শুভ্ররাঙা ভালোবাসা পর্ব ৫৩

শুভ্ররাঙা ভালোবাসা পর্ব ৫৩
তানিয়া মাহি

নিহান রান্নাঘরে শুভ্রতার জন্য রান্না করছিল। আবিরা নিজের ছেলের জন্য খাবার বানাতে এসে দেখে নিহান রান্নাঘরে কিছু একটা করছে। তার দিকে এগিয়ে যেতেই দেখে নিহান চিকেন স্যুপ রান্না করছে। আবিরাকে দেখে বলে, ” দেখ তো রান্না ঠিক আছে কি না?”
আবিরা নিহানের হাত থেকে চামচ নিয়ে পাতিলের খাবারটুকু নেড়ে বলে, ” সবই তো ঠিকঠাকই আছে মনে হচ্ছে। রান্নাটাও হয়ে গেছে। আমি বেড়ে দেব?”

” না আমিই নিচ্ছি।”
নিহান চিকেন স্যুপ্টুকু নিয়ে নিজের রুমের দিকে যায়। শুভ্রতা বসে বসে শাকিরার সাথে কথা বলছিল। অনেকদিন পর বাড়িতে এসেছে। শাকিরার চার বছরের মেয়ে আছে একটা। মেয়েটা বাবার মতো ইংরেজি বলায় ভীষণ পটু। মেয়ে যখন শাকিরার কথা শোনে না তখন ইংরেজের বাচ্চা বলে মেয়েকে সম্বোধন করে সে। শাকিরা বসে শুভ্রতার সাথে গল্প করছে আর সে নানুবাড়ি যাওয়ার জন্য টানাটানি করছে। মেয়ের জন্য আর বসে থাকতে না পেরে চলে যাওয়ার জন্য উঠে দাঁড়াতেই নিহানের সাথে দেখা হয়ে যায় তার। হাস্সোজ্জ্বল মুখেই বলে, ” কেমন আছো ভাইয়া?”

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

নিহান স্যুপের বোল টেবিলের ওপর রাখতে রাখতে বলে, ” এই তো আলহামদুলিল্লাহ, তুই কেমন আছিস? আর এই যে আমার বিচ্ছু মামনিটা কেমন আছে?”
” ওর কথা আর বলো না। সারাদিন কী পরিমাণে যে জ্বা*লায় কী বলব! ”
নিহান হাসতে হাসতে একটা কৌটা থেকে কেক বের করে মেয়ের হাতে দেয়। ওদিক থেকে শুভ্রতা বলে, ” বাচ্চা মেয়ে জ্বা*লাবেই একটু। মা হয়েছিস আর সহ্য করবি না?”

মেয়ে আবার টানতে থাকলে কোলে নিয়ে বলবে, ” দেখেছিস কীভাবে টানছিল? থাক এখন আসছি। পরে আবার আসব। ভাইয়া থাকো আসছি।”
শাকিরা চলে যেতেই নিহান শুভ্রতার সামনে বসে। স্যুপ বোল হাতে নিয়ে ফু দিয়ে চামচে করে শুভ্রতার মুখের সামনে ধরতেই বলে, ” এটা আপনি বানিয়েছেন? ”

” হ্যাঁ আপনার বর বানিয়েছে। খাবেন না?”
” আমার বর রাধুনী হলো কবে থেকে?”
” বউ প্রেগন্যান্ট হলে বরদের একটু রাধুনী হতে হয়, ধোপা হতে হয় আরও কত কী হতে হয়! নাও এখন খেয়ে নাও একটু। ”

” কিন্তু আমার তো ক্ষুধা পায় নি।”
” বাবুর খুব ক্ষুধা পেয়েছে আমাকে বলেছে।”
” কখন বলল? কই আমাকে তো বলেনি!”
” তুমি যে খেতে চাও না তাই বাবুর কথা শুনতে পাওনি। আমাকে ডেকে ডেকে বলল বাবা আমার খুব ক্ষুধা পেয়েছে চিকেন স্যুপ খাওয়াও।”
শুভ্রতা হাসতে থাকে। হাসতে হাসতে বলে, ” তোমাকে এটা বলেছে ও?”

” হ্যাঁ বলেছে। এই যে এখনো বলেছে যে বাবা বসে আছো কেন খাইয়ে দাও তাড়াতাড়ি। ”
শুভ্রতা উচ্চস্বরে হাসতে থাকে। নিহান খাবারটা ফু দিয়ে আর বারবার নেড়ে ঠান্ডা করতে থাকে। শুভ্রতাকে এক চামচ করে দিচ্ছে আর সে খেয়ে নিচ্ছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই পুরো খাবার শেষ করে ফেলে। শুভ্রতাকে পানি খাইয়ে দিয়ে নিহান বাহিরে যেতে থাকলে শুভ্রতা বলে ওঠে, ” রান্নার হাত কিন্তু খারাপ না তোমার, মাঝেমধ্যে রান্না করে খাওয়াতেই পারো।”

” আব্বা, যারে তুলে আনছো রাস্তা থেকে তারে আর কয়দিন বসিয়ে বসিয়ে খাওয়াবে? উনার কী মনে হয় আমরা কিছুই বুঝি না? আর তোমারই বা কেমন জ্ঞান? বাড়িতে দুই দুইটা অবিবাহিত মেয়ে তোমার। এই বাড়িতে অপরিচিত পুরুষ মানুষরে ক্যামনে আনতে পারলা? বাড়ির আশেপাশে ফাঁকা, কোন বাড়ি নাই দেখে বেঁচে গেলে। জনবহুল জায়গা হইলে সম্মান টিকতো তোমার?”

বড় মেয়ে ফারজানার মুখে এমন কথা শুনে বাবা ফাহাদ মিয়া বারবার মেয়েকে থামতে বলছেন৷ মেয়েটা ঠোঁটকা*টা স্বভাবের। যখন যা বলা উচিৎ বলে মনে করে সেটাই বলে। তারই বা দোষ হবে কেন? ছোটবেলা থেকে দিনগুলো যে অতিকষ্টে কা*টছে তাদের। নুন আনতে পান্তা ফুরানোর মতো অবস্থা। পনেরো বছর বয়স থেকে টানা সাতটা বছর মেয়েটা সেলাইয়ের কাজ করে বাবাকে সংসার চালাতে সাহায্য করছে।

ছোটবোনটার পড়াশোনার খরচও চালাতে হয়। নিজেদের দিনই চলতে চায় না তার ওপর বাবা এরকম একটা অপরিচিত পুরুষ মানুষকে ধরে নিয়ে এসেছে। সে নাকি ম*র*তে গিয়েছিল। ফারজানা বিলাপ করতে করতে বলে, ” মরে গেলেই ভালো হতো, তাদের সংসার আরও দুই ধাপ এগিয়ে রশা*তলে যেত না।”
ফারজানার বাবা তাকে থামিয়ে বলে, ” মা রে একটু থাম। ছেলেটা শুনলে কষ্ট পাবে। মানুষ কি কম দুঃখে ম*রতে যায় ক’? ”

ফারজানা বাবার দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বলে, ” পাঁচদিন, পাঁচদিন কম সময় না আব্বা। তিনি চুপচাপ ঘরের কোণে কেন পড়ে আছে বলতে পারো? উনার কি মনে হয় উনাকে আজীবনের জন্য এখানে রাখা হবে?”
” আমি কথা বলে দেখব মা, ছেলেটা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে। একটু ওর দিকটাও ভাব।”

ফারজানা আর কোন কথা না বলে ভাত রান্না করার জন্য চাউল ধুতে কলপাড় চলে যায়।
ফাহাদ মিয়া উঠান থেকে উঠে ইমতিয়াজের ঘরে যায়। ইমতিয়াজ ঘরে বসে জানালা দিয়ে বাহিরে তাকিয়ে ছিল। কারো উপস্থিতি বুঝতে পেরে পিছনে ঘরতেই ফাহাদ মিয়াকে দেখে। তিনি গিয়ে ইমতিয়াজের পাশে বসে বলেন, ” বাবা নিজের ব্যাপারে কিছু ভাবছো? কোথায় যাবা, কী করবা এসব কিছু?”
ইমতিয়াজ কিছুক্ষণ মৌন থেকে বলে, ” আমি ফিরব চাচা, বাড়ি ফিরব আমি।”

” তোমার বাড়ি আছে?”
ইমতিয়াজ কিছু ভেবে তারপর আবার বলে, ” হ্যাঁ আছে। আমার সবকিছু আমার ছোটমা দখলে রাখছে, নিজের করে নেওয়ার জন্য আমারে খু*নের দায়ে জেলে পাঠিয়েছিল। ভালোবাসার মানুষটাও আমারে ছেড়ে চলে গেছে। অতি নির্মম ছিলাম আমি তার ওপর। এখন সবটা বুঝি কত পাপ করেছি আমি।”

দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলে ইমতিয়াজ। ফাহাদ সাহেব বলেন, ” নিজের ভুল যেহেতু বুঝছ তাইলে এইবার ভালোবাসার মানুষটারে আপন কইরা লও। ভালোবাসার মানুষরে দূরে রাখতে হয় না বাবা।”
ব্যথাতুর দৃষ্টিতে তাকায় ইমতিয়াজ। বলে, ” সে আমার ভালোবাসার মানুষ ছিল এখন নাই আর তাছাড়া তার তো মানুষ আছে। চাচা আমি বিকেলেই চলে যাব। অনেক কষ্ট দিয়েছি তাই না? সেদিন আমাকে না বাঁচালেই পারতেন। বড় একটা সমস্যা বিদায় নিত।”

” আত্মহ*ত্যার মাধ্যমে কোন সমস্যার সমাধান হয় না বাবা। ম*রলে ওই একজনই শুধু বিদায় বাকি কারও কোন যায় আসে না। তোমার আব্বা নাই? তিনি তোমার খোঁজ নেন না?”
” আব্বা! ” ইমতিয়াজ কিয়ৎপরিমাণ কষ্ট আর আক্ষেপ বের করতে চেয়েও যেন গিলে নেয়। বলে, ” মা ম*র*লে বাপ আর বাপ থাকে না চাচা।”

সাহিল অরুদের বাড়ি এসেছিল অরুর অসুস্থতার খবর শুনে কিন্তু অরু তো অসুস্থতায়ও চুপচাপ বসে বা শুয়ে থাকার মেয়ে নয়। সাহিল এসেছে শুনেই জামা পাল্টে বাসন্তী রঙের শাড়ি পরে চুলটা ঠিক করে বাধছে সে। অরুর মা চুপচাপ বসে মেয়ের কান্ড দেখছে। সাহিল এসেছে বলে অরুকে ঘুম থেকে ডাকতে এসেছিলেন তিনি। সাহিল এসেছে শুনে অরু জিদ ধরে সে এরকম হয়ে সাহিলের সামনে যাবে না।

মা ও মেয়ের কথা ফেলতে পারে না তাই আলমারি থেকে একটা শাড়ি বের করে দিতেই অরু সেটা খুব যত্নে পরে নেয়। সাহিল বাহিরে বসে অপেক্ষা করছে। অবশেষে অরু তার সামনে আসে। অরুকে এক নজর দেখে চোখ নামিয়ে নেয় সে। এই মেয়েটা বড্ড পাজি। অসুস্থতাও তাকে কোনভাবেই দমাতে পারে নি।

আজ দিয়ে যে কয়েকবার অরুদের বাড়ি এসেছে সাহিল, সেই কয়েকবারই শাড়ি পরেই সামনে এসেছে অরু। অরুর মা আর সেখানে যায় না। কী দরকার মেয়ের সাময়িক সুখের অনুভূতি নষ্ট করে! আর কয়দিনই বা সাহিলের জন্য অতিসুন্দর করে নিজেকে সাজাবে সে?
অরু গিয়ে সাহিলের সামনে টেবিলে হেলান দিয়ে দাঁড়ায় অরু। পিটপিট করে তার দিকে চেয়ে বলে, ” আমাকে কেমন লাগছে সাহিল ভাইয়া?”

অরুর দিকে না তাকিয়েই সে বলে দেয়, ” সুন্দর লাগছে।”
অরু অভিমানী গলায় বলে, আপনি আমাকে না দেখেই কীভাবে বললেন?”
” তুই সুন্দর তাই তোকে সবকিছুতেই সুন্দর লাগবে এটাই স্বাভাবিক।”

অরু সাহিলের কথায় মুচকি হাসে। সাহিল তাকে সুন্দর বলেছে! তাড়াতাড়ি করে সাহিলের পাশে গিয়ে বসে সে। আবদার করার সুরেই বলে, ” আমাকে মেলায় নিয়ে যাবেন? গতকাল থেকে গ্রামের মাথায় ওই নতুন পার্কের সামনের যে ফাঁকা জায়গাটা আছে ওখানে মেলা শুরু হয়েছে। আমার খুব শখ হয়েছে মেলায় যাওয়ার। নিয়ে যাবেন আমাকে?”

সাহিল অরুর মুখের দিকে তাকায়। মাত্র ক’দিনে মুখের কি অবস্থা হয়েছে অরুর! চোখটা যেন গর্তে চলে গিয়েছে। রাতে হয়তো ঘুমাতে পারে না বিধায় চোখের নিচে কালো দাগ পড়েছে। সাহিল মলিন গলায় বলে, ” সেদিন খুব জোরে লেগেছিল না রে? আমি তোকে মারতে চাই নি বিশ্বাস কর। কেন জানি না হুট করেই মাথা গরম হয়ে গিয়েছিল। পরে তুই চলে আসার পর বুঝেছিলাম, আমার ওরকম করা উচিৎ হয় নি। আ’ম স্যরি রে।”

অরু একগাল হেসে বলে, ” কি যে বলেন না! এরকম মা*ইর আমি কতদিন খেয়েছি! স্কুলে তো এর চেয়েও অনেক জোরে জোরে মা’র খেয়েছি আগে। একটুও হাতে ব্যথা পাই নি সেদিন৷ মনে ব্যথা পেয়েছিলাম।” বলেই ফিক করে হেসে দেয় অরু। কিয়ৎক্ষণ চুপ থেকে আবার বলে,” আমি আপনাকে সত্যিই ভালোবাসি, এটা আমার ছেলেমানুষি না সাহিল ভাইয়া। আমি তেরো, চৌদ্দ বছর বয়স থেকে প্রেমের প্রস্তাব পেয়েছি। আমার সব বান্ধবীর বয়ফ্রেন্ড আছে। আমি অবুঝ নই। আপনার জন্য আমার কাউকে ভালোই লাগে না৷ ভেবেছিলাম আর দুইটা বছর আমি এ বাড়িতে থাকব। আঠারো হলেই আপনাকে বিয়ে করে নেব। ”

চোখ দুটো ছলছল করছে অরুর। সাহিলের মুখে কোন কথা নেই। কুলুপ এঁটে বসে আছে। সাহিল জানে অরু এবার চরম সত্যিটাও গড়গড় করে বলে দেবে। সাহিলের ভাবনাকে সত্যি করে দিয়ে অরু বলে, ” আমি সেদিন খুব অসুস্থ হয়ে যাই। মা আর মামা মিলে যখন আমাকে শহরে হাসপাতালে নিয়ে যায় তখন আমার খুব খারাপ লাগছিল। হাসপাতালে নানারকম টেস্ট করানোর পর যখন আমি খুব ক্লান্ত ছিলাম তখন বেডে চোখ বন্ধ করে শুয়ে ছিলাম।

নার্স এসে আমার সব রিপোর্ট মামার হাতে ধরিয়ে দিয়ে নার্স আমার মাকে একটু দূরে নিয়ে গিয়ে জানায় আমার এইচআইভি পজেটিভ। এই রোগ নাকি অনেকদিন ধরেই হয়েছে। মা আর মামা দৌঁড়ে ডাক্তারের কাছে যায় আসল ঘটনা জানতে। আমি তো তখনই বুঝেছি আমার আসলে কী হয়েছে। আমি তো স্কুলের বই পড়ে এসব বিষয়ে আগে থেকেই জেনেছিলাম।

আগে আমি প্রায়ই অসুস্থ থাকতাম ডাক্তার কীসের কীসের ইনজেকশন দিত। ওখান থেকেই বোধ হয়….” গলা আটকে যায় অরুর। আর এসব বলতে ইচ্ছে করছে না তার। এসব বলতে একদম ভালো লাগছে না। নিজের আয়ু যে শেষ, তলানিতে ঠেকেছে এসব কথা কারই বা বলতে ভালো লাগে? অরু নিজেকে সামলে নেয়। আবার বলে, ” আপনি আমাকে একটা কথা দিবেন সাহিল ভাই?”

সাহিল এতক্ষণে গলা ঠিক করে বলে, ” কী?”
” আপনি আপনার প্রেমিকাকে খুঁজে বের করবেন আর তারপর দুজন বিয়ে করবেন। আরেকটা কথা, আপনারা দুজন কিন্তু অবশ্যই একদিন আমার কবর জিয়ারত করতে যাবেন। বেঁচে থাকতে আপনার বউকে দেখতে পারব কি না সেটা তো জানি না।”

সাহিল অরুর কথায় অবাক হয়। কী আশ্চর্য, মেয়েটা হাসছে! ষোলো বছর বয়সী মেয়ে এতটা স্ট্রং হয়! সাহিল অরুর দিকে তাকিয়ে নির্জীব কণ্ঠে বলে, ” অরু, মেলায় যাবি বললি না? পরশু আমরা মেলায় যাব। তোর ওই যে লালশাড়ি আছে না? ওটা পরবি, ঠিক আছে?”

” আপনি আমাকে কথা দিলেন না তো?”
” সে হয়তো এতদিনে বিয়ে করে নিয়েছে। আমাকে যেন বিয়ে না করতে হয় তার জন্যই তো সবকিছু নিজের মতো করে নিয়েছিল সে। এতগুলো বছর পর সে কেন আমাকে বিয়ে করার জন্য বসে থাকবে? এসব এখন বাদ দে। তুই অনেক ছোট এসব বুঝবি না।”

” আর দুই বছর বেঁচে থাকলে আমিই আপনাকে বিয়ে করাতাম সাহিল ভাইয়া। অন্য কোন মেয়ে বা প্রাক্তনকে আপনার কাছে ঘেষতেই দিতাম না, কিছুতেই দিতাম না।”
অরুর গালে আলতো করে হাত রাখে সাহিল। মেয়েটার চেহারা এই কয়েকটা দিনে কেমন হয়ে গিয়েছে কিন্তু মুখ থেকে মায়া কাটেনি। এত ভালো মেয়েদের এত তাড়াতাড়ি চলে যেতে নেই। অথচ ভালো মানুষ আর ভালো জিনিসই বেশিদিন টিকে না। সাহিল অরুর মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বলে, ” আমি বিকেলে আসব আবার, এখন যাই?”

শুভ্ররাঙা ভালোবাসা পর্ব ৫২

” আপনার আসতে হবে না। আমিই নাহয় যাব আপনাদের বাড়িতে।”
” না, আমিই বিকেলে কাজ সেরে একবার আসব। একদম মন খারাপ করে থাকবি না, বুঝেছিস?”
” আমার মন খারাপ হয়না। বিকেলে কখন আসবেন?”
” সময় বলতে পারছি না।”
” আমি অপেক্ষা করব আপনার জন্য। ”

শুভ্ররাঙা ভালোবাসা পর্ব ৫৪