রাজনীতির রংমহল সিজন ২ পর্ব ২

রাজনীতির রংমহল সিজন ২ পর্ব ২
সিমরান মিমি

সন্ধ্যা বেলা।ঘড়ির কাঁটা তখন মাত্র ছয়’টা কে ছুলো।আশেপাশে আবছা অন্ধকার নেমে গিয়েছে।ঘুমের মধ্যে হঠাৎ চিৎকার-চেঁচামেচি শুনে লাফ দিয়ে উঠে বসলো।ধীরে ধীরে কান্নার আওয়াজ বাড়ছে।সাথে চারদিকে হইচইপূর্ণ পরিবেশ।দ্রুতপায়ে দরজার কাছে আসতেই অনন্দা হাত চেপে ধরলো স্পর্শীর।চাপা আর্তনাদ দিয়ে ছোট্ট স্বরে বললো-

প্লিজ!ওদিকে যাসনা।ঝামেলা হবে।
হার্ট দ্রুত গতিতে চলছে স্পর্শীর।ওদিকে কান্নার আওয়াজ আরো বাড়ছে।পুনরায় ধমক মেরে জিজ্ঞেস করতেই অনন্দা বললো-
ওখানে একটা মৃত ছেলের সাথে একটা জীবিত মেয়ের বিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

অবাক হয়ে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো স্পর্শী।এ যেন স্বপ্ন না হয় কোনো আদ্যিকালের মুভি দেখছে সে।এমন আজব,উদ্ভট কথা শুনতেই হাত পা কেমন শিরশির করে উঠছে।ভাঙা ভাঙা গলায় পুনরায় জিজ্ঞেস করলো-
আমার সাথে মজা করিস না প্লিজ।জানি তোদের হিন্দুধর্মের অনেক কালচার রয়েছে।কিন্তু তাই বলে এমন উদ্ভট কথা বলবি না আমার সাথে।ওখানে অনেক হইচই, কান্নাকাটি হচ্ছে।প্লিজ! বল না আমায় কি হয়েছে?
থেমে জোর গলায় আবারো বললো-

ঠিক আছে,তোর বলতে হবে না।আমি নিজে গিয়েই শুনছি।
সামনের দিকে দু-পা আগাতেই পুনরায় ঝাপটে ধরলো অনন্দা।অস্থির কন্ঠে বললো-
তুই আমার কথাটা প্লিজ বোঝার চেষ্টা কর।তুই গেলে ঝামেলা আরো বাড়বে।এমনিতেই তুই বাড়িতে আছিস বলে ঠাকুর মশাই বাবার সাথে কথা বলছে না।তিনি ভীষণ ধর্ম-কর্ম মানে।

এমনিতেই আমাদের এই বাড়িতেই প্রতিবছর স্বরসতি পূজো থেকে শুরু করে যাবতীয় সব পুজো করা হয়।বাড়িতে জাগ্রত মন্দির রয়েছে।বাবাকে এ কদিন সাফ সাফ মন্দিরে উঠতে বারণ করেছে ঠাকুর মশাই।বলেছে তুই আমাদের সাথে এক সাথে বসে খাবার খেয়েছিস।এতে নাকি অন্নপাপ হয়েছে।উনি বলেছে তুই যাওয়ার সাথে সাথেই পুরো বাড়ি ঘর গঙ্গাজল ছিটিয়ে পবিত্র করতে। সেই তোকে ওখানে এসব ধর্মীয় কাজে দেখলে আরো রেগে যাবে ঠাকুরমশাই।প্লিজ!যাস না।

অবাক হয়ে অনন্দার দিকে তাকিয়ে রইলো স্পর্শী।হুট করেই নিজেকে কেমন অপমানিত বোধ করলো।যেন মুখ দিয়ে টু শব্দটাও বের হতে চাইছে না।ধীর কন্ঠে শুধালো-
এতোই যখন বাধা-নিষেধ তাহলে তুই আমাকে এনেছিলি কেন?আমি তো নিজে থেকে আসি নি।বরং তুই মায়ের কাছে টানা তিন দিন আমাকে নিয়ে আসার জন্য অনুরোধ করেছিস।
কিছুটা আশাহত দেখালো অনন্দাকে।হুট করেই দুহাত দিয়ে জড়িয়ে ধরে বললো-

তুই আমাকে একদম ভুল বুঝিস না প্লিজ।দেখ, আমি বা আমার পরিবার তোকে খুব ভালোবাসি।বাবা-মা ই অনেক জোর করেছে তোকে নিয়ে আসার জন্য।আসলে তখন আমি বুঝতে পারি নি বাড়িতে আসলে এতোটা প্রবলেমে পড়তে হবে।ভেবেছি আমার বাড়ি আমি আমার বন্ধুকে নিয়ে আসবো।কিন্তু শহরে থাকতে থাকতে একপ্রকার ভুলেই গেছিলাম যে “বাড়ি আমাদের হলেও দিনশেষে সমাজে চলতে হয়।

সমাজ থেকেই নানা বাধা নিষেধ আসবে আর সেগুলো মুখ বুঝে সহ্য করতে হবে।দেখ আমি, বাবা, বা মা কেউই এই বিষয় নিয়ে একটুও চিন্তিত নই।বাবা তো বলেই দিয়েছি যত দিন ছুটি আছে ততদিন তুই আমার সাথে এখানে থাকবি।কে কি বললো সেটা বাবা দেখে নিবে।
কিন্তু সমস্যা টা তো তোকে নিয়ে।তুই হুটহাট একেক জায়গায় একেক ভাবে আক্রমণ করে বসিস।যেখানে যাই হোক না কেন তাতে আমাদের কি?শুধু শুধু ঝামেলায় না জড়ানোই ভালো।তুই হাত মুখ ধুয়ে আয় মা লুচি বানিয়েছিলো বিকালে। আয় খাবি।

খাবার কথা বলতেই টনক নড়ে উঠলো স্পর্শীর।অনন্দার হাত ছিটকে বললো-
ওহ!বেশ ভালো।তুই আমার থেকে কথাগুলো এড়িয়ে যাচ্ছিস।বলবি না তো ওখানে কি হয়েছে।ঠিক আছে।আমি নিজে গিয়েই শুনে নিচ্ছি।
মুহুর্তেই গতিশীল স্পর্শীকে টেনে নিলো ঘরের ভেতর।হার মানলো অনন্দা।শান্ত কন্ঠে স্পর্শীকে বোঝানোর স্বরে বললো-

শোন,আমাদের পেছনের বাড়ির ডানপাশের ঘরে একটা মেয়ে থাকে।পুজোর সময় প্রায়ই দেখা হতো।তুই ও তো চিনিস।ওই যে সেদিন বিকালে দেখা হলো,শ্রাবণী।ওই ই কাঁদছে।
ভ্রুঁ কুঁচকে ফেললো স্পর্শী।বললো-
কেনো কাঁদছে।

এ পর্যায়ে আসফাস করতে লাগলো অন্দন্দা।অনেকক্ষণ চুপ থেকে জিভ দিয়ে ঠোঁট ভেজালো।বললো-
ওদের পাশের ঘরেই আরেকটা ছেলে থাকে।শুভ নাম ওর।ও শ্রাবণীকে পছন্দ করে অনেক বছর।ওদের মধ্যে নাকি সম্পর্ক ও ছিলো।আমি এ বিষয়ে তেমন কিছু জানি না।শুনেছি ওই মেয়েটা নাকি শুভকে ঠকিয়েছে।যার দরূণ ছেলেটা সকালে সুইসাইড করেছে।ব্যাস সে জন্যই আশেপাশের মানুষ, শুভর পরিবার খুব ক্ষেপেছে শ্রাবণীদের উপর।মেয়েটা কে নাকি দুপুরের দিকে অনেক মেরেছে ছেলের মা-পিসি রা মিলে।আমরা তো বাইরে ছিলাম এই জন্য এসব টের পাইনি।এখন আবার শুনছি এই সন্ধ্যায়’ই ওই ছেলেটার সাথে বিয়ে দিবে শ্রাবণীকে।তারপর দাহ করবে।
পিলে চমকে উঠলো স্পর্শীর।বললো-

শ্রাবণীকেও জীবিত পুড়ে ফেলবে?
মাথা নাড়িয়ে না সূচক উত্তর দিলো অনন্দা।বললো-
আরে না।ব্যাস,পা দিয়ে সিঁদুর পড়িয়ে দিবে নাকি।যাতে মেয়েটার আর কোথাও বিয়ে না হয়।
দুম করে উঠে পড়লো স্পর্শী।ঘৃনাজড়িত কন্ঠে বললো-
অবাক হয়ে যাচ্ছি।এখনো এ ধরণের কুসংস্কার আছে পৃথিবীতে।কোন যুগে পড়ে আছিস তোরা?তোদের কোন ধর্ম গ্রন্থে এমন বিভৎস নিয়ম লেখা আছে?কে বানিয়েছে এরকম বিধাণ?
মাথা নিচু করে রাখলো অনন্দা।আমতাআমতা করে বললো-

ঠাকুরমশাই বলেছে শ্রাবণীর ক্ষেত্রে এমন শাস্তিই নাকি প্রযোজ্য। অনেকেই হয়তো ভেতরে ভেতরে এমন সিদ্ধান্ত তে নারাজ।কিন্তু ঠাকুর মশাইয়ের উপর কেউ কথা বলে না।উনি আমাদের মধ্যে সবথেকে বৃদ্ধ আর সম্মানীয় ব্যাক্তি।
হাসলো স্পর্শী।দাঁতে দাঁত চেপে বললো-

বয়স তো অনেক হলো বুড়োর।পটল’ টা তুলবে কবে?যাই হোক, আমি ওনার পটল তোলার ব্যাবস্থা করছি।
বলেই দ্রুতপায়ে বেরিয়ে গেল ঘর থেকে।স্তব্ধ হয়ে কিছুক্ষণ তাকিয়ে রইলো অনন্দা। স্পর্শী গিয়েছে মানে আজকে তুলকালাম কান্ড বাধঁবে।এটাই বুঝি ওর এখানে থাকার শেষ দিন। এমন ভাবনা মাথায় আসা মাত্রই পিছু পিছু ছুটলো।
বিশাল মঠ।সামনেই বিশালাকৃতির মন্দির।আশেপাশে মানুষের ছড়াছড়ি। কেউবা জোর দিয়ে বলছে”ঠিক হয়েছে ঠাকুরমশাই।ওর মতো চরিত্রহীন মেয়ের সাথে এমনটাই করা উচিত।যাতে সমাজের অন্য পাঁচটা মেয়েও এই ঘটনার শাস্তি নিয়ে ভয়ে থাকে।”

কেউবা চুপচাপ দর্শকের ন্যায় তাকিয়ে দেখছে।আর শ্রাবণীর পরিবার ঠাকুরমশাই য়ের পা জড়িয়ে কাঁদছে।নানা রকম কথা বলে নিজ মেয়েটাকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে।
-ক্ষমা করে দিন ঠাকুরমশাই।ও ছোট মানুষ।এমন ভুল আর কখনো করবে না।ওকে এই গ্রামেই আর রাখবো না।পিসি বাড়িতে পাঠিয়ে দিবো আজীবনের জন্য।আমার মেয়েটাকে ছেড়ে দিন।
–মা-বাবার এমন কাকুতি-মিনতি দেখে চোখ ছলছল করে উঠলো স্পর্শীর।ভেতরটা রাগে ফেটে যাচ্ছে।মেয়েটাও যে অনেকটা দোষী।এই মুহুর্তে ঠিক কি করা উচিত তার?

কাকুতি মিনতি শুনলো না ঠাকুরমশাই। পা ছিটকে তাদের দূরে সরিয়ে অনুসারিদের আদেশ দিয়ে বললেন-
এই অলক্ষী’কে মৃতদেহের পায়ের কাছে নিয়ে আসো।
মুহুর্তেই ছেলের পিসি-কাকিরা টেনে হিচড়ে এলোমেলো শ্রাবণী কে নিয়ে এলো শুভর পায়ের কাছে।কেউ একজন সিঁদুর ঢেলে দিলো মৃত শুভর পায়ের বুড়ে আঙুলে।এরইমধ্যে পাশ থেকে শুভর পিসি শ্রাবণীর মাথার চুল খামচে ধরে কপালে সিঁদুর লাগাতে গেলো।মুহুর্তে ‘ই তার হাত খামচে ধরলো স্পর্শী।এক ঝটকায় তার হাত থেকে শ্রাবণীকে ছাড়িয়ে নিয়ে চেপে ধরলো নিজের বুকের সাথে।মেয়েটাও কেমন হতবিহ্বল হয়ে আষ্টেপৃষ্টে ধরলো স্পর্শীকে।

ইশশ!খুব ছোটো মেয়েটা।এইতো আর্শির বয়সী ই হবে।এই বয়সেও এমন ঝড় কি করে সামলাবে মেয়েটা।আর্শি’ই তো রাত হলে বোনকে জড়িয়ে ধরে ঘুমায়।কত্ত ঝড়-বিপত্তি পেরিয়ে ওকে বুঝিয়ে রেখে এলো চার দিনের জন্য।
উপস্থিত সবাই যেন আচমকা চমকে গেল।চোখ দুটো লাল বানিয়ে স্পর্শীর দিকে তাকিয়ে রইলো ঠাকুরমশাই।তার কাজে বাঁধা এ যেন মহাপাপ।রাগত স্বরে তাকালো সব্যসাচী র দিকে।কঠিন কন্ঠে বললো-

সব্যসাচী,এই বিধর্মী মেয়ে মন্দিরের সামনে কি করে এলো?একে নিয়ে যাও।আর হ্যাঁ, বিয়ের পরে তুমি নিজে পুরো মন্দির গঙ্গাজল দিয়ে পবিত্র করবে।
মুহুর্তেই কিছু মহিলা এগিয়ে এলো শ্রাবণী কে নিতে।স্পর্শী পুনরায় আড়াল করে দাঁড়ালো শ্রাবণীর সামনে।অস্থির কন্ঠে সবাইকে বললো-

আপনারা সবাই কি পাগল?কারো একটু বিবেক নেই?এইটুকু মেয়ের উপর এ কেমন অত্যাচার?ও নাহয় ভুল করেই বসেছে তাই বলে কি আপনারাও ভুল করবেন।ওকি শুভকে বলেছে নিজের প্রাণ ত্যাগ করতে।শুভ নিজের বোকামিকে কেন্দ্র করে এমন কাজ করেছে।তাই বলে কি শাস্তি শ্রাবণী পাবে?আপনারাই বলুন,এটা কি ঠিক?
সাময়িক ভাবে আশেপাশের সবাই কিছুটা থেমে গেলো।একে অপরের সাথে মুখ চাওয়া – চাওয়ি করতে লাগলো।মুহুর্তেই হুঙ্কার ছাড়লো ঠাকুরমশাই।বললো-

এই মেয়ের সাহস হয় কি করে আমার কাজে বাধা দেওয়ার?লগ্ন পেরিয়ে যাচ্ছে দ্রুত শবদাহ করতে হবে।লাশ একটু পরেই পচন শুরু করবে।
সাথে সাথেই আবারো সবাই উদবেগ হলো শ্রাবণীকে ছিনিয়ে নিতে।স্পর্শী হার মানলো।বুঝলো এখানে সবাই ঠাকুরমশাইকে ভগবানের ন্যায় মানে।তার কথার নড়চড় কখনোই করবে না তারা।এই মুহুর্ত এই ঠাকুরমশাই ভীষণ ক্ষমতাবান।তাকে অগ্রাহ্য করে কেউ স্পর্শীর যুক্তিতর্ক মানবে না।যদি শ্রাবণীকে বাঁচাতেই হয় তাহলে এই ঠাকুরের চেয়েও ক্ষমতাবান কাউকে লাগবে।যিনি স্পর্শীর কথাগুলো মন দিয়ে শুনবেন এবং বিচার করবেন।আশ্চর্য ব্যাপার!এতো বড় ঘটনা ঘটছে অথচ আশেপাশের কেউ টু শব্দটাও জানে না।নিশ্চয়ই এই বুড়ো সবাইকে বারণ করেছে যাতে এই ঘটনা রায় বাড়ির বাইরে না পৌছায়।

আশেপাশে বারকয়েক তাকালো স্পর্শী।রায় বাড়ির বাইরের একটা কাক পক্ষীও নেই।তার পাশেই শ্রাবণীর বাবা- মা শ্রাবণীকে আড়াল করে ধরে রেখেছে।অঝরে কাঁদছে মেয়েটা।
স্পর্শী ঠাকুরমশাইয়ের দিকে তাকালো।যেহেতু এই লোক বাইরে জানাতে চায় নি সেহেতু তার দূর্বলতাই বাইরের লোকজন।এখানে বেশ কিছু গণমান্য ব্যক্তিকে আনলে তাদের কথার চোটের সামনে নিশ্চয়ই দূর্বল হয়ে পড়বে এই বুড়ো।সে হয়তো ভয় পাচ্ছে তার এমন পাশবিক বিচার যেন বাইরের মানুষ না জানে সে ব্যাপারে।
গলা পরিস্কার করে নিলো এবারে।ঠাকুরমশাই এর তীর্যক দৃষ্টির দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকালো।বললো-

আপনি কি প্রশাসনের কেউ বা এখানকার জজ কোর্টের বিচারক?কোনটা আপনি?অথচ আপনার যা বয়স তাতে আরো ত্রিশ বছর আগে রিটায়ার্ড পাওয়া উচিত।যাই হোক, পুলিশ/প্রশাসন কে বিষয়টা জানিয়েছেন ঠাকুর মশাই?
সামান্য বিব্রত দেখালো বৃদ্ধ কে।আমতা-আমতা করে বললো-
এটা আমার বংশ।এখানে আমার বিচার ই চলে। আমাদের পারিবারিক ব্যাপারে বাইরের মানুষকে আনি না আমরা।তুমি এ বাড়ি থেকে অতি দ্রুত’ই চলে যাবে।নইলে আমার ক্রোধের মুখোমুখি হবে।
হেসে দিলো স্পর্শী।বললো-

এতো বড় একটা ঘটনা ঘটলো।একজন সুইসাইড করলো।আরেকজনকে সেই মৃত মানুষ টার সাথে বিয়ে দিচ্ছেন।আর প্রশাসন বা পুলিশকে কিচ্ছু জানান নি?আপনি কি ভয় পাচ্ছিলেন ঠাকুরমশাই?সে যাই হোক।পেতেই পারেন।আচ্ছা বাদ দিলাম।পুলিশ বাদ।

রাজনীতির রংমহল সিজন ২ পর্ব ১

অন্তত গ্রামের চেয়ারম্যান আর মেম্বার কে তো আনুন।তারাও বসুক,শালিস করুক।আর তা না হলে আমি সোজা 999 এ কল দিলাম।আর সেখানে কল দিলে শুধু পুলিশ না ঠাকুরমশাই,সোজা মন্ত্রণালয় থেকে অফিসার আসবে।আর তখন আপনার এই সম্মানিত বিধি-নিষেধ,শাস্তির ধরণ,নিয়ম কানুন সব শুনবে।এরপরে সেগুলো সংবিধানে যুক্ত করবে।এরপর আমরা সবাই সেগুলো অনুযায়ীই দেশ চালাবো। ভালো হবে না ঠাকুর মশাই?

রাজনীতির রংমহল সিজন ২ পর্ব ৩