সাহস কত! ঠেঙ্গিয়ে রেখে যাব বলে দিলাম।

তন্ময় সোফায় গিয়ে বসলো।
-“ বিয়ে করবি না বিয়ে করবি না বলে একবারে ছক্কা মে’রে দিছিস,এবার ট্রিট দে ভাই।
সাব্বিরের কথায় তন্ময় ভ্রু কুঁচকায়।
-“ যার কথায় এসেছিস তার কাছে গিয়ে ট্রিট চা। এনি ওয়ে আমি ভীষণ টায়ার্ড প্লিজ তরা তোদের রুমে যা।
পাশেই সাব্বির, রাহাত,লিখনের ফ্লাট। চার ফ্রেন্ড মিলে একই অ্যাপার্টমেন্টে ফ্ল্যাট কিনেছে।
রাহাত টিটকারি মেরে বলে উঠে –

-“ তুমি যে মাম্মা কিসের জন্য টায়ার্ড তা কি আমরা জানি না মনে করেছো। বাসর রাত আজ তাই আমাদের টায়ার্ডের নাম করে ভাগিয়ে দিতে চাইছো। মোটেও তা হবে না,এই লিখন তোর বউ টায়রা কে বলবি দোলন রে নিয়ে গিয়ে তোর ফ্লাটে গিয়ে যেনো ঘুমায়।
তন্ময় রাগী চোখে তাকায়। রাহাত সেটা ভ্রুক্ষেপ না করে বলে-

-“ রাগস ক্যান?
-“ তরা যা আমার ফ্ল্যাট থেকে। আর ঐ মেয়েটা কই কি যেনো নাম, ওরে দিয়ে পাঠা রুমে।
রাহাত মুখ ভেঙচি দিয়ে বলে-
-“ ভাব মা’রাও নাম জানো না তুমি? এই সাব্বির লোহা চুলায় পোড়া দে তো ওর বুকের মধ্যে ঠাইসা লিখে দেই নাম টা।

সাব্বির লিখন হো হো করে হাসতে থাকে। তন্ময় সরু চোখে তাকিয়ে রয়।
পাশের রুমে দোলন কে বসিয়ে নিজের ফ্ল্যাটে যায় টায়রা দোলনের জন্য শাড়ি আনতে। লারা খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে দোলন কে দেখেছে। দোলনের পাশে বসে। টায়রা ততক্ষণে পার্পল কালারের একটা সুতি কাপড় এনে দোলনের হাতে দেয়।
-“ এই বেনারসি টা পাল্টে এটা পড়ে আসো দোলন।
দোলন শাড়িটার দিকে একবার তাকিয়ে বলে-

-“ আপু আমি তো শাড়ি পড়তে জানি না।
-“ সমস্যা নেই আমি পড়িয়ে দিব। আগে ব্লাউজ টা পড়ে আসো।
দোলন মাথা নেড়ে ওয়াশরুমে চলে গেলো। ব্লাউজ পেটিকোট পড়ে বের হয়। টায়রা সুন্দর করে শাড়ি পড়িয়ে দেয় সাথে শিখিয়েও দেয়। এরপর দোলন কে নিয়ে ডাইনিং টেবিলের কাছে আসে। দোলন আশেপাশে একবার তাকিয়ে টায়রা কে ডাক দেয় –

-“ আপু।
-“ হ্যাঁ দোলন বলো।
-“ আব্বুর সাথে কথা বলবো। একটু কল দিয়ে দিবেন? অনুনয় হয়ে বলল দোলন।
-“ খাবার টা খেয়ে নাও,তারপর না হয় কথা বলো?
দোলনের ইচ্ছে না থাকা শর্তেও স্বীকার করলো।
আগে থেকে খাবার রান্না করে রেখেছি টায়রা। দোলন কে বসিয়ে তন্ময় দের ডাক দেয়। রাহাত সাব্বির লিখন আসলেও তন্ময় আসে না।

দোলনের কেমন অস্বস্তি হলো। লোকটার কথা শুনেছে বেশ কয়েকবার তার ফুপির কাছে। এও জানে লোকটার সাথে চিত্রার সম্পর্ক ভালো না। কিন্তু কেনো ভালো না সেটা জানে না। দোলন চুপচাপ খেয়ে নিলো। ক্ষিদেয় পেটে জ্বলে যাচ্ছিল।
খাওয়া দাওয়া শেষে টায়রা তন্ময়ের খাবারের প্লেট দোলনের হাতে ধরিয়ে দিয়ে বলে-

-“ তোমার স্বামীর খাবার টা রুমে নিয়ে যাও।
স্বামী ডাকটা কানে আসতেই অদ্ভুত এক শিহরন বয়ে গেলো মেরুদণ্ড বয়ে।
গুটিগুটি পায়ে রুমের সামনে এসে কড়া নাড়লো।
-“ ভেতরে আসবো?
তন্ময় ল্যাপটপে বসে কাজ করছিল। দরজার পানে তাকিয়ে বলে-

-“ হুমম।
দোলন ভেতরে ঢুকে। খাবার প্লেট টা হাতে করে সামনে এসে দাঁড়ায়।
-“ আপনার খাবার।
-“ টেবিলের উপর রাখো।
দোলন খাবার টা টেবিলের উপর রাখলো। ঘর থেকে যাবে কি যাবে না এই দ্বিধায় দাঁড়িয়ে রইলো।
-“ দাঁড়িয়ে না থেকে বসো।
দোলন বিছানার উপর গিয়ে বসলো।
-“ ভয় করছে না? অচেনা অজানা এক ছেলে কে বিয়ে করেছো। আমি যদি মে’রে গুম করে দেই তোমায় তখন কি হবে?
দোলনের দৃষ্টি তখনও ফ্লোরে আবদ্ধ। তন্ময়ের কথা শুনে শুধু বলল-

-“ না।
তন্ময় অবাক হয়ে বলল- ভয় করছে না?
-“ না।
-“ কেনো?
-“ আমাকে একটু আব্বুর সাথে ফোনে কথা বলিয়ে দিবেন?
-“ নাম্বার মুখস্থ আছে?
-“ হুমম।

তন্ময় পকেট থেকে ফোন বের করে ফোন টা এগিয়ে দেয়। দোলন ফোন টা নিয়ে বেলকনিতে চলে যায়। মুখস্থ করা নম্বর ডায়াল করে। ফোন যেতেই রিসিভ হয়। দোলন ধরা গলায় বলে-
-“ আব্বু শরীর কেমন আছে এখন?
মিনালের দেহ জুড়ে যেনো শান্তির বাতাস লেগে গেলো। মেয়ের সাথে কথা বলার জন্য তার মন আনচান করছিল।

-“ হ মা আমি ভালো আছি। তুমি ঠিক আছো? জামাই বাবা কিছু বলছে তোমারে?
-“ আমি ভালো আছি। উনি কিছু বলে নাই। এটা উনারই নম্বর।
-“ একটু জামাই বাবারে ফোন টা দাও মা।
দোলন বেলকনি থেকে রুমে এসে ফোন টা তন্ময়ের দিকে এগিয়ে দেয়। তন্ময় ইশারায় জিজ্ঞেস করে কি?
-“ আব্বা কথা বলতে চাইছে আপনার সাথে।

তন্ময় ফোন টা নিয়ে বেলকনিতে আসে ফোন কানে নিয়ে সালাম জানায়। মিনাল সালামের জবাব দিয়ে বলে-
-“ জানি বাবা বিয়েটা স্বাভাবিক ভাবে হয় নি,আমার মেয়েটারে কষ্ট দিয়ো না৷ ও সহজ সরল বোকা ভীষণ। বোধ বুদ্ধি কম,তুমি ওরে যা বলবা ও তাই শুনবে। তোমার কথার এক চুল ও এদিক ওদিক হবে না। এই যে বিয়ে টা অস্বাভাবিক ভাবে হইলো ও কিন্তু স্বাভাবিক ই আছে খেয়াল করে দেখো। বর যে পালিয়ে গেছে সেদিকে কিন্তু ওর ধ্যান নেই। ওর জীবনে আগে আমি একা ছিলাম৷ এখন তুমি হইছো, আমার মা মরা মেয়েটার আমার পরে শেষ ভরসা কিন্তু তুমি।

-“ চিন্তা করবেন না তন্ময় শাহরিয়ার দায়িত্ব পালনে যথেষ্ট ভালো। আপনার মেয়ের কোনো অসুবিধা হবে না।
কথাটা বলে ফোন টা দোলনের হাতে দেয়। দোলন টুকটাক কথা বলে ফোন টা কেটে তন্ময়ের হাতে দেয়। তারপর ঠাই দাঁড়িয়ে রয়। তন্ময় বসা থেকে উঠে রুম ছেড়ে যেতে যেতে বলে-
-“ এই রুমে ঘুমিয়ে পড়ো। আমি পাশের রুমে যাচ্ছি।

দরজা টান দিতেই থেমে যায়। দরজা বাহির থেকে লাগানো। মুহূর্তে রাগ এসে হানা দেয় মুখে। পেছন ফিরে দোলনের দিকে তাকায়। তন্ময় হাঁক ছেড়ে ডাক দেয়। কোনো ফিরতি শব্দ পাওয়া যায় না। তন্ময় ফোন বের করে ফোন লাগায় লাগাতার কেউ ফোন রিসিভ করে না। একটা ছোট্ট মেসেজ আসে। তন্ময় ওপেন করে মেসেজ টা। লিখন পাঠিয়েছে-
-“ এনজয় কর শা’লা বাসর রাত,ফোন দিয়ে জ্বালাবি না খবরদার।
তন্ময় ফোন দেয়। ফোন বন্ধ দেখাচ্ছে।
-“ দেখতেই পারতেছো ওরা দরজা বাহির থেকে লাগিয়ে চলে গেছে। তুমি বিছানায় গিয়ে শুয়ে পড়ো আমি পরে শুবো।

দোলন আর টু শব্দ টা করে না। চুপচাপ গিয়ে বিছানায় শুয়ে পড়ে। তন্ময় বেলকনিতে গিয়ে একটা সিগারেট ধরায়। সিগারেটে টান দিয়ে আকাশের দিকে ধোঁয়া গুলো ছেড়ে দেয়। জীবন বড়ই অদ্ভুত যাকে জীবন থেকে দূরে সরাতে চাইলো ভাগ্য তাকেই জুড়ে দিলো।
কথাটা ভেবে তপ্ত শ্বাস ফেলতেই পকেটে থাকা ফোন টা বেজে উঠে। তন্ময় ফোন টা বের করে দেখে ফোনের স্কিনে জ্বলজ্বল করছে এমপি সাহেব লেখাটা। তন্ময় ফোন রিসিভ করলো। ওপাশ থেকে তুষার বলে উঠলো-

-“ কোথায় তুই?
তন্ময় সিগারেটে টান দিয়ে বলল-
-“ জানো না কোথায় আমি? বাসর ঘরে।
তুষার হকচকিয়ে গেলো। বিরবির করে বলল- অসভ্য।
তন্ময় শুনে ফেললো। ভ্রু কুঁচকে বলল-
-“ আমি কি বলতে চেয়েছি? তুমিই সেধে ফোন করে জেনেও জিজ্ঞেস করলে। তুমি জানতে না এই সময় তোমার ছেলে ঠিক কোথায় থাকতে পারে?
তুষার কপালে হাত রাখলো।

-“ বাসায় আয় বউ নিয়ে।
-“ কাল পাঠিয়ে দিব বউ। এখন রাখি ভীষণ টায়ার্ড হয়ে গেছি,তুমি তো বুঝো। এনার্জি নেই ড্রাইভ করে বউ দিয়ে আসার।
-“ হতচ্ছাড়া লাজলজ্জা বলে কিছুই নেই। সক্কাল সক্কাল বাসায় দেখা চাই।
কথাটা বলে তুষার ফোন কেটে দেয়। তন্ময় ফোনের দিকে তাকিয়ে স্মিত হাসে। তারপর আকাশের দিকে তাকিয়ে বলে-

❝ অবহেলারা নিষিদ্ধ আমার শহরে.. খেলা করে শুধু বসন্ত,আর এই বসন্তে কোনো বিষাদের জায়গা নেই আমার শহরে তাই না বলো পৃথিবী?❞
কথাটা বলে চোখ বন্ধ করে থাকে কিছুক্ষণ। তারপর এলেমেলো পায়ে হেঁটে রুমে এসে দোলনের দিকে একপলক তাকিয়ে শুয়ে পড়ে।

আমার শহরে তোমার আমন্ত্রণ সিজন ২ পরিচ্ছেদ ২ পর্ব ১

( গতকাল পর্বে আমি লগ্নভ্রষ্টা নামের ওয়ার্ড টা ইউজ করেছিলাম। সেটা এডিট করে দিয়েছি। যারা গল্প টা কপি করেছেন দয়া করে এডিট করে দিবেন। আর আমি রহস্য উন্মোচন করবো ধিরে দিরে, হুট করে তো আর ফাস্ট পর্বেই রহস্য উন্মোচন করতে পারি না। আর গল্পটা একদিন পর পর আসবে। আজ দিয়েছি, নেক্সট পর্ব আসবে পরশু দিন রাতে ইফতারের পর। এখন ইফতারের পরই গল্প দিব একদিন পরপর। কারন সারাদিন রোজা থেকে প্রাইভেট, পড়াশোনা তারপর বাসার কাজ করে একদিন তাড়াহুড়ো করে গল্প লিখতে গিয়ে আমি সেটাকে হযবরল করতে চাই না। দুদিন সময় নিলে আমি ধীরেসুস্থে লিখতে পারবো সেক্ষেত্রে পর্ব গুলো বড়ই হবে।) যারা পেজ টা এখনও ফলো দেন নি তারা পেজ টা ফলো দিয়ে রাখুন,আর বেশি বেশি কমেন্ট করুন রিচ গোল্লায় চলে গেছে।

আমার শহরে তোমার আমন্ত্রণ সিজন ২ পরিচ্ছেদ ২ পর্ব ৩