সে আমার সুকেশিনী পর্ব ৭

সে আমার সুকেশিনী পর্ব ৭
রাউফুন

গেট খুলে ভেতরে ঢুকার পরই বিউটির ফোন কল এলো। হাতের ব্যাগ রেখে ফোন বের করে দেখলো মারিয়ামের কল। কল রিসিভ করলো বিউটি। মারিয়াম কল দিয়ে কাঁন্না করছে। বিচলিত হলো বিউটি। আবার নিশ্চয়ই ঐ লোকটা কিছু করেছে।
‘বিউটি, ঐ লোক আমাকে নিতে এসেছে আজকে।’

‘আশ্চর্য আবার? সেদিন আংকেল আন্টিকে এতো বুঝিয়ে এলাম তবুও একই ভুল করছেন উনারা?’
‘আমি কিছু জানি না রে। আমি এখন কি করবো বল?’
‘কাঁন্না করবি না একদম। আশ্চর্য তুই কেন ঐ লম্পট টার ভয়ে শিটিয়ে থাকবি? কেন কাঁন্না করবি? তোর চোখের পানি কি এতোই স্বস্তা যে স্বস্তা মানুষের জন্য ফেলছিস!’

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

‘আমি ওঁর জন্য কাঁদছি না। আমার আব্বু আম্মুর কি আমার উপর একটুও রেস্পন্সিবিলিটি নেই? আমাক ঘাড় থেকে নামাতে পারলেই যেনো দায় মুক্ত হয়ে যাবেন তারা। উঠে পরে লেগেছে আমাকে আবার মানুষ নামক অমানুষটার কাছে পাঠানোর জন্য!’
বিউটি কিছু একটা ভাবলো। তারপর বললো,’তুই এক্ষুনি আমার বাড়িতে চলে আয় তোর ব্যাগ গুঁছিয়ে।’
‘কিহ?’

‘যা বললাম তার একটুও যেনো নড়চড় না হয়।’
‘যাবো কি করে? সিজান আমাদের বাড়িতেই বসে আছে।’
‘তুই বলে দে কাল যাবি তুই। এমন ভাবে বলবি যেনো বিশ্বাস করে কাল ই তুই যাবি। ওঁকে বিদেয় করে আমার এখানে চলে আয়।’
‘ওকে আসছি।’
‘আচ্ছা।’

বিউটি ফোন রাখতেই হাশেম আলী নিচে নেমে এলেন। মেয়ে ব্যাগ দুটো নেওয়ার আগেই তিনি হাতে তুলে নিলেন। বিউটি ক্ষীন রাগ হয়ে বললো, ‘আব্বু তুমি আবার ভারী ব্যাগ নিচ্ছো? হাতে ব্যথা তোমার ভুলে যেও না!’
‘বিউটি মা, তোমাকে কতদিন বারণ করেছি বাজারে না যেতে। মানুষ খারাপ বলে!’

‘আব্বু, এই কথাটা তুমি সব সময় বলে থাকো। লোকের কথা তুমি বা আমি কেউ-ই ধরে বসে থাকি? কিছু কিছু লোকের কাজ কর্ম না থাকলে যা করে! ওঁরাও কিন্তু মাইনে পায় না, একেবারে বিনে বেতনে স্পেশাল চাকুরি বুঝলে আব্বু?’
‘দুই দিন পর তোমার বিয়ে আর এসব কি কথা?’
‘আব্বু, বিয়ে করতে চাই না আমি।’

‘কেন চাও না? দেখো মা, এতো দিন তোমার পড়াশোনার জন্য তোমার বিয়ের কথা ভাবিনি। এমএসসি পাশ করার পর চাকরিতে যোগ দিলে। এরপর বললে চাকরি করে তোমাদের খাওয়াবো না? এতো কষ্ট করে পড়িয়েছো৷ তুমি চাকরি পাওয়ার পর আমাকে রিটায়ার্ড করিয়ে দিলে। সব তো তোমার কথা ভেবেই করেছি আমরা। তোমার বয়স কিন্তু কম হয়নি মা। তোমার কোথাও পছন্দ আছে কি না জিজ্ঞেস করলে বলো না। তোমার জন্য যে আমাদের, বিশেষ করে তোমার মায়ের চিন্তা হয় তার কি কোনো প্রভাব তোমার চোখে পরে না? যেহেতু তোমার কোনো পছন্দ নেই তাহলে বিয়ে করতে সমস্যা টা কোথায়?’

বিউটি সবকিছুই আরোপ করে। কিন্তু বড্ড স্বার্থপর হয়ে যায় সুপ্রিয়র কথা ভেবে। সে কোনো কান্না গিলে বলে,
‘বাদ দাও না আব্বু এসব কথা। আচ্ছা আব্বু, যদি তোমার আরেকটি মেয়ে আসে এই বাড়িতে পার্মানেন্ট ভাবে, তোমার কি কোনো আপত্তি থাকবে?’

হাশেম আলী মেয়ের কথা বুঝলেন না। ভাবতেও চাইলেন না। শুধু মেয়ের তার কাছে কোনো আবদার আছে ধরতে পারলেন। মাথায় হাত রেখে মুচকি হেসে বললেন, ‘আমার যদি তোমার মতো হাজার টা কন্যাও হতো আমি কখনোই বলতাম না আমার এতো গুলো মেয়ে কেন? আমার নতুন কন্যাটা কে? কে আসবে বলো আমার বাড়িতে!’

‘আব্বু মারিয়াম কে আমাদের বাড়িতে রেখে দিলে কেমন হয়? একদম পার্মানেন্ট!’
‘আমি তো সব সময়ই বলি আমার দুটো মেয়ে। মারিয়াম কি আমার মেয়ে নয়?’
‘কেন মারিয়ামকে এই বাড়িতে রাখতে চাইছি জানতে চাইলে না আব্বু?’
‘উঁহু, মাই ডটার্স ডিসিশান ইজ দ্যি মোস্ট প্রিসিয়াস টু মী!’
‘বিউটি লাভস ইয়্যু সো মাচ্ আব্বু!

মাই ফাদার ইজ দ্যি বেস্ট ইন দিস ওয়ার্ল্ড! দ্যি মোস্ট হ্যান্ডসাম অ্যান্ড দ্যি বেস্ট মাই ফাদার!’
মেয়ের কথায় হাশেম আলী হো হো করে হেসে উঠলেন। বিউটি বাবার দিকে তাকিয়ে মুগ্ধ হয়। গল্প করতে করতে তারা উপরে চলে এসেছে। বিউটি জোর করে অন্য ব্যাগটি নিয়ে নিয়েছে তখনই। হাশেম আলী কিছুটা হাঁপাতে হাঁপাতে বললেন, ‘এই দেখো বাবা কেমন হাঁপিয়ে গেছি। তোমার আমাকে এখনো হ্যান্ডসাম মনে হয়? তোমার বাবার চুল দাঁড়িতে পাক ধরেছে, শরীর ভেঙে জীর্নশীর্ন হয়ে গেছে। এই দেখো চামড়া ঝুলে গেছে। আর তুমি বলছো হ্যান্ডসাম!”

‘আমার আব্বু এখনো অন্নেক হ্যান্ডসাম। সেই হিসেবে আম্মুর চেহেরা কম সুন্দর!’
‘তোমার আম্মু যদি শুনেন যে, তুমি আড়ালে আমার প্রশংসা করছো আর তার নিন্দে করছো আজকে ভাত জুটবে না!’
হাশেম আলী আবার হাসলেন। বিউটিও হাসলো। কলিং বেল চাপতে চাপতে বিউটি বললো,
‘তোমার সুপ্রিয় ভাইয়ার কথা মনে আছে আব্বু?’
হাশেম আলী মনে করার চেষ্টা করে বললেন, ‘আমাদের গ্রামের হিকমতের ছেলে সুপ্রিয়?’
‘ইয়্যেস আব্বু!’

‘হঠাৎ ওঁর কথা জানতে চাইলে? তুমি তো তখনো অনেক ছোট। তোমার তো সুপ্রিয়দের কথা মনে থাকার কথা নয়!’
বিউটি মনে মনে ভাবলো, ‘তোমার মেয়ে যাকে তিল তিল করে নিজের ভেতরে লালন করে এসেছে, নিজের শিরা উপশিরায় যাকে অনুভব করে, যার অস্তিত্বকে নিজের ভেতরে পুষেছে তাকে ভুলে যাবে? সুপ্রিয় ভাইকে আমি নিজের অস্তিত্ব বানিয়েছি যখন থেকে বুঝতে শিখেছি তখন থেকে। যাকে ছাড়া তোমার মেয়ে অচল আব্বু! যার কথা এতোদিন তোমাদের বলতে পারিনি। যদি বলতামও তবে কাকে আনতাম তোমাদের সামনে। কিন্তু এখন? এখন আমার কেন যেনো বিশ্বাস হচ্ছে সে আসবে আমার কাছে। তাই সাহস করে তোমাকে তার কথা জিজ্ঞেস করলাম।’

নিজের ভাবনা থেকে বেরিয়ে এলো বিউটি। হাশেম আলী বিরক্ত হয়ে বললেন,’ এখনো দরজা খুলছে না কেন বলো তো?’
‘ওঁরা হইতো কাজ করছে। আচ্ছা আব্বু সুপ্রিয় ভাইরা এখন কোথায় থাকে জানো?’
‘এর আগে তোমায় কখনোই তো কোনো বিষয়ে এতোটা আগ্রহী দেখাইনি!’
বিউটি উত্তর দিলো না। পুনরায় জিজ্ঞেস করলো বাবাকে,
‘আব্বু জানো তুমি ওঁদের ঠিকানা?’

হাশেম আলী মেয়েকে কখনোই কোনো বিষয়ে প্রশ্ন করেন নি। ভেতরে ভেতরে কৌতুহল জাগলেও আজও প্রশ্ন করলেন না। শুধু বললেন,’নাহ, হিকমত সহ ওর পরিবার হঠাৎই এক রাতে উধাও হয়ে যায়। জানা যায়নি তারা কোথায় গেছে। হিকমতের খোঁজ নিতে আমি অনেক চেষ্টা করেছি। পুলিশের সঙ্গেও যোগাযোগ করে ওঁদের খোঁজ চালিয়েছি। ওঁদের গায়েব হয়ে যাওয়া টা আমার কাছে রহস্যের মনে হয়েছে। আর সন্দেহের উৎপত্তি হয়েছিলো তখন যখন আমি বিশাল বড় সত্যি,…!’

হাশেম আলী আর কিছু বলার আগে বিউটির ভাবি সুদিপ্তা দরজা খুলে দিলো। বিউটির ভেতরে আঁকুপাঁকু করছে। বাবার কথা সম্পুর্ন হলো না। উৎকন্ঠায় উতলা হয়ে গেলো সে। ব্যাগ দুটো রান্না ঘরে রেখে বিউটি উপরে গেলো। মারিয়াম আসার অপেক্ষা করতে করতে তার ফোন আবার বেজে উঠলো। এদিকে বাবার সন্দেহের কারণ টা কি ছিলো সেটা জানা হলো না। তাও যখন প্রশ্নটা সুপ্রিয়কে ঘিরে তখন কি সে অস্থির না হয়ে পারে?

বিউটির ফোনটা আবার বেজে উঠলো। বাবার শেষ কথার চিন্তায় না দেখেই ফোন রিসিভ করলো সে। অপরপাশ থেকে ভীষণ নরম পুরুষালি কন্ঠ শুনতে পেলো।
‘হ্যালো মিস বিউটি!’
বিউটি কন্ঠ শুনে একটু চমকালো। কান থেকে ফোন নামিয়ে দেখলো মিনহাজ স্যার দিয়ে সেইভ করা নাম্বারের কলটি সে রিসিভ করেছে। সে সালাম দিয়ে বললো,

‘জ্বী স্যার। কি আশ্চর্য, হঠাৎই কি মনে করে কল করলেন স্যার? আজকে তো অফ ডে। কোনো কাজ পরেছে?’
‘আপনি কথায় কথায় আশ্চর্য বলবেন না মিস বিউটি!’
‘কেন স্যার? এখন কি আমি আমার এতো দিনের অভ্যাস বদলাবো?’
‘এতো কথা জানি না। আমার সামনে বলবেন না। ওয়েল লিসেন মিস বিউটি, টুডেই ইয়্যু হ্যাভ টু কাম টু আ’ প্লেস। মাই সিস্টার্স উইল মীট ইয়্যু এন্ টক টু ইয়্যু। আ’ম সেন্ডিং দ্যি অ্যাড্রেস বাই ম্যাসেজ!
উইল কাম ইন ডিয়্যু টাইম!’

বিউটিকে চরম আশ্চর্যের মধ্যে ফেলে দুম করে কল কেটে দিলো মিনহাজ। এতক্ষণ যেনো দম বন্ধ হয়ে আসছিলো মিনহাজের। কি মেয়েরে বাবা। শুধু কথাতেই মানুষকে খু’ন করে ফেলছে দিন দুপুরে।
‘আমাকে দিন দুপুরে খু’ন করার অপরাধে আপনার শাস্তি পাওয়া উচিত মিস বিউটি! উফফ! আরেকটু হলে দম আটকে মা’রা যাচ্ছিলাম আমি। কারোর কন্ঠ এতো সুন্দর শোনায় কিভাবে? অবশ্য আপনার কন্ঠ আমার প্রথম দিন থেকেই চমৎকার লাগে। কিন্তু ফোনে কথা বলার সময় একটু বেশি করে আপনার কণ্ঠে অভিভূত হয়ে যায় আমি।’

বিউটি কিছুই বুঝতে না পেরে কতক্ষণ ফোনের দিকে তাকিয়ে রইলো। সে বুঝতে পারলো না মিনহাজের বোন কেন তার সঙ্গে দেখা করতে চাইছে! সে যতটা জানে মিনহাজ স্যারের নিজের কেউ-ই নেই। তবে বোন এলো কোথা থেকে?
মিনহাজের ম্যাসেজ করা ঠিকানা দেখে ফোন রেখে সে ফ্রেশ হলো। যতোই হোক, যেহেতু তার অফিসের বস বলেছে নিশ্চয়ই কোনো প্রয়োজন হবে। তাই সে যাবে। সে ফ্রেশ হওয়ার জন্য যাবে তখনই মারিয়াম এলে তার রুমে।
‘চলে তো এলাম আমি। এরপর কি হবে বিউটি?’

মারিয়ামের কন্ঠে খানিক চমকে উঠে সে। ভাবনায় তলিয়ে থাকায় সে তার কন্ঠে কিছুটা চমকে উঠে।নিজেকে সামলে বিউটি ঠোঁটে এলিয়ে হেসে বললো, ‘কি হবে? আমি দেখবো কি হয় এবারে।’
‘সিজান অনেক কিছু করতে পারে ওঁকে বিশ্বাস নেই। আর তোকে চিন্তিত লাগছে, কি হয়েছে?’
বিউটি মারিয়ামের দিকে তাকিয়ে বললো,’মিনহাজ স্যার দেখা করতে বলছেন কেন হঠাৎ?’

‘কিন্তু আজ তো বন্ধ!’
‘হ্যাঁ তা কি আমি জানি না? উনার বোন নাকি আমার সঙ্গে কথা বলতে চান।’
‘উনার বোন আছে জানতাম না তো। উনার তো কেউ-ই নেই!’
‘অসহ্য লাগছে সব কিছু! আয় ফ্রেশ হয়ে দুই বান্ধবীতে মিলে ঘুমাবো।’
‘বস যেহেতু বলেছে তোকে তো যেতেই হবে!’
‘ হ্যাঁ আর কি?’

বিকেলে বের হওয়ার পর সে রিকশায় চেপে বসলে বিউটির মনে হলো তার পাশে কেউ একজন বসেছে। সে চোখ বন্ধ করে অনুভব করলো সুপ্রিয়কে। আজ একটা ছাই রঙা শার্ট পরেছে। বিউটি নাক মুখ কুচকে বললো, ‘সুপ্রিয় ভাই আপনি আর কখনোই ছাই রঙা শার্ট পরবেন না। আপনাকে খুবই বাজে লাগে।’
‘হাহাহাহ তাই নাকি? তোর ভালো না লাগলে কখনোই পরবো না।’

‘আমার আজকাল কি মনে হয় জানেন? মনে হয় আপনি আমার খুব সন্নিকটে রয়েছেন! আমার ভালোবাসার কি জোর নেই? আপনাকে অনুভব করলে আমার সঙ্গে বিয়ে ঠিক হওয়া সায়রের কথা মাথায় আসে কেন?’
‘ভালোবাসা বাতাসের মত, তুই এটি দেখতে না পারলেও অনুভব করতে পারবি। আমি না থাকলেও আমাকে কেমন অনুভব করিস দেখলি!’

‘আমি আগে থেকেই যে মানুষটার প্রতি আসক্ত ছিলাম সেটা আপনি সুপ্রিয় ভাই। তখন হইতো ছোট ছিলাম বুঝিনি। কিন্তু আমার আপনার সঙ্গে কথা বলতে ভালো লাগতো। এরপর আপনি হাঁরিয়ে গেলেন। আপনাকে আমার ভেতরে এতো বছর থেকে লালন করছি। আমার কল্পনায় বড় হওয়া থেকে শুরু করে পুরুষ বলতে আপনারই সান্নিধ্যই পেয়েছি সুপ্রিয় ভাই।

আজকে এতো বছরেও তো আমার সেই সেভেন এজ থেকে শুরু হওয়া অনুভূতি যায়নি, ভালোবাসা যায়নি। আমার চয়েস চেঞ্জ না হলেও আপনি হাঁরিয়ে গেছেন। জানি না কোথায় আছেন আপনি? এখন শুধু নিজেকে বুঝাতে পারি না আগের মতো। কিন্তু শুনে রাখুন সুপ্রিয় ভাই, আমি মানুষ আমার মধ্যে পরিবর্তন আসবেই! জন্মদিনের দিন না এলে আর কখনোই আপনি আমার জীবনে না আসুন সুপ্রিয় ভাই। আমি আমার বাবা মাকে আর কোনো রকম কষ্ট দিতে পারবো না সুপ্রিয় ভাই।’
‘আর যদি বলি, আমি আসবো তখন? শেষ নিঃশ্বাস অব্দি যদি তুই আমার অপেক্ষায় থাকিস জেনে রাখিস আমি সেদিনও আসতে পারি তোর কাছে!’

‘আমার জন্মদিনের দিন না এলে এরপর আর কখনোই আপনার কাছে ফিরবো না! এমন ভাবে আপনার থেকে দূরে যাবো আপনি চাইলেও আর আমাকে ছুঁতে পারবেন ন সুপ্রিয় ভাই। লোকে আমাকে কলংকিনী বলছে আপনার জন্য। শুধু মাত্র আপনার জন্য সুপ্রিয় ভাই।’

সে আমার সুকেশিনী পর্ব ৬

‘শুন মেয়ে, চাঁদ ভেবে নিজেকে ওই ছোট মানুসিকতার মানুষদের কলঙ্ক নিজের গায়ে লাগাবি না। তোকে রুপোলী আলো মানায়, কেউ দাগ লাগাতে এলে অমাবস্যায় অন্ধ করে দিস, যোগ্য জবাব দিয়ে তাকে/তাদের মুখ বন্ধ করে দিবি। এই জনমে এবং পরকালে তুই আমার আর আমি তোর বুঝলি? শোন, ভালোবাসা অনুভব কর বাতাসের মতো করে, আমাকে পেয়ে যাবি। আমি তোর সর্বত্র রয়েছি। হাত বাড়ালেই ছুঁয়ে দিতে পারবি আমায়! তুই শুধু আমাকে অনুভব কর, আমি তোর!’

সে আমার সুকেশিনী পর্ব ৮