আমি মায়াবতী পর্ব ৩০

আমি মায়াবতী পর্ব ৩০
তাহমিনা মিনা

দুবার কলিংবেল বাজানোর পর দরজা খুললে সোহাগ দেখে সামনে রিজা দাঁড়িয়ে। তাকে দেখেই রিজা আহ্লাদে গদগদ হয়ে জিজ্ঞেস করে,”আমরা আসছি ১৫ দিন হয়ে গেছে সোহাগ ভাই। আর তুমি আজ আসলা? এতো দেরি করলে কেন? জানো, আমি তো তোমার অপেক্ষায় ছিলাম। ”

সোহাগ নিজেকে সংযত রাখার চেষ্টা করে বলে,”কতোটা অপেক্ষা করে ছিলি বুঝতেই তো পারছি। ১৫ দিন পরে আসছি, তাতেই তুই দরজার সামনে থেকে সরে দাঁড়াচ্ছিস না। আরও আগে আসলে তো দরজা খুলতিই না।”
রিজা নিজের ডানহাত দিয়ে কপাল চাপড়ে বলে,”অহ, হ্যাঁ। তাই তো। এসো এসো, ভেতরে এসো।”
সোহাগ ইতস্তত করে এদিক সেদিক তাকায়। রিজা বলে,”ঐ রুমটা মায়া আপুর। তুমি যাও।”

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

সোহাগ বিরক্ত হয়। মেয়েটা ভদ্রতা বোঝেনা এখনও। কারও বাড়িতে এসে যে এইভাবে ঢুকা যায় না কারো রুমে, সেটা সে বুঝে না। বুঝবেই বা কিভাবে? সারাজীবন গ্রামে থেকে হুট করে শহরে আসলে তো এটাই হবে। বিরক্ত হয়ে বলে,” চাচী কই? ওনাকে ডেকে দে।”

রিজা মায়ার মায়ের রুমে গিয়ে বলে,” মামী, সোহাগ ভাইয়া এসেছে মায়া আপুকে পড়াতে। মায়া আপু তো গোসল করছে। সোহাগ ভাইকে কি মায়া আপুর রুমে বসতে বলবো?”
রিজা হয়তো আরো কিছু বলতো। কিন্তু সেই সুযোগ তাকে দেয়নি সাগরিকা। মাথায় কাপড় দিয়ে বসার রুমে গিয়ে দেখে সোহাগ এখনো ঠায় দাঁড়িয়ে আছে। তাকে দেখে সোহাগ সালাম দিলে সালামের উত্তর নিয়েই সে সোহাগকে বলে,”দাঁড়িয়ে আছো কেন সোহাগ? বসো। মায়া আসলে কিছুক্ষণ আগেই কলেজ থেকে ফিরেছে। ফ্রেশ হচ্ছে। তুমি বসো। ও এসে পড়বে।”

সোহাগ বসলে সাগরিকা কিচেনের দিকে যায়। রিজা সোহাগের কাছে এসে মুচকি এসে নিজেদের জন্য বরাদ্দকৃত রুমে যায়। মায়াদের বাড়ির গেস্টরুমটাই এখন তার আর তার মায়ের রুম। ড্রেসিংটেবিলের সামনে এসে নিজের দিকে তাকায় সে। কি ভেবে নিজেকে দেখেই মুচকি হাসে বারবার। চট করে ওয়াশরুমে ঢুকে ফ্রেশ হয়ে এসে মুখে ক্রিম লাগিয়ে কড়া লাল রঙয়ের লিপস্টিক ঠোঁটে লাগিয়ে নেয় সে।

টিপের পাতা থেকে ছোট্ট একটা লাল টিপও কপালে পড়ে সে। সামনের চুলগুলো বের করে গালের উপর রাখে। নিজেকে দেখে নিজেই লজ্জায় লুতুপুতু হয় সে। শেষ একবার নিজেকে আয়নায় দেখে রুম থেকে বের হতেই আবার কি মনে হতেই ছুটে রুমে এসে দুহাত ভর্তি করে লাল কাচের চুড়ি পড়ে নেয় সে। আরও একবার আয়নায় নিজেকে দেখে নিয়ে সে ড্রয়িংরুমের দিকে পা বাড়ায়। সোহাগের সামনে গিয়ে বলে,”সোহাগ ভাই, তুমি কি কিছু খাবে? আমি কি কিছু বানিয়ে আনবো?”

সোহাগ একবার ওর দিকে তাকিয়ে থ হয়ে যায়। এ কোন রিজা কে দেখছে সে? গাঁয়ের সেই আলাভোলা মেয়েটা এই কি সাজ দিয়েছে? আর এই কয়েকদিনেই যেন শরীরের রঙ বদলেছে। গায়ে নতুন জামা, নতুন সাজ একি অবস্থা? কিন্তু রিজার কথায় বেশ লজ্জা পায় সে। ভাগ্যিস কেউ নেই এইখানে। নয়তো শুনলে কি একটা বিচ্ছিরি অবস্থা হয়ে যেতো?

“কি হলো? এইভাবে তাকিয়ে আছো কেন?”
“হুমম। নাহ,এমনি। মায়াকে ডেকে দে তো। আমি ওকে পড়াতে এসেছি। তুই যা।”
রিজা লজ্জা পেয়ে সেখান থেকে চলে গিয়ে ভাবে, “ইশশ! কিভাবে তাকিয়ে ছিল আমার দিকে। ভাবতেই তো লজ্জা লাগছে।”

কিন্তু রিজা সেখান থেকে চলে যেতেই সোহাগ বিরবির করে বলে,”গ্রামের চাচাতো বোন হুট করে শহরে আসলে এইরকম উদ্ভট সাজ দিবেই। হাস্যকর। ”

“তোর বান্ধবী তো দেখছি খুব মুডি। মাঝেমধ্যে এমন ভাব করে যেন আমাকে খুব শ্রদ্ধা করে। আর মাঝেমধ্যে তো মনে হয় চিনেই না।” মুখ গোমড়া করে বলে কাব্য।
“হঠাৎ আমার বান্ধবীকে নিয়ে হঠাৎ এতো আগ্রহ কেন তোর?” আচার মুখে নিয়ে বলে কবিতা।
“আমি তো শিক্ষক। আমার তো একটা সম্মান আছে তো নাকি?”
“তো কি করেছে আমার বান্ধবী? ”

“ক্যাম্পাস থেকে বের হয়ে দেখি রিকশার জন্য অপেক্ষা করছে। আমাকে দেখেই ছুটে সামনে রিকশায় উঠলো। কেন? একটা সালাম দিয়ে গেলে কি হতো?”
“আজব! ঐ সময় কত ভীড় থাকে জানিসই তো। হয়তো সামনে রিকশা পেয়েছিল। তাই সেটাতে উঠে গিয়েছিল। আর তোকে আগ বাড়িয়ে সালাম দিতেই হবে কেন? ক্লাসের কত মেয়েই তো অভিযোগ করে তুই নাকি তাদের সালামের জবাব নিস না। তাহলে আমার বান্ধবীর সালামের এতো দাম কেন?”

“আরেহ, ঐসব গায়ে পড়া মেয়ে আমার ভালো লাগে না। আসতে যাইতে সবসময়ই সালাম দিয়ে হাসা লাগবে কেন? আর মেসেঞ্জারে তো স্যার এটার সমস্যা, ওটার সমস্যা নিয়ে পড়েই থাকে। আমি পড়া বোঝাতে গেলে হয় বলে কোনো রেস্টুরেন্টে দেখা করে সলভ করিয়ে দিতে না হলে এক্সট্রা প্রাইভেট পড়াতে। তুইই বল, আমার পক্ষে কি সেটা সম্ভব? ”
“বুঝতে পেরেছি জনাব। আপনার কি চাই।”
“এইই, আমি আবার কি চাই? কি বুঝেছিস তুই?”

“আপনি যা বোঝালেন আরকি। আর শোন, ওর বাসায় আজ থেকে নতুন একটা টিউটর আসবে। এই সময়েই পড়ানোর কথা। সেজন্য হয়তো ঐভাবে ছুটে গিয়েছে।”
“হাউস টিউটর? ছেলে না মেয়ে?”
কবিতা চোখ সরু করে জবাব দেয়,”কেন? তা দিয়ে তোর কি?”
কাব্য থতমত খেয়ে বলে,”আমার? আমার আবার কি? আমি তো এমনিতেই জিজ্ঞেস করেছিলাম। ”

“ছেলে টিউটর।”
“ওর বাসায় পড়াবে?”
কবিতা বিরক্ত হয়ে বলে,”নাহ,হাউস টিউটর রাস্তায় পড়াবে। ইডিয়ট। তুই না টিচার। আমার তো মানতে কষ্ট হয়।”
“মানতে হবে না তোকে। তা হঠাৎ টিউটর লাগলো যে?”
“আরেহ, ওর বাবার বন্ধুর ছেলে। গ্রামে গিয়ে পরিচয় হয়েছে। তাই ওর বাবা পড়াতে বলেছে। ”

“ওহ। আচ্ছা।”
“কেন? তোর জ্বলছে নাকি?”
“মায়া কি আমার বউ না গার্লফ্রেন্ড যে আমার জ্বলবে?”
“হ্যাঁ, সেটাই। না জ্বললেই ভালো। কিন্তু আমি যে বেগুন পুড়ে যাওয়ার তীব্র গন্ধ পাচ্ছি।”
“আজাইরা কথা বলবি না বলে দিচ্ছি।”

“তুইও আর প্যাচপ্যাচ করিস না আমার সাথে। বিকেলে ওর সাথে দেখা করবো। ওর বাসায় যাবো। কক্সবাজার থেকে কত কি এনেছি ওর জন্য সেগুলো দিতে। ওর ফুপাতো বোন নাকি এসেছে তাকেও দেখতে যাবো। এই ভাইয়া, আমাকে কি একটু ড্রপ করে দিয়ে আসবি? প্লিজ?”

কাব্য প্রতিউত্তরে শুধু বলে,”হুমম। ” কিন্তু বুকের ভিতর একটা খচখচানি থেকেই যায়। কিছুতেই সেটাকে থামাতে পারছে না সে। তার ইচ্ছে করছে মায়াকে সবকিছু বলে দিতে। তার কেন মনে হচ্ছে মায়াকে হারিয়ে ফেলবে সে? উফফ! মন, তুমি এতো উতলা হচ্ছো কেন?

টপটপ করে পানি পড়ছে মায়ার চুলগুলো থেকে৷গোলাপি ওষ্ঠদ্বয় যেন আকর্ষণ করছে সোহাগকে। আর চোখদুটো যেন একটা গভীর সমুদ্র। গোসল করে মেয়েটাকে কি স্নিগ্ধ লাগছে। বারবার নিজেকে সংযত করতে চাইছে সে। কিন্তু বেহায়া চোখগুলোর নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতিই যেন আকর্ষণ বেশি। মায়াকে সে জিজ্ঞেস করে,” ইয়ার চেঞ্জ পরীক্ষা কেমন হয়েছে তোমার? রেজাল্ট কেমন এসেছিল?”

“সবগুলোই ভালো হয়েছিল ভাইয়া শুধু ফিজিক্স বাদে। এইজন্যই এখন এইটার উপর জোর দিচ্ছি। ”
“ওহ, ব্যাপার না। এখনও অনেক সময় আছে। সময় নিয়ে পড়াবো। তাহলে বেশ ভালো রেজাল্ট হবে ইনশাআল্লাহ। ”
“ইনশাআল্লাহ।”

সোহাগ লক্ষ্য করে ড্রয়িংরুমে উল্টোপাশের রুমের দরজার সামনে লাগানো পর্দার নিচে রিজার পা দেখা যাচ্ছে। সে মাঝেমধ্যেই বাইরে উঁকি দিয়ে তার দিকে তাকিয়ে নিজেই হাসছে আবার নিজেই লজ্জা পেয়ে চলে যাচ্ছে।সোহাগের ভীষণ অস্বস্তি লাগছিলো। সে জানে রিজা তার কাছে কি চায়। কিন্তু সেটা ইহজন্মে সম্ভব না।

প্রথমত সে মায়াকে ভালোবাসে। আর দ্বিতীয়ত তাদের মধ্যে কোনো কিছুরই মিল নেই। দুই পরিবারের মধ্যে কোনো মিলই নেই। কোনো ভাবেই এই বিষয়টা সম্ভব না। শুধুমাত্র মায়ার জন্য সে কিছুই বলতে পারছে না। একটা ধমক পর্যন্ত দিতে পারছে না। চাইলেও বাসাটা থেকে চলে যেতে পারছেনা। তাহলে যে মায়ার সাথে কোনো যোগাযোগই থাকবে না তার। কিন্তু এই নির্বোধ মেয়েটাকেও সহ্য হচ্ছে না তার।কি করবে সে এইবার? কিছুই মাথায় আসছে না তার।

সোহাগ যেহেতু আজ প্রথম এসেছে,তাই সাগরিকা তাকে দুপুরের খাবার না খাইয়ে ছাড়ে না। খাবার খাওয়ার পর কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে যখন বের হতে যাচ্ছিলো, তখন সে দেখলো রিজা গুটিগুটি পায়ে এগিয়ে এসেছে তার দিকে। সে আশা করেছিল মায়া আসবে। কিন্তু মায়ার একটা কল আসায় সে তার রুমের ভিতরে চলে গিয়েছিল। সোহাগ মন খারাপ করে যখন লিফটে উঠে লিফটের দরজা লাগিয়েই দিচ্ছিলো, তখন মায়া ছুটে এসে লিফটে ঢুকে পড়ে। সোহাগ প্রশ্নসূচক দৃষ্টিতে তাকালে মায়া বলে,”আমার বান্ধবী আসছে নিচে। ওকে নিতে নিচে যাচ্ছি ভাইয়া।”

সোহাগ মুচকি হেসে লিফটের দরজা বন্ধ করে লিফট চালু করে দেয়। দুজনের মাঝেই কেউ তেমন কথা বলে না। শুধু একবার সোহাগ বলে,”ভালোভাবে পড়াগুলো শেষ করো মায়া। প্রতিদিনের পড়া প্রতিদিন শেষ করলে জমে থাকবে না কিছুই।”
মায়া শুধু প্রতিউত্তরে মুচকি হাসে।

এদিকে কবিতা কাব্যকে জোর করছে যাতে সে তাকে লিফটে করে মায়াদের বাসার সামনে পর্যন্ত দিয়ে আসে। মুখে কাব্য না না বললেও মনে মনে চাইছে মায়াকে দেখে আসতে। তাই একটু জোরাজোরি করতেই সে রাজি হয়ে যায়। লিফটের সামনে এসে দাঁড়াতেই দেখতে পায় লিফটটা নিচের দিকে নামছে। কাব্য কবিতাকে বলে,” তুই তো মোটা হচ্ছিস। সিড়ি দিয়ে উঠলেই তো পারিস।”

“১৩ তলায় তুই উঠতে পারবি?”
কাব্য আর কিছু না বলে সামনের দিকে তাকায়। হঠাৎ গ্রাউন্ড ফ্লোরে এসে থেমে যায় লিফটটা। কয়েক সেকেন্ড পরেই দরজা খুললে দেখে মায়া আর তার পাশে একটা ছেলে দাঁড়িয়ে আছে। ছেলেটিকে দেখেই ভ্রু কুঁচকে ফেলে কাব্য। কবিতা মায়াকে বাইরে বের করে এনে বলে,”কতদিন পর দেখা হলো বান্ধবী। আমাকে তো ভুলেই গেছোস।”

মায়া কিছু বলতেই যাবে কিন্তু তার আগেই সোহাগ বের হয়ে এসে কাব্যকে দেখে বলে,”আসসালামুআলাইকুম বড়ভাই। আপনি এখানে?”
মায়া আর কবিতা অবাক হয়ে যায়। মায়া ভাবে কাব্যকে সোহাগ ভাই কিভাবে চিনে। আর কাব্য হিসাব মিলাতে থাকে এই ছেলে মায়ার সাথে কেন?আর তাকেই বা চিনে কিভাবে?

আমি মায়াবতী পর্ব ২৯

কিছুকথা:আমি #আমি_মায়াবতী গল্পের লেখিকা বলছি। আমি কোনো প্রফেশনাল রাইটার নই। শখের বশে অবসরে টুকটাক লিখি। এই গল্পটা যদিও ব্যতিক্রম। এক সম্মানিত লেখিকা আপুর কথায় জেদ করেই গল্পটা শুরু করেছিলাম। নিজেও ভাবিনি যে গল্পটা ৩০ পর্ব পর্যন্ত লিখতে পারবো। আমি জানি গল্পটা নিয়ে অনেকেরই অনেক অভিযোগ আছে। তারমধ্যে একটা হচ্ছে, সাগরিকা এতো ভালো কেন? মূলত গল্পটা সাগরিকারই। সে বেচারি সবকিছু বিসর্জন দিয়ে মায়াকে আপন করে নিয়েছে। কিন্তু আমার মনে হয়েছিল গগতানুগতিক লেখার বাইরে আলাদাভাবে লিখি। সাগরিকার দিক থেকে গল্পটা শুরু হলে হয়তো শুরুটা মায়ার তার সংসারে আগমন দিয়ে হতো। কিংবা সাবিহার দিক থেকে শুরু হলে হয়তো তার বাবার কুকীর্তি দিয়ে শুরু হতো। আমার মনে হয়েছিল গল্পটা ভিলেনের দিক থেকেই শুরু করি। মায়ার মায়ের কাহিনি দিয়ে। আমি ভেবেছিলাম বড়জোর ৫ পর্বের একটা ছোটগল্প লিখবো। এতোটাও আশা করিনি যে ৩০ পর্ব পর্যন্ত আসতে পারবো। আমি জানিনা আমি মায়াকে আপনাদের কাছে কতোটা তুলে ধরতে পেরেছি। তবে, আমি এইখানে সবার পরিস্থিতি তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। কারণ, প্রত্যেকটা মানুষেরই জীবনের গল্প আছে। আমরা সবাই পরিস্থিতির শিকারমাত্র। আমি আপনাদের কাছেই জানতে চাইছি, আমি কি কাব্য আর মায়াকে এইখানেই মিলিয়ে দিব নাকি কাহিনি টেনে নিয়ে যাবো? মতামত আপনাদের।
তবে হ্যাঁ, সেই সম্মানিত আপুকে ধন্যবাদ। আমি তার ফ্যান। তার ছোট্ট একটা ভুল ধরিয়ে দিয়েছিলাম বলে সে আমাকে শুনিয়েছিল নিজে কিছু পারলে করে দেখাও। নিজের চরকায় তেল দাও। আমি সত্যিই তার প্রতি কৃতজ্ঞ।

আমি মায়াবতী পর্ব ৩১