হৃদয়াসিক্ত কাঠগোলাপ পর্ব ৪৬

হৃদয়াসিক্ত কাঠগোলাপ পর্ব ৪৬
সাদিয়া জাহান উম্মি

সাখাওয়াত বাড়ির ভীতরে গাড়ি প্রবেশ করতেই তা থেমে গেল।গাড়ি থেকে নেমে দাঁড়াল জায়ান।তারপর আবার অপারপাশে গিয়ে দরজা খুলে আরাবীকে কোলে তুলে নিলো।যাওয়ার আগে দারোয়ানকে বলে গেল গাড়ি ভালোভাবে পার্ক করে দিতে।আরাবীকে নিয়ে দ্রুত নিজেদের রুমে ফিরে আসে জায়ান।আরাবীর দূর্বল ছোট্টো শরীরটা বিছানায় রাখল।পরপর নিজের শক্তপোক্ত হাতটা নিয়ে আলত স্পর্শ করল আরাবীর নরম গালে।পিটপিট করে নেত্র মেলে তাকাল আরাবী।জায়ান চিন্তিত কণ্ঠে বলে,’ অনেক বেশিই কি খারাপ লাগছে?আমি ডক্টরকে ফোন করি।’

‘ তা..তার প্রয়োজন ন..নেই।একটু বি..বিশ্রাম নিলেই ঠিক হ..হয়ে যাব।’ থেমে থেমে বলল আরাবী।
জায়ান না চাইতেও ধমকে ফেলল ওকে, ‘ কি চাইছ টা কি তুমি? রাস্তায় দু দুবার বমি করেছ।আমি বললাম হসপিটালে নিয়ে যাই।তাও রাজি হলে নাহ।এখন দূর্বলতার কারনে ঠিকঠাকভাবে একটু কথাও বলতে পারছ না।তারপরেও আমাকে ডক্টর ডাকতে বারণ করছ কেন তুমি? আমায় এতোটা অস্থিরতার মাঝে রাখতে কি তোমার ভালো লাগে?’

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

আরাবী কিছুই বলল না।চুপচাপ জায়ানের সব অভিযোগ শুনল।মূলত ও কথা বলার শক্তিটুকও পাচ্ছে নাহ।জায়ান আরাবীর এমন অবস্থা দেখে চুল খামছে ধরে জোড়ে জোড়ে শ্বাস নিয়ে নিজের রাগ কমানোর চেষ্টা করল।অতঃপর সোজা চলে গেল ওয়াশরুমে। একমগ পানি নিয়ে ফিরে আসল আরাবীর কাছে।ওর ছোটো রুমালটা ভিজিয়ে নিল।তারপর আরাবীর মুখে স্পর্শ করতেই ঠান্ডায় কাঁপল আরাবী।ধীর আওয়াজে বলে,’ ক..কি করছেন?’
‘ ওয়াশরুমে তো যেতে পারবে না।তাই এইভাবে আপাততো ফ্রেস হয়ে নেও।যেই অবস্থা শরীরের গায়ে সামান্য শক্তিও নেই।’

জায়ান ভালোভাবে রুমাল ভিজিয়ে আরাবীর গা মুছে দিল।এরপর আলমারি থেকে আরাবীর জামা কাপড় নিয়ে ফিরে আসল।আরাবীর শাড়ির আঁচলে হাত দিবে এমন সময় আরাবী আৎকে উঠে।বলে,’ এমন ক..করছেন কেন?’
‘ জামা কাপড় চেঞ্জ করবে নাহ?’
‘ ক..করবো।আমায় দিন। আমি চেঞ্জ করে নিচ্ছি।আপনার করা লাগবে নাহ।’

আরাবীর কথা শুনে জায়ান ভ্রু-কুচকালো। অতএব গম্ভীর গলায় বলে,’ শুধু শুধু লজ্জা পাচ্ছ তুমি।এখানে লজ্জা পাওয়ার কিছুই নেই।আমি তোমার স্বামি হই।তোমার অসুস্থতার সময় আমি তোমার সেবা করব এটা স্বাভাবিক।আর আমার অসুস্থতার সময়েও সেম কাজটা তুমিও করব।আর রইল জামা কাপড় চেঞ্জ করার কথা।তোমার শরীরের ইঞ্চি ইঞ্চির সম্পর্কে আমি জানি।সো লজ্জা টজ্জা পেয়ে লাভ নেই।’

আরাবী ঠোঁট কামড়ে ধরে ওপাশে ফিরিয়ে নিল মুখশ্রী।জায়ান আরাবীর জামা চেঞ্জ করে দিল।এরপর ল্যান্ডলাইনে সার্ভেন্টসকে খাবার আনতে বলল।
তারপর নম্র কণ্ঠে আরাবীকে বলে,’ তুমি থাকো।আমি একটু ফ্রেস হয়ে আসছি।খবরদার ঘুমাবে নাহ।আমি এই যাব এই আসব।খাবার না খেয়ে ঘুমাতে পারবে না তুমি।ঠিক আছে?’
‘ ঠিক আছে।’

জায়ান ফ্রেস হতে চলে গেল।ঝড়ের গতিতে গিয়ে তুফানের গতিতে ফিরে আসল যেন।এসে দেখে আরাবীর নেত্রজোড়া বন্ধ।জায়ান ভরাট কণ্ঠে বলল,’ আরাবী ঘুমিয়েছ?’
আরাবী ঘুমায়নি।চোখ বন্ধ করে ছিল এমনিতেই।জায়ানের ডাকে দ্রুত চোখ খুলল।ধীর আওয়াজে বলে,’ নাহ।এমনিতেই একটু চোখ বন্ধ করে ছিলাম।’

জায়ান সস্থির নিশ্বাস নিলো।যাক মেয়েটা ঘুমায়নি।এমন সময় দরজায় টোকা পরল।জায়ান গিয়ে দরজা খুলে দেখল সার্ভেন্ট খাবার নিয়ে এসেছ।খাবারটা নিয়ে দরজা বন্ধ করে আবার ফিরে আসল জায়ান।আরাবীর পাশে বসে ওকে দুহাতের সাহায্যে জড়িয়ে নিয়ে উঠিয়ে বসাল।বিছানার হেডবোর্ডের সাথে একটা বালিশ রেখে সেখানে হেলান দিয়ে বসাল আরাবীকে।তারপর খাবারের প্লেট হাতে নিল।মাছের ঝোলের তড়কারি দিয়ে ভাত মাখিয়ে আরাবীর মুখে সামনে ধরতেই আরাবী আতকে উঠে দুহাতে মুখ নাক ঢেকে ফেলল।জায়ান খাবারের প্লেট রেখে দিল আরাবী এমন করায়।অস্থির গলায় বলে,’ কি হলো তোমার? এমন করছ কেন?’

‘ আপ..আপনি কি দিয়ে ভাত মেখে দিয়েছেন?’
‘ কেন কি হয়েছে?মাছের ঝোলের তরকারি।’
‘ ভীষণ গন্ধ ওটায়।জঘন্য লাগল।আমি ওটা খাবো না।’
আরাবীর কথায় জায়ান অবাক হলো।গন্ধ কোথায় পেল মেয়েটা?তারপরেও মনের দ্বিধা দূর করার জন্যে খাবারের প্লেট হাতে তুলে নিল।ওই তরকারিটা দিয়ে মাখা ভাতটুক অনায়াসে খেয়ে নিল জায়ান। কপালে ভাঁজ পরল জায়ানের।আশ্চর্য ওর কাছে তো কোন গন্ধই লাগল নাহ।সব তো ঠিকই আছে।আর এই মাছের ঝোলের তরকারি তো আরাবীর অনেক পছন্দের তাহলে মেয়েটা আজ এমন করছে কেন?জায়ান আর অতোশতো ভাবল নাহ।হয়তো আজ ভালো নাও লাগতে পারে।সবসময় যে সবার একরকম লাগবে এমন তো কোন কথা নাহ।জায়ান নরম গলায় আরাবীকে বলে,’ আচ্ছা ওই তরকারি দিয়ে খাওয়া লাগবে নাহ।আমি ওটা খেয়ে নিয়েছি।তুমি অন্য তরকারি দিয়ে খাও।’

আরাবী জায়ানের পাশে রাখা ট্রেতে উকি দিল।মূলত ওখানেই বাটিতে করে রাখা আছে বাকি তরকারিগুলো।একটা বাটিতে করলা ভাজি দেখেই আরাবী বলল,’ আমি করলা ভাজি দিয়ে ভাত খাবো।’
জায়ান আরাবীর এহেন কথায় একবার আরাবীর দিকে তো একবার করলা ভাজির বাটির দিকে তাকাচ্ছে।ওকে এমন করতে দেখে আরাবী বিরক্ত হয়ে বলে,’ কি হলো এমন করছেন কেন?’
জায়ানের কণ্ঠে স্পষ্ট বিষ্ময়,’ তুমি সিয়র তুমি এটা দিয়েই খাবে?’

‘ হ্যা।কেন কি হয়েছে।’
‘ না কিছু হয়নি।আচ্ছা ঠিকাছে।’
জায়ান করলা ভাজি দিয়ে ভাত মেখে আরাবীকে দিতেই আরাবী বিনাবাক্যে খেয়ে নিল।জায়ান প্রশ্ন করল,
‘ এখন ঠিক আছে?’
‘ হ্যা।দিন আমাকে।এটা অনেক ভালো।’
আরাবী করলা ভাজি দিয়েই অনায়াসে সবটুকু ভাত শেষ করে নিল।খাওয়া শেষে জায়ান বলে,
‘ আর ভাত নিব?আর খাবে?’
‘ নাহ।পেট ভরে গেছে।’

জায়ান এইবার নিজেও খেয়ে নিল।এঁটো থালাবাটিগুলো পাশের টি-টেবিলে রেখে হাত ধুয়ে আসল।রুমের লাইটগুলো নিভিয়ে গিয়ে আরাবীর পাশে সুয়ে পরল।আরাবী এসে জায়ানের বুকে মাথা রাখল।জায়ান দুহাতে আরাবীকে নিজের সাথে জড়িয়ে নিলো ভালোভাবে।তারপর আরাবীর মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বলে,’ ঘুমিয়ে যাও।শরীর ভালো না তোমার।’
জায়ানের আদুরে হাতের স্পর্শে একপর্যায়ে ঘুমিয়ে পরলো আরাবী।

কিন্তু ঘুম নেই জায়ানের চোখে।মাথাটা চিন্তায় ফেটে যাচ্ছে।আরাবীর হঠাৎ কি হলো?মাছের তরকারি অনেক প্রিয় আরাবীর।সেই তারকারি ওর মুখের সামনেও নিতে পারলো না ও।আর করলা ভাজি তো দেখলেই আরাবী দশ হাত দূরে সরে যায়।আর আজ কিনা সেই মেয়ে করলা ভাজি দিয়েই ভাত খেলো।আর আরাবী স্বাভাবিকভাবে এতো ভাত খায় না।আজ তুলনামূলকভাবে স্বাভাবিকের তুলনায় একটু বেশিই ভাত খেয়েছে।হঠাৎ আরাবীর এমন পরিবর্তনগুলো দেখে জায়ানের চিন্তা লাগছে মেয়েটার জন্যে।এটা সেটা ভেবে মধ্যরাতের দিকে জায়ানের চোখ লেগে আসল।আর সেইভাবেই ঘুমিয়ে পরলো।

কোচিং-এর ক্লাসে একদম মনোযোগ নেই নূরের।ওর ধ্যানজ্ঞান সবটা মগ্ন সামনে থাকা পুরুষটার উপর।পুরুষটা বড্ড নিষ্ঠুর।তাইতো ভুল করেও তাকাচ্ছে না নূরের দিকে।কেন এমন করছে লোকটা?কি এমন করেছে ও? যার কারনে লোকটা এমন রেগে আছে?কোচিং-এ আসার পথে ফাহিমের সাথে দেখা হয়েছিল পথে নূরের।নূর ভেবেছিল ফাহিম ওকে দেখে ওর কাছে আসবে।কিন্তু তা সম্পূর্ণ ভুল প্রমান করে নূরকে দেখা সত্ত্বেও বাইক ছুটিয়ে চলে গিয়েছে।

এমনটা মোটেও আশা করেনি নূর।ব্যথিত হৃদয় নিয়ে একলাই আসে এখানে।কিন্তু এখানে এসেও একই অবস্থা।ফাহিমের কাছ থেকে কোন প্রকার রেস্পন্সই পাচ্ছে না ও।হঠাৎ কারো তিক্ত কণ্ঠে হুশ ফিরে আসে নূরের।ফাহিম বলছে,’ মিস নূর।ক্লাসে এসে যদি প্রেম ভালোবাসা নিয়ে চিন্তা ভাবনা করেন তাহলে আমি বলব আমার ক্লাসে আপনি আর আসবেন নাহ।আপনার কারনে আমার অন্য স্টুডেন্ট্সদের সমস্যা হয়।’

ক্লাসের সবাই হেসে উঠল ফাহিমের কথায়।ফাহিম ধমকে উঠল,’ সাইলেন্স।হাসির কি আছে এখানে?চুপচাপ ক্লাসে মনোযোগ দিন সবাই।’
ফাহিমের ধমকে সবাই চুপ হয়ে গেল। নূরের পিছনে বসা একটা মেয়ে ফিসফিস করে বলছে,’ ফাহিমের স্যারের কি হয়েছে কে জানে?স্যার তো এতো রাগি না। কাল থেকেই দেখছি অযথা ভীষণ রাগারাগি করছেন।’
‘ আমিও জানি না দোস্ত।তবে যাই বলিস নূরকে যা বলল না স্যার। আমার অনেক হাসি পেয়েছে।’
‘ আমারও হা হা হা।’

নূর সবই শুনল।নূরের চোখে জল টলমল করছে।নূর সবসময়েই একজন ভালো স্টুডেন্ট। কখনও পড়া নিয়ে বা রেজাল্ট নিয়ে ওর বাবা মায়ের হা হুতাশ করতে হয়নি।আর এমনকি কখনও স্কুল,কলেজ থেকে বিচারও যায়নি ওদের বাড়িতে।কোনোদিন স্যারদের থেকে কটু বাক্যও শোনেনি।আর আজ এমন একটা কথা শুনলো ও।তাও নিজের প্রিয় মানুষটার কাছ থেকেই।সবার সামনে হাজির পাত্র বানাল ফাহিম ওকে।নূর নিজের অস্রু লুকাতে মাথা নিচু করে নিল।আর একবারও তাকাল না ফাহিমের দিকে।

সম্পূর্ণ ক্লাস এইভাবেই শেষ করল ও।ক্লাস শেষ হতেই সবার আগেই বের হয়ে গেল।না চাইতেও এইবার গাল গড়িয়ে পরল চোখের জল।ও কি কোন ভুল করল?ফাহিম তো ওকে কোনোদিন বলেনি যে ফাহিম ওকে ভালোবাসে।ও কি অনেক বেশিই আশা করছে ফাহিমের কাছ থেকে? নাকি ভালোবেসে ও অনেক বেশিই বেহায়া হয়ে গিয়েছে?ফাহিম হয়তো নিজের ভুল বুঝতে পেরেছে।নূরকে ও একটুও পছন্দ করে না।হয়তো অন্য মেয়েকে ভালো লাগতে শুরু করেছে এখন।

আনমনা হয়ে হাটছিল নূর।রাস্তার পাশে অনেকগুলো ঝোপঝাড় হঠাৎ সেই ঝোপঝাড়ের মাঝে হঠাৎই নূরের হাত লেগে গেল।কাটা গাছের ঝোপ ছিল বোধহয়।তাই নূরের হাত ছি’লে রক্ত বের হয়ে আসল।ব্যথায় মৃদ্যু আওয়াজ করে উঠল।হঠাৎই কেউ এসে ওর সেই ব্যথাযুক্ত হাতটা টেনে নিল নিজের কাছে।নূর কান্নার কারনে লাল হয়ে যাওয়া চোখ দিয়েই তাকাল।নজরে আসল ফাহিমের উদ্বিগ্ন মুখশ্রী।ফাহিম নূরের হাত ওর দুহাতের মাঝে নিয়ে অস্থির হয়ে বলছে,’ কিভাবে হাটো?দেখে হাটতে পারো নাহ?দেখলে তো কিভাবে হাতটায় ক্ষ’র হলো।এমন কেন তুমি?নিজের প্রতি বিন্দু পরিমান কেয়ার নেই তোমার।’

নূর চোখ সরিয়ে নিল।মনের ব্যথার তুলনায় এই ব্যথা তার জন্যে কিছুই না।ও কিছু না বলে টেনে হাতটা ছাড়িয়ে নিলো ফাহিমের হাতের থেকে।তারপর কিছু না বলে কাধের হাতটা ভালোভাবে আঁকড়ে ধরে সামন্ব্র দিকে হাটা ধরল।ফাহিম নূরের আচড়ণে হতবাক।কতো বড় সাহস মেয়েটার।ওকে কিছু না বলেই চলে যাচ্ছে।রাগে চোয়াল শক্ত হয়ে আসল ফাহিমের।তেড়েমেড়ে এগিয়ে গেল নূরের কাছে।বিনাবাক্যে নূরের বাহু খামছে ধরে ওকে নিজের দিকে ফিরালো।ফাহিম রাগে হিসহিস করে বলে,’ কি সমস্যা তোমার?কথা বলছিলাম না আমি?তাহলে আমায় উপেক্ষা করে চলে যাওয়ার সাহস পেলে কোথায় তুমি?’

নূর বরাবরের মতোই শান্ত দৃষ্টি নিক্ষেপ করল ফাহিমের দিকে।নূরকে কোনপ্রকার কথা বলতে না দেখে ফাহিম ধমকে উঠে,’ কি সমস্যা?কথা বলছিস না কেন?আমাকে কি তোর পাগল মনে হয়?যে ফাউ কথা বলতে থাকব তোর সাথে?’
‘ আপনিই না বলেছিলেন আপনার চোখের সামনেও যেন না আসি?তাহলে সমস্যাটা আমার কোথায়?আমি তো আপনার কথাই পালন করছি।আপনি এমন করছেন কেন?আপনার সমস্যাটা কি?’ অভিমানি কণ্ঠে বলল নূর।

ফাহিম দুকদম এগিয়ে আসল নূরের কাছে।তারপর নূরের দু বাহু খামছে ধরে তীব্র আক্রোশপ্রসূত মনোভাব পোষণ করে বলে,’ আমার সমস্যা তুই।তুই-ই আমার সবচেয়ে বড় সমস্যা।আমার সবকিছু তোর কারনে এলোমেলো হয়ে গিয়েছে।খেতে গেলে তোর কথা মনে পরে,বসতে গেলে তোর কথা মনে পরে,শুতে গেলেও তোর কথা মনে পরে।আমি খেতে পারি না,শান্তিতে বসতে পারি না,ঘুমোতে পারি না।

হৃদয়াসিক্ত কাঠগোলাপ পর্ব ৪৫

সর্বদা তুই আমার মস্তিষ্কে কিলবিল করে ঘুরে বেড়াস।তুই তো আমাকে যন্ত্রনা দিয়ে শান্তি পাস।তাই তো কাল কি সুন্দর অনায়াসে ম’রে যাওয়ার কথা বললি।একবারও ভাবলি ওইপাশের ব্যক্তিটার কেমন লেগেছে তোর কথা শুনে।কতোটা কষ্ট পেয়েছে সে।যদি ভাবতিই তাহলে কাল ওইসব কথা বলতি না। এখন বল আমার এতো এতো সমস্যার একমাত্র কারন তুই।আমাকে এইভাবে যন্ত্র’না দেওয়ার জন্যে তোকে কি শা’স্তি দিব বল তো?’

হৃদয়াসিক্ত কাঠগোলাপ পর্ব ৪৭