খাঁচার ভেতর অচিন পাখি পর্ব ২৮

খাঁচার ভেতর অচিন পাখি পর্ব ২৮
আভা ইসলাম রাত্রি

আয়ুষ্মান মহলে বছর কয়েক পর নতুন নাদান সদস্যের আগমনের খুশিতে রেখা বেগম যারপরনাই আনন্দিত। চিত্রার কদর আগের চেয়ে দ্বিগুণ রূপ নিয়েছে। সদ্য গর্ভবতী হওয়ায় চিত্রার সুযোগ সুবিধার দিকে তীক্ষ্ম নজর আয়ুষ্মান বাড়ির মহিলাদের। রেখা বেগম প্রতাবপুর গ্রামের বড় বাজার থেকে রোজ তাজা ফলমূল আনিয়ে রাখেন। বাড়িতেও রোজ সবজি, পুষ্টিকর খাবার রান্না হয়। চিত্রা আপাতত এসব দেখে বিস্ময়ে মূর্ছা যাবার পথে। এতকাল নিজের অবহেলা দেখে আসা চিত্রা এ সময়টায় খুশিতে ঝলমল করছে যেন।

আজকে সকাল থেকে চিত্রার শরীরটা ভালো যাচ্ছে না। বড্ড অঅশান্তি করছে বুকের মধ্যে। চিত্রা দুপুরে রান্নার কাছে সাহায্য করছে ছোট শাশুড়ি শেফালিকে। রেখা বেগম আজ পাকের ঘরে আসেন নি অসুস্থতার দরুন। তাই শেফালী এবং চিত্রা মিলেই সব সামলাচ্ছে। শেফালি চুলোয় মাছ ভাজা বসাবেন। মাছে মসলা মাখিয়ে হাত ধুয়ে এসে চিত্রাকে বললেন,
‘বড় বউ, মাছগুলো কড়াইতে দিয়ে দাও। আমি আসছি।’

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

চিত্রার নাকে মাছের তৈলাক্ত গন্ধ লাগছে। বমি ভেতর থেকে উতলে পরছে যেন। তবুও নাকে আঁচল চেপে চিত্রা উত্তর দেয়,
‘জ্বী।”
শেফালি চিত্রার নাকে কাপড় চাপতে দেখে কিছুটা উৎকণ্ঠায় বললেন,
‘তুমি কি পারবে করতে? গন্ধ লাগছে নাকে? না পারলে করার দরকার নেই। শেষে পাকের ঘর বমি করে ভাসাবে, সবার দুপুরের খাওয়া লাটে উঠবে।’

চিত্রা নাক থেকে কাপড় সরিয়ে মাছগুলো ভালো করে মাখিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে বলল,
‘পারব ছোট আম্মাজান, চিন্তা করবেন না।’
শেফালি আরো একবার চিত্রাকে আগাগোড়া দেখে নিয়ে চলে গেলেন নিজের ঘরে। দুজন মহিলা ভৃত্য চিত্রাকে তেল, মরিচ এগিয়ে দিচ্ছে। চিত্রা মাছ ভাজা শুরু করল। পাঁচটা ভাজা কোনরকম শেষ করতে না করতে গন্ধ মগজ অব্দি যেন চড়ে গেল। দ্রুত মাছের দায়িত্ব ভৃত্যদের হাতে ধরিয়ে বেসিনে মুখ এগিয়ে হুরহুর করে বমি করা শুরু করল। চিত্রার এহেন খারাপ অবস্থা দেখে ভৃত্য একজন দৌঁড়ে এগিয়ে এসে মাথা চেপে ধরে চিত্রার। চিত্রার মাথায় পানি ঢেলে শান্ত করতে লাগে তাকে। বমি করে শান্ত হয়ে চিত্রা খাটে কিছুক্ষণের জন্যে বসে। শেফালি তখন ঘরের কাজ শেষ করে পাকের ঘরে আসেন। ভৃত্যের হাতে মাছ ভাজা হচ্ছে এবং চিত্রা খাটে আরাম করছে দেখে তিনি কিছুটা রেগে গেলেন। কড়া কণ্ঠে শুধান,

‘এ কি করলে? কাজের মহিলার হাতে রান্নার দায়িত্ত্ব দিয়ে দিলে? এ বাড়ির লোকদের মুখে কাজের লোকদের রান্না উঠে না জানো না?’
চিত্রা কপালের ঘাম শাড়ির আঁচল দিয়ে মুছে ক্লান্ত ভঙ্গিতে হেলেদুলে উঠে দাঁড়াল। মাথায় আঁচল তুলে বলল,
‘শরীর খারাপ করছিল ছোট আম্মাজান। আমি এক্ষুনি করে দিচ্ছি ভাজা।’
শেফালি তীক্ষ্ম চোখে চিত্রাকে আগাগোড়া একপল দেখে নিলেন। হঠাৎ চেঁচিয়ে বললেন,
‘তুমি কি পাকের ঘরে বমি করে বসেছ, বউ?’

ভৃত্য হয়ত কিছু একটা আন্দাজ করতে পারল। আয়ুষ্মান মহলে হরেক রকম নিয়মের মধ্যে একটা, পাকের ঘর পবিত্র রাখা। বমি করে চিত্রা সে নিয়ম ভঙ্গ করেছে। ভৃত্য চিত্রার হয়ে বলল,
‘ভাবিজান পাকের ঘরে বমি খরেন নাই মালকিন। ওই যে কলপাড়ে করছেন। আমিই তো উনারে সামলাইলাম।’
শেফালি কথাটা শুনে আশ্বস্ত হলেন কিছুটা। চিত্রার উদ্দেশ্যে বললেন,
‘বেশি খারাপ লাগলে ঘরে যাও। পাঁচ মিনিট বিশ্রাম নিয়ে তবে এসো। আর মনে রেখো, পাকের ঘরে অপবিত্র কিছু করা যাবে না, ফেলাও যাবে না। এটা নিয়ম। যাও এখন।’

চিত্রা মাথা নেড়ে সম্মতি দেয়। ভৃত্যের দিকে কৃতজ্ঞতার দৃষ্টিতে চেয়ে নিজের ঘরে চলে এলো।
সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠার সময়টায় চিত্রার মাথা ঘুরে উঠে খানিক পলের জন্যে। আজকের দিনটা হঠাৎ করেই চিত্রার কাছে বিভীষিকাময় লাগতে শুরু করে। এতটা খারাপ লাগছে কেন শরীর বুঝতে পারছে না চিত্রা। কোনরকম ঘরে এসে শুয়ে পরল বিছানায়। বিছানায় কোনরকম গা এলাতেই দু চোখ বুঁজে এলো তার। মনে হচ্ছে গা যেন কতদিন বিছানা দেখে নি।
চিত্রার চোখ যখন খুলে তখন প্রায় মধ্য রাত। চিত্রা চোখ খুলে চারপাশ ভালো করে পরখ করে। চিত্রা ঠিক কখন ঘুমিয়েছে আন্দাজ করতে পারছে না। চারপাশ কেমন অচেনা লাগছে। নিজের শরীর যেন নিজের মনে হচ্ছে না। ক্লান্তিতে গা ম্যাজম্যাজ করছে শুধু। হঠাৎ চুলে কেউ হাত বুলিয়ে দিয়ে আস্তে করে ডাকে তাকে,

‘ভাবিজান, ঠিক আছেন এখন?’
মেয়েলি কণ্ঠ শুনে চিত্রা উপরে চোখ দেয়। হিয়া চিত্রার শিউরের পাশে বসে আছে। চিত্রা উঠে বসার চেষ্টা করে। স্যালাইন হাতে চিত্রাকে নড়াচড়া করতে দেখে পাশে চেয়ারে বসে থাকা শেহজাদ উঠে আসে এবার। চিত্রার দিকে এগিয়ে গেলে হিয়া উঠে যায় বিছানা থেকে। শেহজাদ আলগোছে চিত্রার হাতের স্যালাইনের নল চেপে ধরে চিত্রাকে বসতে সাহায্য করে। চিত্রা শেহজাদকে দেখে চরম অবাক হয়। শেহজাদ তো গতকাল শহরে গেছেন। আসবেন বলেছিলেন কদিন পর। আজকে এলেন যে? চিত্রার বোধগম্য হয়না। শেহজাদ স্যালাইন আবার ঠিক করে দিয়ে চেয়ারে এসে বসে আবার। বাড়ির বয়োজৈষ্ঠ্যদের মাঝে চিত্রার পাশে বসতে অস্বস্তি হয় তার। রেখা বেগম এগিয়ে এলেন এবার। চিত্রা নিজের ঘরে তাকে ঘিরে এত লোকজন দেখে আপাতত বিস্মিত। রেখা এগিয়ে এসেই বলেন,

‘কয়েকদিনের পোয়াতি হয়েই বিছানা নিয়েছ। আমরা মা হইনি? তিনটা বাচ্চার জন্ম দিলাম। ঘরের ষোল আনা কাজ করলাম একা হাতে। আমাদের তো ডাক্তার বিশ্রামের জন্যে লম্বা কাগজ ধরিয়ে দেয়নি।’
চিত্রা এত কথা শুনে থমকে আছে। শরীর নিয়ে নড়তে পারছে না, আবার এখন এত কটু কথা। চোখ ভরে আসছে আবার। আড়চোখে শেহজাদের দিকে তাকিয়েই চোখ সরিয়ে নেয়. মিনমিন করে রেখা বেগমের উদ্দেশ্যে বলে,
‘দুঃখিত আম্মাজান, আর হবে না এমন।’
শেহজাদ ততক্ষণে রেখা বেগমের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। রেখা বেগমের চোখে চোখ রাখে শেহজাদ,
‘গভীর রাত হয়েছে। বেশি রাত করে সজাগ থাকা আপনার স্বাস্থের জন্যে ক্ষতিকারণ, আম্মাজান। ঘুমিয়ে পড়ুন, আমি দেখছি এসব।”
রেখা বেগম বুঝতে পারলেন, তার শরীরের প্রেশার বেড়ে যাচ্ছে। চিত্রার এত ঘণ্টা ধরে অজ্ঞান অবস্থায় দেখে তিনি নিজেও কিছুটা ভয় পেয়েছিলেন। সারারাত যাবৎ এত চাপ মাথায় তুলে এখন ক্লান্ত অনুভব করছেন তিনি। রেখা আজকের মত দমে গেলেন। চিত্রার উদ্দেশ্যে শেষবারের মত বললেন,

‘নিয়মমাফিক চলবে এখন থেকে। আয়ুষ্মান বংশের উত্তরাধিকারী স্বাস্থ্যবান হয়ে জন্মাতে হবে, মনে রাখবে। বাড়িতে ফলমূল আছে, সবজি রান্না হচ্ছে। নাক মুখ চেপে খেয়ে ফেলতে পারো না? রাত করে আমাদের পেরেশান যেন আর না করো।’
চিত্রা মাথা নেড়ে সায় দেয়। রেখা বেগম আজকে রাতের মত সবাইকে নিয়ে ঘর ছাড়লেন। শেহজাদ দরজায় খিল তুলে দিয়ে এতক্ষণে চিত্রার পাশে এসে বসে। চিত্রা অপরাধীর মত মাথা নত করে আওড়ায়,

‘আপনাকে কত কষ্ট দিলাম আমি, শহর ছেড়ে আসলেন। বাড়ির মানুষদের পেরেশান করলাম। মাফ করবেন।’
শেহজাদ শুনে, মুখে শব্দ তুলে না। চুপচাপ থেকে খানিক পর গম্ভীর কণ্ঠে আদেশ করে,
‘সোজা হয়ে বসো।’
শেহজাদের বসতে কষ্ট হচ্ছে ভেবে চিত্রা শেহজাদের আদেশ শুনে বিনা বাক্যে ব্যয়ে নড়েচড়ে সোজা হয়ে বসল। শেহজাদ বিছানায় পা তুলে আলগোছে চিত্রার কোলে মাথা রাখল। চিত্রা শেহজাদকে এভাবে ঘুমাতে দেখে ব্যস্ত হয়ে বলল,
‘মাথার নিচে বালিশ দেই, ব্যথা পাবেন।’

শেহজাদ মানা করে এক ইশারায়, ‘উহু! যেভাবে আছ, সেভাবেই থাকবে।’
চিত্রা শেহজাদের আদেশের বহর শুনে হালকা শব্দ করে হেসে উঠে। চিত্রার হাসির শব্দ শেহজাদ কানে প্রবেশ করলেই মেরুদন্ড বেয়ে হিমশীতল বাতাস প্রবাহিত হয় যেন। শেহজাদ মাথা তুলে চিত্রার সরল মুখের দিকে চায়। চিত্রা হাসি থামিয়ে শেহজাদের চুলে হাত রাখে। আলতো করে শেহজাদের ঘন চুলে হাত বুলিয়ে দেয়। আরামে শেহজাদ গুঙিয়ে উঠে মৃদু শব্দে। চিত্রা জিজ্ঞেস করে,

‘আমি কি খুব বেশি অসুস্থ হয়ে গেছিলাম?’
শেহজাদ উত্তর দেয় না। চোখ বুজে একহাত কপালে রেখে নিশ্চুপ শুয়ে থাকে। চিত্রা আবার জিজ্ঞেস করে,
‘আপনি কি শহর থেকে রাতারাতি আমার অসুস্থতার খবর পেয়ে চলে এসেছেন?’
শেহজাদ এবারেও উত্তর দেয়না। চিত্রা শেহজাদের চুলে হাত বুলিয়ে আবার জিজ্ঞেস করে,
‘আপনি ভেবেছেন অল্প বয়সে গর্ভবতী হওয়ায় ঝুঁকি আছে আমার। যদি এই সময় মরে যাই আমি? তাই আমার সামান্য জ্ঞান হারানো শুনে আপনি শহরের গুরুত্তপূর্ণ কাজ না করেই গ্রামে ছুটে এসেছেন, তাইনা?’

শেহজাদ এবার কপাল থেকে হাত সরায়। সরাসরি তার তীক্ষ্ম ঘোলাটে চোখ রাখে চিত্রার মায়াবী চোখে। নয়নে নয়ন মেলে। শেহজাদ আকন্ঠ ডুবে যায় ওই দু চোখে। চিত্রা শেহজাদের উত্তর জেনে যায়। নিজেকে এই মুহূর্তে চরম ভাগ্যবতী বোধ হয়। চিত্রা আবেগ সইতে না পেরে মাথা ঝুঁকে শেহজাদের শক্ত কপালে আলতো করে চুমু বসায়। শেহজাদ চোখ বুঁজে নেয়। চিত্রা শেহজাদের কপালে ঠোঁট রেখে ফিসফিস করে আওড়ায় কটা কথা,
‘আপনি এবং আপনার সন্তানকে দু চোখ ভরে দেখার সাধ আমার আজন্ম। এত তৃষ্ণা নিয়ে যে মরণও সইবে না আমার, নেতাশাহ।’

শেহজাদের কণ্ঠমনি কেঁপে উঠে এমন কথায়। দু চোখ খুলে পরিপূর্ন দৃষ্টিতে তাকায় স্বীয় স্ত্রীর চোখে। ভয়ে জমে যাওয়া আত্মায় যেন প্রাণ ফেরে এতক্ষণে। চিত্রার জন্যে নিয়োগ করা ডাক্তারের থেকে চিত্রার শরীরের সর্বদা খবর রাখে শেহজাদ। অল্পবয়সে গর্ভধারণে করায় চিত্রার গর্ভধারণে অনেক ঝুঁকি আছে। তাই চিত্রার সামান্য অসুস্থতায় শেহজাদের আত্মা নড়ে উঠে। শেহজাদ এ প্রথম, প্রথমবারের মত কিছু হারানোর ভয় পাচ্ছে। চিত্রা সুস্থ থাকবে, প্রয়োজন পরলে শেহজাদ প্রতাবপুর গ্রাম থেকে শুরু করে শহর অব্দি নাড়িয়ে দিবে। এত জোশ, এত প্রতিপত্তি সবকিছু শেহজাদ এ পরিবারের তরে ছারখার করে দিতেও দুবার ভাবে না। শেহজাদ যা চায় তাই হয়ে আসছে এ যাবৎ! তাহলে এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হবে কেন? কিন্তু এত কিছুর পরও কোথাও যেন কুটকুট করে ভয়ের দানা বাসা বাঁধছে শেহজাদের অন্তরে।

চিত্রা কপাল থেকে ঠোঁট সরালে শেহজাদ উঠে বসে চিত্রার কোল থেকে। চিত্রা লক্ষ্য করে, শেহজাদের চোখের কোণ ভেজা। চিত্রা কি করবে ভেবে পায়না। নিজের জীবনের ঝুঁকি আছে দেখে কাঁদবে নাকি তার স্বামীসোহাগে আল্লাহ তায়ালা কোনো কমতি রাখেন নি ভেবে খুশি হবে! শেহজাদ বালিশ ঠিক করে। চিত্রার কাঁধে আলগোছে হাত রেখে বলে,
‘শুয়ে পরো, রাত বেড়েছে।’

শেহজাদ চিত্রাকে শুইয়ে দেয় বালিশে। চিত্রার পাশের বালিশে শেহজাদ মাথা রাখে। শেহজাদ কপালে হাত রেখে সোজা হয়ে ঘুমানোর চেষ্টা করছে। চিত্রা এখনো সজাগ। বারবার শুধু শেহজাদের দিকে চেয়ে উশখুশ করছে। একপর্যায়ে শেহজাদ কপাল থেকে হাত সরায়। ভ্রু কুঁচকে নিজের অস্থির লজ্জাবতী স্ত্রীর পানে চেয়ে দেখে! অতঃপর ধীরে দুহাত চিত্রার দিকে বাড়িয়ে দিয়ে আওড়ায়,
‘যা করলে আরামে ঘুম আসবে তাই করা উচিত এই অবস্থায়।’

চিত্রা লজ্জায় কথাই বলতে পারে না আর। শেহজাদ কি করে না বলার আগে সব বুঝে যায়! লজ্জায় অবনত চিত্রা থেমে থাকে না আর। সকল লাজ-লজ্জা এড়িয়ে চুপচাপ মাথা নত করে শেহজাদের বুকে মাথা রাখে। শেহজাদ দুহাতে আগলে নেয় তার স্ত্রীকে। আপাতত শেহজাদের বুকে মাথা রেখে তার গায়ের গন্ধ শুষে নেবার চেষ্টায় চিত্রা।

খাঁচার ভেতর অচিন পাখি পর্ব ২৭

ইহা একখান রোমান্টিক ওয়ালা বড় পর্ব! রেগুলার দেবার চেষ্টায়! আগামী পর্ব পরশু দেব। এনগেজমেন্ট অনুসারে এই গল্প প্রায় আট হাজার মানুষ পড়েন। কিন্তু রিয়েক্ট মাত্র ২.৪ হাজার কেন? প্রতি পর্বে ৩ হাজার রিয়েক্ট করা এতটাও অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু আসছে না এমন। এটা আমার জন্যে হতাশাজনক। আমি কদিন ধরে অনেক বড় পর্ব দিচ্ছি। প্রায় দুই পর্বের সমান করে এক পর্ব। চেষ্টা করছি, আপনাদের অভিযোগ না করার। কিন্তু আপনারা রিয়েক্ট, কমেন্টস করলে আমার অভিযোগ বেড়ে যাবে। ভালোবাসা!

খাঁচার ভেতর অচিন পাখি পর্ব ২৯