কহিনুর তৃতীয় খণ্ড পর্ব ১৬

কহিনুর তৃতীয় খণ্ড পর্ব ১৬
লাবণ্য ইয়াসমিন

শনশন বাতাসে রাস্তার দুপাশের গাছগুলো নিচের দিকে হেলে পড়ছে। জঙ্গলের রাস্তার মাঝখানে গাড়ি রেখে জামসেদ ফারুকী ঘুমিয়ে আছে বিষয়টা কহিনুরের ঠিক হজম হচ্ছে না। লোকটা অসুস্থ নয়তো উনার সঙ্গে খারাপ কিছু হয়েছে। বাতাসে কোনো এক অগন্তুকের গায়ের ঝাঝালো সুবাস ভেসে আসছে। কহিনুর চোখ বন্ধ করে কিছু বোঝার চেষ্টা করলো তারপর দ্রুত সাঈদকে বলে উঠলো,

সাঈদ দরজা খোলার ব্যবস্থা করো। উনাকে কেউ বশ করতে চাইছে।ওর উদ্দেশ্য ভালো না। দ্রুত এখান থেকে যেতে হবে। দ্রুত করো প্লিজ।
সাঈদ মূহুর্ত্তের মধ্যে ভেতরে গিয়ে দরজা খুলে দিলো। কহিনুর ভেতরে গিয়ে জামসেদ ফারুকীর মুখটা নিজের হাতের তালুতে নিয়ে মৃদু শব্দে ডাকলো,
চাচ্চু তুমি ঠিক আছো? তুমি এখানে কেনো এসেছো? কথা বলো প্লিজ।
কহিনুরের ডাকে লোকটা সাড়া দিলোনা যেমন ছিল তেমনি আছে। সাঈদ পাশ থেকে পানির বোতলটা এগিয়ে দিয়ে বলল,
পানি ছিটিয়ে দাও হয়তো জ্ঞান হারিয়েছে। কে এমন করতে পারে নূর? তোমার কাউকে কি সন্দেহ হচ্ছে?
কহিনুর পানি বোতল থেকে পানি ছিটাতে ছিটাতে উত্তর দিলো,

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

জানিনা কিছু। আমি শুধু অনুমাত্র করে বলেছি বাতাসে ওর গন্ধ আছে। তবে যে এমন করতে চাইছে সে নিশ্চয়ই বন্ধু কেউ হবেনা। কোনো খারাপ মতলব আছে। বুঝতে পারছিনা তুমি খোঁজ করো।
কহিনুরের কথা শেষ হলোনা জামসেদ চোখের পাতা নাড়াচাড়া করছে। সাঈদ মাথাটা ওর দিকে ঝুকে আছে। কহিনুর আবারও ডাকলো,

চাচ্চু তুমি ঠিক আছো? চাচ্চু শুনতে পাচ্ছো আমার কথা?
জামসেদ ধীরগতিতে চোখ খুঁলে চাইলো। মাথাটা কেমন ভার হয়ে আছে। চোখে ঝাপসা দেখছে। কয়েক সেকেন্ড পরে সবটা ঠিক হতেই সামনে তাকিয়ে ও চমকে উঠলো। দুজন পরিচিত মুখ ওর দিকে ঝুকে আছে কিন্তু কিভাবে এটা সম্ভব? জামসেদ দ্রুতগতিতে উঠে সোজা হয়ে বসবো। আনমনে নিজের ডান হাতটা কহিনুরের মুখটা স্পর্শ করে কাঁপা কাঁপা ওষ্ঠ নাড়িয়ে ফিসফিস করে বলল,

কহিনুর?
কহিনুর ঠোঁট কামড়ে হাসলো। চোখ থেকে দুফোটা পানি গড়িয়ে পড়লো তবে হাসি হাসি ভাবটা বজায় রাখলো। ওর একচোখে আনন্দ অন্য চোখে দুঃখ। জামসেদ ওকে দুহাতে আগলে নিয়ে কেঁদে উঠলো,

এতোদিন কোথায় ছিলে তুমি? তোমাকে ছাড়া আমারা কেমন ছিলাম জানো তুমি? ভীষণ দুঃখ দিয়েছো তুমি আমাদের। কেনো এমন করলে তুমি? জানতে না তোমাকে কতটা ভালোবাসি? ইচ্ছা করে কষ্ট দিলে আমি জানিতো।
কহিনুর চোখ বন্ধ করে অভিযোগগুলো শুনছে। মানুষটা ওকে কতটা স্নেহ করতো। ভেবেছিল কখনও আর চিরচেনা মানুষগুলোকে দেখতে পাবেনা তবুও দেখা হলো। কহিনুরের রহস্য কেউ যদি একবার জানতে পারতো তবে কেউ কখনও কহিনুরকে চাইতো না। কহিনুর কখনও ধ্বংস হয়নি আর হবেও না যতদিন সৃষ্টিকর্তা না চাইবে। এই রহস্য শুধুমাত্র কহিনুর জানে। এই রহস্যের সন্ধান করতে গেলে শতশত রহস্য সামনে আসবে। কথাগুলো ভেবে ও মৃদু হাসলো। ওর ধ্যান ভাঙলো জামসেদের আওয়াজ শুনে,

কথা বলতে বলেছি নূর চুপ আছো কেন?
চাচ্চু পরিস্থিতি ঠিক ছিলনা। রহস্য আমাকে ঘিরে রেখেছিল এখনো কিছু কিছু বিষয় আমি মনে করতে পারছিনা। তাছাড়া আমি এতদিন জাগ্রত ছিলাম না। তোমাকে বিস্তারিত পরে বলব এখন বলো তুমি এই নির্জন রাস্তায় কি করছো?
জামসেদ ওর কথায় থমকে গেল। আশেপাশে তাকিয়ে ভ্রু কুচকে বলল,

আমি এই রাস্তায় কখন এসেছি মনে পড়ছেনা নূর। আমি অফিস থেকে বাসাই ফিরলাম তারপর রাস্তায় একজন মহিলা সাহায্য চেয়েছিল। আমি ওকে সাহায্য করতে গাড়িতে তুলে নেয়েছিলাম তারপর কিছু মনে নেই। ও কে ছিল তুমি বলতে পারবে?
কহিনুর জামসেদের হাতটা নিজের হাতের মুঠোয় নিয়ে চোখের পাপড়ি নাড়িয়ে বলল,

চিন্তা করোনা আমি জেনে নিব। এখন বাড়িতে গিয়ে বিশ্রাম করতে হবে। ডাক্তার দেখিয়ে নিবে তোমার শরীর ঠিক নেই। শরীর দুর্বল দেখেই ও সহজে তোমাকে বশ করতে পেরেছে। যাইহোক বাড়িতে ফিরবেনা?
নিশ্চয়ই তবে একা নও তোমাকে নিয়ে। অধরা জুবায়ের চমকে যাবে তোমাকে দেখলে। আমার একটুও সময় নষ্ট করতে মন চাইছে না। প্লিজ নূর ম্যাজিক জানলে করে ফেলো এখুনি ওই মূহুর্তটা আমি দেখতে চাই।
জামসেদ বাচ্চাদের মতো আবদার করে বসলো। কহিনুর হেসে উঠে কিছু একটা ভেবে চোখ বন্ধ করে বলল,

আজ না গেলে হয়না চাচ্চু? ওই বাড়িতে আমি অজান্তেই দুদিন থেকে এসেছি। কিছু রহস্যের সমাধান করতে মন উতলা হয়েছে। আমাকে নিয়ে নতুন খেলা শুরু হয়েছে যেটার সমাধান করা অতি জরুরি। দুজন নিরপরাধ মানুষ কষ্টে আছেন। তাদের উদ্ধার করতে হবে।
জামসেদ প্রতিবাদ করে বলে উঠল,

সব হবে কিন্তু সেটা সুলতান ভিলাতে থেকে।আমি নিজে তোমাকে সাহায্য করব তবুও চলো প্লিজ নূর। মা আমার।
আচ্ছা যাচ্ছি। তোমাকে ফিরিয়ে দিতে মন সাড়া দিচ্ছে না।
জামসেদ খুশিতে লাফিয়ে উঠলো। কহিনুর উনাকে পাশে বসিয়ে ড্রাইভ করছে। সাঈদ পেছনে বসে এটা ওটা বলছে। কথা বলতে বলতে ওরা শহরে প্রবেশ করলো। সুলতান ভিলা ঠিক আগের মতোই আছে। কোনো পরিবর্তন হয়নি। বাড়ির সামনে গিয়ে কহিনুর গাড়ির গতি কমিয়ে বলল,

আমি সবাইকে কি বলবো ঠিক বুঝতে পারছিনা চাচ্চু। কেমন জানি লাগছে। তুমি আগে যাও প্লিজ।
এই বাড়িটা তোমার এই বাড়ির মানুষ গুলোও তোমার নিজের। কহিনুরের জন্ম রহস্যের সঙ্গে সুলতান পরিবার জড়িয়ে আছে। কেউ ইচ্ছা করলেও কখনও আর কহিনুরকে এই পরিবার থেকে দূরে রাখতে পারেনা এটা তুমি খুব ভালো করে জানো। কহিনুর রহস্য আজ অবধি সঠিকভাবে কেউ জানতে পেরেছে বলে আমার মনে হয়না তাই সবাই কহিনুরকে নিয়ে লোভ করে। কহিনুর আসলে কি এটাইতো কেউ জানেনা। চলো ভেতরে যাবে।

কহিনুর উত্তর দিলোনা। গাড়ি সুলতান ভিলার গেট দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করলো। গাড়ি থামতেই জামসেদ বেরিয়ে আসলো। দোতলায় দৃষ্টি দাঁড়িয়ে ছিল হঠাৎ বাবার গাড়ি দেখে ও ছুটে আসছে। কহিনুর সেদিকে তাকিয়ে হাসলো। জামসেদ ওর হাতটা নিজের হাতের মুঠোয় নিয়ে সামনে এগিয়ে আসলো। কলিংবেল বাজানোর দরকার হলোনা দৃষ্টি দরজা খুলে দিয়ে ঝাপিয়ে পড়লো বাবার বুকে। জামসেদ ওকে এক হাতে জড়িয়ে নিয়ে খানিকটা পরে ছেড়ে দিয়ে বলল,

বাড়ির সবাইকে ডেকে আনো চমৎকার একটা গিফট আছে সকলের জন্য।
দৃষ্টি বাবার থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে পাশ ফিরে ভ্রু কুচকে ফেলল। বাবার সঙ্গে দাঁড়িয়ে থাকা অতুলনীয় সুন্দরী মেয়েটাকে দেখে চেনার চেষ্টা করলো। প্রশ্ন জাগলো এতো সুন্দর কোনো মেয়ে হয়? ওর ধ্যান ভাঙলো পেছন থেকে আলফার কণ্ঠ শুনে। ওর পেছনে এসে দাঁড়িয়েছে ছেলেটা। জামসেদ মজা নিচ্ছে চুপচাপ। দু’ভাইবোন মনোযোগ দিয়ে কহিনুরকে দেখছে। আলফা কহিনুরকে মুখ বাঁধা অবস্থায় দেখেছিলো তাই চেনা চেনা লাগলেও চিনতে পারছেনা। হঠাৎ পেছন থেকে মৃদু কণ্ঠে আওয়াজ আসলো,

নূর তুমি?
সকলে পেছনে ফিরে চাইলো। অধরা দাঁড়িয়ে আছে। ওর চোখ ছলছল করছে। কয়েক সেকেন্ড অতিবাহিত হলো এভাবেই তারপর ওক প্রকার দৌড়ে গিয়ে মেয়েকে নিজের সঙ্গে জড়িয়ে নিয়ে কেঁদে উঠলো,
কোথায় ছিলে তুমি? মাকে ছেড়ে চলে গিয়েছিলে একবার আমাদের কথা ভাবলেনা।
কহিনুর দুহাতে অধরাকে আগলে নিয়ে বলল,

আবারও ফিরে এসেছি। বারবার ফিরে আসবো যদিনা কহিনুরের চিরতরে ধ্বং/স হচ্ছে। শরীরের মৃত্যু হলেও কহিনুরের হবে না। কত যন্ত্রণা একবার ভাবো?
ফিরেছো এটাইতো আমার কাছে অনেক। কতটা বছর পথ চেয়ে আছি।
চিন্তা করোনা এবার আর হারিয়ে যাচ্ছিনা।
অধরা কহিনুরের কপালে চুমু দিয়ে আলফার সামনে নিয়ে আসলো।তারপর ওষ্ঠ নাড়িয়ে অমায়িক হেসে বলল,

তোমার ভাই। তুমি চলে যাওয়ার পরে ওর জন্যই আমার বেঁচে থাকা।
কহিনুর আলফাকে জড়িয়ে ধরে ফিসফিস করে বলল,
আমার ভাই।
আলফার চোখে মুখে বিস্ময় খেলা করছে। বোনের বিষয়ে ওর অনেক কিছু জানেনা ঠিক আছে কিন্তু এটা কিভাবে সম্ভব একজন মৃ/ত মানুষ ফিরে এসেছে? তাছাড়া কহিনুরের যখন মৃ/ত্যু হয়েছিল তখন আলফার জন্ম হয়নি। যদি ওর মৃ/ত্যু না হয় তবুও একটা কথা থেকেই যাচ্ছে। বয়স বাড়েনি কেনো? সবটা কেমন গুলিয়ে যাচ্ছে। কহিনুর আলফার দিকে চেয়ে পূণরায় বলল,

তোমার সব প্রশ্নের উত্তর আমার কাছে আছে। তোমার মনে নানারকম প্রশ্ন উঁকিঝুঁকি কাটছে আমি জানি। একটু সময় দাও সব উত্তর পাবে তুমি । বোনকে মেনে নিতে কি তোমার অসুবিধা আছে?
কহিনুরের কথা শুনে আলফা মাথা নাড়িয়ে পূণরায় ওকে জড়িয়ে ধরে দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল,

কখনও না। তুমি আমার নিজের বোন তাতে একটুও সন্দেহ নেই আমার। মনে কিছু প্রশ্ন জেগেছে কিন্তু বিশ্বাস করো তোমাকে মেনে নিতে আমার সামান্য পরিমাণ অসুবিধাও নেই। আমি কতটা খুশী জানো? এতো সুইট আর কিউট দেখতে আমার বোন আছে। ছবিতে তোমাকে দেখেছি আমি। সব সময় আফসোস হতো যদি সামনে থেকে দেখতে পেতাম। আমার আফসোসটা পূরণ হলো।
কহিনুর ভাইয়ের মাথায় হাত রেখে উত্তর দিলো,

তোমার সঙ্গে পরে কথা বলবো। সব প্রশ্নের উত্তর দিবো ঠিক আছে?
আলফা ওকে ছেড়ে দিয়ে মাথা নাড়ালো। সাঈদ পাশ থেকে সবাইকে দেখছে। মালকিনকে কতদিন পরে দেখতে পাচ্ছে সামনে থেকে। আনন্দের ওর চোখ থেকে পানি ঝরছে। মালকিনের তৈরী মিষ্টির স্বাদ এখনো মুখে লেগে আছে। এতোকাল ওয়াশিম খানের তৈরী মায়া কক্ষে আটকে থেকে খাওয়া সব লাটে উঠেছিলো।

মনে মনে ভয়ঙ্কর একটা গা/লি দিলো ওয়াশিম খানকে উদ্দেশ্য করে। বাড়িতে আনন্দ অনুষ্ঠানে জুবায়ের নেই। অফিসে কাজে বাইরে আছে। অধরা মেয়েকে ছেড়ে কিচেনে গিয়ে তোড়জোড় করছে সাঈদের মিষ্টি আর কহিনুরের পছন্দের খাবার তৈরী করতে। ডাইনিং রুমের সোফা জুড়ে ভাইবোনেরা আড্ডায় মেতেছে। কহিনুর মন দিয়ে দৃষ্টি আর আলফার কথাবার্তা শুনছে। সাঈদ আনমনা ওর মন বলছে এই খুশীটা বেশিক্ষণ থাকবেনা। কিছু হতে চলেছে। কিন্তু কি?

থমথমে মুখ নিয়ে বসে আছে জুবায়ের। গালিবের ফাইল নেড়েচেড়ে একটা ছবি ওর সামনে এসেছে। বহুকাল পূর্বে এই মেয়েটাকে ও টাকা দিয়ে রাজি করিয়েছিলো নিজের একটা কাজে। কিন্তু কাজটা সম্পূর্ণ হয়নি। মেয়েটা প্রসেস শুরুর মাঝামাঝিতে হঠাৎ গায়েব হয়ে গিয়েছিল। রেজাল্ট শোনা হয়নি। জুবায়ের অস্থির হয়ে উঠেছে। সবটা কেমন এলোমেলো লাগছে। ওর জীবনে এতো রহস্য কেনো কে জানে।

মেয়েটাকে পেলে সবটা জানা যেতো। তাছাড়া গালিব নিখোঁজ আছে। ওকে পেলেও কিছুটা জানতে পারতো। কথাগুলো ভাবতে ভাবতে ও ফাইল নিয়ে বেরিয়ে আসলো। তিন ঘন্টা ধরে এই ফাইল নিয়ে বসে আছে। গালিব সম্পর্কে জানতে গিয়ে বেশ কিছু তথ্য সামনে এসেছে। সবচেয়ে চমকপ্রদ ঘটনা গালিবের মেয়েটার জন্ম রহস্য। লোকটা নিজের স্ত্রী সুস্থ স্বাভাবিক থাকতেও কেনো এভাবে বাচ্চা নিয়েছিল ? স্ত্রীকে অধিক ভালোবাসার জন্য নাকি এর পেছনে কোনো কাহিনী ছিল?

এসবটা জানতে গিয়ে জুবায়ের সেই মেয়েটার ছবি পেয়েছে যাকে ও নিজেও ডেকেছিল। বেশ রাত হয়েছে। অধরা কয়েকবার ফোন করেছিল কিছু একটা সারপ্রাইজ আছে। জুবায়ের কথাগুলো ভেবে গাড়িতে গিয়ে বসলো। বাড়ির উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়লো অফিস থেকে। নির্জন রাস্তায় গাড়ি চলছে। ঠান্ডা আবহাওয়ার জন্য রাস্তা বেশ ফাকা। হয়তো তুষারপাত ঘটবে। কিছুটা দূরে আসার পরে হঠাৎ গাড়ির সামনে থেকে একটা মহিলা হাত নাড়িয়ে সাহায্য চাইলো।

জুবায়ের দ্রুত গাড়ি থামিয়ে জানালার কাচ উঠিয়ে মাথা বাইরে এনে দেখার চেষ্টা করলো। ওর থেকে কিছুটা দূরে একজন এলোমেলো চুলের মহিলা দাঁড়িয়ে আছে। মহিলার চেহারা দেখে বুঝলো উনি এখানকার। কিন্তু অদ্ভুত মেয়েটার ঠোঁটের একপাশে সামান্য কাঁটা। সেখান থেকে র/ক্ত গড়িয়ে পড়ছে। ফর্সা মুখে থা/প্পড়ের দাগ জ্বলজ্বল করছে। নাকের মাথা লাল হয়ে আছে কান্নাকাটি করেছে হয়তো।

কহিনুর তৃতীয় খণ্ড পর্ব ১৫

জুবায়ের অবাক হলো মেয়েটাকে দেখে। কি হয়েছে ওর সঙ্গে জানার জন্য আগ্রহ তৈরী হলো। ও দরজা খুঁলে দিয়ে মেয়েটাকে বসার জন্য অনুমতি দিলো। মেয়টা সময় নষ্ট করেনি সঙ্গে সঙ্গে হুড়মুড় করে ভেতরে এসে বসলো। জুবায়ের কিছুটা ভড়কে গেলো কিন্তু সামলে নিয়ে জিঞ্জাসা করলো,
কোথায় যাবেন?
সঙ্গে সঙ্গে রিনরিনে মেয়েলী কণ্ঠে উত্তর আসলো,
আপনি যেখানে যাবেন সেখানে।

কহিনুর তৃতীয় খণ্ড পর্ব ১৭

1 COMMENT

Comments are closed.