ভালোবাসার বর্ষণ পর্ব ১৬

ভালোবাসার বর্ষণ পর্ব ১৬
নীহারিকা নুর

ছেলে মানুষের নাকি কাধতে নেই৷ কিন্তু সেদিন পুরো হসপিটাল কেপে উঠছিল তুরাগ ভাইয়ের কান্নায়। তুরফা আপু তুরাগ ভাইকে তার মায়ের করা আচরণের কথা বলতেই মেজাজ বিগড়ে গিয়েছিল। মন চাচ্ছিল মাকে কড়া কোন শাস্তি দিতে৷ কিন্তু সেটা তো কোন ভাবেই সম্ভব নয়৷ তিনি যে গর্ভদারিনী। তার সাথে বেয়াদবি করাটাকেও মন সায় দিচ্ছিল না৷ যেই মাকে আদর্শ মানত সে এমন একটা কাজ করলো। মায়ের উপর কিছু বলতে না পেরে একের পর এক নিজেকে আঘাত করে যাচ্ছিলেন তিনি। সেদিন আমরা যখন হসপিটাল পৌছেছিলাম তখন আপুর কাছে পৌছানোর আগে তাকে সামলাতে হয়েছিল।

আপুর সেন্স ছিল না প্রায় দু দিন এর মতো। এর মধ্যে ঘটে গিয়েছিল আরো ভয়ানক দূর্ঘটনা। আমাদের মতো মধ্যেবিত্ত পরিবারের মানুষের কাছে সম্মান অনেক বড় একটা জিনিস। আমার বাবা অনেক কষ্টে সেই সম্মান অর্জন করেছিলেন৷ আপুর এরকম করায় তার সম্মানে ভীষণ আঘাত লেগেছিল। এলাকায় তার যেটুকু সুনাম ছিল তা যেন মুহূর্তেই ধুলিসাত হয়ে গিয়েছিল। নানান জন বাবাকে নানান কথা শোনাচ্ছিল যেগুলো কর্নপাত করা বাবার পক্ষে সম্ভবপর হয়ে ওঠেনি।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

তিনি হার্ট এট্যাক করে বসলেন। এদিকে আম্মু আর আমি দুজনই হসপিটালে আপুর কাছে। বাবার কাছে কেউ ছিল না। না ছিল হসপিটাল নেওয়ার কেউ৷ আমরা যতক্ষনে খবর পেয়েছি ততক্ষণে বেশ দেরী হয়ে গিয়েছে। বাবা আর আমাদের সাথে দুটো কথা বলার ফুসরত পান নি। তার আগেই তিনি পাড়ি জমিয়েছিলেন না ফেরার দেশে।
একটা প্রণয়কাহিনী আমাদের পুরো পরিবারকে ভেঙে তছনছ করে দিয়েছে।

আপুর যখন সেন্স ফেরে তখন আপুর পাশে তুরফা আপু ছিল। নুরনাহার আন্টির তখন হয়ত কিছুটা অনুশোচনা হয়েছিল এজন্য তিনিও গিয়ে মাঝে মাঝে দেখে আসতেন।
বাবার লা’শ দাফনের পরে আমরা আবারও ছুটে গিয়েছিলাম ঢাকায় আপুর কাছে। এই কয়টা দিন যে কত ঝড় গিয়েছে আমাদের উপর সেটা একমাত্র উপরওয়ালাই জানেন। তবে তুরাগ ভাই তখন ঢাল হয়ে আমাদের মাথার উপরে ছিলেন। আমরা গেলাম। দেখা করলাম আপুর সাথে। আপু আম্মুকে জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কেঁদেছিল।

আম্মুও বারবার আচলে চোখ মুছছিলেন। আপুর সামনে কাধলে ও তো আরো ভেঙে পড়বে। তুরফা আপুর কাছে জানতে পারলাম আপু সবার সাথে স্বাভাবিক ভাবে কথা বললেও তুরাগ ভাইয়াকে সে মোটেও সহ্য করতে পারতেছে না। আমাদের প্রথম বিশ্বাস হচ্ছিল না৷ কিন্তু পরে যখন তুরাগ ভাইয়া আবার কেবিনে আসে আপু চিতকার চেচামেচি করে তাকে দেখে। তুরাগ ভাইয়ার চোখে সেদিন ফুটে উঠেছিল অসহায়ত্বের ছাপ। এখানে তার কি দোষ। মিথিপু তার সাথে কেন এমন করতেছে সেটা কেউই অনুমান করতে পারছিল না।

এরপর কে’টে গিয়েছে বেশ কিছু দিন। আপুকে বাসায় নিয়ে আসার সময় হয়েছে। এর মধ্যে তুরাগ ভাইয়া আর আপুর সামনে যেত না। এসে দূর থেকে দেখে চলে যেত। আপুও আস্তে আস্তে কেমন নিশ্চুপ হয়ে গেল। আপু নিজেকে নিজে সর্বধা দোষারোপ করত। তার জন্যই নাকি বাবা আজ বেঁচে নেই। আম্মু অনেক বুঝিয়েছে যে জন্ম মৃ’ত্যুর উপরে কারো হাত নেই। তার সময় ফুরিয়ে গিয়েছিল তাই আল্লাহ তাকে তার কাছে নিয়ে গিয়েছে। তাও আপু বুঝতে চাইত না।

আপুকে বাসায় নিয়ে আসার বেশ কিছু দিন পরে নুরনাহার আন্টি আর তুরফা আপু আমাদের বাসায় এসেছিল। প্রথমে ভেবেছিলাম হয়ত আপুর খোজ খবর নিতে এসেছে। কিন্তু পরে শুনি যে তিনি আপুকে সব সময়ের জন্য তার বাসায় নিয়ে যেতে এসেছেন। যদিও আমার আম্মুর মনে মনে ক্ষোভ ছিল নুর নাহার আন্টির জন্য কিন্তু তার এই অনুশোচনা আম্মুর মনকে কিছু টা নরম করেছিল। আম্মু বলেছিল

– আপা ওর তো দুটো পা নেই ওকে আপনার বাসায় নিয়ে গিয়ে কি করবেন।
– দেখেন আপা আজ এই দূর্ঘটনা টা তো আমার মেয়ের সাথে ও হতে পারত। তখন কি আমি ওকে ফেলে দিতাম।
নুরনাহার আন্টির এত মিষ্টি মিষ্টি কথায় আম্মু প্রায় পটে গিয়েছিল তবে যখন আপুর সাথে এ ব্যাপারে কথা বলতে যায় ও সরাসরি না করে দেয় আম্মুকে। তখন নুরনাহার আন্টি নিজে গিয়েছিল আপুকে বোঝাতে। কিন্তু আপু রাজি না হয়ে উল্টো নুরনাহার আন্টিকে জিজ্ঞেস করেছিল

– আপনার ছেলে আপনার সাথে রাগ করে আছে তাই না?
আপুর প্রশ্ন শুনে নুরনাহার আন্টির মুখ চুপসে গিয়েছিল।
– দেখেছেন আন্টি আমি ঠিকই ভেবেছিলাম। নয়ত একটা পঙ্গু মেয়েকে আপনি আপনার বউ করতে চাচ্ছেন বিষয়টা একটু হাস্যকর নয়। এখন ছেলের রাগ ভাঙাতে আমাকে বউ করবেন এরপর ছেলে ঠিক হয়ে গেলে আবার আপনার আসল রুপ বেরিয়ে আসবে।

আন্টি সেদিন চুপ করে গিয়েছিলেন। তার আসল উদ্দেশ্য এটাই ছিল ছেলেকে আবার আগের মতো করে নেয়া। তবে আপু ছিল তার কথায় অনড়। উপরওয়ালা তার ভাগ্যে যা লিখেছেন তাই হবে তবুও ওই বাসার বউ হয়ে যাবে না ও। নুরনাহার আন্টিকে আপু না করে দেয় আর আমাদের বাসায় আসতে৷ এরপর আর কখনো তিনি আসেন নি আমাদের বাসায়।
তুরাগ ভাইয়াকেও বহুবার নিষেধ করেছে আসতে তবুও আসে সে। তুরাগ ভাইয়াকে দেখলে আপু চেচামেচি করে, কথা বলে না। আপু চায় তুরাগ ভাইয়া তাকে ভুলে যাক। কিন্তু সেও নাছোড়বান্দা।

এই যে আম্মুর চাকরিটার ব্যাবস্থাও কিন্তু সে করে দিয়েছে। আপুর চিকিৎসা খরচ তাও দেয়। তবে আপু জানে না। আমরাও অনেক বুঝিয়েছি আপুকে। কিন্তু সে চায়না তুরাগ ভাইয়ের জীবন তার মতো পঙ্গু মেয়েকে বিয়ে করে নষ্ট হয়ে যাক। এক্ষেত্রে তুরাগ ভাইকে দোষ দিতে পারি না আমরা। তিনি তার সাধ্য মতো যথেষ্ট চেষ্টা করেন।
আজ তোমাকে ওদের সাথে বসতে না দিয়ে ছাদে কেন নিয়ে আসলাম জানো?
এই কথাটা জানার জন্য তো তরুর মন শুরু থেকেই ছটফট করছিল। তাই ন্যানোসেকেন্ড ও লস না করে জিজ্ঞেস করলো

– কেনো এনেছো?
– কারণ ওরা রুমকে এখন রনক্ষেত্র বানাবে। ওদের বিষয় ওদেরকেই বুঝে নিতে দিলাম। ওরা দুজন নিজেরা কথা বলে যদি সমাধান হয় তো ভালোই।
– ওহ আচ্ছা।
– আচ্ছা অনেক সময় তো হলো৷ চলো নিচে যাই। আপু হয়ত এতক্ষণে ঘুম থেকে জেগে গিয়েছে।
– হুম।

সিড়ি দিয়ে নামতে নামতে তরু চিন্তা করে – এত কিছু হয়ে গেল অথচ দেখো ও কিছুই জানে না। ও কি এতটাই ছোট যে ওর আম্মু সব সময় সব কিছু থেকে ওকে দূরে দূরে রাখত। তহমিনা অবশ্য সব সময় চেয়েছে তরু যেন লেখা পড়া ছাড়া অন্য কোন দিকে মন না দেয়। কিন্তু এটা বুজতে চাইত না সবার প্রতিভা এক রকম হয় না৷ এই যেমন ছোট বেলা থেকেই তরুর ঝোক ছিল আকাআাকির প্রতি। ইচ্ছে ছিল আার্ট স্কুলে ভর্তি হবে।

কিন্তু তহমিনা তাকে ভর্তি করে দিল জেনারেল লাইনে৷ আবার নাইনে ওঠার পরে জোর করে সাইন্স ধরিয়ে দিল। সারাদিন পড়ার টেবিলে আটকে রাখার চেষ্টা করল। কিন্তু ফল তো সেই শুন্য। এখন তো কোন দিকই হলো না৷ আসলে সন্তানদের যেসব বিষয়ে প্রতিভা রয়েছে সেগুলো যদি আরো একটু ভালোভাবে পরিচর্যা করা যায় তাহলে তার থেকে ভালো একটা ফলাফল পাওয়া সম্ভব৷ এটা না করে জোর করে মাথায় কিছু চাপিয়ে দিলে সেটার ফলাফল খুব একটা ভালো হয় না৷

চেচামেচির শব্দ শুনে ধ্যান ভাঙে তরুর। খেয়াল হয় এতক্ষণে ওরা মিথিলা আপুর রুমের সামনে চলে এসেছে। আর ভেতর থেকে মিথিলা আপুই তুরাগ ভাইয়ের সাথে চেচাচ্ছে। বারবার বলতেছে না করার পরেও এ বাসায় আসো কেন। আমাকে কি একটু শান্তিতে থাকতে দিবে না। তুরাগ ভাইয়া চুপচাপ এখনো মাথার কাছে বসে আছে। তরু অবাক হয়ে তুরাগ এর দিকে তাকিয়ে থাকে। আজ যেন অন্য এক তুরাগ ভাইকে দেখছে ও।

সেদিন ভীরের মধ্যে যখন সযত্নে তরুর হাত ধরে লোকসমাগম থেকে বের করে আনছিল তখন থেকেই তরু মনে মনে অন্য কিছু ভাবছিল। ওর মনে হচ্ছিল তুরাগ হয়ত অন্য নজরে দেখে। এখন নিজের উপরই নিজে ধিক্কার জানায়। মনে মনে আওড়ায় ছি ছি তরু। এত তাড়াতাড়ি এত কিছু ভেবে ফেলা তোর ঠিক হয় নি৷ তুরাগ ভাইকে দেখ কি সুন্দর তার ভালোবাসার মানুষের পাগলামি সহ্য করে যাচ্ছে। কেউ মন থেকে ভালো না বাসলে এটা করতে পারে। তুরাগ ভাই হয়ত মামাতো বোন ভেবেই কেয়ার করেছে। আর তুই কি না। ছি।

তরুকে দরজার সামনে দাড়িয়ে থাকতে দেখে মিথিলা আলতো হাতে চোখ মুছে নেয়। এরপর তরুকে ভেতরে যাওয়ার জন্য ডাক দেয়। মিথিলার ডাক শুনে তরু পা বাড়ায় ভেতরের দিকে। তুরাগ বেড এর যে পাশে বসা তার অপজিট সাইডে গিয়ে দাড়ায় তরু। মিথিলা ওকে বসতে বলে। মিথিলার কথা অনুসরণ করে তরুও মিথিলার বেডের কর্নার ঘেসে বসে। তরুর দিকে তাকিয়ে মিষ্টি একটা হাসি দেয় মিথিলা। তরুর বেশ পছন্দ হয় মিথিলাকে৷ কি সুন্দর হাসি৷ মিথিলা আপু দেখতেও খুব মিষ্টি।

– তুমি তরু তাই না?
মিথিলার মুখে তরু নাম শুনে একটু অবাক চোখে তাকায় তরু। মিথিলা আপুু ওর নাম কি করে জানল। এরপর তুরাগ এর দিকে তাকায়। ভাবে হয়ত তুরাগ ভাই বলেছে।
মিথিলা বিষয়টা লক্ষ্য করে বলে

– তার দিকে তাকিয়ে লাভ নেই। সে তোমার কথা বলে নি। আমি তোমাকে অনেক আগে থেকেই চিনি।
– কি বলছো আপু। কীভাবে চিনো।
– তুরফা আমাকে দেখিয়েছিল। আর কি বলেছিল জানো ওর যদি আরেকটা ভাই থাকত তাহলে নাকি তোমাকে আমার জা বানিয়ে দিত।

এই কথাটা বলে একটু জোড়েই হেসে দেয় মিথিলা। তরু লজ্জা পায় কিছু টা। তবে মিথিলার চোখের কোনে দেখা যায় জ্বল। সেসব কথা কথাই রয়ে গেল এটা ভেবে কষ্ট হয় মিথিলার। মিথিলার চোখের জল নজর এড়ায় না তরুর৷ মিথিলাকে আবার হাসাতে তরু বলে আচ্ছা মন খারাপ করো না৷

আমি যাকে বিয়ে করব না তাকে শর্ত দিয়ে নিব যে আমাকে বউ বানানোর আগে তার তুরাগ ভাইয়াকে ভাই বানাতে হবে৷ আপন ভাই না হলেও আমরা আপন জা এর মতো থাকবনে কেমন৷
তরুর কথা শুনে জোর করে মুখে হাসির রেখা টানে মিথিলা। ও তো তুরাগকে কখনোই বিয়ে করবে না। তুরাগ এর যে এখনো অনেক পথ চলা বাকি৷ ওর জীবন তুরাগ এর জীবনের সাথে জড়িয়ে তুরাগ এর জীবন নষ্ট ও কোন ভাবেই করতে চায় না।

মিথিলা মোহনাকে ডেকে বলে তরুকে নাস্তা দেয়ার জন্য। মোহনা কাল বিলম্ব না করে চলে যায় সেখান থেকে৷ মোহনা কাজে খুব চটপটে একটা মেয়ে। অল্প কিছু সময়ের ভেতরেই আবার চায়ের ট্রে আর বিস্কুট, চানাচুর এসব নিয়ে আসে সেখানে। মোহনা নিজেই তরুর হাতে চায়ের কাপ তুলে দেয়। তুরাগ কে দিতে গেলে সে জানায় খাবে না। মিথিলাকে জিজ্ঞেস করে আপু তোমাকে দেই?

মিথিলাও নাকোচ করে দেয়। তরু চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে এদের কান্ড দেখে।
মোহনা আস্তে তুরাগ এর কানের কাছে গিয়ে কিছু বলে৷ কি বলছে সেটা ঠিক অনুমান করতে পারে না তরু। তবে মোহনার কথা শুনেই চেয়ার ছেড়ে উঠে দাড়ায় তুরাগ। অসহায় চোখে একবার তাকায় মিথিলার দিকে। এরপর তরুকে তাড়া দেয় ওঠার জন্য। বলে

– চা তাড়াতাড়ি শেষ করো। সন্ধ্যা হয়ে যাচ্ছে। ঢাকায় পৌঁছাতে হবে তো।
তুরাগ এর দিকে একবার তাকিয়ে মুখ অন্য দিকে ঘুরিয়ে নেয় মিথিলা। মুখ চেপে চাপা কান্না কাধছে মিথিলা। তুরাগ অপজিট সাইডে থাকলেও এপাশে থাকা তরুর সেটা বুজতে বেগ পেতে হয় না। চায়ের কাপ রেখে উঠে দাড়ায় তরু। মিথিলার মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়। নিচু কন্ঠে বলে – আজ আসি আপু। তবে আবার আসব। সেদিন কিন্তু অনেক সময় নিয়ে আসব। তোমার সাথে গল্প করতে।

কিছু সময় আগেও তুরাগকে মিথিলার মাথায় হাত বুলাতে দেখে কষ্ট হচ্ছিল তরুর। আর এখন নিজেই আদরের সহিত হাত বুলাচ্ছে। কি অদ্ভুত তাই না।
তুরাগ আর পেছন ঘুরে না তাকিয়ে বেড়িয়ে যায়। পেছন পেছন বের হয় তরুও। গাড়িতে উঠে বাহিরের দিকে নজর দেয় তরু। তুরাগ মনযোগ দেয় ড্রাইভিং এ। কয়েক মিনিট যেতে না যেতেই ঝুম বৃষ্টি শুরু হয়। তার মধ্যে এলোপাতাড়ি ভাবে গাড়ি চালাচ্ছে তুরাগ। এই মুহুর্তে সেসব কোন দিকেই নজর নেই তরুর।

সে বাহিরে তাকিয়ে বৃষ্টি বিলাসে ব্যাস্ত। হুট করে ব্রেক কষে তুরাগ। এত স্পিডে চলন্ত গাড়িটা হুট করে ব্রেক কষায় তাল সামলাতে পারে না তরু। মাথা গিয়ে বাড়ি সামনে। মুহুর্তেই রক্তপাত শুরু হয় সেখান থেক। তুরাগ তাকিয়ে দেখে মেয়েটা সিটবেল্ট না বেধেই বসে ছিল গাড়িতে।

ভালোবাসার বর্ষণ পর্ব ১৫

তুরাগ নিজের হাত দিয়েই ঘুষি মা’রে স্টিয়ারিং এ৷ মুখ থেকে ধ্বনিত হয় – ওহ৷ সিট। নিজেকে এখন বড্ড বোকা মনে হচ্ছে। তারই খেয়াল করা উচিত ছিল মেয়েটা যে সিটবেল্ট বাধে নি। গোঙানির শব্দ কানে আসতেই হুশ ফেরে তুরাগ এর।

ভালোবাসার বর্ষণ পর্ব ১৭