প্রিয় পূর্ণতা পর্ব ২৮

প্রিয় পূর্ণতা পর্ব ২৮
তানিশা সুলতানা

“নারীর সুখ হচ্ছে পুরুষের পুরুষত্বে” প্রাপ্ত বয়ষ্ক নারী হয়ে উঠবে যখন তখন বুঝবে।
জমিদার সাহেব গম্ভীর গলায় বলে। মনার দৃষ্টিতে তাচ্ছিল্য স্পষ্ট। পূর্ণতা অভির মুখপানে তাকায়। ভরা সভায় মাথা নুয়িয়ে বসে আছে সে। হয়ত লজ্জা পেয়েছে নয়ত রেগে আছে। পরিবার এমনও হয়?
শুধু অভিরাজ নয় মাথা নুয়িয়ে রয়েছে ইমন এবং ইশানও। বড় ভাইকে এভাবে অপদস্ত করায় তারাও ব্যাথিত হচ্ছে। কিন্তু প্রকাশ করার সাহস নেই।
মনা পূর্ণতার দিকে আঙুল তুলে বলে

“অনেক টাকা দিবো তোমায়। চলে যাও দূরে কোথায়। খুঁজে নাও নতুন নাগর। অভিরাজের মতো কাপুর
বাকিটা শেষ করতে পারে না মনা। পূর্ণতা মনার আঙুল ধরে ঝাঁঝালো গলায় বলে
“আমার স্বামীকে নিয়ে আর একটা বাজে কথা বললে জিভ টেনে ছিঁড়ে দিবো। আমার এমপি সাহেব খাঁটি পুরুষ।
আপনাদের মতো জিভ বেরিয়ে যাওয়া কুকুর নয়। মেয়ে দেখলেই লালা ঝড়ে না আমার স্বামীর। বউ ছাড়া অন্য নারীর সংস্পর্শ সয্য হয় না।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

এমন পুরুষকে স্বামী রূপে পেতে ভাগ্য লাগে। আমি পূর্ণতা ভাগ্যবতী। পৃথিবীর সব থেকে শুদ্ধ পুরুষটি আমার।
দমে যায় সকলেই। হাসি ফুটে ওঠে ইমন ইশানের অধরে। মনে মনে পূর্ণতাকে বাহবা দিতে থাকে ওরা।
মমতা বেগম এতোখন চুপচাপ শুনছিলেন সবটা। পলির মৃ ত্যুতে তিনি একটু হলেও চমকেছে। দাপট ফুরিয়ে এসেছে তার।

“মাইয়ার গলা দেখছো? শশুড় শাশুড়ীদের সামনে গলা বাড়িয়ে কথা বলছে। লাল লজ্জা নাই তোমার?
পূর্ণতা তাকায় মমতা বেগমের পানে।
“পূর্ণতার লাজ লজ্জা আসে না কাপুরষদের সামনে। শশুর শাশুড়ী নয়। এখানে কাপুরুষদের দল বসে আছে। নারী লোভী জা নো য়া র একেকটা।
মামুন গর্জে ওঠে

“এই মেয়ে মুখ সামলে কথা বলো। জমিদার বাড়ির কর্তার সামনে দাঁড়িয়ে আছো তুমি।
পূর্ণতাও সমান তালে গর্জে উঠে জবাব দেয়
“ আপনি মুখ সামলে কথা বলুন। আপনিও ভুলে যাবেন না এমপির বউয়ের সাথে কথা বলছেন৷
থমথমে খেয়ে যায় মামুন। জমিদার সাহেব কুটিল দৃষ্টিতে পূর্ণতাকে দেখতে থাকে। এক রত্তি মেয়ে তার তেজ আছে প্রখর। একটা কথাও মাটিতে পড়তে দেবে না। এই মেয়েটা যতদিন জমিদার বাড়িতে থাকবে ততদিন সুস্থ ভাবে ব্যবসায় পরিচালনা করা সম্ভব হবে না।
শিউলি বেগম এগিয়ে আসে। পূর্ণতার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে ফিসফিসিয়ে বলে

“পূর্ণতা এভাবে কথা বলিও না। তোমার শশুর হয় সম্পর্কে। সম্মান দিয়ে কথা বলো
“আমার স্বামীকে অপমান করা হলে আমি এভাবেই কথা বলবো।
সম্মান পাওয়ার যোগ্য ওনাদের নেই। কুকুরের থেকে নিকৃষ্ট এরা।
কেউ জবাব দিতে পারে না। অভিরাজ দাঁড়িয়ে যায়।
বাবার চোখে চোখ রেখে বলে

“আমার শরীরে আঘাত করলে আমি চুপচাপ মেনে নিবো। কিন্তু আমার পূর্ণতার দিকে নজর দিলে চোখ তুলে নিবো বলে দিলাম।
সে আমার জন্মদাত্রী পিতা হোক বা ভাই।
বলেই প্রস্থান করে। মিষ্টিও অভির পেছন পেছন বেরিয়ে যায়। পূর্ণতা এগিয়ে যায় জমিদার সাহেবের নিকটে
“বয়স পেরিয়েছে সত্তর। আর বাঁচবেনই বা কয়দিন? তিন যুগ পেরিয়ে এসেছেন ভণ্ডামি করে। এবার একটু ভালো হওয়ার চেষ্টা করুন।
আপনাকে আমি শেষ সুযোগ দিলাম।

রঙিন স্বপ্নে বিভোর মিষ্টি। স্বপ্ন গুলো অবশ্যই ইফতিয়ারকে ঘিরে। ইদানীং এক অদ্ভুত চিন্তা যুক্ত হয়েছে মস্তিষ্কে। ইফতিয়ারের ছোঁয়া পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। মানুষটা উষ্ণ আলিঙ্গন করলে কেমন অনুভূতি হবে? হাতে হাত রেখে অধর ছুঁয়ে দিলে
ইসসস আঁখি পল্লব বন্ধ করে ফেলে মিষ্টি। ঠোঁটের কোণে ফুটে ওঠে লজ্জামাখা হাসি। ভাবনারা নিলজ্জ হয়ে যাচ্ছে দিনকে দিন।

রাত আনুমানিক নয়টা বাজে। নিজ কক্ষের সামনে লাগোয়া বারান্দায় দাঁড়িয়ে ঠান্ডা ঠান্ডা হাওয়া অনুভব করছে। আসমানে মস্ত বড় চাঁদ উঠেছে। চাঁদের আলোতে আলোকিত হয়েছে চারিপাশ। খা খা জোছনা যাকে বলে।
এই মুহুর্তে ইফতিয়ারের সাথে কথা বলতে ইচ্ছে করছে মিষ্টির।
নিজ ইচ্ছে দমিয়ে না রেখে কল করে শখের পুরুষের নাম্বারে। এটাই ছিলো প্রথমবার নিজ উদ্যোগে কল করা। বরাবরই ইফতিয়ার যখন কল করে তখনই একটু কথা বলা হয়।
রিং হতেই রিসিভ করে নেয় ইফতিয়ার। বিচলিত গলায় শুধায়

“কল করলে যে মিষ্টি?
আমার পূর্ণতা ঠিক আছে?
হতাশার নিঃশ্বাস ফেলে মিষ্টি। রাগ হয় না তবে একটু মন খারাপ হয়।
“পূর্ণতার জন্য আমার দাভাই আছে। আপনি আমার কথা ভাবুন চৌধুরী সাহেব।
যেনো স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললো ইফতিয়ার। যাক পূর্ণতা ঠিকঠাক আছে এবং অভিরাজের বাহুডোরে আছে।
“ জ্বর কমেছে?
“হুমম।
“ খেয়েছেন?
“হুমমম
“ভালোবাসি আপনাকে

নিশ্চুপ হয়ে যায় ইফতিয়ার। আঁখিদ্বয়ের সামনে ভেসে ওঠে পূর্ণতার আদল খানা। এরকম একটা মুহুর্ত তাদের হতো। পূর্ণতার সাথে পাশাপাশি দাঁড়িয়ে কিছু মুহুর্ত কাটাতো। পূর্ণতা অকপটে বলে দিতো “ভালোবাসি আপনাকে”
ইফতিয়ার চৌধুরীর জীবন স্বার্থক হতো। কয়েকটা মসজিদে সোনার চাঁদ বানিয়ে দিতো।
আচ্ছা এমন কিছু হোক
ইফতিয়ারের ঘুম ভেঙে যাক। আর সে দেখুন তার পূর্ণতা অবিবাহিত কিশোরী রয়েছে। শপিং ব্যাগে বই ঢুকিয়ে লাফিয়ে লাফিয়ে স্কুলে যাচ্ছে।
কিন্তু এমন তো হওয়ার নয়।

হৃদয় বিচলিত হয় ইফতিয়ারের। আঁখি দ্বয় ভিজে ওঠে। হাসফাস করতে থাকে। এসির ঠান্ডাতেও ঘামতে থাকে।
এতো কষ্ট কেনো হয়?
মনে মনে ইফতিয়ার আল্লাহকে ডাকেন। আকুতি করে বলেন
“আল্লাহ আমার জন্য যাকে বানান নি তার জন্য আমার হৃদয়ে থাকা মায়া কমিয়ে দিন।
আমাকে সয্য শক্তি দিন।
আর আমার হায়াত টুকু আমার পূর্ণতাকে দান করে আমাকে মুক্তি দিন। এই যন্ত্রণা আমি আর উপভোগ করতে পারছি না”

অভির থেকে সাড়া না পেয়ে মিষ্টি বলে
“এই চৌধুরী সাহেব।
কথা কেনো বলছেন না?
দীর্ঘ শ্বাস ফেলে ইফতিয়ার
“ ভালো লাগছে না মিষ্টি। পরে কথা বলবো।
“শুনুন
“ বলো

“ভাবি কোনোদিনও আপনার হবে না। আবেগ নিয়ন্ত্রণ করুন চৌধুরী সাহেব। তাকে নিয়ে ভাবা বন্ধ করুন। সারাক্ষণ পূর্ণতা পূর্ণতা বললেই পূর্ণতা ফিরবে?
হাসে ইফতিয়ার
“সে আমার না হোক…!!
তবুও সে জানুক পৃথিবীর কোনো এক প্রান্তে ক্ষুদ্র একটি মানুষ তাকে এক আকাশ সমান ভালোবাসে।
সে জানুক তাকে এক পলক দেখার জন্য আজও কেউ অপেক্ষা করে বসে থাকে।
আমি জানি তাকে আর কোনোদিনও পাওয়া সম্ভব নয়।

তবে সে ভালো থাকুক
পৃথিবীর সকল সুখ তার হোক।
তার প্রতি আমার ভালোবাসা যেদিন কমে যাবে সেদিনই আমার মৃ ত্যু হোক।
কল কাটে ইফতিয়ার। দুই গাল বেয়ে কয়েক ফোঁটা পানি গড়িয়ে পড়ে মিষ্টির। সাথে সাথে হাতের উল্টো পিঠে মুছে নেয়

“মিষ্টি তুই হিংসুটে হয়ে যাচ্ছিস। এমনটা কিন্তু ঠিক নয়। তার থেকে ভালোবাসা পাওয়ার আশা ছেড়ে দে। শুধু তাকে সারাজীবন ভালোবাসার প্রতিজ্ঞা কর।
সে যদি নিঃস্বার্থ ভাবে পূর্ণতাকে ভালোবাসতে পারে। তাহলে আমি কেনো পারবো না স্বার্থহীন ভাবে তাকে ভালোবাসতে?
আল্লাহ শুধু আমাকে ধৈর্য দিক।
বিরবির করে বলে মিষ্টি।

পূর্ণতার জন্য খাবার নিয়ে এসেছে অভি। একজন লোকও রেখেছে পূর্ণতার জন্য। সে সর্বক্ষণ পূর্ণতার কাজে সাহায্য করবে, খেয়াল রাখবে পূর্ণতার। মানুষটি অভিরাজের বিশ্বস্ত।
বিছানায় বই খাতা ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ছে পূর্ণতা। লম্বা চুল গুলো এলোমেলো হয়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বিছানায়। নীল রংয়ের সুতি শাড়ি পড়নে তার। ফর্সা গোলগাল আদলে চিন্তার রেখা। অভিরাজ বেশ বুঝতে পারছে অংক মেলাতে হিমশিম খাচ্ছে তার বউ। আনমনে হাসে। এগিয়ে যায় বউয়ের নিকট। খানিকক্ষণ দাঁড়িয়ে চোখ ভরে দেখে। কক্ষে যে তার স্বামী প্রবেশ করেছে, এবং তাকে মুগ্ধ নয়নে দেখছে সেদিনে তার খেয়াল নেই পূর্ণতার।
“বই গোছাও পূর্ণ। খেয়ে নিবে আগে।

চমকায় পূর্ণতা। দৃষ্টি মেলে তাকায় অভিরাজের মুখপানে। সচারাচর রাতে অভি থাকে না। আজকে যে থাকবে এটা ধারণা ছিলো না পূর্ণতার।
তাই সে জিজ্ঞেস করে
“আপনি থাকবেন আজকে?
বা হাতের সাহায্যে কয়েকটা বই সরিয়ে বসে অভি। ভাত মাখতে মাখতে জবাব দেয়
“হুমম

খুশি হয় পূর্ণতা। অভি ভাত মেখে তুলে দেয় পূর্ণতার মুখে। পূর্ণতাকে খাওয়াতে থাকে সাথে নিজেও খেয়ে নেয়।
খাওয়া শেষে চুল আঁচড়ে দেয় পূর্ণতার।।সুন্দর করে বিনুনি গেঁথে দেয় লম্বা চুলে।
অতঃপর বাতি নিভিয়ে শুয়েপড়ে। অনুমতি ব্যতিত পূর্ণতা অভিরাজের বুকে মাথা রাখে। অভিও পরম যত্নে হাত বুলিয়ে দেয় পূর্ণতার মাথায়।।

প্রথমবার স্বামীর সাথে স হ বা সের পর থেকে প্রতি রাতেই বরকে দারুণ ভাবে অনুভব করে পূর্ণতা। দ্বিতীয় বার স্বামীর সঙ্গ পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। কিন্তু বর তার বেরসিক। পালিয়ে পালিয়ে বেড়ায়। আজকে ধরা দিয়েছে বিধায় পূর্ণতার মন পুলকিত হয়ে উঠেছে। আদিম্য ইচ্ছে শরীর ঝাঁকাচ্ছে।
অভিরাজের লোমশ যুক্ত বুকে দাঁত বসিয়ে দেয় পূর্ণতা। ব্যাথায় “আহহ” শব্দ করে ওঠে অভি।
“কামড়াচ্ছো কেনো পূর্ণ?

জবাব দেয় না পূর্ণতা। মুখ বাঁকিয়ে তাকায় অভিরাজের মুখ পানে। নীল রংয়ের হালকা আলোকিত ড্রিম লাইট জ্বলছে রুমে। সেই আলোতে পূর্ণতার মুখ খানা নীল দেখাচ্ছে। মোহনীয় লাগছে বেশ।
মোহনীয় বউয়ের আবেদনময়ী বার্তা ঢেড় বুজতে পারে অভিরাজ।
ঘাড় উঁচু করে হালকা চুমু এঁকে দেয় পূর্ণতার ওষ্ঠদ্বয়ে। অতঃপর ফিসফিস করে বলে
“সময় নাও বউ।

বয়স খুবই কম তোমার। সয্য করতে পারবে না।
পূর্ণতা অভির গলায় অধর ঠেকিয়ে অভির মতোই ফিসফিসিয়ে জবাব দেয়
“একবার পেরেছি যখন আবারও পারবো। অতোটাও ছোট আমি নই।

মুহুর্তেই পূর্ণতাকে বিছানায় ফেলে তার ওপরে আধশোয়া হয়ে পড়ে অভি। বউকে কাছে টানার ইচ্ছে তারও হয়। নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ে মাঝেমধ্যেই। কিন্তু বউয়ের বয়সের কথা মাথায় রেখেই দুরত্ব বজায় রাখে। কিন্তু আজকে বউয়ের উসকানিতে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করা অসম্ভব। অধরে অধর মিলিয়ে গভীর চুম্বনে লিপ্ত হয় অভি। পুরুষালি শক্তপোক্ত হাতের বিচরণ ঘটে নরম স্তনে। বক্ষবিভাজনে পীড়ায় জর্জরিত পূর্ণতা মুহুর্তেই বুঝে যায় বড্ড ভুল করে ফেলেছে ঘুমন্ত বাঘকে জাগিয়ে। পূর্ণতা নখ দাবায় অভির উদম পিঠে। দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়ার পরে ওষ্ঠ ছেড়ে গলায় নাক ডুবায় অভিরাজ। চুম্বনের নামে কামড়ে দিতেও ভোলে না সে। পূর্ণতার মৃদু স্বরে আর্তনাদে আরও বেপারোয়া হয়ে ওঠে অভি। নরনারীর ঘনঘন নিঃশ্বাসের শব্দে মুখরিত হয় গোটা কক্ষ।

পূর্ণতার পরনের কাপড় খুলতে ব্যস্ত অভিরাজ কিছু একটা ভেবে কয়েক মুহুর্তের জন্য থামে।
বউয়ের মুখপানে তাকিয়ে প্রশ্ন করে
“থেমে যাবো? খুব বেশি কষ্ট হচ্ছে?
অভির চুলে হাত ডুবিয়ে তাকে কাছে ডাকে পূর্ণতা। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে অভি। মৃদু হেসে ললাটে অধর ছোঁয়ায়। আবারও ব্যস্ত হয়ে পড়ে নিজ কাজে। অভিকে সাহায্য করে কাপড় সরাতে।
অতঃপর মিশে যায় পূর্ণতার দেহাংশে। মাথা রাখে বক্ষবিভাজনের মাঝে। আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে নেয় দুই হাতে। আকুল কন্ঠে অভিরাজ বলে

প্রিয় পূর্ণতা পর্ব ২৭

“আমার সুখ, আমার শান্তি, আমার একমাত্র আশ্রয় তুমি। ভালোবাসি ভীষণ তোমায়।
অভিরাজের চুলগুলো শক্ত হাতে মুঠো করে ধরে নিজেকে সামলাতে ব্যস্ত পূর্ণতা। পীড়া, আসক্তি এবং অনুভূতিতে জর্জরিত সে। সুখ এবং কষ্টের মাঝামাঝি অবস্থান করছে। চোখের কুর্ণিশ বেয়ে দু ফোঁটা পানি গড়িয়ে পড়ে।

প্রিয় পূর্ণতা পর্ব ২৯