আমার শহরে তোমার আমন্ত্রণ সিজন ২ পরিচ্ছেদ ২ পর্ব ১৮

আমার শহরে তোমার আমন্ত্রণ সিজন ২ পরিচ্ছেদ ২ পর্ব ১৮
Raiha Zubair Ripte

তন্ময়ের বাসায় ফিরতে ফিরতে রাত ১২ টা বেজে গেছে। বলেছিল দুপুরের নাগাদ ফিরবে কিন্তু ফিরতে পারে নি। ইমার্জেন্সি একটা কাজে আটকা পড়ে গিয়েছিল।
ক্লান্ত শরীর নিয়ে তন্ময় আর কলিং বেল চাপলো না। পকেট থেকে এক্সট্রা চাবি বের করে দরজা খুলে ভেতরে ঢুকলো। পুরো রুম ঘুটঘুটে অন্ধকার। তন্ময় ফোনের আলো জ্বালালো। ডাইনিং টেবিলে চোখ যেতেই দেখে দোলন টেবিলে মাথা দিয়ে শুয়ে আছে। সামনেই খাবার ঢাকা দেওয়া। মেয়েটা তার মানে রান্না বান্না করে তার জন্য অপেক্ষা করছিলো? তন্ময়ের খারাপ লাগলো।

অসুস্থ শরীর নিয়ে কেনো রান্না করতে হবে? আর এখানে বসে কেনো অপেক্ষা করতে করতে ঘুমিয়ে পড়তে হবে?
তপ্ত শ্বাস ফেলে এগিয়ে গেলো। দোলনের মাথায় আলতো করে হাত রেখে ডেকে উঠল-
-“ দোলন,এই দোলন উঠো।
দোলন নড়েচড়ে উঠলো। আস্তে আস্তে চোখ মেলে তাকালো। সামনে তন্ময় কে দেখে চমকে উঠলো। চোখ ঝাপ্টা দিয়ে বলল-

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

-“ আপনি এসেছেন কখন? আমি সেই কখন থেকে অপেক্ষা করছি। ফোন থাকে কোথায় আপনার?
তন্ময় পকেট থেকে ফোন বার করলো। পনেরো টা মিসড কল উঠে আছে৷ ফোন সাইলেন্ট থাকায় বুঝতে পারে নি। অপরাধীর ন্যায় মুখ করে বলল-
-“ আ’ম এক্সট্রিমলি সরি দোলন। ফোন সাইলেন্ট ছিলো।
দোলন হাই তুললো। ঘুমে চোখে ঝাপসা দেখছে। বসা থেকে উঠে।
-“ আচ্ছা ঠিক আছে। ফ্রেশ হয়ে আসুন।

দোলন বেসিনের দিকে এগিয়ে গেলো চোখে মুখে পানি দিতে। তন্ময় ওয়াশরুমে চলে গেলো ফ্রেশ হতে।
টেবিলে খাবার বাড়তে বাড়তে তন্ময় চলে আসলো। মুরগির মাংস, ভুনা ডাউল আর সাদা ভাত। তন্ময় খেতে বসলো। দোলন কে খেতে না দেখে তন্ময় বলল-

-“ তুমি খাচ্ছো না কেনো?
-“ খেতে ইচ্ছে করছে না।
-“ এদিকে আসো। আমার পাশে বসো।
-“ কেনো?
-“ আসতে বলছি আসো।
দোলন উঠে তন্ময়ের পাশের চেয়ারে বসলো। তন্ময় চেয়ার ঘুরিয়ে দোলনের দিকে ফিরে বসলো।

-“ হা করো।
দোলন ভ্রু কুঁচকালো।
-“ কেনো?
-“ হা করতে বলছি হা করো।
দোলন হা করলো। তন্ময় ভাত মাখিয়ে মুখে তুলে দিতে দিতে বলল-
-“ অসুস্থ শরীর নিয়ে রান্না করার কি দরকার ছিলো?
দোলন ভাত চিবোতে চিবোতে বলে-

-“ রান্না টা না করে রাখলে এখন এসে কি খেতেন? আপনি তো বলেছিলেন দুপুরে আসবেন। কিন্তু আপনার দুপুর তো হলো এই রাত ১২ টায়।
-“ সরি লক্ষীটি, আসলে খুব ইমার্জেন্সি ছিলো।
-“ এতো সরি কেনো বলছেন। আমি জানি তো আপনি ইমার্জেন্সি কাজে আঁটকে আছেন।তা না হলে দুপুরেই চলে আসতেন।
তন্ময় হাসলো। কথার ছলে ছলে দু’জনে খাবার খেয়ে নিলো। এঁটো থালায় হাত ধুতেধুতে তন্ময় বলে-

-“ এখনও কি পেটে পেইন আছে?
-“ একটু একটু আছে।
-“ পেইন কিলার খেয়ে নাও।
দোলন তাই করলো। রুমে এসে একটা পেইন কিলার খেয়ে নিলো।
আজ আকাশে চাঁদের দেখা নেই,অথচ আকাশ জুড়ে তারা আছে। তন্ময় বেলকনিতে দাঁড়িয়ে রইলো দোলন বিছানা ঠিক করছে। শরাফত উল্লাহ কে যে আটক করা হয়েছে এটা সিক্রেট। কেবল সায়ান আর তন্ময়ই জানে। হোটলে থেকে ফেরার পথেই সায়ান তন্ময় শরাফত উল্লাহ কে ধরেছে মাঝ রাস্তা থেকে,সাথে ফারহান আহমেদ কে। দোলন তন্ময় কে রুমে আসতে না দেখে বেলকনিতে আসে।

-“ কি হলো রুমে আসছেন না কেনো?
তন্ময় দোলনের দিকে তাকালো। মুচকি হেঁসে বলল-
-“ কেনো মিস করছো বুঝি আমায়?
-“ তেমন কিছু না,ঘুমাবেন না?
-“ হ্যাঁ বউ পাশে থাকতেও এখনও রাত টা ঘুমিয়েই কাটাতে হয়,কি ভাগ্য আমার ছ্যা!
দোলন মুখ অন্যদিকে ঘুরালো।

-“ সে তো আপনি ইচ্ছে করেই রাত টা ঘুমিয়ে কাটান। জেগে কাটাতে মানা করছে কে?
তন্ময় দেরি করলো না, দোলন কে টেনে একদম নিজের সাথে মিশিয়ে নিলো। দোলনের বুক উঠানামা করছে। এই প্রথম তন্ময়ের এতো কাছাকাছি সে। তন্ময় দোলনে চোখ মুখে আসে চুল গুলো সযত্নে কানের পেছনে গুঁজে দিয়ে ফিসফিস করে বলে-

-“ সম্মতি দিচ্ছ তাহলে মিসেস শাহরিয়ার? অসভ্যতামি সামলাতে পারবে?
দোলন কেঁপে উঠলো। কাঁপা কাঁপা গলায় দৃঢতা নিয়ে বলল-
-“ নারী রা সব সামলাতে পারে মিস্টার তন্ময় শাহরিয়া।
তন্ময় হাসলো। কি অমায়িক সেই হাসি। দোলন চেয়ে রইলো। দোলনের নাকে আলতো করে নাক ছুঁয়ে দিয়ে বলে-
-“ ভেবে চিন্তে বলছো তো?
-“ হ্যাঁ।
-“ ওকে চলো তাহলে আজ একটু অসভ্যতামি করি।

কথাটা বলেই দোলন কে পাঁজা কোলে তুলে নিলো। দোলন আকস্মিক তন্ময়ের এহেন কাজে হকচকিয়ে গেলো। দোলনকে বিছানায় এনে শুইয়ে দিলো। দোলন তন্ময়ের গলা ছাড়লো না। জড়িয়ে ধরে রাখলো। ছেড়ে দিলেই তো লজ্জায় শেষ হয়ে যাবে৷ তন্ময় দোলনকে ছাড়তে না দেখে বলে-
-“ আহ বউ গলা জড়িয়ে ধরে থাকলে আমি অসভ্যতামি করবো কি করো। ছাড়ো গলা।
দোলন ছাড়লো না। তা দেখে তন্ময় দোলনের গলায় কামড় বসিয়ে দিলো। দোলন ব্যাথায় আহ করে উঠলো।

-“ কামড় দিচ্ছেন কেনো?
-“ এটাকে কামড় বলে না বউ,,লাভ বাইট বলে। আরেক টা দেই?
-“ নাহ্।
-“ তুমি বললেই কি আমি শুনবো নাকি?
তন্ময় আবার দোলনের গলায় লাভ বাইট দিলো। দোলন ছেড়ে দিলো তন্ময় কে। গলায় হাত দিয়ে কামড় দেওয়া জায়গায় হাল্কা করে ডলতে ডলতে বলল-

-“ ব্যাথা করছে তো।
-“ ব্যাথা তো করবেই। আচ্ছা ওয়েট একটা চুমু খাই তাহলে ব্যাথা সেরে যাবে।
তন্ময় দোলনের হাত সরিয়ে কয়েকটা চুমু খেলো। দোলন শিউরে উঠলো। তন্ময়ের শার্টের কলার শক্ত করে চেপে ধরলো। তন্ময় এবার গলা থেকে সোজা দোলনের ওষ্ঠে নিজের ওষ্ঠদ্বয় ডুবিয়ে দিলো৷ দোলন বরফের মতো জমে গেলো তন্ময়ের এহেন কাজে। রিয়াক্ট করা ভুলে গেছে। দোলন কে তন্ময়ের সাথে রেসপন্স করতে না দেখে দোলনের ওষ্ঠে কামড় বসিয়ে দেয়। দোলন ব্যাথায় চোখ কুঁচকে ফেলে। তন্ময় দোলনের ওষ্ঠ ছেড়ে রাগী কন্ঠে বলে-

-“ আরে বউ রেসপন্স করো না কেনো আমার সাথে? রেসপন্স করবে এবার কেমন?
আবার দোলনের ওষ্ঠে ওষ্ঠদ্বয় ডুবিয়ে দেয়। দোলন বোকা বনে চলে যায়। আরে এটা কোন তন্ময়? দোলন দ্বিতীয় বার রেসপন্স করে তবে সাময়িক। তন্ময় কিছুক্ষন পর ওষ্ঠ ছেড়ে দিয়ে বলে উঠে –
-“ ঠিকঠাক রেসপন্স করতে পারো না। সব কি শিখিয়ে পড়িয়ে নিতে হবে?
দোলন পাশ থেকে কাঁথা উঠিয়ে শরীরে জড়িয়ে নিলো। অন্য দিকে পাশ ফিরে শুয়ে বলে-

-“ আপনি আমার ভাবনার থেকেও বেশি অসভ্য তন্ময়।
-“ সো হোয়াট?
-“ সো হোয়াট ফোয়াট কি? রাত হয়েছে ঘুমান এখন।
-“ ইউ নোও হোয়াট আমি একটা প্ল্যান করেছি।
দোলন ফিরে তাকালো।
-“ কি প্ল্যান?
-“ মধুচন্দ্রিমার প্ল্যান।
দোলন ফের অন্য দিকে ঘুরে তাকালো। তন্ময় দোলনের শরীর ঘেঁষে শুয়ে পড়লো।

-“ প্ল্যান টা নাইস না?
-“ না।
-“ কিউ?
-“ মধুচন্দ্রিমায় যেতে হবে কেনো?
-“ আরে ধূর মধুচন্দ্রিমায় কে যাবে? তুমি আর আমি তো এক বোতল মধু নিয়ে ছাঁদে বসে চন্দ্রিমা দেখবো।
দোলন কিছু বললো না। তন্ময় দোলন কে জ্বালাতে দোলনের কামিজ ভেদ করে তার হাত দোলনের উন্মুক্ত পেট ছুঁয়ে দিলো৷ দোলন কেঁপে উঠলেও এবার প্রকাশ করলো না। চোখ বন্ধ রেখেই বলল-

-“ নিজেও ঘুমান আমাকেও ঘুমাতে দিন।
তন্ময় দোলনে কে টেনে নিজের কাছে আনলো। কানের ললিতে চুমু খেয়ে বলল-
-“ এবার ঠিক আছে,ঘুম আসবে।

সায়ান কে আজ খুব ভোরে রেডি হতে দেখে রাকিব হোসাইন বলে-
-“ এতো সকাল সকাল কোন মেয়ের সাথে দেখা করতে যাচ্ছিস? ঠিকানা দিয়ে যা যাওয়ার আগে।
সায়ান তপ্ত শ্বাস ফেললো। তার মামু গত কয়েকদিন ধরে মাথা টা খেয়ে ফেলছে মেয়ে মেয়ে করে।

-“ তোমার কি মামু বিয়ের শখ হচ্ছে তাহলে বলো মেয়ে দেখি। আমার পেছনে লেগো না।
-“ ধূর ব্যাটা,আমার কি আর বিয়ের বয়স আছে বল?
-“ কে বলেছে নেই? তুমি এখনও যথেষ্ট হ্যান্ডসাম মামু। বিশ বছরের মেয়ে দেখলেও ফিদা হয়ে যাবে।
-“ পাম দিস না ভাগ্নে। তা বল যাচ্ছিস কোথায়?
-“ ফয়সাল শেখ কে ধরেছি মামু। ব্যুরো তে আছে,সেখানেই যাচ্ছি।
রাকিব হোসাইন মনে মনে হাসলো।

-“ কিভাবে ধরলি?
-“ শরাফত উল্লাহ এর মাধ্যমে। ফয়সাল শেখের হোটেল থেকে। এখন শুধু ফয়সাল শেখের ছেলে ফাহাদ বাকি আছে।
-“ আচ্ছা দেখেশুনে যাস।
-“ হু। এখন আসি।
সায়ান বেরিয়ে গেলো। রাকিব পকেট থেকে ফোন বের করে তুষার কে ফোন করলো।
তুষার ঘুমে জুবুথুবু হয়ে আছে। ফোন বেজে উঠায় বিরক্তি নিয়ে ফোন রিসিভ করলো।

-“ কি রে ব্যাটা এমপি সাহেব আর কত ঘুমাবি। ফারহান আহমেদ ওরফে ফয়সাল শেখ তো তোর ছেলের হাতে বন্দী। ভালোই বুদ্ধিমান ছেলে তোর।
তুষারের ঘুম উবে গেলো।
-“ তৃষার খোঁজ পাওয়া গেছে?
-“ নাহ মনে হয়।
-“ আচ্ছা রাখি বিকেলে মিট কর।

ফারাহ্-র হাত পা কাঁপছে ভয়ে। সামনেই চেয়ারে হাত পা বাঁধা শরাফত উল্লাহ আর ফারহান আহমেদের৷ ফারহান আহমেদ রাগী চোখে বারবার তাকাচ্ছে মেয়ের দিকে। গাধা মেয়েটাকে গত কাল রাতে কত বলল হাত পায়ের বাঁধন খুলে দিতে। কিন্তু মেয়েটা দিলো না। ভাগ্যিস ফাহাদ তার হোটেলে বেশিক্ষণ থাকে নি। তাহলে ফাহাদ ও ধরা পড়ে যেত। তন্ময় আর সায়ান দাঁড়িয়ে আছে। তন্ময়ের ওষ্ঠে হাসি। আয়েশ করে সামনের চেয়ারে বসতে বসতে বলল-

-“ আপনার কৈ মাছের জান সেজন্য কয়েক বছর আগে মর’তে মর’তেও বেঁচে গেছেন। এবার আর বাঁচার চান্স নেই। তা কোনটা থেকে শুরু করবো বলুন? কিভাবে প্রানে বাঁচলেন সেটা থেকে নাকি আমার বোন কোথায় নাকি না’রী পা’চার করা নিয়ে কোনটা?
ফারহান হাসলো। বিশ্রী সেই হাসি।

-“ সব বলে দিলেই কি তুমি পারবে শেষটা মেলাতে তন্ময় শাহরিয়া? আমাকে ধরতে পেরেছো শুধু মাত্র এই বোকা শরাফতের জন্য। তা না হলে তোমার ও সাধ্যি হতো না আমার নাগাল পাওয়ার৷ তোমার বাবার ও হয় নি এতোদিনে। জাস্ট ঘোল খাইয়ে ছেড়েছি খাঁন পরিবার কে।
-“ বাঁচলেন কি করে সেদিন? লিমন নামের ছেলেটা তো জানিয়েছিল আপনি মা’রা গেছেন তাহলে?
-“ টাকা সব পারে। টাকার লোভ মানুষ কে স্বার্থপর, লোভি অমানুষ, অকৃতজ্ঞ হতে সাহায্য করে। আমি লিমন কে প্রায় এক কোটি টাকা দিয়েছি আমার প্রান বাঁচানোর জন্য।
তন্ময় হাসলো।

-“ এই শয়তানি প্রানের দাম এক কোটি টাকা! তা এতো টাকা কোথায় পেলেন?
-“ পেয়েছি কোথায় সেটা জরুরি নয়। তুমি সব টা শুনলে পারবে তো নিজেকে সামলাতে?
-“ কি এমন বলবেন যে আমি নিজেকে সামলাতে পারবো না?
-“ টুইস্ট বলবো টুইস্ট। শুনবে সেই টুইস্ট?
-“ হ্যাঁ বলুন।

-“ সেদিন যখন আমার অবস্থা খুবই বাজের দিকে চলে যাচ্ছিল সেদিন শুধু লিমনই ছিলো সেখানে। পানির তেষ্টায় আমার গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে যাচ্ছিলো। লিমন কে ডেকে পানি দিতে বললাম। লিমন ছিলে ভিতু বোকা স্বভাবের। ও পানি দিতেই লিমন কে বললাম-
-“ তোমাকে কত মাইনে দেয় তুষার?
লিমন অবাক হয়েছিল।

-“ ৭০ হাজার।
-“ আমি তোমাকে ১ কোটি টাকা দিব। আমাকে পালাতে সাহায্য করবে।
লিমন রাজি হলো না৷ আমি তাকে প্রায় এক ঘন্টা ধরে বুঝিয়ে রাজি করাই। তারপর শিখিয়ে দেই তুষার কে কি বলতে হবে। লিমন তাই তাই বলে। লিমন আমার হাত পায়ের বাঁধন খুলে একটা প্রাইভেট হসপিটালে ভর্তি করায়। সেখানে টানা এক সপ্তাহ থেকে সুস্থ হই। এরমধ্যে লিমন কে লিমনের টাকা দিয়ে দেই। তারপর আমি আমার লোকেদের সাহায্যে মালদ্বীপ চলে আসি। কারন বিডি থাকলে যেকোনো মুহূর্তে আমি ধরা পড়ে যেতাম।

-“ আপনার লোক গুলো কারা?
-“ হালিম সরকার, আকবর আর..
-“ আর কে?
-” আর কেউ না।
-“ আকবর, ইনি রাতুল আঙ্কেলের বাবা?
-“ হুম।
-“ উনার ছেলে আহরাম কোথায়?
-“ সেটা তো তোমার বাবা জানে। সে কোথায় পাঠিয়েছে আহরাম কে।
-“ আহরাম জড়িত নেই তো এসবে?
-“ ন.. না।

-“ সেটা আমিই খুঁজে বের করবো । তা রাতুল আঙ্কেল কে কেনো মা’রলেন আপনি?
-“ রাতুল কে মা’রার কোনো ইচ্ছেই আমার ছিলো না। প্ল্যান ছিলো তুষার কে মা’রার। কিন্তু কেউ একজন প্ল্যান বদলিয়ে নিজের মতো করে আগিয়েছে।
-“ কে?
-“ সেটা জানি না। আর জানলেও বলবো না। সেটা তোমরা খুঁজে বের করো গিয়ে৷ সিআইডি হয়েছো তাহলে কিসের জন্য সব যদি বলেই দেই।

-“ আপনার তো বাঁচার দিন শেষ।
-“ তাতে কি? সেজন্য কি আমি সব গড়গড় করে বলে দিব? আর বলে দিলেই কি মুক্তি দিবে? দিবে না তো তাহলে আমি কেনো সব বলে তোমাদের কাজ এগিয়ে দিব? মাথা খাটিয়ে বের করো।
-“ দোলন কে কেনো টার্গেট করলেন?
-“ দোলন কে আমরা টার্গেট করি নি। দোলনের বাবা নিজেই তার মেয়ে কে পা’চার করতে চেয়েছিল। মিলনের সাথে বিয়ে জাস্ট একটা নাটক ছিলো মাত্র।
তন্ময় ফারহানের কথায় চমকে উঠলো। মিনাল হোসেন একজন বাবা হয়ে মেয়েকে পা’চার করার মতো জঘন্য কাজ করতে চেয়েছিল!

আমার শহরে তোমার আমন্ত্রণ সিজন ২ পরিচ্ছেদ ২ পর্ব ১৭

-“ মিনাল হোসেন এসব কাজে জড়িত আপনার সাথে?
-“ হ্যাঁ।
তন্ময় রিয়াক্ট করা ভুলে গেলো। মিনাল হোসেন কে দেখে বোঝার উপায় নেই তার ভালোমানুষি মুখের পেছনে সে এমন জঘন্য অপরাধী!

আমার শহরে তোমার আমন্ত্রণ সিজন ২ পরিচ্ছেদ ২ পর্ব ১৯