প্রণয়াসক্ত পূর্ণিমা সিজন ২ পর্ব ১১

প্রণয়াসক্ত পূর্ণিমা সিজন ২ পর্ব ১১
Writer Mahfuza Akter

তরীর বাম গালে আঙুলের ছাপ দেখে দৃষ্টি থমকালো সৌহার্দ্যের। সাদা চামড়ায় দাগগুলো রক্তিম বর্ণ ধারণ করেছে। তরী চোখ নামিয়ে বইয়ে যথাসম্ভব নিজের দৃষ্টি নিবদ্ধ রাখার চেষ্টায় মগ্ন।
“গালে এভাবে চড় পড়ার কারণ কী?”
অকস্মাৎ এমন প্রশ্ন শুনে চমকে উঠলো তরী। চোখ তুলে তাকালো সৌহার্দ্যের দিকে। সৌহার্দ্যের চোখ দু’টো এখনও স্থির। সেই চোখে তাকাতে ভয় হয় তরীর। মাঝে মাঝে মনে হয় সৌহার্দ্যের চোখ দুটো অনেক কথা বলে। চোখ সরিয়ে তরী বললো,

“কেউ চড় মারেনি আমায়!”
সৌহার্দ্য মলিন মুখে হাসলো। হাত বাড়িয়ে দিলো তরীর মুখের দিকে। আঙুলের অগ্রভাগ দিয়ে আলতো করে স্পর্শ করলো তরীর বাম গালের লালচে দাগগুলোর ওপর। তরী পুনরায় চোখ তুলে তাকালো। অনিচ্ছা সত্ত্বেও অজান্তেই চোখ দুটো ভিজে উঠলো তার। সৌহার্দ্য তরীর গালের ওপর নিজের আঙুলের স্পর্শ চালাতে চালাতে বললো,
“আই উইশ এই জায়গাটায় আমার বিন্দুমাত্র অধিকার যদি থাকতো! এই গালের দিকে তাকানোর আগেও কয়েকবার ভাবতে হতো মানুষদের।”

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

সৌহার্দ্যে স্পর্শ ও শীতল বাক্যস্রোতে তরীর কোমল হৃদয় কেঁপে উঠলো। অধিকার? কিসের অধিকারের কথা বলছে সৌহার্দ্য? সে কি তরীর কাছে কোনো অধিকার চায়? তরী বুঝে উঠতে পারে না। অবুঝ দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে নির্নিমেষ। কিয়ৎক্ষণ নীরবতায় অতিক্রান্ত হয়। হঠাৎ সম্বিত ফিরে পেয়ে সৌহার্দ্য নড়েচড়ে বসে। তরীর গাল থেকে হাত সরিয়ে বইয়ের পাতা উল্টাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। নিজের প্রতি প্রচন্ড রাগ হয় সৌহার্দ্যের। অনুভূতি দমিয়ে রাখার চেয়ে কষ্টসাধ্য কাজ বোধহয় পৃথিবীতে দ্বিতীয়টি নেই- এই কথার প্রমাণ সে প্রতিটা ক্ষণে ক্ষণে টের পাচ্ছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য গলা ঝেড়ে প্রশ্ন করে সৌহার্দ্য,

“বললে না? কে চড় মেরেছে?”
তরী নিচু গলায় বললো,
“বললাম তো! কেউ মারেনি আমায়।”
সৌহার্দ্য দীর্ঘশ্বাস ফেললো। এই মেয়ে মুখ ফুটে কখনো বলবে বলে মনে হয় না। হতাশার নিঃশ্বাস ফেলে বললো,
“আমাকে বলতে না চাইলে জোর করবো না আমি। তোমার ব্যাপারে নাক গলানোর কোনো অধিকার নেই আমার। বাট ডু ইউ নৌ ওয়ান থিং? যেখানে মূল্য নেই, সেখানে থাকতে নেই। ইউ আর ভেরি প্রিশিয়াস! নিজেকে নিয়ে একবার গভীরভাবে ভেবে দেখো।”

তরীর ঠোঁটের কোণে ফুটে উঠলো শ্লেষের হাসি। সৌহার্দ্যের দৃষ্টি এড়ায়নি সেই হাসির। সৌহার্দ্য বেশ ভালো করে বুঝতে পারে তরীর সাথে ঠিক কী কী ঘটে ঐ বাড়িতে! সেদিন তরীর ছোট ভাই আফিফ-ই কথার ছলে বলে দিয়েছিল সৌহার্দ্যকে,
“জানো, ভাইয়া? আম্মু না আপুকে অনেক মারে! অকারণেই মারে! কিন্তু আপু মার খেয়েও কাঁদে না। আচ্ছা, আপুর কি ব্যথা লাগে না? আপুকে মারতে দেখলে আমার নিজেরই খুব কষ্ট হয়!”

সৌহার্দ্য সেসব শোনার পরেও নীরব থেকেছে। হয়তো তরী মোহনার এসব নির্যাতনের হাত থেকে রেহাইয়ের চিন্তা করেই অর্ণবকে বিয়ে করতে রাজি হয়েছে! নয়তো অর্ণবের প্রতি তরীর দূর্বলতা সৃষ্টি হয়ে গেছে বলে বিয়েতে সে দ্বিমত করেনি। এজন্যই ভালোবাসার স্বীকারোক্তিতে দেরী করতে নেই। সঠিক সময়ের অপেক্ষা করতে করতে সেই সঠিক সময় আর ধরা দেয় না, সারাজীবন অপেক্ষায় বসিয়ে রাখে।

নিচের বৈঠক ঘর থেকে শোরগোলের আওয়াজ আসছে। জোরে চেঁচামেচির শব্দ শুনে সৌহার্দ্য ভ্রু কুঁচকালো। এই বাড়িতে শোরগোল করার নিয়ম নেই। আফনা বেগমের সামনে গলা উঁচিয়ে কথা বলার সাহসও কারো নেই। সৌহার্দ্য অবাক হয়ে তরীর দিকে তাকিয়ে বললো,
“নিচে কি কেউ এসেছে?”

তরী পড়ে গেল মহাবিপদে। রায়হান আহমেদকে বড়আব্বু বললেও আরমান আহমেদকে সে কখনো ছোটআব্বু বলে সম্বোধন করেনি। লোকটাকে সে কখনো কিছুই বলেনি। ওনাকে নিয়ে কখনো কোনো কথাও বলার আগ্রহ দেখায়নি। এখন সৌহার্দ্য যখন জানতে চাইছে, তখন কী উত্তর দেবে? ছোটআব্বু বলবে? অসম্ভব! তরী আকাশপাতাল ভাবনায় ব্যস্ত এমনসময় সৌহার্দ্য বসা থেকে দাঁড়িয়ে বললো,

“থাক! তুমি ভাবতে থাকো! আমি না-হয় নিচে গিয়ে দেখে আসি। ডাফার!”
সৌহার্দ্য দ্রুত পা চালিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে গেল। তরীও মুখ গোমড়া করে সৌহার্দ্যের পিছু পিছু গেল। সৌহার্দ্য সিঁড়ি দিয়ে নেমে বসার ঘরের দিকে চলে গেলেও তরী করিডোরে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়েই বৈঠক ঘরের দিকে তাকিয়ে রইলো। নিচে নামলো না আর।

সৌহার্দ্য বৈঠক ঘরে প্রবেশ করে অবাক হলো। আফনা বেগম নিজের বড় চেয়ারটায় বসে আছেন আর তার সামনে আরমান সাহেব বসে বিস্ফোরিত চোখে তাকিয়ে আছেন। ঘরের একপ্রান্তে মালিহা প্রাণহীন চোখে শূন্যে তাকিয়ে আছে আর তার পাশেই দাঁড়িয়ে আছে সুজাতা। হয়তো কোনো দূর্বল গাছের পাশে খুঁটি হিসেবে অবস্থান নেওয়ার চেষ্টায় আছে সুজাতা। এই সময়ে আরমান আহমেদকে এ বাড়িতে একদম আশা করেনি সৌহার্দ্য। আফনা বেগমের মুখে ক্রোধ স্পষ্ট। তিনি আরমান আহমেদের দিকে তাকিয়ে বেশ রাগী গলায় বললেন,

“তোরে আমার নিজের ছেলে কইতেও ঘেন্না লাগে আমার। কেন আসছোস আমার বাড়িতে তুই? এই বাড়ির চৌকাঠে পা রাখার সাহস কেডায় দিসে তোরে?”
আরমান আহমেদ রাগে ফুঁসে উঠে বললেন,
“তোমার ছেলে হই আমি, মা! আর তুমি একটা বাইরের মেয়ের জন্য নিজের ছেলের সাথে খারাপ ব্যবহার করছো?”
“বাইরের মাইয়া? কেডা বাইরের মাইয়া? আমার বাড়ির বউ ও! আমার বাড়ির সম্মান। ওরে তুই বাইরের মাইয়া কেমনে কস?”

আরমান আহমেদ তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে বললেন,
“সম্মান? ওর নিজের কোনো সম্মান আছে নাকি যে, তুমি ওকে নিজের পরিবারের সম্মান বলতে চাইছো?”
আফনা বেগম রাগী দৃষ্টিতে তাকিয়ে বললেন,
“একটাও আজেবাজে কথা বলবি না আজকে! তোর জন্য সেদিন ছোট বউমা কত বড় একটা অঘটন ঘটাইতে নিছিলো! কী কইসিলি তুই ওরে আল্লাহ জানে! তোর মুখে এতো বি*ষ আইলো কোত্থেইকা?”
আরমান আহমেদ একগুঁয়ে কন্ঠে বললেন,

“যা বলেছি, সত্যি কথাটাই বলেছি! ও একটা চরিত্রহীন! একটা চরিত্রহীন মেয়ের সাথে এতোবছর সংসার করেছি আমি। কিন্তু আর না! ওর সাথে আর থাকবো না আমি। ওর কোনো যোগ্যতা-ই নেই….. ”
আরমান আহমেদের কথা শেষ হওয়ার আগেই সৌহার্দ্য মুখ খুললো। থমথমে গলায় দাঁতে দাঁত চেপে বললো,
“ছোটমায়ের চরিত্র নিয়ে আর একটাও কথা না!”
উপস্থিত সবাই অবাক চোখে তাকালো। আরমান আহমেদ ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে বললো,

“তুমি সৌহার্দ্য না?”
সৌহার্দ্য চোয়াল শক্ত করে বললো,
“আপনাকে নিজের পরিচয় দিতে বাধ্য নই আমি। আর আপনার সাথে এই পরিবারের সম্পর্ক আজ থেকে শেষ। চুপচাপ এই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। ফারদার আর এখানে আসার দুঃসাহস দেখাবেন না।”
আরমান আহমেদ ভীষণ রেগে গেলেন। জ্বলন্ত চোখে তাকিয়ে বললেন,

“আমাকে এই বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার তুমি কে? এটা আমার বাবার বাড়ি। আমি এই বাড়ির উত্তরসূরী। এখানে আসার অধিকার কেড়ে নেওয়ার স্পর্ধা তুমি কীভাবে দেখাও আমাকে?”
সৌহার্দ্য এগিয়ে এলো। আরমান আহমেদের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে দাঁতে দাঁত চেপে বললো,
“আমার স্পর্ধা সম্পর্কে কোনো ধারণা আপনার নেই। যেই মানুষ নিজের কথার দ্বারা আরেকটা মানুষকে ফাঁ*সির দড়িতে ঝুলতে বাধ্য করতে পারে, তার সাথে এর চেয়ে ভালো ব্যবহার করতে পারছি না আমি। তাই ভালোভাবে এই বাড়ি থেকে চলে যেতে বলছি।”

আরমান আহমেদ কিছু বলবেন, তার আগেই আফনা বেগম থমথমে গলায় আদেশের সুরে বললেন,
“চলে যা, আরমান! এই বাড়ি ও পরিবারের সাথে তোর কোনো সম্পর্ক নাই। তোর বাপ মরণের আগে তার সব সম্পদের মালিক আমারে বানাইয়া গেছিলো। সেই সম্পদ ও আমার আহমেদ বংশের নাম থেকে তোর সকল অধিকার আজকে আমি অস্বীকার করলাম। বাইর হইয়া যা আমার বাড়ি থেকে!”

আরমান আহমেদ বিস্ফোরিত চোখে মালিহার দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে বাড়ি ছাড়ে বেরিয়ে গেলেন। সৌহার্দ্য এগিয়ে গেল মালিহার দিকে। মালিহা ঠায় দাঁড়িয়ে আছে। মাথায় টেনে রাখা শাড়ির প্রান্তদেশ সরে গেছে অনেক আগেই। সৌহার্দ্য সেই আঁচল সযত্নে মালিহার মাথায় টেনে দিলো। মালিহার চোখ দুটো ছলছল করে উঠলো মুহুর্তেই! এতোক্ষণ দমিয়ে রাখা চোখের পানিগুলো গাল ছাপিয়ে গড়িয়ে পড়লো। সৌহার্দ্য মালিহার চোখের দিকে তাকিয়ে আশ্বাসের সুরে বললো,
“আমি থাকতে তোমার সম্মানের কোনো অমর্যাদা কখনো হবে না, ছোট-মা! আর কেউ থাকুক বা না থাকুক! তোমার এই ছেলেটা তোমার পাশে সবসময় থাকবে!”

মালিহা নিজেকে আর নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলেন না। সৌহার্দ্যের প্রশস্ত বুকে কপাল ঠেকিয়ে সশব্দে কেঁদে দিলেন। হয়তো এই প্রথম কারো মাঝে নিজের জন্য আশ্রয় খুজে পেয়েছেন! সৌহার্দ্য নিজের মাতৃতুল্য নারীটির মাথায় ছেলের দায়িত্বের হাত রাখলো। এই দায়িত্ব ভীষণ ভারি দায়িত্ব!

উপরের করিডোরে দাঁড়িয়ে পুরো দৃশ্যটা মনযোগ সহকারে দেখলো তরী। সৌহার্দ্যের দায়িত্ববোধ দেখে ভীষণ ভালো লাগলো তার! কানে বেজে উঠলো সৌহার্দ্যের তখনকার বলা কথাটা,
“আই উইশ এই জায়গাটায় আমার বিন্দুমাত্র অধিকার যদি থাকতো! এই গালের দিকে তাকানোর আগেও কয়েকবার ভাবতে হতো মানুষদের।”

সন্ধ্যার পর থেকে মুষলধারে বৃষ্টি পড়ছে। সৌহার্দ্য আলমারি থেকে কাপড়চোপড় ও দরকারি জিনিসপত্র লাগেজে রাখছে। সুজাতা সৌহার্দ্যের জন্য সন্ধ্যার খাবার নিয়ে এসে এসব দেখে ভড়কে গেল। উত্তেজিত হয়ে বললো,
“ব্যাগপত্র গোছাচ্ছিস কেন, সৌহার্দ্য? কোথায় যাচ্ছিস?”
সৌহার্দ্য ব্যস্ত গলায় বললো,
“ঢাকা যাচ্ছি, মা। ওখানের একটা হসপিটাল থেকে জয়েনিং লপটার এসেছে। কাল সকাল থেকে জয়েন করছি। তাই আজ রাতেই বেরিয়ে যাবো।”

“তাই বলে এই ঝড়বৃষ্টি মাথায় নিয়েই চলে যাবি? আমি তোকে এই আবহাওয়ায় বের হতেই দেব না!”
সৌহার্দ্য ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে বললো,
“অবুঝের মতো কথা বলো না, মা! ঝড়বৃষ্টিতে মরে যায় না কেউ। আর আমি এতো তাড়াতাড়ি মরবো না। ডোন্ট ওয়ারি!”
সুজাতা রাগী গলায় বললো,
“আজেবাজে কথা বলবি না, সৌহার্দ্য!”
“আচ্ছা, বলবো না। তুমি শুধু আমায় বাঁধা দিও না।”

সুজাতা হতাশ হলো। এই ছেলে কারো কথা শোনার পাত্র নয়। বরাবরই নিজের জেদকে প্রাধান্য দেয় সে। আজ আবার তার ব্যতিক্রম হবে কীভাবে? তাই হতাশ চোখে তাকিয়ে বললো,
“কোথায় গিয়ে উঠবি তাহলে?”
সৌহার্দ্য লাগেজের চেইন লাগাতে লাগাতে বললো,

“বাবার সাথে কথা হয়েছে। বাবা বললো, গুলশানে বাবার ডুপ্লেক্স বাড়িটায় উঠে যেতে। দু’দিন পর আবার এখানে আসতে হবেই! সেখানে সবটা গুছিয়ে তোমাদেরও নিয়ে যাবো। আসছি।”
বলেই সৌহার্দ্য বেরিয়ে যেতে লাগলো। সুজাতা তাড়া দিয়ে বললো,
“আরে, কিছু না খেয়েই চলে যাবি?”
“খিদে নেই, মা। অলরেডি লেইট হয়ে গেছে আমার।”

সুজাতা সৌহার্দ্যের পিছু পিছু গেল। আফনা বেগম ও মালিহার সাথে একবার দেখা করে সৌহার্দ্য বেরিয়ে গেল গাড়ি নিয়ে। নিজেই গাড়ি ড্রাইভ করছে সৌহার্দ্য। ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি পড়ছে। সেই বৃষ্টির মাঝেই খোলা রাস্তায় গাড়ি চালাচ্ছে সৌহার্দ্য। আজ এই গ্রাম থেকে বেরিয়ে যাওয়াটা ওর জন্য খুব প্রয়োজন। কাল তরীর বিয়ে। গ্রামের প্রতিটা বায়ুকণা সৌহার্দ্যকে এই মুহুর্তে জানান দিচ্ছে তরী ও অর্ণবের বিয়ের সুখবর।

প্রণয়াসক্ত পূর্ণিমা সিজন ২ পর্ব ১০

আর এই সুখবর সৌহার্দ্যের কাছে বি*ষের মতো লাগছে। বুকের দহন বেড়ে গেছে কয়েকগুণ। ভারী বর্ষণে বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে, ঘনঘন বজ্রপাত হচ্ছে। হয়তো সৌহার্দ্যের কান্না দেখে মনপ্রাণ উজাড় করে কাঁদছে প্রকৃতি এবং আকাশও। সৌহার্দ্য বিরবির করে বললো,
“জানো, চাঁদ! বৃষ্টি তখনই হয়, যখন মানুষের মন কাঁদে। ভীষণ কাঁদে!”

প্রণয়াসক্ত পূর্ণিমা সিজন ২ পর্ব ১২