বুকে যে শ্রাবণ তার সিজন ২ পর্ব ৩

বুকে যে শ্রাবণ তার সিজন ২ পর্ব ৩
নিশাত জাহান নিশি

“সাহিলকে তুই মা’র্ডা’র করেছিস তাইনা?”
টুটুল চৌধুরীর গলার স্বর চিনতে খুব বেশি একটা বেগ পেতে হলোনা মিশালকে। বিচলিত না হয়ে বরং বুকে সাহস সঞ্চয় করল মিশাল। সময় এসে গেছে এখন নিজের আসল রূপ দেখানোর। নিজের পরিবর্তন সামনের মানুষটিকে টের পাওয়ানোর।

পূর্বের তুলনায় মিশাল এখন আরও অধিক শক্তিশালী হয়ে ওঠেছে। পৃথিবীর এমন কোনো ভয়ঙ্কর ক্ষেত্র বাদ নেই যে ক্ষেত্রকে মোকাবেলা করে ফিরে আসেনি মিশাল! জেলে থাকাকালীন অবস্থায় স্বয়ং মৃত্যুকেও সে কাছ থেকে প্রত্যক্ষণ করে এসেছে। লাইফে এর চেয়ে কঠিন পরিস্থিতি আর কি হতে পারে? এটিই সঠিক সময় সামনে দাড়িয়ে থাকা এই মানুষরূপী পাপিষ্ঠ মানুষটিকে তার পাপের শাস্তি দেওয়ার। এক্ষেত্রে বিন্দুমাত্র কৃপণতা করবেনা মিশাল। এসব ভেবেই নাক ঘঁষে অট্ট হাসল মিশাল। ঝট করে টুটুল চৌধুরীর হাতটি তার কাঁধ থেকে সরিয়ে পিছু ঘুরে তাকালো। দৃষ্টি তার ক্ষীণ ও রক্তশূল। ভাবশূণ্য গলায় বলল,

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

“আমিতো উল্টো আরেকটি খবর পেলাম। শুনলাম আপনিই নাকি সাহিল ভাইকে গাড়ি চাঁপা দিয়েছেন? কোনোভাবে সাহিল ভাইয়ার সাথে আপনার বনাবনি হচ্ছিলনা। আই মিন, আমার থেকে প্রতিশোধ নেয়ার জন্যই পূর্বে মূলত সাহিল ভাই আপনার সাথে হাত মিলিয়েছিল। জারিফের মৃত্যু, সামান্তা ও লাবিবের হাফ মার্ডার, আমাকেও গারোদের পেছনে রেখে মার্ডার করার তীব্র প্রচেষ্টা এসব যখন সাহিল ভাই সামনে আনতে চাইল আপনি তখনই তাকে….
মুখের রঙ পাল্টে গেল টুটুল চৌধুরীর। পিলা চমকে গেল তার। তুমুল গতিতে ক্ষেপে গেলেন তিনি! সত্য যেনো সহ্য হলোনা। মুহূর্তেই মিশালের শার্টের কলার চেপে ধরলেন তিনি। অগ্নিশর্মা দৃষ্টিতে তাকালেন ডানপিটে হাসতে থাকা মিশালের দিকে। গলার আওয়াজ নিম্ন গতিতে এনে চিবিয়ে চিবিয়ে বললেন,

“মুখ সামলে কথা বল। আমি কাউকে মা’র্ডার টার্ডার করিনি। সেদিন আমি দয়া করেছিলাম বলেই কিন্তু তুই আজ জেল থেকে ছাড়া পেয়ে এসেছিস। নয়তো এখনও মায়ের ভোগেই থাকতিস! সো মেপে কথা বল আমার সাথে। কাহিনী উল্টোদিকে ঘুরিয়ে দিসনা। তবে আমার চেয়ে খারাপ কিন্তু কেউ হবেনা।”
“বাংলায় একটি প্রবাদ আছে জানেন? “মাটিতে আঘাত করলে নাকি গুনাহ্গাররা চ্যাতে?” হেয়ার সামথিং ইজ ফিশি! সাহিল ভাইকে সত্যি সত্যিই আপনি মা’র্ডার করেননি তো?”

নিশানা অন্যদিকে ঘুরে গেল। শুকনো ঢোঁক গিললেন টুটুল চৌধুরী। নিজের পাঁতা জালে নিজেই ফেঁসে গেল বিষয়টা এমন মনে হলো। ইদানিং এমনিতেও তিনি ভয়ে ভয়ে থাকছেন। ডিপার্টমেন্টের সবাই তার পেছনে জাসুসি করছেন! কখন কার কোন ট্রেপে ফেঁসে যান তিনি সেই নিয়ে বেশ দুঃশ্চিতায় ভুগছেন। মিশালের একটি টোটকাতেই জবান বন্ধ হয়ে গেল তার। হাত-পা একাধারে কাঁপতে শুরু করল।

ইতোমধ্যেই সেদিনকার সেই পুলিশ অফিসারটি ঘটনাচক্রে উপস্থিত হয়ে গেলেন। যে পুলিশ অফিসারটি টুটুল চৌধুরীর বিরুদ্ধে প্রমাণ জড় করে সামান্তাকে সাহায্য করার চেষ্টা করেছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত তো তা হয়ে ওঠেনি। সেদিনের সেই এক্সিডেন্ট সব লণ্ডভণ্ড করে দিয়েছিল। গাড়ির সাথে সাথে রেকর্ড করা ফোনটিও চুরমার হয়ে গিয়েছিল। এরপর থেকে টুটুল চৌধুরীর বিরুদ্ধে স্ট্রং কোনো প্রমাণ জোগাড় করতে পারেননি অফিসারটি।

ঘটনার পাঁচ মাস পরে নিজেকে ভালো প্রমাণ করার জন্য এবং নিজের চাকুরীকে বাঁচানোর জন্য টুটুল চৌধুরী মিশালের কেইসটি তুলে নিয়েছিলেন! কোনো না কোনোভাবে তিনি বুঝতে পেরে গিয়েছিলেন তার বিরুদ্ধে প্রমাণ জোগাড় করা হচ্ছিল। আর সেই কারণেই তিনি অযথা নিজের ক্যারিয়ার খারাপ করতে চাননি। মিশাল ও সামান্তার জীবনকে যতোটুকু খারাপ করার তা তো তিনি করেই দিয়েছিলেন! তাই এই পর্যায়ে এসে ক্ষান্ত হয়ে গিয়েছিলেন।

মিশালের শার্টের কলার থেকে টুটুল চৌধুরীর হাতটি সরিয়ে নিলেন পুলিশ অফিসার আব্রাহাম খান। তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকালেন তিনি টুটুল চৌধুরীর দিকে। মাথা থেকে ক্যাপটি খুলে কদাচিৎ হেসে বললেন,
“সরি টু ইনফর্ম ইউ স্যার। কেইসটিকে তদন্ত করার ভার এখন উপর মহল থেকে আমার ওপর দেওয়া হয়েছে। আর আপনাকে বিশেষভাবে আমাদের ডি আই জি স্যার ডেকেছেন! কিছু ছাওয়াল জওয়াবের জন্য!”
“হোয়াট? কেইসটিকে এখানে তদন্ত করার কি আছে? ইট’স অ্যান অ্যাক্সিডেন্ট কেইস। তাছাড়া তোর আচরণের এতো পরিবর্তন হলো কিভাবে? আমি তো তোর সিনিয়র। ভদ্রতার সাথে মাথা নামিয়ে কথা বল।”

“সিনিয়র হিসেবে নিজের মর্যাদার জায়গাটুকুন কতটুকু অক্ষুন্ন রেখেছেন তা আগে ভাবুন! বাই দ্য ওয়ে, আই থিংক ডি আই জি স্যারের কল আসার আগেই আপনি যদি উনার সাথে দেখা করতে চলে যান তবে হয়তো আপনার জন্যই ভালো হবে স্যার! জুনিয়র হিসেবে আপনার এতটুকু ভালো আমি চাইতেই পারি।”
পূর্বের তুলনায় টুটুল চৌধুরী অধিক ক্ষেপে আব্রাহাম খানের শার্টের কলার ধরার পূর্বেই আব্রাহাম খান পিছু ঘুরে বাড়ির ভেতর ভীড় জমিয়ে পাড়া প্রতিবেশীদের এক প্রকার ধমকে বললেন,

“কি ব্যাপার হ্যাঁ? এখানে এতো ভীড় জমিয়ে রেখেছেন কেন? সার্কাস হচ্ছে এখানে? যান, যে যার বাড়ি চলে যান। বাড়ির মেইন গেইট এখন বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্লিজ হারি আপ।”
আব্রাহাম খানের সাহস দেখে অবাক না হয়ে পারলেন না টুটুল চৌধুরী। এভাবে এড়িয়ে চলা তাকে? পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়ার পূর্বেই ডি আই জি স্যারের কল চলে এলো টুটুল চৌধুরীর ফোনে! ঘাবড়ে ওঠলেন তিনি। স্ক্রীনের দিকে তাকিয়ে ভয়ে কাঁপতে লাগলেন। আর এক মুহূর্তও সময় ব্যয় করলেন না। একপ্রকার দৌড়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে গেলেন। কপালে কি আছে আজ তা ভাবতে ভাবতেই আল্লাহ্’র নাম যপ করতে লাগলেন!

আব্রাহাম খানের চ্যাচাম্যাচিতে বাড়িভর্তি মানুষজন এক এক করে বাড়ি থেকে বের হয়ে যেতে লাগলেন। অবাক হলেন তারা অফিসারের এহেন বিরূপ আচরণে। মরা বাড়িতে মানুষ থাকবে না তো কি থাকবে? এতো বড়ো একটা দুর্ঘটনা ঘটে গেল এই বাড়িতে, আর প্রতিবেশীরা দেখতে আসবেনা? বিষয়টা একটু বেশিই বাড়াবাড়ি হয়ে গেল। পুলিশের নামে তারা নিন্দে মন্দ করতে লাগল।

এরইমধ্যে আরেকটি চাঞ্চল্যকর বিষয় ওঠে এলো। অপ্রত্যাশিত এক কানাঘুষা ভেসে আসতে লাগল হতভম্ব হয়ে দাড়িয়ে থাকা মিশালের কর্ণকুহরে। সবাই প্রায় একই কথা জপ করছিল সাহিল ও সামান্তার বিয়েটা হলো কবে! এলাকার মানুষ হয়েও তারা কিছু জানতে পারলনা। কেউ তাদের কিছু জানায়ওনি। বিষয়টা কেমন যেনো হজম হচ্ছেনা তাদের। সাহিলের মৃত্যটাও মানতে পারছেনা তারা। সবকিছু কেমন যেনো ধোঁয়াশা লাগছে, কিছু তো একটা ঘাপলা নিশ্চয়ই রয়েছে।

মুহূর্তেই টনক নড়ল মিশালের। মাথা ঘুরতে লাগল তার। সাহিল ও সামান্তার বিয়ে হলো অথচ এলাকার মানুষজন এ-ই বিষয়ে কিছুই জানেনা! এটা কিভাবে সম্ভব? মিশাল জেল থেকে ছাড়া পেয়ে এলো আজ সাতদিন হলো, সামান্তা ও সাহিলের বিয়ের আজ দশদিন পূর্ণ হতে চলল! মাঝখানে পাঁচমাস মিশালকে জেল খাটতে হয়েছে আর সামান্তা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে মাত্র মাস খানেক হলো।

একমাসের মধ্যে কি এমন ঘটে গেল যার কারণে সামান্তা ও সাহিলের বিয়ে হয়ে গেল? যেখানে তাদের দুজনের সাথে আরও দুজনের জীবন জড়িয়ে রয়েছে। বিয়ের দশদিনের মাথায় সাহিলেরও মৃত্যু ঘটল! টুটুল চৌধুরী, আব্রাহাম খান, সামান্তার ঐ সময়ের অদ্ভুত আচরণ। সব মিলিয়ে মিশালের মাথা পাগল হয়ে যাচ্ছিল প্রায়। মাথায় তীব্র ব্যথা অনুভব হচ্ছিল তার। কপাল ঘঁষতে লাগল সে।
ইতোমধ্যেই বাড়ির মেইন গেইট লাগিয়ে আব্রাহাম খান মৃদু হেসে মিশালের কাঁধে হাত রাখলেন। মিষ্টি হেসে নমনীয় স্বরে বললেন,

“হেই ইয়াং ম্যান? তুমি এখানে কি করছ? বাড়ি যাও, ফ্রেশ হও, রেস্ট নাও, পরিবারকে সময় দাও, জীবনকে উপভোগ করো। আমি এখানকার সব সামলে নিচ্ছি ওকে?”
রহস্যময় হাসি হেসে মিশালকে চোখ মারলেন আব্রাহাম খান! বোকা বনে গেল মিশাল। কি চলছে এখানে এসব? কিছুই তো স্বাভাবিক মনে হচ্ছেনা। তার অগোচরে কিছু একটা ঘটে যাচ্ছে যা সে টের পাচ্ছেনা। সাহিলের লাশটির দিকে একবার ঘুরে তাকালো মিশাল। লাশের পাশে মাথায় হাত দিয়ে বসে আছেন তরুন চৌধুরী।

তাঁর পাশে নিথর হয়ে বসে আছেন নাজিয়া চৌধুরী। সাহিলের লাশটির দিকে একবার সূক্ষ্ম দৃষ্টিতে তাকিয়ে মিশাল কপাল কুঁচকালো। মনে হলো কাফনের কাপড়টির ওপর লাল রঙ ঢেলে দেওয়া হয়েছে! হিসেব অনুযায়ী সাহিলের মৃত্যুর প্রায় আটঘণ্টা চলছে। অথচ তার শরীর থেকে এখনও রক্ত ঠিকরে পরছে। এতক্ষণে তো রক্ত বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। রক্তক্ষরণ যতোটুকু হওয়ার দরকার তা তো ঘটনাচক্রেই ঝরে গিয়েছে। তার বিচারবুদ্ধি তো অন্তত তাই বলছে। খটকা লাগল তার। দৌড়ে সাহিলের লাশটির পাশে গেল সে। অমনি ঘটে গেল আরও একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা!

সাহিলদের বাড়ির গেইট ভেঙে ফেলার উপক্রম হয়ে গেছে প্রায়! কয়েকদল গুন্ডা মস্তানদের মতো লোক এসে হাতে লাঠি ও ছু’রি, চা’পাতি নিয়ে গলা ভেঙে চিৎকার করে হরদমে বলতে লাগল,
“এই গেইট খোল? জেনিয়াকে বের করে দে! কোথায় লুকিয়ে রেখেছিস তাকে?”
আব্রাহাম খান দৌড়ে গেলেন সেখানে। ঘটনাটিকে তিনি স্বাভাবিকভাবেই নিলেন। মনে হলো যেনো তিনি আগে থেকেই প্রস্তুত ছিলেন এই ঘটনাটির জন্য। বেশ ভাবসাব নিয়ে তিনি হাতে থাকা লাঠিটি ঘুরাতে লাগলেন। শার্টের কলার উঁচিয়ে বখাটে ছেলে গুলোকে উদ্দেশ্য করে বললেন,

“কি ব্যাপার? কি কাজ এখানে?”
“এই বাড়ির ছেলে আমার হবু বৌ আমার জেনিয়াকে নিয়ে পালিয়েছে! গেইট খুলে দিন বলছি। আমি আমার হবু বৌকে ফেরত চাই।”
“এই তোরা কি পাগল হয়ে গেছিস? এই বাড়ির ছেলে তো গতকাল রাতেই রোড এক্সিডেন্টে মা’রা গিয়েছে! ঐযে পেছনেই তার লাশ!”

সামান্তাকে নিয়ে বাড়ি ফিরল সবাই। জেসমিন বেগম, মিজানুর রহমান, সাইফা ও লাবিব মিলে সামান্তাকে ধরাধরি তার বিছানায় শুইয়ে দিলো। আচমকা তিন তিনজনের দিকে তাকিয়ে স্বস্তির শ্বাস ফেলল। মুখের বিবর্ণ রঙ পাল্টে মুচকি হাসল! দৌড়ে গিয়ে সাইফা রুমের দরোজার খিল আটকে দিলো! শাহনাজ বেগম, সায়মা ও রুমকি বাড়ির ড্রইংরুমে মন ভার করে বসে আছে। সাহিলের অ্যাক্সিডেন্ট তারা ভুলতে পারছেনা। তাদেরকে এড়িয়ে যাওয়ার জন্যই মূলত রুমের দরোজাটি আটকে দেওয়া রুমকির।

দরোজা লাগানোর শব্দ পেয়ে ইতোমধ্যেই সামান্তা অবচেতন হওয়ার ভান ধরা অবস্থা থেকে তরতরিয়ে শোয়া থেকে ওঠে বসে গেল! পেরেশান হয়ে সে বালিশের তলা থেকে একটি সেলফোন বের করল। হুড়োহুড়ি করে কারো নাম্বারে ডায়াল করল। প্রথম কল বেজে ওঠতেই ঐ পাশ থেকে রাফিন কলটি তুলল! দ্রুত গলায় বলল,
“হ্যাঁ, সামান্তা বলো?”

“ওখানের সবকিছু ঠিকঠাক আছে তো ভাইয়া? জেনিয়া ঠিক আছে তো? সাহিল ভাইয়া ঠিক আছে?”
“হ্যাঁ ঠিক আছে। সবাই ঠিক আছে। আগে বলো তোমাদের ওখানের কি অবস্থা?”
“সব প্ল্যান মোতাবেকই চলছে। তুমি শুধু সাহিল ভাই ও জেনিয়াকে একটু দেখেশুনে রেখো। জাস্ট দুইদিনের জন্য। এরমধ্যেই টুটুল চৌধুরীর কেচ্ছা আমরা খতম করে ফেলব! আব্রাহাম স্যার তো আছেই। তিনি ঐদিক ম্যানেজ করে নিবেন। সাথে জেনিয়ার বিয়েটাও আটকে যাবে। তারা হয়তো সাহিল ভাইয়ার বাড়িতে হামলা করতে এসেও পরেছে।”

বুকে যে শ্রাবণ তার সিজন ২ পর্ব ২

“তোমার প্রশংসা না করে পারছিনা সামান্তা। এক ঢিলে কিভাবে দুই পাখি শিকার করতে হয় তা তোমার কাছ থেকেই শিখা উচিৎ। কিন্তু আমি ভাবছি মিশাল? মিশাল যদি আমাদের প্ল্যান ধরে ফেলে?”

বুকে যে শ্রাবণ তার সিজন ২ পর্ব ৪