বিন্দু থেকে বৃত্ত সিজন ২ পর্ব ৪২

বিন্দু থেকে বৃত্ত সিজন ২ পর্ব ৪২
জাওয়াদ জামী

” সিক্ত, তুই কাঁদছিস কেন? কি হয়েছে তোর? নাকি বিয়ের কথা শুনে লজ্জায় কান্না পাচ্ছে! এই শোন আনান ভাইয়াকে খুশির খবরটা দেই। দেখবি সে নাচতে নাচতে এখানে চলে আসবে। ” কুহু ইচ্ছে করেই সিক্তাকে খোঁ’চা দেয়। ও এতদিনে সিক্তা ও আনানের বিষয়ে কিছুটা আন্দাজ করতে পেরেছে।
কুহুর কথা শুনে সিক্তা আরও জোড়ে কেঁদে উঠল।

” কুহু রে, তুই আমার বোন কম, শ’ত্রু বেশি। আমাকে যদি তুই বোন ভাবতিস, তবে এমন কথা বলতে পারতিস না। ” সিক্তা কাঁদছে আর বলছে।
” ঠিকই বলেছিস, তোকে আমি বোনের চোখে দেখিনা। তোকে আমি ননদের চোখে দেখি। আর ‘ ননদীনি রায় বাঘিনী ‘ বলে একটা প্রবাদ আছে জানিস তো? তুই আমার সেই রায় বাঘিনী ননদীনি। তোর ভালো আমি চাইতেই পারিনা। কি রে, আনান ভাইয়াকে ফোন দিয়ে আসতে বলি? আজ থেকেই আমরা বিয়ের আনন্দ শুরু করব। ” কুহু আজকে খোঁ’চা দেয়ার সুযোগ ছাড়ছেনা৷

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

” থাক অনেক উপকার করেছিস তুই আমার। আর উপকার করেছিস, আর করতে হবেনা। আমার বিয়েতে তুই-ই আনন্দ করিস, আর কারো আনন্দ করা লাগবেনা। ”
” ঠিক বলেছিস বিয়ের কনে। তোর বিয়েতে অনেক আনন্দ করব দেখিস। আমার বিয়েতো ছিল নিরামিষ মার্কা। তোর বজ্জাত ভাই চাইল, আর বিয়ে হয়ে গেল। কিন্তু তোর বেলায় ব্যাপারটাই আলাদা। ‘ কুঞ্জছায়া ‘ রাজকীয় সাজে সাজবে। উফ্ ভাবতেই আমার শরীরে শিহরণ খেলে যাচ্ছে। ”

” এই তুই নিজের রুমে গিয়ে যা ভাবার ভাব। আর সব শিহরণ জমিয়ে রাখ। ভাইয়া আসলে, দুজন মিলে ভাগাভাগি করিস। ” সিক্তা ঠেলে কুহুকে রুম থেকে বের করে দেয়।
রাতে তাহমিদ বাসায় আসলে ওর সাথে সিক্তার বিয়ের বিষয় নিয়ে কোন কথা হয়না। কারন রাত দুইটার সময় কুহু ছাড়া আর কেউই জেগে ছিলনা।

” ঘটক ভদ্রলোক কি বলে গেল শুনবেননা? ” রাতে খাবার পর তাহমিদ বিছানায় সটান হয়ে শুয়ে আছে। ওর বুকের ওপর মাথা রেখে শুয়ে আছে কুহু।
” বি বলল? ”
” সে অনেক কথা। ছেলেদের ফ্যামিলি অনেক ভালো। এক কথায় হাই প্রোফাইল। ছেলের ছবি দেখলাম। বেশ হ্যান্ডসাম আছে। ”

” তোমার জামাইয়ের থেকেও হ্যান্ডসাম? ”
” ধূর, এসব কি বলেন? আমার চোখে দুনিয়ার সব থেকে আকর্ষনীয় পুরুষ আপনি। আমি আপনার মাঝেই আটকে গেছি। ”
” তো অন্য একজনকে হ্যান্ডসাম বললে কেন? ”
” সেটাতো ননদ প্লাস বোনের বিয়ে দেব তাই বলেছি। নিজের মানুষদের বিয়ের ক্ষেত্রে এসব তো দেখতেই হবে নাকি! ”
” আমার বউ দিনদিন উন্নতি করছে দেখছি! ধীরে ধীরে বুদ্ধিমতি হচ্ছে! ভেরি ইমপ্রেসিভ। ”

” তবে একটা কথা। সিক্তার মতামতের বাহিরে কিছু করবেননা কিন্তু। ওর জীবন, তাই সিদ্ধান্তও ওকেই নিতে দেবেন। ”
” আমাদের কি এতটাই বুদ্ধিহীন মনে হয়? যা হবে সিক্তার ভালোর জন্যই হবে। অনেক কথা বলেছ, এবার কয়েকটা চুমু দাও। তোমার চুমুর অভাবে আমার ঠোঁট তৃষ্ণার্ত হয়ে আছে। আমার ওষ্ঠদ্বয় বলছে, তাহমিদ, তোর বউকে এখনই বল কয়েকশো চুমু দিতে। ওর চুমু ছাড়া আমরা নির্জিব হয়ে রয়েছি। সো, হারি আপ। তুমিই পারো ওদের বাঁচাতে। ”
তাহমিদের এমনধারা কথা শুনে কুহু স্তম্ভিত। এই পা’গ’ল ডক্টর বলে কি! চুমু ছাড়া নাকি তার ঠোঁট নির্জিব হয়ে গেছে! জীবনে কখনোই কুহু শোনেনি চুমু বিনা ঠোঁট নির্জিব হয়। তাহমিদের কথার উত্তর না দিয়ে, তাহমিদের বুকেই মটকা মে’রে পরে থাকে কুহু।

” বউ, তোমাকে কিছু বলেছি আমি। শুধু বুক ঠান্ডা করলেই হবে! ঠোঁট ঠান্ডা করতে হবেনা! ”
” দাঁড়ান নিচ থেকে আইস নিয়ে এসে আপনার ঠোঁটে ঘঁষে দিচ্ছি। ঠান্ডার ঠ্যালায় ঠোঁটে হাইপোথেরামিয়া যদি না করেছি তবে আমার নাম কুহু নয়। আর এতই যদি ঠোঁট সজিব করার ইচ্ছে হয়, তবে একটা সিগারেট ঠোঁটের মাঝে দিয়ে রাখুন। ”

” কি আশ্চর্য কথা! আইস দিয়ে হাইপোথেরামিয়া করবে কেন! তোমার ঠোঁট দিয়ে যেটা অনায়াসেই করা যায়, সেখানে অযথাই আইসের অপব্যবহার করবে কেন! নি’ষ্ঠু’র রমনী, এতটুকুও বোঝনা, তোমার ঠোঁটের নে’শা আমার কাছে যে কোন নে’শা’র থেকেও নে’শা’ম’য়। এই তুমিটাই আমার কাছে নে’শা’র বস্তু। এই নে’শা’র কাছে সিগারেটার নে’শাও নস্যি। যেখানে সিগারেট মাঝে মাঝে ঠোঁটে ছ্যাঁ’কা দেয়।

সেখানে তোমার ওষ্ঠদ্বয় আমাকে দেয় প্রানের ছোঁয়া। এই পুরো তুমিটাই আমাকে নতুন উদ্যোমে বাঁচতে শেখায়। তোমাতে মত্ত হয়ে আমি নিজেকে নতুনভাবে চিনেছি। চিনেছি আমার সত্তাকে। সিগারেট যেখানে নিজে পু’ড়ে অন্যকে তথাকথিত শান্তি দেয়। সেখানে আমি তোমাকে পূর্ণ করে নিজে তৃপ্ত হই। এবার সিগারেটের সাথে তোমার পার্থক্যটুকু বুঝতে পেরেছ? ”
” আর একটা কথাও বলবেননা। এখন যদি নিজে না ঘুমিয়েছেন আর আমাকে ঘুমাতে না দিয়েছেন, তবে আমি দিদুনের রুমে চলে যাব বলে দিলাম। ”

” তাহলে আমার কোন পাওনাই পরিশোধ করবেনা! হাহ্ আমার বউ এত নিরামিষ তা জানা ছিলনা। অগত্যা কি আর করা। তাহমিদ তুই নির্জিব ঠোঁটেই ঘুমা বুঝলি? তোর কপালে বউয়ের আদর নেই। তোর থেকে মেডিকেলের বাহিরের ঐ পা’গ’ল দম্পতিও সুখী। বউকে নিয়মিত ভালোবাসছে। আর তার বউও ভালোবাসার প্রতিদান দিচ্ছে। বছর বছর ঘরের জনসংখ্যা বাড়াচ্ছে। আহ্ কি মধুর দৃশ্য। তোর ভাগ্যে এসব দৃশ্য নাই। ”

তাহমিদকে আর কিছু বলতে না দিয়ে, কুহু ডান হাত দিয়ে তাহমিদের মুখ চেপে ধরে। চোখ পাকিয়ে ঘুমাতে ইশারা করে। বেচারা তাহমিদও কোন প্রতিবাদ করতে পারেনা। কুহুকে জাপ্টে ধরে ওর গলায় মুখ গুজে দেয়। দুজনের চোখেই ঘুম। তাই দু’চোখের পাতা বন্ধ হতে সময় নেয়না।

সকালে যথারীতি কুহু তাহমিদের আগেই ঘুম থেকে উঠেছে। ও ফ্রেশ হয়ে নিচে চলে যায়। নীরা না থাকায় সকালের খাবার ওকে মেইডদের সাথে মিলেই বানাতে হয়। ও তাহমিনা আক্তার, আফরোজা নাজনীনকে সকালে রান্নাঘরে আসতে কঠোরভাবে বারন করে দিয়েছে। কুহু ভার্সিটিতে গেলে তারা দুই জা মিলে দুপুরের খাবার রান্না করেন। কুহু ভার্সিটি থেকে দুপুরের মধ্যেই ফিরে আসে। সন্ধ্যার দিকে ও রাতের খাবার রান্না করে।

সানাউল রাশেদিন তাহমিদের জানি খাবার টেবিলে অপেক্ষা করছেন। গতকাল রাতে তাওহীদের সাথে সিক্তার বিয়ের ব্যাপারে কথা বলেছেন। তাওহীদ জানিয়েছে, ছেলের ব্যাপারে গোপনে খোঁজখবর নিতে। তবে তার আগে সিক্তার সাথে কথা বলতে বলেছে। সানাউল রাশেদিন ভাতিজার মতামত পেয়েই গেছেন। এবার তাহমিদের সাথে কথা বলতে হবে। তাহমিদের সাথে কথা বলার পর তিনি সিক্তার সাথে কথা বলবেন।
তাহমিদ ঠিক নয়টার দিকে নিচে আসল।

” কি ব্যাপার সিনিয়র, তুমি আজ এখোনো বাসায় আছ! ইদানীং চাকরিতে ফাঁকিঝুকি দিচ্ছ নাকি? ভেরি ব্যাড। যেখানে আর কয়দিন পর রিটায়ারমেন্টে যাবে, সেখানে এই শেষ সময়ে ফাঁকিবাজি করছ! ” চেয়ার টেনে বসতে বসতে কথাগুলো বলল তাহমিদ।

” আমার ব্যাপারে তোমাকে এত ভাবতে হবেনা। তুমি নিজেরটা ভাব। আমার দিন শেষ। তোমার জীবন সবেমাত্র শুরু হয়েছে। আমি সারাজীবন যেমন মাথা উঁচু করে চাকরি করেছি, শেষ কয়দিনও তাই করব। তুমি তোমারটা ভাব। আজকালকার ডক্টরদের সুনাম খুব একটা শোনা যায়না। তুমি সেই দলে যেন আবার নিজের নাম লিখিওনা। মনে রেখ তোমার বাপ-দাদার একটা রেপুটেশন আছে। ”

” বড়মা, কাহিনী কি! ভদ্রলোক হঠাৎ জ্ঞান দিচ্ছে যে! আজ তাকে দেখে শান্ত নদীর মত মনে হচ্ছে। কোন ঢেউ নেই, আর না আছে জোয়ার-ভাটা! এ কাকে দেখছি আমি! ভাবা যায়। ”
” তোমাকে এত ভাবতে হবেনা। তুমি আপাতত তোমার ছোট বোনের ব্যাপারে ভাব। তার বিয়ের কথা হচ্ছে। ছেলে নামী-দামী পরিবারে বিলং করছে। হাইলি এডুকেটেড। এইযে তার পুরো ফ্যামিলির বায়োডাটা। ”
” তোমার মতামত কি? মেয়ের বাবা হিসেবে তোমার মতামত সবচেয়ে আগে নিতে হবে। ” তাহমিদ বায়োডাটায় চোখ বুলিয়ে বলল।

” তোমরা দুই ভাই, আর সিক্তার মতামতের বাহিরে আমি যাবনা। তাওহীদের সাথে আমার কথা হয়েছে। এবার তোমার মতামত শোনার পর আমি সিক্তার সাথে কথা বলব। ”
” বয়োডাটা দেখে তো তাদের হাই প্রোফাইলই মনে হচ্ছে। যদি সবটা সত্য হয় তবেই। বড়মা, সিক্ত কোথায়? ”
” ও ঘুমাচ্ছে। ডাকতে গিয়েছিলাম, বলল উঠতে দেরি হবে। ” আফরোজা নাজনীন তো আর জানেননা, তার মেয়ে সারারাত কান্নাকাটি করে ভোরে ঘুমিয়েছে।

” বড়মা, তোমার কি মনে হয়, এখানে সিক্তর বিয়ে দেয়া যায়? ”
” তোরা দেখ, ভালোভাবে খোঁজখবর নে। তারপর বিষয়টা নিয়ে চিন্তা কর। আমার মেয়ে তো আর পানিতে পরে নেই। দেখলেই যে বিয়ে হবে, এমনটাও তো নয়। ”
” সিনিয়র, আনানকে তোমার কেমন মনে হয়? ”
এক প্রসঙ্গের মাঝে আরেক প্রসঙ্গ তোলায় সবাই একটু অবাকই হন। তাহমিনা আক্তার প্রথমে কপাল কোঁচকান। একটু পর কিছু একটা ভেবে আপনমনেই হাসলেন।

” আনান যথেষ্ট ভালো ছেলে। আর ভালো হবেইনা বা কেন? ওর পরিবার কি খারাপ? ওর পরিবারে শিক্ষা-দীক্ষা থেকে শুরু করে কি নেই? ঐ রকম খুব একটা পাওয়া যায়না। এমনকি তোমার থেকেও যথেষ্ট ভদ্র সে। ”
” তো চোখের সামনে এত ভালো পাত্র রেখে, মেয়ের বিয়ের জন্য এদিক-ওদিক ছেলে খুঁজতে যাও কেন? তোমার মেয়েও সুখে থাকল। আর তোমরা ভালো একটা মেয়ে জামাই পেলে। শুধু ছেলের পরিবার হাই প্রোফাইল হলে, ছেলে হ্যান্ডসাম, হাইলি এডুকেটেড হলেই কি মানুষ সুখী হয়? সুখ আপেক্ষিক বিষয়। অনেকেই সারাজীবন সাধনা করে সুখের দেখা পায়না। টাকা-পয়সা, সম্পত্তি কিংবা যোগ্যতাই সুখের বাহন হতে পারেনা। যেখানে তোমার মেয়ে নিজে সুখ খুঁজে নিয়েছে, সেখানে নতুন করে তার সুখ খুঁজতে যাওয়া কি বোকামি নয়? ”

সানাউল রাশেদিন আর আফরোজা নাজনীন অবাক হয়ে তাহমিদের দিকে তাকিয়ে আছেন। তারা তাহমিদের কথার মানে বোঝার চেষ্টা করছেন। তাহমিদ এক মনে খেয়ে চলেছে। ওর যা বলার ও বলে দিয়েছে, এবার শুধু সিদ্ধান্ত নেয়ার পালা।
” তুই ঠিক বলেছিস, বাবু। যেখানে সিক্তা নিজের সুখের রাস্তা খুঁজে পেয়েছে, সেখানে আমরা নতুনভাবে কেন ওকে সুখের সন্ধান দিতে যাব! আনানকে আমার ভিষণ পছন্দ। মেয়ে জামাইতো এমনই হওয়া চাই। ” তাহমিনা আক্তারও ছেলের সাথে তাল মিলিয়ে বললেন।

কুহু ওদের কথা শুনে হাসছে। তাহমিদ কত সহজভাবে ফুপাকে কথাটা বলল।
” বাপ, তুই কি ভেবেচিন্তে কথাটা বললি? ওরা কি কোন সম্পর্কে জড়িয়েছে? ” আফরোজা নাজনীনের কন্ঠে বিস্ময়।
” ওরা সম্পর্কে জড়ালে কোন সমস্যা আছে, বড়মা? আমি তো কোন সমস্যা দেখছিনা। আমার কাছে আমার বোনের সুখ আগে। ও যদি কুঁড়েঘরে সুখ খুঁজে পায়, তবুও আমি ওর পাশে থাকব। কি সিনিয়র, আমি ভুল বললাম? তুমি যদি তোমার এক্সকে ভুলে বড়মাকে নিয়ে সুখী হতে পার, তবে এতে বাঁধা দেয়ার সাধ্য কার আছে। তুমিতো ভুল কিছু সিদ্ধান্ত নাওনি। আমি সেসময় থাকলে, তোমার পাশেই থাকতাম। ”

তাহমিদের কথা শুনে সানাউল রাশেদিন নড়েচড়ে বসলেন। আফরোজা নাজনীন ঠোঁট টিপে হেসে তার স্বামীর দিকে তাকালেন। ভদ্রলোক চোখমুখ কুঁচকে রেখেছেন। জীবনের এই কথাটা তিনি শুনতে পছন্দ করেননা। তবুও এই ছেলেটা বারবার সেই কথাটাই মনে করিয়ে দেয়।

” আফরোজা, তাহমিনা তোমরা বিকেলে তৈরি হয়ে থেক। আমি অফিস থেকে এসে শাহনাজের বাসায় যাব। আমি চাইনা আমাদের ভুল সিদ্ধান্তে আমার মেয়ে কষ্ট পাক। সারাজীবন এত কষ্ট করেছি এই ছেলে-মেয়েদের জন্যই। ”
বড় চাচ্চুর শেষ কথাটা শুনে তাহমিদের ঠোঁটে হাসি ফুটল। তিনি যে সব সময়ই তাওহীদ, তাহমিদকে নিজের ছেলের মতই দেখেন, আজ আরেকবার সেটা প্রমান হল।

বিন্দু থেকে বৃত্ত সিজন ২ পর্ব ৪১

বিঃদ্রঃ গতকাল কিভাবে যেন পরে গিয়েছিলাম। সেখানে তরকারি কা’টা’র ব’টি ছিল। পায়ের তিন আঙুল বিশ্রীভাবে কে’টে গেছে। এক পর্যায়ে সেন্সলেস হয়ে যাই। এরপর হসপিটাল, ডক্টর করতে হয়েছে। বিছানায় শুয়ে শুয়ে প্রচন্ড ব্যথার মাঝেও এতটুকু লিখেছি। তাই ভিষন অগোছালো হয়েছে আজকের পার্ট। আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন।

বিন্দু থেকে বৃত্ত সিজন ২ পর্ব ৪৩