খাঁচার ভেতর অচিন পাখি পর্ব ২৩

খাঁচার ভেতর অচিন পাখি পর্ব ২৩
আভা ইসলাম রাত্রি

চিত্রার সম্মুখে মেহজাদ বিছানায় শুয়ে আছে! অর্ধেক পা বিছানার বাইরে, দুহাত ভাঁজ করে মাথার নিচে রেখে চিত্রার দিকে কৌতুকভরা দৃষ্টিতে চেয়ে আছে মেহজাদ। চিত্রার চোখমুখ অসহায়। মেহজাদ হালকা হেসে বলল,

‘কি আর করবেন বলেন? ভাইয়ার তো আপনাকে ছাড়া এক মুহুর্ত চলে না। এখানে আমার কিইবা করার আছে, ভাবিজান।’
চিত্রা চোখ ছোট ছোট করে মেহজাদের দিকে চায়। মেহজাদ সবসমই এমন টিটকারী করে চিত্রাকে। দু ভাই একদম একইরকম। একজন কথা বলে কম, কিন্তু যখন কথা বলে কথাগুলো একদম হৃদয়কে এফোঁড় ওফোঁড় করে দেয়। আরেকজনের কথায় তো লাগাম নেই। চলতে থাকে তো চলতেই থাকে। এমন এমন কথা বলে যে লজ্জায় চিত্রা মুখ লুকিয়েই দম নেয়। চিত্রা শাড়ির আঁচল দিয়ে ভালো করে গা ঢেকে মেহজাদের পাশের চেয়ারে ধপ করে বসে। কণ্ঠে মন খারাপি ঢেলে বলে,

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

‘আমি এখানে গতকাল এলাম মাত্র। আজই চলে যাব? একটা সমস্যা হয়েছে, তাই বলে এর অন্য কোনো সমাধান নেই? আমাকে বাপের বাড়ি থেকে নিয়ে যাবেন? তুমি একবার কথা বলো না উনার সঙ্গে। দেখো আবার কি বলেন?’
মেহজাদ মূলত চিত্রার সঙ্গে কি সমস্যা হয়েছে জানে না। সে শুধু জানত, শেহজাদ তাকে যেতে বলেছে। সে ভেবেছে, হয়ত শেহজাদ বাড়ি ফিরবে বলে চিত্রাকে আগেই আনিয়ে রাখছে আয়ুষ্মান মহলে। কিন্তু এখানে এসে দেখে, এ তো ভিন্ন চিত্র। মেহজাদ দ্রুত উঠে বসে। চিত্রার দিকে ঝুঁকে ফিসফিস করে জিজ্ঞেস করে,

‘সমস্যাটা আসলে কি, বলেন তো ভাবিজান। আপনার স্বামীর মুখের থেকে তো কিছুই বের করা যায় না।’
চিত্রা মেহজাদের কথা শুনে কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে যায়। শেহজাদ যেহেতু কিছু বলেনি, চিত্রার বলাও ঠিক হবে না। চিত্রা অন্যদিকে মুখ ফিরিয়ে জড়তা নিয়া উত্তর দেয়,
‘তেমন কিছু নয়। আর তোমাকে বলা যাবে না। উনি শুনলে কি মনে করবেন!’
মেহজাদ চিত্রার পতিভক্তি দেখে যারপরনাই বিরক্ত হল। সে আবারও বিছানায় শুয়ে হাতের উপর মাথা রেখে ভ্রু কুঁচকে বলে,

‘আপনার স্বামী একজন খারুস পুরুষ। মেয়েছেলের মত বুক ফাটে তো মুখ ফুটে না। স্বামীর সম্পর্কে আপনার এটা জানা উচিত, তাই বললাম। আপনি চাইলে আপনার স্বামীকেও কথাটা জানাতে পারেন।’
চিত্রা মেহজাদের কথা শুনে হেসে উঠে খিলখিল করে। দু ভাই একদম সাপে নেউলে সম্পর্ক। শেহজাদের মুখের সামনে মেহজাদ কিচ্যবক্যেনা পারলেও আড়ালে যা মনে আসে বলে ফেলে। তবে মেহজাদের আড়ালে বলা কথার মধ্যেও তাকে শেহজাদের প্রতি পরম সম্মান এবং শ্রদ্ধা। চিত্রা শাড়ির আঁচল মাথায় তুলে চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়ায়। মেহজাদের উদ্দেশ্য বলে,

‘আচ্ছা সময় হলে তাকে এ কথা জানাব। শোন, দুপুরে খেয়ে দেয়ে বের হব আমরা। বিরক্ত লাগলে বাইরে থেকে একবার ঘুরে আসতে পারো।’
মেহজাদ ছোট্ট এক নিঃশ্বাস ফেলে বিছানায় বালিশ টেনে শুয়ে পরল আরাম করে। হামি তুলে চিত্রার উদ্দেশ্যে বলল,
‘ভাবিজান, আমি একটু ঘুমাব। ঘুমাতে পারিনি আজ, ভোরে ভাইয়া কল করে জাগিয়ে এখানে পাঠিয়েই তবে দম নিয়েছে। আপনি কাজ শেষ করুন। আমি ঘুমিয়ে গা চাঙ্গা করে তারপর আপনাকে নিয়ে বাড়ি যাব।’
চিত্রা হালকা হেসে সায় দিয়ে বাতি নিভিয়ে, পর্দা মেলে বেরিয়ে যায় ঘর ছেড়ে।

সুহাসের চোখে ভাসছে আজকে দুপুরের তরতাজা খবর। বিপুল সংখ্যক ভোটে শেহজাদ আয়ুষ্মান মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। চারদিকে নতুন মেয়রের জন্যে উল্লাস, হইচই যেন সুহাসের কানে বিষ ঢেলে দিচ্ছে। শেহজাদকে নিয়ে এত মাতামাতি সহ্য হচ্ছে না সুহাসের। অমল ঠাকুর সোফার হাতল শক্ত করে চেপে ধরে টিভির দিকে চেয়ে আছেন। দুজনের চোখ থেকেই যেন আগুন ঝরছে।

অমল ঠাকুর নিজের রাগ সংবরণ করতে পারলেও, সুহাস অক্ষম হয়। বিছানায় শুয়ে থেকেই টেবিল থেকে কাঁচের ফুলদানি ছুঁড়ে ফেলে টিভির দিকে। মুহূর্তেই বিশালকার টিভি ভেঙে চৌচির। চারদিকে কাঁচ ছড়িয়ে ছিটিয়ে পরে আছে। সুহাস নিজের হাতের স্যালাইন টান দিয়ে খুলে ফেলে বিছানা থেকে নামে। কজন এগিয়ে এসে সুহাসকে আটকাতে চায়। কিন্তু সুহাসের রক্তলাল চোখ দেখে তারা নিজেরাই পিছিয়ে যায়।

সুহাস এগিয়ে যায় টিভির দিকে। ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখা কাঁচের উপর নিজের বাম হাত দিয়ে হেঁচকা টান দেয়। সঙ্গেসঙ্গে হাত কেটে গলগল করে র/ক্ত পড়তে থাকে। সুহাসের সেদিকে পরোয়া নেই। সে তার কাটা হাতের রক্ত নিজের কপালে ছুঁয়ে হিংসার আগুনে দাউদাউ করতে জ্বলে সবার সামনে প্রতিজ্ঞা করে

‘আমি সুহাস ঠাকুর, শেহজাদ আয়ুষ্মানকে নিজ হাতে খু/ন না করা অব্দি কখনো আমিষ গ্রহন করব না, স্ত্রী সংস্পর্শে যাব না, এই পরাজিত মুখ নিয়ে ভগবানের ধারস্থ হব না। এটা আমার জীবনের শেষ শপথ!’
অমল ঠাকুর ভয়ে ভয়ে ছেলের পাশে এসে দাঁড়ান। ছেলের কাঁধে হাত রাখতেই সুহাস দাঁতে দাঁত খিঁচিয়ে জিজ্ঞেস করে,
‘খবর পেয়েছ আমাদের অস্ত্রের?’
অমল ঠাকুর সোজা দিয়ে দাঁড়ান। তারপর হিংসাভরা কণ্ঠে উত্তর দেন,

‘পেয়েছি।’
‘কোথায় সে? ডেকে আনো।’
‘সে আসবে না এখানে।’
সুহাস মাথা উঁচু করে অমল ঠাকুরের দিকে তাকায়। প্রশ্ন করে,
‘ কেন আসবে না? টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে আসো।’

‘যেভাবেই হোক, সে আসবে না কখনো আমাদের সামনে। যা করার সে আড়াল থেকেই করবে,আমাদের সাহায্যও সে আড়াল থেকেই করবে। আমরা তার চেহারা দেখতে পারব না, আর না তার কন্ঠ চিনতে পারব।’
সুহাস কিছুক্ষণ অমল ঠাকুরের দিকে চেয়ে তারপর হঠাৎ করে ক্ষ্যাপা ষাড়ের ন্যায় চিৎকার করে বলে,
‘শা/লার বাচ্চারে দিয়া তাইলে আমি কি বা//ল করামু? ফা/ইজলামি করে আমার সাথে? ওরে বের করতে আমার একদিনও লাগবে না, শা/লারে বলে দিও।’

সুহাস রাগে-ক্ষোভে নিজের হিতাহিত জ্ঞান হারালেও অমল ঠাকুর বেশ শান্ত। তিনি ধীর কদমে সুহাসের পাশে এসে বসেন। ছেলের দু কাঁধে নিজের হাত রেখে বলেন,
‘খাসা মালকে ছেড়ে দিস না। যতদূর বুঝতে পেরেছি, শেহজাদ আয়ুষ্মানের নিজের লোক ও। বোঝ, শেহজাদ আয়ুষ্মামের কাছাকাছি থাকবে ও, আর আমাদের ডান হাত হিসেবে কাজ করবে। ওকে দিয়ে প্রথমে শেহজাদের সোজা পা বাঁকা কর আগে। বেশি বাড়াবাড়ি করলে তারপর দেখ, কেমন টেনে–হিঁচড়ে পথে এনে ফালাই। কিন্তু, আগে কাজ তো শুরু করি ওরে দিয়ে।’
সুহাস অমল ঠাকুরের দিকে স্থির দৃষ্টিতে তাকায়। একটু পর কিছু ভেবে মৃদু হেসে উঠে। সুহাসের হাসি দেখে অমল ঠাকুরও হালকা হাসেন।

শেহজাদ স্টেজে বসে আছে। ময়দান জুড়ে মানুষের হট্টগোল। শেহজাদের গলায় একের পর এক মালা পড়ানো হয়। ফুল দিয়ে তাকে বরণ করা হয়। সবার মালা পড়ানো শেষ হলে শেহজাদ সকল মালা গলা থেকে খুলে টেবিলের এক পাশে রাখে। বুক উঁচু করে এগিয়ে আসে ভাষণ দিতে। মাইকের সামনে এসে দাঁড়িয়ে কথা বলা শুরু করে,
‘আসসালামুয়ালাইুকুম, আমার দেশবাসি।’
জনসমুদ্র থেকে আওয়াজ আসে,
‘ওয়ালাইকুম আসসালাম, প্রিয় নেতা।’
শেহজাদ সামান্য হাসে। মাইক টেনে নিজের ঠোঁটের কাছে এনে আবারও বলতে শুরু করে,

‘সর্বপ্রথম সমস্ত প্রশংসা মহান আল্লাহর, যিনি আজ আমাকে এতবড় সম্মান অর্জন করার তৌফিক দিয়েছেন। দ্বিতীয় প্রশংসা আমার পরিবারের যারা সবসময় আমাকে ন্যায়ের পথে চলতে উৎসাহ দিয়েছেন। তৃতীয় প্রশংসা আপনাদের। যারা আজ আমার সাথে না থাকলে আমি শেহজাদ আয়ুষ্মানের কোনো অস্তিত্ব থাকত না, ধুলোয় মিশে যেত এই শেহজাদ আয়ুষ্মানের নামধাম। আপনারা ভোট দিয়েছেন আমাকে। আমি কৃতজ্ঞ আপনাদের প্রতি।

এবার আমার আপনাদের জন্যে কিছু করার পালা। আমি শেহজাদ আয়ুষ্মান, পুত্র নওশাদ আয়ুষ্মান কথা দিচ্ছি। আমৃত্যু দেশের সেবা করে যাব, জনগণের ন্যায়ের জন্যে কাজ করে যাব, ধনী–দরিদ্র, সুস্থ–অসুস্থ, ভালো–মন্দ, পুরুষ–নারী–তৃতীয় লিঙ্গ, সর্বস্তরের মানুষদের আমি পরম দায়িত্ব এবং নিষ্ঠার সঙ্গে সেবা দিয়ে যাব। আমার কাছে সকল জনগণ ভাই-সমান, নারীরা নিজের বোনের-সমান। এই শেহজাদ আয়ুষ্মান বেঁচে থাকতে আমি আমার ভাই–বোনের ক্ষতি হতে দেব না। তাদের একটা রক্ত ঝড়ার ফলে আমি নিজের হাজার ফোঁটা রক্ত ঝড়াব। আমি শেহজাদ আয়ুষ্মান প্রতিজ্ঞা করলাম।’

জনসমুদ্র যেন এতক্ষণ ঘোরের মাঝে ছিল। শেহজাদের ছোট এক বক্তব্য সবার মন ছুঁয়ে গেছে। বহুদিন পর একজন নেতার হাতের ছায়া তাদের ভরসা দিচ্ছে যেন। শেহজাদের বক্তব্য শেষ হতেই জনগণ প্রসন্ন হয়ে করতালির আওয়াজে মুখরিত করল চারপাশ। শেহজাদ সামান্য হাসল। জয়ের বেশে এবং একজন সত্যিকারের বীপুরুষের ন্যায় বুক ফুলিয়ে নিজের চেয়ারে গিয়ে বসল আবার।

মেহজাদ এতক্ষণ চিত্রাকে শেহজাদের ভাষণ তার মোবাইলে সরাসরি সম্প্রচার দেখাল। শেহজাদের জয় দেখে চিত্রার নরম বুক খুশিতে নেচে উঠেছে। টলমল করে উঠেছে চোখ। চিত্রা নিজের আবেগ সইতে না পেরে দু ফোঁটা অশ্রু ফেলে। মেহজাদের মোবাইলে চিত্রার চোখের জল গড়িয়ে পরে। মেহজাদ প্রথমে অবাক হয় যে, রোদের দিনে পানি পরছে কোথা থেকে। পরমুহুর্তে চিত্রার চোখের দিকে চেয়ে বুঝতে পারে, এ পানি পানি নয়, বরং চিত্রার অশ্রু জল। মেহজাদ আহাম্মক দৃষ্টিতে চিত্রার দিকে চেয়ে বলে,

‘ভাবিজান, আপনি তো আমাকে কাঁদিয়ে ফেললেন। এত দ্রুত চোখ থেকে বৃষ্টি পরা দেখে আমি হতভম্ব। যদি ভাইয়া হেরে যেত তাহলে কাঁদলে মানা যেত। বিজয়ী হবার পরও এত কান্না?’
চিত্রা লজ্জা পেয়ে যায়। দ্রুত চোখের জল আঁচলে মুছে বলল,
‘আসলে বেশি খুশি হয়ে কখন কান্না চলে এসেছে, বুঝতে পারিনি।।’
মেহজাদ হালকা হেসে বলল,
‘ঠিকাছে, আমি বুঝতে পারছি। ভাইয়ার সঙ্গে কথা বলবে?’
চিত্রা মাথা নাড়ে, অর্থাৎ কথা বলতে চায়। মেহজাদ তার মোবাইলে শেহজাদের নাম্বারে কল করে। শেহজাদ তখন সবে স্টেজ থেকে নেমে গাড়িতে উঠেছে। মেহজাদের কল পেয়ে সে কল ধরে,

‘ভাইয়া,কংগ্রাচুলেশন!’
শেহজাদ হালকা আওয়াজে বলে,
‘হু, কোথায় আছো?’
‘ভাবিজানের বাড়ি, দুপুরে খেয়ে ফিরব।’
‘সুভাষিণী কোথায়?’
‘ভাবিজান পাশেই। আমার কথা জিজ্ঞেস করার আগেই স্ত্রীর খোজ নেওয়া শুরু। বিয়ের পর বদলে যাচ্ছ তুমি, ভাইয়া।’
শেহজাদ ভ্রু কুঁচকে ফেলে। মনেমনে মেহজাদকে প্রশ্রয় দিয়ে গম্ভীর স্বরে বলে,
‘বড্ড নাটক করা শিখেছ। তোমার ভাবিজানকে মোবাইল দাও।’
মেহজাদ মোবাইল চিত্রার দিকে এগিয়ে দেয়। চিত্রা মোবাইল হাতে নিয়ে একটু দূরে গিয়ে দাড়ায়। তারপর আলগা স্বরে সালাম করে বলে,
‘শুভেচ্ছা নতুন মেয়র সাহেবকে।”

চিত্রার কণ্ঠে শুভেচ্ছা শুনে বুকটা ভরে উঠে শেহজাদের। সকাল থেকে এখন অব্দি যত শুভেচ্ছা বুলি শুনেছে তার মধ্যে এটা সর্বোত্তম ছিল। শুভেচ্ছাটা সর্বোত্তম ছিল, নাকি যে কণ্ঠের অধিকারিণী শুভেচ্ছা জানিয়েছে সে সর্বোত্তম ছিল। শেহজাদ গাঢ় কণ্ঠে আওরায়,
‘সকাল থেকে শুভেচ্ছা গ্রহন করে করে ক্লান্ত। নতুন কিছু বলো।’
চিত্রা লজ্জায় রক্তিম হয়ে প্রশ্ন করে,
‘নতুন আর কি বলব?’
‘যা মনে পুষে রাখো সবসময়,কিন্তু মুখ ফুটে বলার সাহস হয়না, তাই বলো।’
চিত্রা কি বলবে খুঁজে পায়না। বরং কথা ঘুরায়,
‘বাড়ি ফিরবেন কবে?’

খানিক থেমে চিত্রা আবার বলে, ‘অপেক্ষা করছি আমরা।’
শেহজাদ হালকা হাসে বুঝি। তারপর সম্মোহন করা কণ্ঠে বলে,
‘একটু অপেক্ষা নাহয় করলে। সবকিছু অপেক্ষাবিহীন পেতে নেই।’
চিত্রা উত্তরে চুপ থাকে। শেহজাদের ভাষ্যমতে চিত্রা কি এটুকু অপেক্ষা করেছে? নাকি এই এইটুকু চিত্রার কাছে অনেকখানি অপেক্ষার সমতুল্য। চিত্রা মুখ ভার করে বসে থাকে, শেহজাদের নিঃশ্বাসের শব্দ কানে আসছে। আপাতত প্রাণ জুড়িয়ে সেটাই শুনছে চিত্রা।

খাঁচার ভেতর অচিন পাখি পর্ব ২২

চিত্রা নিরব, অথচ শেহজাদ একসময় বড্ড আচমকা আওড়ায় কিছু কথা,
‘আমার জীবনে রহমত হয়ে আসা মেয়র সাহেবের স্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছে নতুন মেয়র শেহজাদ আয়ুষ্মান। মেয়র সাহেবের স্ত্রীকে বলে দিও, সে দ্রুত ফিরছে, স্ত্রীকে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করাবে না আর।’

খাঁচার ভেতর অচিন পাখি পর্ব ২৪