মেজর পর্ব ৬

মেজর পর্ব ৬
জাকিয়া সুলতানা ঝুমুর

মুশফিক নয়নাকে নিয়ে যারপরনাই বিরক্ত।তারা এখন খাগড়াছড়ির গভীর জঙ্গলে আছে যেখানে কিনা সন্ত্রা,সীদের এক বড়ো গ্রুপ আছে।আজকে তাদের ধরার জন্যই মূলত এই গোপন অভিযান।এসব অভিযানে সাধারণ দক্ষ সেনাদের দেওয়া হয় কারণ দক্ষতা ছাড়া এসব ঝু,কিপূর্ণ অভিযানে জীবন নিয়ে ফিরে আসা অসম্ভব।

নয়না কমবয়সী এক মেয়ে।সে অভিযানে যাওয়ার অযোগ্য তারপরও তার বাবার জন্যই তাকে নেয়া।আর নেয়ার পর থেকে নয়না মুশফিকের পিছুপিছু ঘুরছে।শুধু ঘুরছে বললে ভুল হবে একটু পরে পরে অহেতুক কাজকর্ম করে ব্যাপারটা ঘেটে দিচ্ছে আবার তার সমাধান করতে হচ্ছে মুশফিকেরই। অভিযান সফল করে আসার পথে পা মচকে ফেলেছিলো,পা মচকে সে আর হাটতে পারছিলো না। নিচু স্বরে বায়না ধরে মুশফিক যেনো সাহায্য করে। অর্থাৎ সে মুশফিকের কোলে উঠতে চায়।মুশফিক নয়নার দিকে তাকায়।মেয়েটার স্পর্ধা দেখে সে অবাক,বাবার তোপেই যে এমন করে তা বেশ লক্ষনীয়।মুশফিক বললো,

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

“তোমাকে কোলে নেবো কেনো?”
” আমি হাটতে পারবোনা। ”
“না পারলে এখানেই বসে থাকবে।তোমাকে কোলে নেয়ার দায়িত্ব নিশ্চয়ই আমার না।”
“আপনি আমাকে সাহায্য করবেন না?”

“না।একজন সৈনিক হিসেবে নিজেকে প্রোটেক্ট করার দায়িত্ব তোমার নিজের। অন্যকারো আশায় অভিযানে আসার কোনো মানে হয় না।এখন আমার যায়গায় যদি কোণ সন্তা,স থাকতো তখন কি করতে? ”
মুধফিকের কথাগুলো নয়নার ভালো লাগলো না।মুশফিক অন্য সৈনিকদের বললো সাহায্য করতে।মেজরের হুকুম অনুযায়ী অন্যরা সাহায্য করলো আর মুশফিক জোড় কদম ফেলে সামনে এগিয়ে যায়।ধারালো দৃষ্টিতে সে নয়নার হাবভাব ঠিকই ধরেছে।

বাসায় এসে কুসুম গরম পানিতে ভালো করে গোসল করে নেয়।এই কয়টা দিন যে কিভাবে কাটিয়েছে তা আল্লাহই ভালো যানে।তাছাড়া খাগড়াছড়ির পার্বত্য এলাকায় নেটওয়ার্কের সমস্যা,সে কারণে কারো সাথে যোগাযোগ করতে পারেনি।তার এতো ক্লান্ত লাগছে যে ইচ্ছে করে বাথট্যাবের নিচেই শুয়ে পরে।গোসল সেরে সবার প্রথমে মোবাইল নিয়ে বসে।মোবাইল চার্জে লাগিয়ে অন করতেই টুং করে মিতুর মেসেজ এসে ইনবক্সে জড়ো হয়।

মেসেজ পরে মুশফিকের পুরুষালী ঠোঁটের ভাজে কিঞ্চিৎ মুচকি হাসির রেখা ফুঁটে উঠে।চোখের তারায় খেলে যায় চঞ্চলতা।এক কাপ সালাদ বানিয়ে নেয়,সাথে এক কাপ চা।দুটো টোস্ট বিস্কিট চায়ে ভিজিয়ে খায়, সালাদ খায়।তারপর চনমনে দেহে একটা কালো টি শার্ট, জিন্স পরে নেয়।এতো গা ভরা ক্লান্তি যেনো নিমিষেই পালায়,ক্লান্তির বদলে ভর করে একরাশ উত্তেজনা।সে কটেজ তালাবদ্ধ করে বেরিয়ে পরে।এতো সুমধুর হাতছানি তার মতো দক্ষ অফিসারের পক্ষে উপেক্ষা করে যাওয়া সম্ভব না।ঘড়ির দিকে তাকিয়ে ভাবে সকালের আগেই ঢাকা চলে যেতে পারবে এটাই তার ধারনা।

ফজরের নামাযে যাওয়ার জন্য রেডি হয়েছেন মোহাম্মদ হাসান রহমান।এমন সময় কলিংবেলের তীব্র চিৎকার শান্ত নিরিবিলি ফ্লাটের আনাচে কানাচে হইহই করে উঠে।হাসান সাহেব ভ্রু কুঁচকে ভাবে এতো সকালে কে আসতে পারে?ভাবতে ভাবতে দরজা খুলে মুশফিককে দেখে উনি বিষ্ময়ে কিংকর্তব্যবিমুঢ় হয়ে যায়।এ যে একমাত্র মেয়েই জামাই!মুশফিক হাসিমুখে তাকিয়ে আছে।হাসান সাহেব এই মূহুর্তে মেয়ে জামাইকে আশা করেননি।মুশফিক সালাম দেয়।পেলব কন্ঠে বললো,

“ভালো আছেন বাবা?”
মেয়ে জামাইর কথা শুনে হাসান সাহেব বললো,
“আলহামদুলিল্লাহ। তুমি কেমন আছো?”
“জ্বি ভালো।”
হাসান সাহেব মুশফিকের হাত ধরে বাসায় নিয়ে যায়,তারপর উনি মিতুর মা মহিমা বেগমকে ডাকে, মুশফিকের দিকে তাকিয়ে বললো,

“মুশফিক! তুমি যে আসবে তা তো মিতু বলেনি।”
মুশফিক উনাকে শান্ত করে বসিয়ে বললো,
“মিতু তো জানে না বাবা।”
“তোমাদের বাসা থেকে এসেছো?”
“না।খাগড়াছড়ি থেকে এসেছি,বাসায় যাইনি।”
নতুন জামাই এই প্রথম শশুড় বাড়ি এসেছে হাসান সাহেব যেনো দিশা হারায়,কি বলবেন তা বুঝে পায় না।এর মাঝে মহিমা বেগম আর নিলু বেগম আসেন।উনারাও মুশফিককে দেখে অবাক হয়।তারপর মুশফিক শশুড়ের সাথে নামাযে যায় আর মহিমা বেগম ব্যস্ত হাতে নাস্তা বানায়।নাস্তা বানানোর ফাঁকে ফাঁকে মিতুকে কয়েকবার ডাকে কিন্তু মেয়ে আজ যেনো কুম্ভকর্ণের মতো ঘুমিয়েছে।

মুশফিক যখন নামায পড়ে বাসায় আসে তখন ঘড়ির কাটা সাতটা ছুইছুই,হাসান সাহেব সবার সাথেই মুশফিককে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে উনার উচ্ছাস দেখেই বুঝা যাচ্ছে যে মুশফিককে মেয়েফ জামাই করে উনি খুব খুশী।নিলু বানু তাকে মিতুর রুমে নিয়ে যায়।মিতু তখনো ঘুমে ছিলো।মুশফিক বিছানায় বসে মিতুর দিকে তাকায়,ফুলো মুখটাই বলে দিচ্ছে কান্নারা মিতুকে ঝাপটে ধরে ছিলো।

মুশফিক বিছানায় বসার পরে যেনো ক্লান্তি তার গায়ে ভয় করে।সে উপুড় হয়ে শুয়ে হাতের উপর থুতনি ঠেকিয়ে একনজরে মিতুর দিকে তাকিয়ে থাকে।ছুঁয়ে দেয়ার তীব্র ইচ্ছা হয় কিন্তু মুশফিক চুপচাপ শুয়ে থাকে।সে জানে তার উচিত মিতুকে একটু সময় দেয়া কিন্তু দেশ রক্ষার্থে সে বদ্ধপরিপক্ক।মিতুর দিকে তাকিয়ে মনে হলো, সময় দেয়া উচিত ছিলো।

কিছুক্ষণ পরে রোদের ছুটাছুটি রুমের আনাচে-কানাচে দেখা যায়।মিতু চোখের পাতা পিট পিট করে তাকায় তারপর মুশফিককে দেখেই চারশো চল্লিশ ভোল্ট কারেন্টে শক লাগার মতো ছিটকে উঠে বসে। মুশফিক তার দিকে গভীর চোখে তাকিয়ে আছে।মিতু জোড়ে জোড়ে শ্বাস ফেলছে।তার এখনো বিশ্বাস হচ্ছে না যে মুশফিক তার সামনে।বারবার মনে হচ্ছে এটা স্বপ্ন।
তার ভাবনা চিন্তার অবসান ঘটিয়ে গমগমে কন্ঠে মুশফিক বললো,

“আমার বউ আর হেট ইউ বলবে না,আমি যা শুনতে চাই তাই বলবে,ভাবলাম মোবাইলে শুনলে তো আমার হবে না আফটারঅল মেজর বলে কথা,আমার সবকিছুই স্পেশাল হওয়া চাই।তাই ফেস টু ফেস শোনার জন্যই ছুটে এলাম।”
মিতু স্তব্ধ হয়ে তাকিয়ে আছে,মুশফিকের কথাগুলো কর্নগোচর হতেই চুপসে যায়।মুশফিক তখনো তার দিকে ভিষণ গভীর দৃষ্টি মেলে তাকিয়ে আছে।মিতু নিজের দিকে তাকিয়ে দেখে তার গায়ে টি শার্ট।তাছাড়া ওরনাটাও কাছে নেই।সে ঝটপট নেমে পরে এদিক ওদিক তাকিয়ে ওরনা খুঁজে কিন্তু কোথাও ওরনাটা চোখে পরছে না।মুশফিক মিতুর কাজকর্মে হাসে।হাতের কাছে থাকা ওরনাটা মিতুর দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বললো,

“মিতু!এটাই খুঁজছো?”
মিতু মুশফিকের দিকে তাকিয়ে মাথা নাড়ে।মুশফিক আধশোয়া হয়ে বসে বললো,
“আসো।নিয়ে যাও।”
মিতু তার স্বভাবতই চঞ্চল, দুরন্ত।কিন্তু মুশফিকের সামনে আসলেই যেনো সে ফাটা বেলুনের মতো চুপসে যায়,,বুকটা ধুকপুক করে, কথা বলার ভাষা হারায়,এমনকি ভালো করে মুশফিকের দিকে তাকাতেও পারে না।এখন কি করে কাছে যাবে?

“কি হলো;নেবে না?”
মিতু এগিয়ে গিয়ে ওরনা হাতে নেয়।মুশফিক বললো,
“বসো। ”
মিতু বাধ্য মেয়ের মতো বসে।মুশফিক আস্তে করে বললো,

“এমন করে বসেছো কেনো?স্বাভাবিক হয়ে বসো।”
মিতু সুন্দর করে বসে মুশফিকের দিকে তাকায়।উজ্জ্বল দীপ্তিময় দুটো চোখ তার দিকেই তাকিয়ে আছে অবিচল।কালো টিশার্ট পাথরকোদা শক্ত কঠিন শরীরে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে আছে। তামাটে গায়ে কালো রঙ খুব মানিয়েছে।মিতু মুগ্ধ হলো,মুগ্ধতায় চারপাশ ভরে গেলো।সে মাথা নিচু করে একটা ঢোক গিলে।এই পর্যন্ত সে একটাও কথা বলেনি।মুশফিক বললো,

“ভালো আছো?”
মিতু তার গায়ের মৃদু কাঁপন ঠিক টের পাচ্ছে।মুশফিক বোধহয় সকালে এসেছে।সে আলতো স্বরে বললো,
“জ্বি। ”
“তা তো দেখতেই পাচ্ছি।কেঁদেকেটে শরীরের কি হাল করেছো মিতুল।”
ইশ! আবারো সেই আদুরে নরম সুরের ডাক।এই ডাকটা শুনলে মিতুর গায়ে হালকা আলোড়ন হয়,মন বাঙ্গাচি তার ঘুম থেকে জেগে উঠতে চায়।মিতুকে চুপ করে থাকতে দেখে মুশফিক বললো,

“কেঁদেছো কেনো?”
মিতুর আড়ষ্ট হয়ে বললো,
“কাঁদিনি।”
মুশফিক হাসে।ঘন গলায় বললো,
“একটুও না?”
“না।”
“আমার দিকে তাকিয়ে বলো।”

মিতু তাকায় না।সে তাকাতে চায় না।মেজরের চোখের দিকে তাকালে বুকটা কেমন করে উঠে।সে নিজের হাতের দিকে তাকিয়ে থাকে।মুশফিক বললো,
“তাকাও।”
মিতু তাকায়,মুচকি হাসে।মুশফিক নিজেও হাসে।মিতু আস্তে করে বললো,
“ভালো আছেন?”
মুশফিক তার সরল স্বীকারোক্তি দেয়।

“নয়দিন অপারেশনে ছিলাম।ভিষণ ভ,য়াবহ অপারেশন।কিন্তু সব কষ্ট দূর হয়ে গেছে যে আমরা সফল হয়েছি।গতকাল রাতেই বাসায় ফিরেছি। তোমার মেসেজ পেয়ে চলে এলাম।”
মিতু বুঝতে পারলো মুশফিক একটুও বিশ্রাম নেয়নি।শুধুমাত্র তার জন্যই এতোদূর থেকে ছুটে এসেছে।অজানা সুখে মিতুর মন নেচে উঠলো।সে ব্যস্ত হয়ে নামতে নামতে বললো,

“নাস্তা করেননি নিশ্চয়ই? ”
মুশফিক নিজেও দাঁড়ায়।মিতুর পথ আগলে দাঁড়িয়ে বললো,
“না।”
মুশফিক সামনে দাঁড়ানোতে মিতু বললো,
“আমি ফ্রেশ হয়ে নিয়ে আসি।”
“আগে বলে যাও।”
“কি?”

“আমি যা শুনতে চাই তা।”
মিতু শুকনো ঢোক গিলে বললো,
“কি শুনতে চান?”
মুশফিক হাস্কি স্বরে বললো,
“যা শুনতে চাই তা তুমি বোধহয় জানো। ”
মিতু জানে।কিভাবে জানে সেটা অজানা কিন্তু তার মনে হচ্ছে সেদিনের কথা অনুযায়ী হেট ইউ’র বদলে লাভ ইউ বলতে হবে।এটা বলতে হবে ভেবেই তার গলা শুকিয়ে গেলো।আমতা আমতা করে বললো,

“আমি জানি না।”
মুশফিক অনুসন্ধানী চোখে তাকিয়ে বললো,
“তোমার চোখ যে আরেক কথা বলে।”
মেজর!মেজর আসলেই পাজি।মিতু অনুনয় করে বললো,
“পরে বলবো।”

মুশফিক এক পা এগিয়ে আসে।মাথাটা নিচু করে বললো,
“আমার আসতে কিন্তু খুব কষ্ট হয়েছে মিতুল।”
মুশফিকের গরম নিঃশ্বাস তার মুখে আছড়ে পরছে সে হাত দিয়ে কাপড় খামচে ধরে বললো,
“যা শুনতে চান তাই বলবো।কিন্তু পরে।”

মিতুর অসস্থি দেখে মুশফিক সরে দাঁড়ায়।মিতু একপলক মুশফিকের দিকে তাকিয়ে কাপড় নিয়ে বাথরুমে যায়।বাথরুমে গিয়ে লজ্জায় মুখ ঢাকে,বুকে হাত রেখে বুকের ধিমধাম করে লাফানো হৃদপিণ্ডটা থামাতে চায়।মেজর! তার জন্য ছুটে এসেছে ভাবতেই মন পুলকিত হলো।

সবাই একসাথে নাস্তা করতে বসেছে। মুশফিকের সাথে সবাই কথা বলছে শুধুমাত্র মিতু ছাড়া।সে লজ্জায় ঠিকঠাক নাস্তাই করতে পারছেনা।মুশফিকের গলার স্বর কানে আসলেই নাকের পাটাতন কেমন ফুলে উঠছে,সারা মুখে শিরশিরি লাগছে।সে উঠে চলে যায়।মিতুর চলে যাওয়াটা মুশফিক লক্ষ করে। নাস্তা খাওয়ার পরে সে রুমে গিয়ে মিতুকে পায় না।

বিছানায় বসে মিতুর অপেক্ষা করে কিন্তু অনেকক্ষণ পরেও যখন মিতু আসে না তখন তার খুব রাগ হয়।যার জন্য এতো কষ্ট করে ছুটে এসেছে অথচ সেই লাপাত্তা।স্বামী এতো কষ্ট করে এসেছে বউ তো বুকে লেপ্টে থাকার কথা ছিলো অথচ তার বউ লজ্জায় ঠিকঠাক তার দিকে তাকাতেই পারে না,সে নিশ্চিত যে এখনো লজ্জায় লুকিয়ে আছে।মুশফিক কয়েকবার দরজার সামনে গিয়েছে কিন্তু কি বলে ডাকবে ,লজ্জায় ডাকতেও পারছে না।

কিছুক্ষণ পরে মিতু রুমে আসে।হালকা নীল থ্রী পিছ পরনে ঠিক নীল পরীর মতোই লাগছে।ফর্সা গায়ে নীলের আবরণ চোখে লাগার মতো।মিতু দরজার কাছে এসে বোকা বোকা হাসি দিয়ে মুশফিকের দিকে তাকায়।মুশফিক উঠে দাঁড়ায়।ক্ষিপ্ত পা ফেলে দরজার কাছে গিয়ে দরজা আটকে দেয়।মিতুর হাতে ধরে বললো,
“আমি একা একা বসে ছিলাম।”
মুশফিকের রাগী চেহারা দেখে সে ভয়ে ভয়ে বললো,

“সরি।”
“আমি আসাতেই এতো সমস্যা ;আমি চলে যাই তাহলে? ”
মিতু ভয়ে মুশফিকের হাত ধরে বললো,
“না।”
মুশফিক মিতুর ভয়ার্থ চোখের দিকে তাকিয়ে বললো,
“তুমি কি চাও মিতু?”
মিতু দম আটকে বললো,
“আপনি আমার কাছে থাকুন।”

মুশফিকের বুকে ঠকঠক শব্দ হলো।সে নিজেকে সামলে বললো,
“এতোক্ষন পালিয়ে ছিলে কেনো?”
মিতু আস্তে করে বললো,
“লজ্জা লাগছিলো।”
মুশফিক মিতুর হাতের উল্টোপিঠে নিজের আঙ্গুল ঘষে বললো,
“আমি কি চলে যাবো?”
মুশফিকের ছোঁয়ায় মিতুর কেমন ছটফট লাগে।সে ফিসফিস করে বললো,
“না।”

মেজর পর্ব ৫

“তাহলে আমার কথা শুনতে হবে।”
“কি কথা?”
মুশফিক আরেকটু কাছে আসে।পুরুষালী তীব্র ঘ্রাণে মিতুর গা কেঁপে যায়।মুশফিক আস্তে করে বললো,
“একটা শাড়ি পরো না।শাড়ি আমার খুব পছন্দ।”

মেজর পর্ব ৭