আমার শহরে তোমার আমন্ত্রণ সিজন ২ পরিচ্ছেদ ২ পর্ব ১০

আমার শহরে তোমার আমন্ত্রণ সিজন ২ পরিচ্ছেদ ২ পর্ব ১০
Raiha Zubair Ripte

আকশে আজ রোদের প্রখরতা অনেক। বাতাসের ছিটেফোঁটা ও নেই চারিপাশে। গরমে বিরক্তিকর বোধ করলো রাহা। আজ ছাতা ও আনে নি সাথে। রিকশার ও দেখা নেই। সব কিছু মিলিয়ে মন মেজাজ তুঙ্গে। আকাশে থাকা রোদ কে মনে মনে শ’খানেক বকাবকি করতে করতে হাঁটা ধরলো বাড়ির পথে। কিছুটা হাঁটতেই শরীর ঘেমে নেয়ে একাকার। বড্ড পানি তেষ্টা পেলো রাহার। পাশে থাকা দোকান থেকে এক বোতল নরমাল ওয়াটার বোতল কিনলো। কিছুটা খেয়ে মুখে পানির ঝাপটা দিলো। তারপর আবার হাঁটা ধরলো।

বাড়ির কিছুটা কাছে আসতেই রাহার নাম ধরে কেউ ডেকে উঠলো। রাহা পেছন তাকালো। সাব্বির দৌড়ে তার দিকে এগিয়ে আসছে। সাব্বিরের থেকে কিছুটা দুরে রাহাত হেঁটে আসছে। অনেক গুলো মাস পর রাহাত কে রাহা দেখতে পেলো। রাহা মনে মনে গুনে নিলো প্রায় ছ’মাস পনেরো দিন পর লোকটা কে দেখছে রাহা। বুকের ভেতর কেমন একটা করে উঠলো। ভালো লাগায় নাকি প্রিয় মানুষটির থেকে প্রত্যাখ্যান পাওয়ায় তা বুঝতে পারলো না রাহা।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

-“ হেঁটে হেঁটে বাড়ি ফিরছো নাকি?
রাহা রাহাতের থেকে দৃষ্টি সরিয়ে নিলো সন্তপর্ণে। মুচকি হাসার চেষ্টা করে বলল-
-“ জ্বি ভাইয়া।
রাহাত ততক্ষণে রাহার সামনে এসে দাঁড়ায়। রাহা বুঝতে পেরে মাথা নত করে সাব্বিরের উদ্দেশ্যে বলে-
-“ আসছি তাহলে ভাইয়া। বাসায় আসবেন সময় করে।
কথাটা বলে পিছু ফিরার জন্য ঘুরতেই রাহাত বলে উঠে –

-“ যেতে বলিনি তোমায় রাহা।
রাহা দাঁড়িয়ে যায়। আহ কতগুলো মাস পর সেই প্রিয় পুরুষের কন্ঠে নিজের নাম শুনলো।
রাহাত ইশারায় সাব্বির কে চলে যেতে বললো। সাব্বির মাথা চুলকে গেলো। রাহাত এগিয়ে গিয়ে রাহার সামনে দাঁড়ালো। রাহার দৃষ্টি এখন ও মাটিতে।
-“ এখনও ভালোবাসো আমায়? অপেক্ষা করে আছো আমার জন্য?

রাহাতের সোজাসাপটা কথা রাহার মনে ঝড় তুলে দিলো। মাথা তুলে তাকালো রাহাতের। রাহাত রাহার দিকে তাকিয়ে আছে। রাহাত সাব্বির কে নিয়ে ভার্সিটির বাহিরে অপেক্ষা করছিলো রাহার। রাহাতের বাসা থেকে প্রেসার দিচ্ছে রাহাতের মা সিমি বিয়ে করার জন্য । বাসায় ও ফিরতে বলছে। রিয়াদ রাহাতের জন্য মেয়েও দেখে ফেলছে। কিন্তু রাহাত জানতো না। রিয়াদ গতকাল জানিয়েছে তার এক ফ্রেন্ডের মেয়ের সাথে রাহাতের বিয়ের কথাবার্তা শুরু করেছে। এখন রাহাত কে বাসায় ফিরে মেয়েটার সাথে দেখা করতে বলেছে।

কথাটা শুনেই রাহাতের মেজাজ হাই হয়ে যায়। রিয়াদ কে মুখের উপর বলে দিয়েছে সে বিয়ে করবে না। তার পছন্দ আছে। রিয়াদ কথাটা শুনে রাহাত কে বলে রাহাতের পছন্দ করা মেয়ের সাথে দেখা করাতে। সেজন্য আজ রাহাত রাহার কাছে এসেছে।
রাহা কে এখনও চুপ থাকতে দেখে রাহাত আবার বলে উঠে-

-“ হ্যাঁ বা না কিছু একটা বলো? তোমার হ্যাঁ বা না এর উপর আমার বিয়ে করা নির্ভর করছে।
রাহা এবার আশ্চর্য হয়ে বলে-
-“ মানে!
-“ মানে সিম্পল, তুমি যদি আমার জন্য এখনও অপেক্ষা না করে থাকো, আই মিন ভালো না বেসে থাকো তাহলে তো আর তোমার সাথে আমার বিয়ে হবে না তাই না? আর আমিও তো তোমাকো ছাড়া বিয়ে অন্য কাউকে করবো না। সেজন্য জিজ্ঞেস করছি। ভেবে চিন্তে জবাব দাও।

রাহা কি বলবে ভেবে পাচ্ছে না। রাহাতের কি মাথাটা একেবারে গেছে নাকি? এতোদিন দূরে দূরে থাকতে বলে আজ হুট করে এসে বলছে তার জন্য রাহা অপেক্ষা করে আছে কি না! রাহা একবার ভাবলো হ্যাঁ বলবে। তারপর আবার অভিমান নিয়ে না বলে দিলো।
-“ আমি মোটেও আপনার জন্য অপেক্ষা করে নেই। আর না আপনাকে ভা…..
-“ লাস্টের কথা টুকু জাস্ট ফিনিশ করে দেখো।

দাঁতে দাঁত চেপে কথাটা বলে রাহাত। রাহা অন্য দিকে ফিরে তাকায়। সাইড কাটিয়ে চলে যেতে নিলে রাহাত রাহার হাত টেনে ধরে। রাহা হাত মোচড়ামুচড়ি করে। রাহাত শক্ত করে চেপে ধরে।
-“ বৃথা চেষ্টা করো না রাহা ছাড়াতে পারবে না হাত আমি না ছাড়া অব্দি।
রাহা অভিমান নিয়ে তাচ্ছিল্যের কন্ঠে বলে-
-“ কয়েক বছর আগেই ছেড়ে দিয়েছিলেন এই হাত। তখন যদি এমন শক্ত করে ধরতেন তাহলে আজকের দিনটা অন্য রকম থাকতো রাহাত।
রাহাত স্মিত হাসালো। বোকা মেয়ের ভালোই জন্য ই তো দূরত্ব বাড়ালো আর বোকা মেয়ে সেটাকে তাচ্ছিল্য ভেবে ভুল করে বসলো।

-“ তখন আমি তোমার হাত ধরি নি রাহা,তাই ছাড়ার প্রশ্নই আসে না। এখন যখন একবার ধরেছি তখন আর ছাড়ছি না। তুমি ছাড়াতে চাইলেও এই ভাবে শক্ত করে ধরে রাখবো। যতই ঝড় তুফান সুনামি এই হাতের উপর দিয়ে বয়ে যাক না কেনো হাতের বাঁধন ঢিলা হবে না মিলিয়ে নিয়ো।

রাহা এবার ডুকরে কেঁদে উঠলো। লোকটা এমন কেনো? জানে রাহা তাকে এখনও পাগলের মতো ভালোবাসে তবুও এভাবে জিজ্ঞেস করছে। লোকটার একটু খানি ভালোবাসা পাওয়ার জন্য রাহা চাতকের মতো অপেক্ষায় থাকে। রাহাত একটু খানি ভালোবাসলেই রাহা তার সবটা উজাড় করে দিতে দু’বার ভাববে না। নামাজে কত কান্নাকাটি করছে শুধু এই মানুষটির একটু খানি ভালোবাসা পাওয়ার জন্য।

রাহাত রাহার কান্না দেখে মুচকি হাসলো। রাহাকে টেনে নিজের বাহুডোরে আবদ্ধ করে নিলো। এতে যেনো রাহা আরো লাই পেয়ে গেলো। রাহা রাহাতের বুকে মুখ গুঁজে কান্নারত গলায় বলে-
-“ ভীষণ পঁচা আপনি রাহাত,ভীষণ কষ্ট দিয়েছেন আমায়। এখন এসেছেন আবার কষ্ট দিতে। জানেন এই ক’টা বছর আমি কিভাবে কাটিয়েছি। প্রতিটা রাত আমার মধ্য রাত অব্দি নির্ঘুমে কেটেছে। আপনাকে নিয়ে আমার অনেক অভিমান জমে আছে।

রাহাত রাহার চুলের ভাজে আলতো করে চুমু খেয়ে বলে-
-“ যা শাস্তি দিবে মাথা পেতে নিবো ট্রাস্ট মি একটা টু শব্দ ও করবো না। বিনিময়ে তুমি সারাজীবনের জন্য আমার হয়ে যাও। সব সুখ পায়ের কাছে হাজির করে দিব সামর্থ্য অনুযায়ী। কখনও আমার দ্বারা কষ্ট পেতে দিবো না।

তৃষ্ণা বসার ঘরে বসে আছে। কিছুক্ষণ আগেই রাকিব নামের লোকটা চলে গেছে। চিত্রা রান্না ঘরে, তান টিভি দেখছে। তৃষ্ণার ফোন বেজে উঠায় তৃষ্ণা ফোনের দিকে তাকায়। রাফি ফোন করেছে। তৃষ্ণা ফোন রিসিভ করে।
-“ কি করছো?
তৃষ্ণা বসা থেকে উঠে বলে-
-“ কিছু না তুমি?
-“ অফিসে বসে আছি।
তৃষ্ণার মনে পড়লো,তুষার বলেছিল রাকিব হোসাইন রাফির বিজনেস পার্টনার। সেজন্য রাফিকে বলল-

-“ আজ তোমার বিজনেস পার্টনার এসেছিল।
রাফি ভ্রু কুঁচকালো তৃষ্ণার কথায়।
-“ আমার বিজনেস পার্টনার এসেছিল মানে?
-“ হ্যাঁ ভাইয়া তো তাই বলল।
-“ তুষার ব্রো?
-“ হ্যাঁ।
-“ কি বললো?

-“ বললো মিস্টার রাকিব হোসাইন তোমার বিজনেস পার্টনার। তাকে বাসায় নিয়ে এসেছিলো।
রাফি অবাক হলো। সে তো রাকিব হোসাইন নামের কাউকে চিনে না। আর না তার বিজনেস পার্টনার কোনো বাংলাদেশি। তার বিজনেস পার্টনার তো সব মালদ্বীপের।
-“ ব্রো বলেছে রাকিব হোসাইন আমার বিজনেস পার্টনার?
-“ আরে হ্যাঁ।
-“ আচ্ছা রাখছি ফোন। পরে কথা বলবো।

কথাটা বলে রাফি ফোন কে’টে দিলো। তৃষ্ণা ফোনের দিকে তাকিয়ে রইলো।
রাফি তুষারের নম্বরে কল লাগালো। তুষার রুমে শুয়ে ছিলো। ফোনের আওয়াজ শুনে ফোনের দিকে তাকিয়ে দেখে রাফি ফোন করেছে। তুষার রিসিভ করলো ফোন।
-“ হ্যালো ব্রো।
-“ হুমম বল।
-“ রাকিব হোসাইন কে ব্রো? এই রাকিব হোসাইন আমার কোনো বিজনেস পার্টনার না।
তুষার অবাক হয়ে বলে-

-“ কি বলিস! উনি তো বললো সে তোর বিজনেস পার্টনার। সেজন্য ই তো আমি বাসায় নিয়ে আসলাম।
-“ না ব্রো সে আমার বিজনেস পার্টনার না। বাট লোকটা তোমায় মিথ্যা কেনো বললো? আর আমাকে চিনলো কি করে?
-“ সেটাই তো। লোকটা মিথ্যা কেনো বললো?
-“ আচ্ছা তুমি খোঁজ নাও ব্রো। নিশ্চয়ই কোনো ঘাপলা আছে।
-“ আচ্ছা আমি খোঁজ নিচ্ছি। নিজের খেয়াল রাখিস। আর ফিরবি কবে দেশে?

-“ এই তো সপ্তাহ খানেক পর।
-“ ঠিক আছে আয়। সারপ্রাইজ অপেক্ষা করছে।
-“ কি সারপ্রাইজ?
-“ বলে দিলে আর সারপ্রাইজ সারপ্রাইজ থাকে নাকে। তাড়াতাড়ি আয় অপেক্ষায় আছি তোর ফেরার।
-“ আচ্ছা।
তুষার ফোন কে’টে দেয়। ফোনের দিকে তাকিয়ে লম্বা শ্বাস ফেলে।

পরন্ত বিকেলে রাস্তার পাশ ঘেঁষে হেঁটে চলছে তুলি। গন্তব্য তার এতিমখানা থেকে সামনের মোড়ে। ভীষণ আইসক্রিম খেতে মন চাচ্ছিলো। সেজন্য এতিমখানায় থাকা ছোট্ট সুমি কে নিয়ে এসেছে। সুমির বয়স ৬ বছর। ভীষণ কিউট একটা মেয়ে। তুলির ভীষণ আদরের। রাস্তার মোড়ে আসতেই সুমির হাত টা শক্ত করে চেপে ধরে তুলি। কারন এখন রাস্তা পাড় হতে হবে।

তুলি এদিক ওদিক তাকিয়ে নিলো তারপর সাবধানের সাথে রাস্তা পাড় হলো। বড় দোকানের ভেতর গিয়ে দুটো কোন আইসক্রিম কিনলো। বিল পে করে আইসক্রিম হাতে নিয়ে পেছন ঘুরতেই কোনো এক পুরুষালী দেহের সাথে গিয়ে হাত বেঁধে আইসক্রিম টা পড়ে গেলো। তুলির রাগ হলো আইসক্রিম টা পড়ে যাওয়াতে। কিন্তু চোখ টা যখন গিয়ে ঠেকলো ঐ পুরুষালী বুকে তখন তুলি ভয়ে এক ঢোক গিললো। আইসক্রিমের কিছু অংশ শুভ্র কালারের শার্টের উপর লেগে আছে। তুলি ভয়ে চোখ খিঁচে ফেলে।

সায়ান রাগী মুখ নিয়ে তাকিয়ে আছে তুলির দিকে। বিল পে করতেই এসেছিল ক্যাশ কাউন্টারে। কিন্তু এমন আকস্মিক ঘটনায় রাগ মাথায় চড়ে বসলো। রাগান্বিত হয়ে কিছু বলতে নিবে এমন সময় সুমি নামের পিচ্চি মেয়েটা অপরাধীর মতো মুখটাকে করে বলে-
-“ সরি ভাইয়া,আপু খেয়াল করে নি প্লিজ বকো না। আমি টিস্যু দিয়ে মুছে দিচ্ছি।
সায়ান তাকালো। মেয়েটার মুখশ্রী দেখে মায়া হলো। রাগ টা খানিক নিয়ন্ত্রণে আনলো। পিচ্চি একটা মেয়ে সরি বলল অপরাধ না করেও অথচ সামনে থাকা রমনী এখনও চোখ বন্ধ করে আছে। বিরবির করে ইডিয়ট বলে আখ্যায়িত করলো সায়ান তুলি কে।
তারপর একটু নিচু হয়ে সুমির গাল টেনে বলল-

-“ দোষ তুমি করো নি বাবু তবুও তুমি সরি বলছো। অথচ যে দোষ করলো সে কিছু বললো না। একেই বলে তফাৎ।
তুলি চোখ মেলে তাকালো। সায়ানের মুখের দিকে তাকাতেই আরেক দফা অবাক হলো। এই তো সেই লোকটা যে কি না তুলি কে অফিসে আটকিয়েছিলো। সুমিকে টেনে নিজের কাছে নেয় তুলি তারপর থমথমে মুক করে সায়ান কে সরি বলে। সায়ান সোজা হয়ে দাঁড়ায়। তুলির দিকে তাকিয়ে তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে বিল পে করে।
তুলি পেছন ফিরে একবার সায়ান কে দেখে সুমি কে নিয়ে চলে আসে।

সন্ধ্যার দিকে চিত্রার মা চয়নিকা বেগম ফোন করে চিত্রা কে। চিত্রা তখন নিজ রুমে শুয়ে রেস্ট নিচ্ছিলো। মায়ের ফোন আশায় চিত্রা ফোন রিসিভ করে বেলকনিতে আসে।
-“ হ্যালো মা কেমন আছো?
-“ আলহামদুলিল্লাহ ভালো, তোমরা কেমন আছো?
-“ আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
-“ একটা কথা বলার ছিলো।
-“ হুমম বলো।
-“ তন্ময় আর দোলন কে নিয়ে এ বাড়ি এসো। তোমার বাবা তার নাতি আর নাত বউকে দেখবে।
চিত্রার মন খারাপ হয়ে গেলো। সে কি করে ছেলেকে নিয়ে যাবে? ছেলে কি তার সাথে কথা বলে? নাকি তার সব কথা শুনে?

-“ উনি ফিরলে বলে দেখাবো নি তন্ময় রাজি হয় কি না। কিন্তু মা আমি আসতে পারবো না। তন্ময় আর দোলন কে পাঠানোর চেষ্টা করবো।
চয়নিকা বেগম জোর করলেন না।
-“ আচ্ছা।
-“ এখন রাখি তাহলে পরে কথা বলবো নি।
চিত্রা ফোন কে’টে দেয়। কিছুক্ষণ বেলকনি থেকে আবার রুমে চলে আসে।

পার্টি অফিসে বসে আছে তুষার। সামনেই বসে আছে রাকিব হোসাইন। তুষার তীক্ষ্ণ দৃষ্টি নিয়ে তাকিয়ে আছে রাকিব হোসাইন এর দিকে। হাতে থাকা কলম টা টেবিলের উপর রেখে বলল-
-“ কি চলছে আপনার মাথায় মিস্টার রাকিব হোসাইন?
রাকিব চেয়ারে শরীরের সম্পূর্ণ ভার ছেড়ে দিলো।

আমার শহরে তোমার আমন্ত্রণ সিজন ২ পরিচ্ছেদ ২ পর্ব ৯

-“ কি চলবে আমার মাথায় মিস্টার তুষার খাঁন?
-“ সেটাই জানতে চাচ্ছি কি চলছে আপনার মাথায়?
-“ নাথিং।
-“ আই কান্ট বিলিভ।
-“ আই ডোন্ট কেয়ার।
তুষার এবার হতাশ হয়ে পড়লো। এই লোকটার থেকে এতো সহজে কথা বের করা যাবে না তা বেশ ভলোই বুঝতে পেরেছ তুষার।

আমার শহরে তোমার আমন্ত্রণ সিজন ২ পরিচ্ছেদ ২ পর্ব ১১