মেজর পর্ব ১৮

মেজর পর্ব ১৮
জাকিয়া সুলতানা ঝুমুর

মিতু মুশফিকের বুকে মাথা রেখে ঘুমিয়েছে।মুশফিক একটুও দুষ্টুমি করেনি,বরং মিতু কাল বলেছিলো নামায পড়বেনা সেই কথাটা মাথায় রেখে নিজের সংযম,গভীর থেকে গভীর অনুভূতি, অধিকারবোধ সব দূরে সরিয়ে রেখে মিতুকে বুকে জায়গা দিয়েছে।প্রিয়তমার শরীরের শান্তির থেকে মনের শান্তি বেশী গ্রহনযোগ্য।মুশফিক কোন টিনেজ বালক না যে ঝাপিয়ে পড়বে বরং সে তাদের সম্পর্কটা সহয করছে এতে করে মিলনের সুখ দ্বিগুণ হয়ে ধরা দেবে।

মুশফিকের অনেকদিন পরে অভ্যাসের ব্যাঘাত ঘটে।তার ফজরের নামায পড়া হলোনা।ঘুম ভাঙ্গলো সকাল সাড়ে সাতটায়।এত ঘুম সে কখনোই ঘুমায়নি।ঘুম ভেঙ্গে নিজের কুম্ভকর্ণ ঘুমের উপর নিজেই বিরক্ত।অতিরিক্ত ঘুমানোর ফলে শরীর ব্যাথা করছে,মাথা ভার হয়ে আছে।মুশফিক বিছানা ছেড়ে উঠে দাঁড়ায়।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

মিতু রুমে নেই,এতো সকালে কোথায় যেতে পারে?মুশফিক প্রাতঃকালের কাজ শেষ করে নিচে যায়।নিচে গিয়ে কিচেনের সামনে দাঁড়িয়ে বিষ্ময়ে কিংকর্তব্যবিমুঢ় হয়ে যায়।তার রান্নাঘরের ছাদ ফেরে বুঝি অবতরন করেছে এক পাকাপোক্ত রাজকন্যাসম গৃহিনী।সবুজ সুতির শাড়ি গায়ে পরে,আঁচল কোমড়ে গুজে একমনে রান্না করছে।মিতুর চেহারায় আজকে পুরো গিন্নি গিন্নি ভাব চলে এসেছে,ব্যস্ত হাতে তাড়াতাড়ি কাজ শেষ করতে চাইছে।মুশফিক নিজের চমকানো চেহারা আড়াল করে ধীর পায়ে মিতুর দিকে এগিয়ে যায়।

মিতু ভেজিটেবল ফ্রাইড রাইস রান্না করেছে সাথে চায়নিজ সবজি।মুশফিক ভেবেছিলো মিতু কোন রান্নাবান্না জানে না কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে সব ধারণা ভুল।রাইসের ঘ্রাণ চারদিকে হুড়মুড় করে ছড়িয়ে পড়েছে।মুশফিকের আগমন টের পেয়ে মিতু পিছু ফিরে তাকায়,তাকিয়ে মুচকি হাসে।

ভোর সকালে ঠান্ডা ঝিরিঝিরি আবহাওয়া তারপরও মিতু ঘামছে।নাকের ডগায়,কপালে ঘামের ফোঁটা দেখা যাচ্ছে।মুশফিক মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকে,আজকে মিতুকে খুব লাবন্যময়ী লাগছে,ঘামের ফোঁটাগুলোকে মুক্তার দানার মতো আকর্ষনীয় মনে হচ্ছে,মুশফিক অপলক মিতুর দিকে তাকিয়ে ভাবে সে যদি কবি হত তাহলে মিতুর এই ঘমার্ক্ত বদন নিয়ে একটা কবিতা লিখে ফেলতো,পুরুষদের বাধ্য করতো রান্না করা অবস্থায় স্ত্রী-দের স্নিগ্ধ মায়ামাখা সৌন্দর্য উপভোগ করতে।মুশফিক চুলার কাছে গিয়ে দাঁড়ায়।রান্না শেষ এখন চা বানানো হচ্ছে।কড়া রঙ চা,সাথে লেবুর টুকরো দেয়া হবে সেটাই মিতু মনোযোগ দিয়ে কাটছে।মিতু তার ছোট ছোট পছন্দগুলো মনে রেখেছে ভেবেই তার ভালো লাগলো,মন জানালায় মন পাখি গান গেয়ে উঠলো,তার একটা বউ আছে,যে কিনা যত্ন করতে শুরু করেছে।
মিতু মুশফিকের দিকে তাকায়।

“ঘুম ভাঙ্গলো?”
“হুম।আরও আগে ডাকনি কেন?”
মিতু মিষ্টি করে হেসে বললো,
“আপনি কি সুন্দর করে ঘুমাচ্ছিলেন।দেখতে এত ভালো লাগছিলো যে আমার ডাকতে মায়া লাগছিলো।”
মুশফিকের ঠোঁটের কোনে মুচকি হাসি ফুঁটে উঠে,

“মায়া লাগলেও কিছু করার নেই মিসেস।সকালে নামায পড়ে শরীরচর্চা না করলে আমার ভালো লাগে না।এই যে আজকে ব্যায়াম করিনি আজকে ঠিক হাত পা ব্যথা করবে।”
“কেন?”
“এত বছরের অভ্যাস শরীর এটা সয়ে নিয়েছে কিন্তু আজকে না পেলেই দেখা যাবে অনিয়ম হয়ে গেলো,পেশীতে ব্যাথা হবে।”

মিতু বুঝধারের মতো মাথা নাড়ায়।তারপর তার রান্না দেখিয়ে বললো,
“ভেজিটেবল ফ্রাইড রাইস আর সবজি করেছি।খাবেন তো?”
মুশফিক ফ্রাইড রাইস পছন্দ করে। সে সকালে কখনো এত ভারী খাবার খায় না শরীরের ব্যপারে খুব সতর্ক কিন্তু আজকে মিতু এত যত্ন করে নিজ হাতে বানিয়েছে তাই সত্যি না বলে বউকে খুশী করার জন্য মিথ্যাই বললো।

“অবশ্যই।তুমি বানিয়েছো না খাওয়ার প্রশ্নই আসে না।”
“আব্বু আমার হাতের রান্না খুব পছন্দ করে।”
“আবার বাড়িতে গেলে রান্না করে খেতে দিও।”
মিতুর ঘামে ভেজা চুল গালে আটকে আছে মুশফিক হাতের কনিষ্ঠ আঙুলের সাহায্যে চুলগুলো গুছিয়ে দেয়।মিতু মুচকি হেসে চায়ের কাপে চা নিয়ে মুশফিকের হাতে ধরিয়ে দেয়।মুশফিক চা হাতে চেয়ারে গিয়ে বসে।মিতু খাবার এনে টেবিলে দেয়।তারপর হাতমুখ ধুয়ে মুশফিকের সাথে টেবিলে খাবার খেতে বসে।
খাবার মুখে দিয়ে মুশফিক মিতুর দিকে তাকিয়ে থাকে।মিতু তার দিকেই তাকিয়ে আছে মুশফিকের প্রতিক্রিয়া বুঝার জন্য।সে ইশারায় বললো,কি?মুশফিক খাবার দেখিয়ে বললো,

“অ-মাই-গড।এত মজা হয়েছে।”
“সত্যি? ”
“হ্যাঁ।এত ভালো রান্না পার আগে বলোনি কেন?”
“বলিনি।দু-দিন বরের রান্না খেলাম রানীর মত।”
মুশফিক মিতুর গালে হাত ছুঁয়িয়ে বললো,
“তুমি তো আমার রানীই।”
মিতু আহ্লাদিত বোধ করে।ঠোঁট ফুলিয়ে বললো,
“আচ্ছা!”
মুশফিক খেতে খেতে বললো,
“জ্বী।”

“আপনার জন্য চিকেন দেইনি,সকালে এতো ফ্যাট খাওয়া আপনার জন্য নিশ্চয়ই ভালো হবে না সেই ধারণা থেকেই ভেজিটেবল রাইস।ভালো করেছি না?”
“জ্বী।খুব ভালো করেছেন।”
মিতু মুশফিকের দিকে চুপচাপ তাকিয়ে থাকে।মুশফিক বললো,
“সুন্দর লাগছে।”
“তো?”
“সুন্দর লাগলে কি করা উচিত? ”
“জানি না।”

“জানবে কি করে?এখনো জানাইনি তো,একবার জানলে বারবার জানতেই চাইবে।”
মুশফিক আস্তে বললেও মিতুর কানে স্পষ্ট কথাগুলো যায়।সে না শোনার ভান করে ঠিকই কিন্তু লজ্জায় কান দিয়ে গরম বাতাস হো হো করে বেরিয়ে যায়।
মুশফিক খাবার শেষ করে রুমে আসে।মিতু পিছুপিছু যায়।মুশফিক রেডি হয়ে দেখে মিতু পোষা বিড়ালের মতো জুলুজুলু চোখে মুশফিকের দিকে তাকিয়ে আছে।মুশফিক মিতুকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে খোলা ঘাড়ে নাক ঘষে বললো,

“আজকে এই তুলতুল এতো খুশী কেনো?খুব ফ্রেশ লাগছে।”
মিতুর গা শিহরিত হয়।গায়ের প্রতিটা লোম মাথা উঁচু করে জানান দেয় জেগে উঠার।সে মাথাটা মুশফিকের দিকে করে বললো,
“কারন হলো গতকাল মেজর সাহেব ঘোষণা করে দিয়েছে সে আমার,পুরোপুরি।”
মুশফিক চুপচাপ মিতুর দিকে তাকিয়ে থাকে,মেয়েটার সহয-সরল কথাগুলো তাকে রোমাঞ্চিত করে,বন্য হাওয়া গায়ে ঝাপটে পরে।মিতু মেজরের খাড়া নাকে টোকা দিয়ে বললো,

“কি হলো?”
মুশফিক মিতুর গালে আঙ্গুল দিয়ে ঘষে বললো,
“কিছু হয়নি।তবে খুব শীঘ্রই হবে,ভ,য়াবহ কিছু।”
মুশফিকের শিকারী চোখের দৃষ্টি মিতুর গা কাঁপিয়ে দেয়,অনুভূতিরা কানে কানে বলে যায় দুষ্টু কথার রাশিমালা,সেই কথাগুলো শুনে মিতুর খুব লজ্জা লাগে,হাত পা অবশের ন্যায় জমে যায়।তার গলায় কথা আটকে যায়।সে থেমে বললো,

” কি হবে?”
মুশফিক হাসে।যে জানে তাকে হাসলে ভাল দেখায় তাই মিতুর সামনে এসেই এমন মিষ্টি করে হাসে,,বউকে নিজের রূপে মুগ্ধ করতে না পারলে এই রূপ দিয়ে কি করবে!।
মিতু আরেকবার হোচট খায়।মুশফিক তার নাকের ডগায় হাত ছুঁয়ে বললো,
“যা হবে তা বলা যাবে না,পার্সোনাল এন্ড ভেরী ভেরী ডে,ঞ্জারাস বেবী।”
মিতু লজ্জায় কাবু হয়ে যায়।সে এতটাও ছোট না যে মুশফিকের চাহনী, ঘন গলার স্বর আর এমন দুষ্টু কথার মানে বুঝে না,সে প্রাপ্তবয়স্ক সে অনুযায়ী পুরোপুরি না জানলেও কিছুটা ধারনা আছে।মিতু সাহস সঞ্চয় করে বলে,

“আমার কাছে বলা যাবে তো।”
“কেন? ”
“আমি আপনার বউ তাহলে ..…”
মুশফিকের ঠোঁট টিপে টিপে হাসি প্রসস্থ হয়।সে খিলখিল করে হেসে উঠে।মিতু এই প্রথমবারের নত মুশফিককে এমন খোলা গলায় হাসতে দেখছে।মিতুকে স্তব্ধ চোখে তাকিয়ে থাকতে দেখে মুশফিক বললো,

“বউ বলেই তো পার্সোনাল কাজ।”
“পার্সোনাল? ”
“পার্সোনাল কি বুঝতে পারছো না?”
মিতু চুপ করে থাকলে মুশফিক আবার বললো,
“চলো বুঝিয়ে দেই….”
মিতু জলদি বললো,
“আপনার দেরী হয়ে যাচ্ছে,তাড়াতাড়ি যাওয়া উচিত।”

মুশফিক আবার হেসে উঠে।আসলেই তার দেরী হচ্ছে।সে মোবাইল হাতে নিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার আগে বললো,
“মিসেস মিতু আহসান আপনার ক্লাস পরে নিচ্ছি; ওকে।”
মিতু লজ্জায় চোখ বন্ধ করে নেয়।এই লোকটাকেই সে আনরোমান্টিক, নিরামিষ ভেবেছিলো ভাবতেই অবাক লাগছে।উনি শুধু রোমান্টিক না উন হাই ভো,ল্টেজ।

ক্যাম্পে পৌছে মুশফিক বুঝতে পারে আজকে কোন একটা সমস্যা হয়েছে।চারদিকে সৈনিকরা রোবটের মতো কাজ করছে।সে তার অফিসে যায়।হাতের গুরুত্বপূর্ণ কাজটা এখনো আছে,এটা শেষ করতে পারলেই মাথা থেকে বিশাল এক বোঝা নেমে যাবে,উর্ধতন অফিসার তার উপর ভরসা করেছে,সে যথাসম্ভব কাজটা ভালো করে করার চেষ্টায় আছে।সে চেয়ারে বসার আগেই কর্ণেল ফারুক আহমেদ মুশফিককে ডেকে পাঠায়।উনি মুশফিককে নিজের ছেলের মত ভালোবাসেন,মুশফিকের প্রতি উনার আলাদা একটা টান আছে।মুশফিক উনার রুমে যাওয়ার আগে ক্লিনার আব্দুলাহ বললো,

“স্যার,বড় স্যার আজকে খুব রেগে আছে।”
মুশফিক ভ্রু কুঁচকে বললো,
“কেন?”
“কি জানি;সকাল থেকেই সবার উপরে আ,গুন ছড়াচ্ছে।”
ক্যাম্প রোবটের মতো থাকার কারণটা এতোক্ষনে বোধগম্য হল।ফারুক আহমেদ সবসময় ঠান্ডা মেজাজে থাকে অথচ আজকে উনার রুমে গিয়ে উনাকে রাগান্বিত মনে হলো।মুশফিক প্রবেশ করে স্পষ্ট গলায় সালাম দিলো কিন্তু কর্নেল ফারুক আহমেদ সালামের জবাব না দিয়ে বললো,

“তুমি নাকি বিয়ে করেছো?”
মুশফিক এমন প্রশ্নের জন্য প্রস্তুত ছিলো কেননা নয়না উনার একমাত্র মেয়ে গতকাল নয়নার সাথে এতকিছু হয়ে গেলো অথচ সে তার বাবাকে বলবেনা সেটা অসম্ভব।মুশফিক বললো,
“জ্বী।”
ফারুক আহম্মেদ বাজখাঁই গলায় চেচিয়ে বললো,

“জ্বী!জ্বী কি?তুমি তোমার চাকরির রুলস জানো না?মেজর হয়ে নিয়মলঙ্গন করার সাহস হলো কিভাবে?”
মুশফিকের চেহারা শক্ত হয়ে গিয়েছে।সে বললো,
“আমার বিয়ের পারমিশন আছে।”
“আছে কিন্তু বিয়ের আগে কিংবা পরে ইনফর্ম করার কথা ছিলো অথচ তুমি লুকিয়ে রেখেছো।”
“আমি লুকিয়ে রাখিনি স্যার।”

“সেট আপ।লুকিয়ে না রাখলে হঠাৎ তোমার স্ত্রী এলো কোথা থেকে?আমরা কেউ জানি ন কেনো?বাংলোতে স্ত্রী নিয়ে এসেছো অথচ জানাও নি।”
মুশফিক গম্ভীর গলায় বললো,
“স্যার।শান্ত হোন।”

ফারুক আহমেদ মুশফিককে নিজের একমাত্র মেয়ে নয়নার জন্য ভেবেছিলেন।এত ভালো ছেলে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাবে না সেই আশা করেই এতদিন মুশফিককে নিজের ছেলের মত দেখেছেন কিন্তু এখন কি হলো হঠাৎ করেই যেন সব আশা মুহূর্তেই ছাই হয়ে গেলো।গতকাল নয়নার কান্না,বর্ননা সব শুনে উনার মাথায় আ,গুন লেগে যাবার যোগার।
“শান্ত হবো?মুখে মুখে তর্ক কর বেয়াদব।”

“স্যার আমি তর্ক করছিনা,বুঝানোর চেষ্টা করছি।”
“তুমি নিয়ম ভেঙ্গেছো।এর জন্য আমি তোমাকে চাকরি ছাড়া করতে পারি।”
মুশফিকের নাকের পাটাতন ফুলে উঠলো।
“আমি কোন নিয়ম ভাঙ্গিনি,যার কাছে অনুমতি নেয়ারা উনার কাছে থেকে নিয়েছি।”
“তোমার চাকরি… ”
মুশফিক গম্ভীর গলায় বললো,

“আমার চাকরি পরে তার আগে আমি আপনার মেয়ের চাকরি নট করে দেবো।সামান্য সৈনিক হয়ে একজন মেজরের কটেজে প্রবেশ করে গু,প্তচরবৃত্তির করার অপরাধে চাকরি থেকে বহি,ষ্কার করে দেয়ার রাস্তা মুশফিকের জানা আছে।”
“আমার মেয়ে কোন খারাপ কাজ করেনি।”

“অবশ্যই করেছে,আপনার মেয়ে বলে বিনা অনুমতিতে যেখানে সেখানে চলে যাবে এই অধিকার কে দিয়েছে তাকে?এতো স্পর্ধা কোথায় পায়?কোথায় লেখা আছে কর্ণেলের মেয়ের অধিকার অন্য সৈনিকদের থেকে বেশী হবে।সে আমার কটেজে প্রবেশ করেছে,বেডরুম অব্দি চলে গিয়েছে এমনকি আমার পার্সোনাল ব্যাপার বাহিরে প্রকাশ করেছে এর শা,স্তি অবশ্যই ভোগ করতে হবে।”
কর্নেল ফারুক আবার বললো,

মেজর পর্ব ১৭

“তুমি অনুমতি ছাড়া কেন বিয়ে করেছো?”
মুশফিক কিছু বলার আগে কাঠের দরজার কাছে থেকে একটা গমগমে কমান্ড গলার স্বর ভেসে এলো।
“মেজর মুশফিক আহসান,অনুমতি নিয়েছে,এতো দায়িত্ববান অফিসার এমন কাজ করেনি কর্নেল।”

মেজর পর্ব ১৯