বিন্দু থেকে বৃত্ত সিজন ২ পর্ব ৫৭

বিন্দু থেকে বৃত্ত সিজন ২ পর্ব ৫৭
জাওয়াদ জামী

ঘিঞ্জি বস্তির মাঝারি আকারের ঘরে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় বসে আছে জমির মেম্বার আর সবুজ। অবশ্য তাদের মুখও বেঁধে রাখা হয়েছে।
রাত দুইটা। বস্তির সবাই ঘুমে আচ্ছন্ন। তাই তাদের ধারনাও নেই, কি ঘটতে চলেছে এই ঘরটায়।

তাহমিদ ওর ব্যাগ থেকে ধীরেসুস্থে ধারালো ছু’রি বের করে আনল। আনান আর নিহান নির্বিকারচিত্তে তাহমিদের কাজ দেখছে।
তাহমিদের হাতে ছু’রি দেখেই বন্দী দুজনের চোখ বড় হয়ে গেছে। ওদের কল্পনায়ও নেই আজ তাদের সাথে কি কি ঘটবে।
তাহমিদ অভ্যস্ত হাতে সবুজকে প্রথম আ’ঘা’ত’টা করল। ওর মুখে, বুকে ছু’রি দিয়ে অসংখ্য আঁচড় কা’ট’ল। সবুজ আর্তনাদ করতে পারছেনা। কিন্তু ওর দিকে তাকালেই বোঝা যাচ্ছে, কতটা কষ্ট ও পাচ্ছে।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

” ভাই, একটা সুযোগ আমাকে দাও। আমি নিজ হাতে এদের মারতে চাই। এদের বুঝিয়ে দিতে চাই দৃষ্টি আর কুহু সেদিন কতটা কষ্ট পেয়েছিল। ” রা’গে নিহানের চোখ জ্বলজ্বল করছে।
” এদের সাথে যা খুশি কর। কিন্তু একটা কথা মনে রাখিস, এদের শরীরে যেন পোশাক থাকে। ” তাহমিদ নিহানকে জায়গা দিয়ে মেম্বারের পাশে গিয়ে দাঁড়ায়।

নিহান আজ নিজের আক্রোশ মেটাচ্ছে। ও প্রথমেই সবুজের গোপনাঙ্গ বরাবর লা’থি হাঁকাল। এরপর সবুজের শরীর ফালাফালা করে কা’ট’তে শুরু করে। য’ন্ত্র’ণা’য় সবুজের চোখ বেয়ে অনর্গল পানি ঝরছে। সেদিকে নিহানের খেয়াল নেই। ওর চোখের সামনে শুধু দৃষ্টির কান্নামাখা মুখ ভাসছে।
নিহানকে উন্মাদের মত আচরণ করতে দেখে তাহমিদ ওকে আটকায়। শান্ত হওয়ার সময় দেয় ছেলেটাকে। নিহান অনেক কষ্টে নিজেকে শান্ত করে, আবারও সবুজের দিকে এগিয়ে যায়।

মেঝেতে গলা কা’টা মুরগির মত তড়পাচ্ছে সবুজ। পাশেই মেঝেতে পরে আছে ওর কা’টা পুরুষাঙ্গ।
আনান চোখ বড় করে নিহানের কাজ দেখছে। আজ যেন নিহানকে ওর কাছে সম্পূর্ণ নতুন মানুষ মনে হচ্ছে। সেই সদা গম্ভীর, আর স্বল্পভাষী ছেলেটা যেন কোথায় হারিয়ে গেছে! যে এখন আনানের সামনে আছে, সে শুধুই একজন পা’গ’ল প্রেমিক বৈ কিছুই নয়।

আনান ভাবছে, ভালোবাসা জিনিসটাই এমন। ভালোবাসা কত সহজেই পাল্টে দেয় মানুষকে! একজন প্রেমিক পুরুষ তার কাঙ্ক্ষিত মেয়েকে কখনোই কাঁদতে দেখতে পারেনা, তাদের সাথে হওয়া অন্যায় কখনোই মানতে পারেনা। তাদের কষ্ট সমানভাবে প্রতিফলিত হয় প্রেমিক পুরুষদের বুকে। এজন্যই বুঝি প্রেমিকরা পা’গ’ল উপাধী পায়! তবে এই পা’গ’ল হওয়ার মধ্যেও সুখ আছে। একজন পা’গ’ল প্রেমিকই পারে তার একান্ত আপনজনের দুঃখে তার পাশে থাকতে, তার বিপদে ঝাঁপিয়ে পরতে।

আনান ওর ভাবনার মাঝে লক্ষ্যও করলনা, নিহান মেম্বারের দিকে হাত বাড়িয়েছে। মেম্বার সবুজের পরিনতি দেখে কাঁপছে। আজ তার আফসোস হচ্ছিলো, কেন সে সেদিন বাচ্চা দুটো মেয়ের সাথে এমন আচরণ করেছে। কিন্তু জীবনের শেষ প্রান্তে এসে অনেক সময়ই আফসোস কোন কাজে দেয়না।

একটা সময় সেই আফসোস আহাজারিতে রূপ নেয়। কিন্তু সেই আহাজারি শোনার জন্যও পাশে কেউ থাকেনা। চার দেয়ালের মাঝে চাপা পরে যায় সেই আহাজারি। তখন শুধু অপরপক্ষের মুখেই তৃপ্তির হাসি থাকে। যেই হাসিতে লুকিয়ে থাকে চাপা বেদনা, ক্রোধ। কিছু হারানোর দুঃখ। আজ সেই হাসি হাসছে আনান, তাহমিদ আর নিহান।
একসময় সবুজের মত পরিনতি হয় মেম্বারের। তাহমিদ কব্জিতে থাকা ঘড়িতে চোখ বুলায়। রাত তিনটা বেজে গেছে। ওদের হাতে আর সময় নেই।

মেম্বার আর সবুজের দেহে এখনও প্রান আছে। কিন্তু সেই প্রানে কোন জোয়ার নেই, নেই কোন শক্তি। ওরা আর্তনাদ করার শক্তিটুকু হারিয়েছে।
নিথর হয়ে মেঝেতে পরে রয়েছে।

তাহমিদ নিহানের হাত থেকে ছু’রি নিয়ে সবুজের চোখে গেঁথে দেয়। থ্যাচ করে একটা শব্দ হয়। যা আনানের অন্তরাত্মা কাঁপিয়ে দেয়। আজ ও সম্পূর্ণভাবে উন্মাদ দুইজনের মাঝে দাঁড়িয়ে আছে।
” এটা কুহু আর দৃষ্টির দিকে নজর দেয়ার ফল। যদি তুই কুহুর দিকে কুদৃষ্টি না দিতিস তবে সেদিনের ঘটনা ঘটতনা। আমি আমার সন্তানকে হারাতামনা। আমার কুহুকে হসপিটালের বিছানায় শুয়ে থাকতে হতোনা। ”
এরপর তাহমিদ ধীরেসুস্থে উপড়ে ফেলল সবুজের চোখদুটো। এরপর কে’টে নিল জিহ্বা। তারপর ও তাকায় মেম্বারের দিকে।

এরপর সে দুজনকে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে কা’টা পুরুষাঙ্গ দুটো দুজনের মুখে পুরে দেয়।
তাহমিদ কাজ শেষ করে। এরপর সে এগিয়ে যায় রুমে থাকা গ্যাস সিলিন্ডারের দিকে। সিলিন্ডারের সুইচ অন করে দেয়। আগে থেকেই ঘরের দরজা জানালা বন্ধ থাকায় ঘরে গ্যাস ছড়াতে সময় লাগেনা।
নিহান ছুরিটা ব্যাগে ঢুকিয়ে নিয়েছে। ও ভালোভাবে দেকে নিচ্ছে ওরা কিছু ফেলে যাচ্ছে কিনা।
তাহমিদ ইশারা করলে ওরা দুইজন ঘর থেকে বেরিয়ে হাঁটতে শুরু করল। ওদের গাড়ি এখান থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে পার্ক করা আছে।

শেষবার তাহমিদ রুমের আনাচকানাচে চোখ বুলায়। না ওরা কিছুই রেখে যায়নি। এরপর তাহমিদ বাহিরে এসে দরজা ভালোভাবে টেনে দেয়। এবং অপেক্ষা করতে থাকে।
ঘরের জানালার কপাট একটু ভাঙ্গা ছিল। সেটা দিয়েই তাহমিদ ম্যাচের কাটি জ্বা’লি’য়ে ভেতরে ছুঁড়ে দিতেই গনগনে আ’গু’নে ছেয়ে যায় পুরো ঘর।

কয়েক মিটার হেঁটে এসে পেছন ফিরে তাকায় তাহমিদ। ততক্ষণে আ’গু’ন তার লকলকে জিভ নিয়ে ঘরের বাহিরে ছড়িয়ে পরেছে। আশেপাশের কেউই এখনও বিষয়টা টের পায়নি।
তাহমিদ দৃঢ় পায়ে হাঁটতে থাকে।

নিহান আর আনান বস্তি ছাড়িয়ে হেঁটে চলেছে মেইন রোড দিয়ে। গভীর রাত হওয়ায় রাস্তা ফাঁকাই বলা চলে। তবে মাঝেমধ্যে দুই-একটা গাড়ি সাঁইসাঁই করে ওদের পাশ কাটিয়ে চলে যাচ্ছে। পনের মিনিট পর ওরা ওদের গাড়ির কাছে এসে দাঁড়ায়। অপেক্ষা করতে থাকে তাহমিদের।

প্রায় দেড়শ মিটার হেটে এসে তাহমিদ আবারও পেছনে ঘুরে তাকায়। গনগনে আ’গু’নে জ্ব’ল’ছে পুরো ঘর। ততক্ষণে আশেপাশের বাড়িগুলো থেকে মানুষজন বেরিয়ে এসেছে। নিজেদের পাশের ঘরে আ’গু’ন লাগতে দেখে, তারাও নিজেদের সম্বল নিয়ে বেরিয়ে এসেছে। চেষ্টা করছে নিজেদের সহায়,সম্পত্তি যাতে রক্ষা পায়।
ওরা নিজেদের দিকে নজর দিতে গিয়ে জলন্ত ঘরের বাসিন্দাদের কথা মনে করলনা।

আগুন আশেপাশের বাড়িতে ছড়িয়ে গেছে। মানুষজনের চিল চিৎকারে দাঁড়িয়ে থাকা দায়। অনেকেই ঘুম থেকে উঠে বাহিরে এসেছে। ঘুমের ঘোরে ভুলতে বসেছে দ্বায়িত্ব। হতভম্ব হয়ে তাকিয়ে আছে আ’গু’নে’র দিকে৷
তাহমিদের বেশ খারাপ লাগছে। দুইজনকে শাস্তি দিতে গিয়ে বস্তির অনেককেই আজ নিঃস্ব করছে সে। তবে ও সিদ্ধান্ত নিল, কোন ব্যাক্তি অথবা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে নিজের পরিচয় গোপন করে তাদের ক্ষতিপূরণের টাকা পাঠিয়ে দিবে। ওর জন্য গরীব বস্তিবাসী ভোগ করুক তা তাহমিদ চায়না।

প্যান্টের পকেটে হাত দিয়ে ঠোঁটে একটা প্রিয় গানের সুর এসে শিষ বাজাতে বাজাতে হাঁটতে শুরু করল। অপরাধীদের নিজ হাতে শাস্তি দিতে পারায় ওর মনটা আজ প্রশান্তিতে ছেয়ে গেছে।

পরদিন সকালে প্রত্যেকটা টিভি চ্যানেলে বস্তির আ’গু’নে’র কথা ফলাও করে প্রচার করা হলো। বিভিন্ন চ্যানেলে বলা হচ্ছে, সেখানকার একটা ঘর সম্পূর্ণ ভ’স্মী’ভূ’ত হয়েছে। ঘরে থাকা দুইজন ব্যক্তি পু’ড়ে ছাই হয়ে গেছে। তারা সম্পর্কে পিতাপুত্র ছিল। বস্তিতে তারা খুব বেশিদিন হয়নি এসেছে। তবে বস্তিবাসী তাদের সম্পর্কে ভালো কিছু বললনা। তারা নাকি খুব সকালে কোথাও বেরিয়ে যেত। ঘরে ফিরত রাত করে। আবার রাতের বেলায় নানান ধরনের মানুষের যাতায়াত ছিল সেই ঘরে। বেশ কয়েকজন মাঝরাতে সেই ঘরে কয়েকটা মেয়েকেও ঢুকতে দেখেছে। মোটকথা বস্তির কেউই মৃ’ত দুই ব্যক্তির নামে ভালো কথা বললনা।

ফোনের স্ক্রীনে চোখ রেখে নিউজ দেখছে তাহমিদ। ওর ঠোঁটে তৃপ্তির হাসি। ওর পরিকল্পনা অনুযায়ীই সব কাজ হয়েছে। মাঝরাতে সবুজদের ঘরে যাওয়ার জন্য ও দুইজন মেয়ে ঠিক করেছিল। তবে সেই মেয়েরা সাধারণ কেউ নয়। ওরা তাহমিদের বন্ধু। যেসব মানুষ ওদের ঘরে যাতায়াত করত তারা সকলেই তাহমিদের বন্ধু। দৃষ্টি আর কুহুর করুণ অবস্থা দেখে ওরা তাহমিদের পাশে দাঁড়ায়। প্রতিশোধ নিতে তাহমিদকে সাহায্য করতে চায়। ওরা পাঁচজনই তাহমিদের ছোটবেলার বন্ধু। ওদেরকে তাহমিদ চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করে। আজ ওদের জন্যই তাহমিদের প্রতিশোধের পথটা অনেক সহজ হয়েছে।

কয়েকদিন বস্তির ঘটনা নিয়ে বেশ হৈচৈ হল। পুলিশ তদন্ত করল। কিন্তু সেই পো’ড়া ঘর থেকে ছাই ছাড়া কিছুই উদ্ধার করা সম্ভব হলোনা। পুলিশ সন্দেহ করল, তারা দুইজন মাদক ব্যবসায় জড়িত ছিল। কারো কাছে তাদের ছবি পাওয়া গেলনা। তাছাড়া বস্তিতে এরকম ঘটনা প্রায়শই ঘটে। সেজন্যই বোধহয় হাজারো ফাইলের ভীড়ে চাপা পরে গেল বস্তির আ’গু’নে’র ঘটনা।

পনের দিন পর একটা মানবিক সংস্থা বস্তিবাসীদের জন্য সাহায্য নিয়ে হাজির হয়। আ’গু’নে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী সাহায্য করা হল।
দৃষ্টি এসেছে বড় ফুপুর বাসায়। সিক্তার সাথে সে-ও এসেছে। অবশ্য ওদের সাথে আরোশিও এসেছে।
আফরোজা নাজনীন ভাইয়ের মেয়েকে বুকে জরিয়ে রাখলেন কিছুক্ষণ। মেয়েটার মুখের দিকে তাকালে তার কষ্ট হয়। এতটুকু বয়সে মেয়েটাকে কতইনা দূর্ভোগের মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে।

কায়েসও ঢাকায় আছে। তাকে তার বোনেরা গ্রামে যেতে দেয়নি, আর না তাদের যেতে দেবে। সানাউল রাশেদিন আনানের বাবার সাথে ফুলতলা গিয়ে কায়েসের সব দোকান, শো-রুম ভাড়া দিয়েছেন। জমিজমাও বর্গা চাষ করতে দিয়েছেন। তারা সব ব্যবস্থা করে ঢাকায় ফিরেছেন।

নিহান কয়েকদিনের জন্য চিটাগং গিয়েছিল। সে আজই ঢাকায় এসেছে। ও বর্তমানে তাহমিদের সাথে বসে কথা বলছে। আনানও আছে সেখানে।
বস্তির সেই ঘটনা নির্বিঘ্নে ঘটায় তাদের মনে শান্তির হাওয়া বইছে।

” নিহান, তুই বাসায় যা। আগামীকাল সকালে তোরা কোথাও ঘুরতে যাস। দৃষ্টিকে নিবি সাথে। আনান তুই সিক্তাকে বুঝিয়ে বলিস। আমি বড়মাকে বলে রাখব। তোরা কয়েকজন মিলে সারাদিন বাহিরে কাটাবি। তবে মনে রাখিস, যা-ই করিসনা কেন, দৃষ্টির যাতে ভালো লাগে, সেদিকে খেয়াল রাখবি। মেয়েটা যাতে অতীত ভুলতে পারে, সেই দ্বায়িত্ব তোদের পালন করতে হবে। ”

” তোমাকে রেখে আমরা ঘুরতে যাব, ভাই! ” আনান মন খারাপ করে বলল।
” আনান, মনে রাখিস তোরা প্রতিবারের মত নিজেদের খুশির জন্য ঘুরতে যাচ্ছিসনা। তোরা যাচ্ছিস দৃষ্টির জন্য। ওর মন ভালো করার জন্য। ওকে স্বাভাবিক করার জন্য সব আয়োজন। একবার আমার বউকে সুস্থ হতে দে। ওকে নিয়ে আমরা সবাই সারাদেশ ঘুরে বেড়াব। এবার তোরা বাসায় যা। ” তাহমিদের ঠোঁটে ঝুলছে বিষাদের হাসি। চোখেও বিষাদের ছাপ।

নিহান আর আনান বেরিয়ে গেলে, তাহমিদ চেয়ারে শরীর এলিয়ে দেয়। ওর চোখ পানিতে টইটুম্বুর।
” বউ, আর কত অপেক্ষা করাবে আমাকে? আর কতদিন ধুঁকে ধুঁকে ম’র’তে হবে আমাকে? যেখানে তোমার ক্ষন কালের অনুপস্থিতিই আমাকে ছাড়খাড় করে দিত, সেখানে তোমার ছেড়ে থাকার এই দীর্ঘদিনের বিরহ আমাকে নিঃস্ব করে দিয়েছে। আমি প্রতিনিয়ত দুরাশার দোলাচালে দুলছি। তুমিই পারও আমার জীবনকে সুখে ভরিয়ে দিতে।

আমাকে অষ্টপ্রহর ভালোবাসায় দোলাতে তুমিই পার। ফিরে এস বউ, আমার বুকে খুব তারাতারি ফিরে এস। আমার ঘুম উজার করে নিয়ে, আর কত ঘুমাবে তুমি? ” তাহমিদ হু হু করে কেঁদে উঠল। চেম্বারের এই সাদা দেয়ালগুলো সাক্ষী হয়ে রইল।

বিন্দু থেকে বৃত্ত সিজন ২ পর্ব ৫৬

তারা দেখল একজন পুরুষ তার রমনীর জন্য কতটা ব্যাকুল হয়ে কাঁদছে। তার রমনী বিনা কতটা বুভুক্ষু তার বক্ষস্থল। যে বক্ষস্থলে সে তার রমনীকে পরম যত্নে রেখেছিল। আজ সেই রমনীর বিরহে, তার একান্ত পুরুষ কাঁদছে, ছটফট করছে ভালোবাসা বিনা।

বিন্দু থেকে বৃত্ত সিজন ২ পর্ব ৫৮