সংকটময় প্রেম পর্ব ৬

সংকটময় প্রেম পর্ব ৬
সুরাইয়া সাত্তার ঊর্মি

কান্নার এক পর্যায় আমার ধ্যান ভাঙ্গে ফোনের রিং টোনে, কান্নার ফলে চোখে এখন ঘোলা দেখছি, এই মুহুর্তে ইউসুফ নামক মানুষটিকে খুন করে ফেলতে ইচ্ছে করছে, তবুও নিজেকে সামলে ফোনটা রিসিভ করতেই, ও পাশ থেকে ভেসে এলো,

“জান… কেমন আছো?”
কিছুক্ষণ থম মেরে রইলাম, কানে যা শোনলাম ঠিক তো? কেউ আমাকে জান, ফান ডেকে উল্টায় ফালতেছে, অথচ তাকে আমি চিনতেই পারতেছি না? অপরিচিত কন্ঠটি কার বুঝতে চেষ্টা করেও বৃথা হলাম। চোখের কোনের জলটুকু মুছে নিলাম। এলোমেলো অবাধ্য চুল গুলো গুঁজে নিলাম কানের পিছনে। কঁপালে এখন সুরু চিন্তার ভাজ। কান্না করার ফলে ফুলে যাওয়া চোখের আভা লাল। তার উপর বিরক্তিময় এক ডাক… জান? কে এই ব্যক্তি? আমি নিজের গলা ঝেড়ে বললাম,

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

” আপনি কে ভাই? বলা নাই কওয়া নাই হুট করেই জান ডাকতে শুরু করেছেন? আজ কাল বুঝি যাকে তাকে জান ফান বলার টেক্স দিচ্ছে সরকার?আগে নাম্বার চেক করুন, তারপর না হয়, জান ফানকে ফোন দিন? যতসব আজব পাবলিক আমার কঁপালেই?”

বলেই ঘটাঘট ফোন টা কেটে দিলাম। পরক্ষণেই আবারো গগনবিদারী চিৎকার করে বেজে উঠলো ফোন। একই নাম্বার থেকে ফোন দেখেই মেজাজ এবার তুঙ্গে উঠে গেলো, ফাজলামোর একটা লিমিট থাকা প্রয়োজন। আমি এক গাদা গালি ছুড়ে দিবার মনোভাব নিয়েই ফোন তুলতেই ওপাশ থেকে বলে উঠলো,

” জান আমি তোমার সব থেকে বড় আশিক…. তুমি আমাকে চিনোনা.. তবে আমার স্বপ্ন তুমি। প্লিজ আমার ভালোবাসা গ্রহন করো?”
এবার আর সইতে পারলাম না। এক বাজখাঁই ধমক মেরে বললাম,

” তোর মতো ধুরন্দর পোলা আগে দেখি নাই, আর একবার ফোন দিলে, মোবাইলের ভিতর ঢুকে ঘুশি মারবো।মাইন্ড ইট।”
বলেই ফোন কাটবো, তার আগেই অপাশ থেকে অট্রো হাসিতে ফেটে পড়লো। এবং ফট করে ফোনটা কেঁটে দিলো। আমি হা হয়ে গেলাম। কিছুক্ষণ আগের মন খারাপ ফুঁস করে উড়ে গেলো।আমি ফট করে উঠে দাঁড়ালাম। বাহিরে এখন দুপুর গড়িয়ে বিকেল। বন্ধ ঘরটায় হাঁসফাঁস লাগছে।

এসব তিড়িং বিরিং মনোভাব দূর করার জন্যই চলে গেলাম ইউসুফ ভাইয়ের অতি আদরের ছোট বোন আয়দার কাছে। মেয়েটি মুখ গুঁজে আছে বইয়ের ভাজে, ভাই-বোন দু’টোই বই পোকা। আমি আয়দার কাছে গিয়ে বসে পড়লাম। আয়দার গোলগাল মুখের সুন্দর চোখ জোড়া ঠিক ভাইয়ের চোখের মতো, তাতে ঝুলছে চশমা। আমি ওর কাছ ঘেঁষে বললাম, ” মেয়ে তোমাদের কি আমার মানুষ বলে মনে হয় না?”

আয়দা অদ্ভুত দৃষ্টিতে চাইলো, ধীরে ধীরে বলল, ” আপু এমন বলছো কেন? কেউ কিছু বলেছে তোমাকে?”
আমি মাথা না বোধক নাড়ালাম, কে কি বলবে আমাকে?এ বাড়িতে নানাজান থাকতে কারো কোনো কিছু বলার সাধ্যি নেই। ওই বেটা ইউসুফ ভাই ছাড়া। আমি বললাম, ” কে কি বলবে আর, তোমরা আমাকে বন্যপ্রাণীদের মতো বন্দী করে রেখেছো আমাকে। ”
আয়দা গোল গোল চোখে করে বলল,”মোটেও না আপু, বলো কোথায় যেতে চাও তুমি।”

” আমি শুধু ঘুরতে চাই।”
আয়দা বলল, ” ঠিক আছে আপু রেডি হয়ে নাও আমরা বের হবো। আমাদের ক্যাম্পাসে ঘুরিয়ে আনি কি বলো?”
আমি খুশি হয়ে বললাম, ” কোথায় তোমার ক্যম্পাস?”
আয়দা মিষ্টি হেসে বলল, ” বাউ… মানে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ”
আমি আরো খুশি হয়ে গেলাম। চট করে তৈরি হয়ে গেলাম। আয়দা এসে ডাকলো, ” চলো আপু।”

আমি খুশিতে আত্মহারা হয়ে বেড়িয়ে পড়লাম আয়দার সাথে। গাড়ির বদলে রিকসা নিলো আয়দা, আমার পিড়াপীড়িতে। ঘুরবোই যখন মুক্ত আকাশে ঘুরবো। স্পর্শ করবো মন খোলে মুক্ত বাতাস। ভিতরের সব দূষণ বের করে দিবো আজ। ভার্সিটির প্রথম গেট ক্রশ করতেই শুরু হয়ে গেলো দু’পথের বড় বড় সবুজে গাছের উঁচু শির। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হচ্ছে, সূর্যের লালিমা উঁকি দিচ্ছে থেকে থেকে গাছের ফাঁকফোকর দিয়ে। আমি আয়দাকে বললাম, ” তোমাদের ভার্সিটা অনেক সুন্দর। আর অনেক বড়।”

আয়দা সম্বিত দিয়ে বলল, ” হ্যাঁ আপু বাংলাদেশের সব থেকে বড় ভার্সিটি এইটা। তুমি জানো, এখানে এমনো রাস্তা আছে, তুমি পরিচিত কারো সাথে না এলে গুম হয়েও যেত পারো।”
আমি অবাক হয়ে বললাম, ” গুম হবো কেন?”
আয়দা বলল, ” ভার্সিটি খুব বড় এড়িয়া আপু, কখনো কোন দিক কি হয় বলা যায় না।”

আমি ছোট করে ‘ওহো’ শব্দটি উচ্চারণ করলাম। এর পরে চলে গেলাম আমরা জব্বারের মোর। এখানে এসে বসলাম ঢাকা রেললাইনের উপর। মামা চা দিয়ে গেলেন। এখানে সবাই জোরা জোরা বসা। কোথাও আবার বন্ধুমহল, কোথাও গোল হয়ে বসে গিটারের তালে তালে গানের সুর তুলেছে,

একা রাতেরই আকাশে
তুমি বাজালে একতারা
আমার চিলেকোঠার পাশে
ঠিক সন্ধ্যে নামার মুখে
তোমার নাম ধরে কেউ ডাকে
মুখ লুকিয়ে কার বুকে
তোমার গল্প বলো কাকে?”
আমি চায়ে চুমুক দিয়ে আশে-পাশের পরিবেশ উপভোগ করতে লাগলাম।ঠিক তখনি আয়দার ফোন বেজে উঠলো, আয়দা ফোন দেখিয়ে হন্তদন্ত হয়ে বলল,

” নানাজান ফোন করছে আপু।”
আমার মুখ ফ্যাকেসে হয়ে গেলো। আমি বললাম,
” রিসিভ করতে হবে না, আমরা তো চলেই যাবো কিছুক্ষণ পর। বাসায় তো বলে এসেছি, নাকি?”

“ঠিক আছে ” বলে আয়দা ফোনটা রেখে দিলো। মাগরিবের আজান দিচ্ছে। তখনি ঢাকা রেললাইনে ট্রেন আসার সময় হয়ে যাওয়াতে একে একে উঠে পড়লো। আমি আর আয়দাও উঠে পড়লাম। ট্রেনটা স্বাই করে চলে গেলো ঝনঝন শব্দ তুলে। আয়দা কিছু বন্ধু-বান্ধবরাও যোগ হয়েছে আমাদের সাথে। আয়দার খুব নামডাক। হবেই বা না কেন, যার ভাই এত বড় নেতা, তার বোন অবশ্যই ছোট খাট কোনো পদে নয়? আয়দা তার বন্ধুমহলের মধ্যবিন্দু।মনে পড়ে গেলো আমার বিদেশি বন্ধু মহলদের কথা। মনটা খারাপ হয়ে গেলো হুট করেই।

কত দিন ওদের সাথে কথা হয় না, দেখা হয় না। আগের মতো হৈ-হুল্লোড় হয় না। সব কিছু ওই বিয়ে বিয়ে করে। আমি দীর্ঘশ্বাস ছাড়লাম। চারিদিকে অন্ধকার ছড়িয়ে পড়েছে। আয়দার মশগুল বন্ধুবান্ধবের সাথে। আর আমি তাদের কিছু ছবি ক্যামেরায় ধারণ করলাম স্মৃতি হিসেবে। দেখা যাবে, এখান থেকেই না কবে পালিয়ে যাই আবার।ভেবেই হেসে ফেললাম। কিন্তু আমাদের হাসিখুশির মুহুর্তটা হুট করে সন্ধ্যার কালো ছায়ার মতো নেমে এলো ইউসুফ ভাইয়ের ফোন। আমাকে ধাক্কিয়ে বলল, ” আপু এইবার ফোন তুলতেই হবে, নয়তো ভাইয়া খুন করে ফেলবে।”

আমি এবারো পাত্তা দিলাম না। ওর হাত থেকে ফোনটা নিয়ে সাইলেন্ট করে দিলাম। বললাম, ” আমরা বলে তো এসেছি নাকি? এত টেনশনের কি আছে? তুমিও তো যথেষ্ট বড় হয়েছো? এত টেনশনের কি আছে?”
আয়দা শুকনো ঢুক গিললো। ঠোঁট দুটি জিব্বা দিয়ে ভিজিয়ে বলল, ” আমাকে নিয়ে না আপু, তোমাকে নিয়ে টেনশন করছে।”

আমি এবার ভ্যাবাচেকা খেয়ে গেলাম। ক্যাবলাকান্তের মতো হেসে বললাম, ” আমাকে নিয়ে ভয় পাবার কি আছে? আমি তো ভেগে যাচ্ছি না। হে হে হে।”
আয়দা তাকিয়ে রইলো। হ্যাঁ বোধক মাথা নাড়লো। আমি বিষম খাই। আর কথা না ঘুরিয়ে বলি, “আমি কোথাও যাচ্ছি না আয়দা, ফোন তুলে বলে দাও তোমার ভাইকে।”

বলতেই আয়দা সঙ্গে সঙ্গে ফোন রিসিভ করলো, এ পর্যন্ত ইউসুফ ভাই ১০ টা কল করে ফেলেছে। আয়দা ভয়ে ভয়ে ফোন তুলতেই ওপাশ থেকে বাজখাঁই ধমক দিয়ে উঠলেন ইউসুফ ভাই। এত জোরেই দিলেন যে পাশে থাকা আমিটা চমকে গেছিলাম। নিজের বোনের সাথে এমন কে করে? ভেবেই একগাদা গালি দিলাম। সত্যি ঠিকি বলে সবাই, এই লোকটা জালিম। বড্ড বড়ই জালিম।ফোনটাই তো তুলেনি, কি এমন অপরাধ করে বসেছে?

কে জানে? আয়দার ফর্সা মুখটা মুহূর্তে কালো হয়ে গেছে। আমার জন্যইতো মেয়েটা বকা খেলো। তাই ভাবলাম ওকে না হয় কিছু একটা কিনে দেই, বাচ্চা মেয়েটার মনটা ক্ষনিকের জন্য হলেও ভালো হবে।খুব অপরাধ বোধ কাজ করছে বুকে। তখনি চোখ পড়লো একটি আইসক্রিম ওয়ালার দিকে,আমি দৌঁড়ে গেলাম সেখানে। পিছন থেকে আয়দা চেঁচালো, ” আপু আমাদের এক্ষুনি বাসায় যেতে হবে, আপু কই যাচ্ছো, আপু শোনো?”

আমি পিছনে ঘুরে বললাম, “তুমি রিকসা করো আমি আইসক্রিম নিয়ে আসছি।”
আয়দা আতঙ্কিত কন্ঠে বলল, ” আপু জলদি করো৷, ভাইয়া বড্ড খেপে আছেন।”
আমি মুখ ভেঙ্গচি কেটে বললাম, ” তার রাগের ধার এই কুহু ধারে না।”

আয়দার ফ্যাকাসে মুখে এক ঝলক হাসি দেখা গেলো। আয়দা রিকসা করে বসে আছে রিকসায়। আমি দু’টো আইসক্রিম হাতে নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলাম। কোথা থেকে খুব স্প্রীডে দু’টো কালো গাড়ি ঢুকলো। ঠিক রিকসায় উঠবো তখনি রিকসায় ধাক্কা মারলো। আয়দা আর রিকসাওয়ালা মামা ছিটকে পড়ে গেলেন দূরে। অকস্মাৎ ঘটায় আমি কিংকর্তব্যবিমূঢ়। দৌঁড়ে আয়দাকে তুলতে যাবো তখনি দু’টো হাট্টা গাট্টা লোক এসে টেনে ধরলো আমার হাত। আমি ভয়ে আতঙ্কে চিৎকার করে উঠি। লোকটি আমাকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যেতে লাগে।

লোক গুলোর হাতে বন্দুক। হওয়ায় ফায়ারিং করছে তারা বার বার। ভয়ে কেউ এগিয়েও আসতে পারছে না। তবুও আয়দার বন্ধুরা যাও এগিয়ে এসেছিলো। তাদের দিকে বন্দুক তাক করে গুলি ছুড়তেই তার সরে যায়। ভয়ে কাতর আয়দা নিজের ভাইকে ফোন করে জলদি। কিন্তু ততক্ষণে তারা আমাকে টেনে নিয়ে যেতে লাগে গাড়ির কাছে। আর বলতে লাগে, ” ছরির কিছু যেন না হয়, বস আমাগো না হয় কুরবানি করবে। ”

আমি বুঝতে পারছি না, কারা এরা আমাকেই বা কে তুলে নিচ্ছে? কোনো কিছুর উত্তর খুঁজে পাচ্ছি না। আমার বাবা সাধারণ সরকারি কর্মকর্তা। তার সাথে কেন কারো ঝামেলা। আর ইউসুফ ভাইয়ের পরিবারে শত্রু পক্ষ হলে তারা তো আয়দাকে তুলতো আমাকে নয়। তাহলে কি তাদের কোথাও ভুল হচ্ছে? আমি বললাম, ” দেখুন আপনারা কারা, কেন আমাকে তুলছেন, হয়তো কোথাও ভুল হচ্ছে । প্লিজ আমাকে ছেড়ে দেন। ”

লোকটি বিশ্রি হাসলো, খিস্তি দিয়ে বলল, ” নারে ছোরি, তোকেই বলেছে। আমাদের কাছে তোর ছবি পাঠানো হয়েছে।”
আমি বিস্ফোরিত দৃষ্টিতে তাকাই। কে এমন করছে? ভেবেই ভয় জর্জরিত হয়ে বললাম, ” কে… কে পাঠিয়েছে আপনাদের?”
লোকটি আগের ধাঁচেই বললো, ” গেলেই বুঝবা।”

গেলে বুঝবা মানে কি? আমি মোটেও ওদের সাথে যাবো না। তাই নিজের সর্বশক্তি প্রয়োগ করে লোকটি নিম্নাঙ্গে কসে লাথি বসাই।অন্য লোকটি ধরতে এলে লোকটি দিকে বালু ছুরে মারি এবং ছুটে চলে যাই আয়দার কাছে। আয়দাকে কোনো রকম উঠিয়ে বললাম রিকশা ওয়ালার উদ্দেশ্য, ” মামা যেতে পারবেন আপনি? জলদি চলুন তাহলে?”
রিকসাওয়ালা মামা আমাদের নিয়ে এক ছুট চলাতে লাগলেন তার সাবারি। আয়দার সফেদ দেহে দাগ পড়ে গেছে। বড্ড অপরাধ বোধ কাজ করছে। সবাই নিশ্চয়ই আমাকে এর জন্য দায়ি করবে? ভাবতেই বিতৃষ্ণায় ভরে গেলো মন। আমি আয়দাকে কিছু বলবো, তার আগেই আবারো ইউসুফ ভাইয়ের ফোন এলো, আয়দা তুলতেই জিজ্ঞেস কররো থমথমে কন্ঠে,

” কই এখন তোরা?”
আয়দা কোনো রকম বলল, ” ফাস্ট গেট।”
ফোন কেটে গেলো। আমি বললাম, ” আয়দা আম সরি।”
আয়দা কিছু বললো না। বুঝতে পারছি সে কান্না করছে। আমি নিজেও কত বড় বিপদে পড়তে নিয়েছিলাম। এতক্ষণে আমার মৃত্যু দেহ হয়তো পাওয়া যেত কোথাও। আমি তখনের কথা ভেবে শিউরে উঠতেই। সামনের দিকে ঝুঁকে পড়লাম। তাকিয়ে দেখি ইউসুফ ভাইয়ের গাড়ি দাড় করিয়েছেন মুখোমুখি।

শক্ত পোক্ত চোয়াল থমথমে,মাথার চুল গুলো এলোমেলো। গায়ের সাদা পাঞ্জাবিটাও কুচকে আছে। বোঝাই খবর পেয়েই দৌড়ে এসেছেন। খেপে আছেন খুব। রক্তিম নয়নে তাকিয়ে আছেন আমাদের দিকে। উনি মধ্য রাস্তায় গাড়ি দাড় করিয়ে নেমে এলেন আমাদের দিকে। আমি কিছু বলবো তার আগেই টেনে নামালেন আমাকে, এবং ঠ্রাটিয়ে এক চর বসালেন আমার গালে। আমি অকস্মাৎ থাপ্পড় খেয়ে মাটিতে পড়ে গেলাম, ঠোঁট কেঁটে বেড়িয়ে এলো রক্ত।

সংকটময় প্রেম পর্ব ৫

আমি গালে হাত দিয়ে তাকিয়ে আছি তার দিকে। উনি কেন মারলো আমাকে বুঝতে পারছি না। পাশেই থরথর করে কাঁপছে। আমি কিছু বলবো, তার আগেই টেনে তুলে আবার ঠাস করে থাপ্পড় লাগালেন, তার হাতে জোরে এবার আমার মাথা ঘুরে গেলো। সব কিছু চোখের সামনে ঘোলাটে হয়ে গেলো। ইউসুফ ভাইয়ের এমন রূপ আর চাহনিতে সেখানেই হুঁশ হারাবো তার আগেই শুনতে পেলাম তার তীক্ষ্ণ বাক্য গুলো। বুক চিঁড়ে গেলো সঙ্গে সঙ্গে….

সংকটময় প্রেম পর্ব ৭