বুকে যে শ্রাবণ তার সিজন ২ পর্ব ৫

বুকে যে শ্রাবণ তার সিজন ২ পর্ব ৫
নিশাত জাহান নিশি

“হ্যাঁ। আমি খু’ন করেছি জারিফকে! সেদিন আমার প্ল্যানের কারণেই জারিফের খু’ন হয়েছিল। সামান্তা ও লাবিব আ’হ’ত হয়েছিল। কিন্তু আমি সাহিলকে খু’ন করিনি! গত কাল রাতেও আমরা একসাথে বসে ড্রিংকস করেছিলাম! সাহিলকে আমি সত্যিই খু’ন করিনি।”

ঝোঁকের বশে ভেতরের লুকানো সব পাপ হরহর করে প্রকাশ করে দিলেন টুটুল চৌধুরী! ক্রুর হাসিতে ফেটে পরলেন আব্রাহাম খান। অবশেষে প্ল্যান সফল হলো তাদের। যে প্ল্যানের পুরোটা জুড়ে ছিল নিঁখুত নাটকীয়তা, মিথ্যের আশ্রয়, অসম্ভব ঝুঁকি ও আবেগ।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

ডি.আই.জি স্যার ক্রোধান্বিত দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলেন টুটুল চৌধুরীর দিকে। টুটুল চৌধুরীর বিরুদ্ধে যদিও সমস্ত প্রমাণ তিনি পূর্বেই পেয়ে গিয়েছিলেন তবুও টুটুল চৌধুরীর মুখ থেকে তার সমস্ত কুকীর্তি রেকর্ড করতে চাইছিলেন। প্রমাণ এবার ষোলকলায় পূর্ণ হলো। আহাম্মকের ন্যায় চোখ দুটি ডিম্বাকৃতির করে রোবট হয়ে দাড়িয়ে রইলেন টুটুল চৌধুরী।

কি থেকে কি হয়ে গেল এসব? নিজের জেদের জন্য, নিজের বোকামির জন্য নিজেরই সর্বনাশ নিজে ডেকে আনলেন তিনি? আব্রাহাম খানের পাতা জালে এতো সহজে পা দিয়ে ফেললেন? কোথায় গেল তার বিচক্ষণ বুদ্ধি? যে বিচক্ষণতার বহর করতেন তিনি? এখন তো নিজের গলা নিজেই চেপে ধরতে ইচ্ছে করছে তার। ইতোমধ্যেই কঠোর রাগী গলায় ডি.আই.জি স্যার টুটুল চৌধুরীকে শাসিয়ে বললেন,

“আজ থেকে তুমি চাকুরী থেকে ডিশমিশ। লিগ্যালি স্টেপ নেওয়া হবে তোমার বিরুদ্ধে। আইন হাতে তুলে নিয়েছ তুমি। ক্ষমতার অপব্যবহার করেছ। এর শাস্তি তো তোমাকে পেতেই হবে।”
ক্ষিপ্র হয়ে ডি.আই.জি স্যার রুম থেকে প্রস্থান নেওয়ার পূর্বেই টুটুল চৌধুরী তার অসহায়ত্ব প্রকাশ করলেন। পরিস্থিতি সাপেক্ষে বুঝতে পারলেন তিনি নিজের পক্ষে নিজে সাফাই দিয়েও আর কোনো লাভ নেই। সমস্ত প্রমাণ এখন তার বিরুদ্ধে। তাই যা করতে হবে নমনীয়তার সহিত করতে হবে। আবেগ ব্যয় করতে হবে। অবিশ্বাস্যভাবেই তিনি ডি.আই.জি স্যারের পা দুটি চেপে ধরলেন! করুন কাকুতিমিনতি ভরা গলায় বললেন,

“স্যার প্লিজ এবারের মতো আমায় ক্ষমা করে দিন। অহংকার ও লোভে অন্ধ হয়ে গিয়েছিলাম আমি। প্রতিশোধের নেশায় মত্ত হয়ে ছিলাম। এই সমস্ত ঘটনার কেন্দ্রবিন্দু হলো মিশাল! মিশালকে শাস্তি দিতে গিয়ে আমি অনেক বড়ো পাপ করে ফেলেছি স্যার! আমি আমার ভুল বুঝতে পেরেছি। তবে সাহিলকে আমি খুন করিনি স্যার। মনে হচ্ছে আমার বিরুদ্ধে খুব বড়োসড়ো ষড়যন্ত্র করা হয়েছে স্যার। আমার মন বলছে সাহিল বেঁচে আছে! আপনি সঠিকভাবে তদন্ত করে দেখুন স্যার, আমার কথার সত্যতা বুঝতে পারবেন। আ’ম ড্যাম শিওর আব্রাহাম ও এই ষড়যন্ত্রের পেছনে জড়িত রয়েছে।”

হু হা করে হাসলেন আব্রাহাম খান। টুটুল চৌধুরীর ঠিক পেছনটাতে এসে দাঁড়ালেন। নাক ঘঁষে বেশ ভাবসাব নিয়ে বললেন,
“সাহিলের মৃত্যুটা তো একটা অভিনয় ছিল স্যার। আপনার মুখ থেকে সত্যিটা প্রকাশ করার সূক্ষ্ম অভিনয়। ডি.আই.জি স্যার এই সম্পর্কে সব জানেন। তিনি সম্মতি না দিলে আমি এতো বড়ো প্ল্যানিংটা বাস্তবায়ন করতে পারতাম না। যদিও এই প্ল্যানের পুরো মাস্টার মাইন্ড ছিল সামান্তা! মানুষ তখনই নিজের অধঃপতন ডেকে আনে যখন সে ভাবতে থাকে সে পৃথিবীর সবচেয়ে চালাক মানুষ।”

টুটুল চৌধুরীকে এক প্রকার লাথ মেরে ডি.আই.জি স্যার সোজা হয়ে দাঁড়ালেন। শক্ত গলায় তিনি আব্রাহাম খানকে নির্দেশ দিয়ে বললেন,
“আজ রাতেই আমাদের বোর্ড মিটিং বসবে। টুটুলকে কি করা যায় সেই মিটিংয়ে ডিসিশন নেওয়া হবে। সেই অবধি তাকে এই রুমে আটকে রাখার দায়িত্ব তোমার। কোনোভাবেই যেনো সে এখান থেকে বের হতে না পারে। সো বি কেয়ারফুল ওকে? আর সাহিলকে অক্ষত অবস্থায় আজ রাতের মধ্যে হাজির করবে।”

মাথা নাড়িয়ে আব্রাহাম খান সম্মতি প্রকাশ করতেই ডি.আই.জি স্যার হন্তদন্ত হয়ে রুম থেকে প্রস্থান নিলেন। তাঁর সাথে সাথে ওসমান সাহেবও ভয়ে লেজ গুটিয়ে পালালেন! তাকানো যাচ্ছেনা টুটুল চৌধুরীর দিকে। কখন ওসমান সাহেবকে মৃত্যুর দূতের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয় কে জানে! আক্রমনাত্নক হয়ে টুটুল চৌধুরী বসা থেকে ওঠে আব্রাহাম খানের গলার টুটি চেপে ধরলেন! কড়া মেজাজ নিয়ে তিনি দাঁতে দাঁত চেপে বললেন,

“আই উইল কিল ইউ আব্রাহাম। তোর ঐ সামান্তাকেও আমি মার্ডার করব! কাউকে ছাড়বনা আমি, কাউকে না।”
“আরে আরে আরে কি করছেন আপনি? আবারও জেদের বশে নিজের ক্ষতি করছেন হুম? বাঁ পাশের কর্ণারে একটু তাকান, ভালো করে তাকান, ওখানে একটি সিসি ক্যামেরা লাগানো! ডি.আই.জি স্যার কিন্তু তাঁর রুম থেকে সব দেখছেন! কেন আবার বিপদ ঘাঁড়ে তুলছেন বলুন তো?”

এক ধাক্কায় টুটুল চৌধুরীকে ঝেড়ে ফেলে দিলেন আব্রাহাম খান। এই প্রথম তিনি চোখ লাল করে তাকালেন টুটুল চৌধুরীর দিকে! আঙুল উঁচিয়ে তাকে শাসালেন। অন্ধকারে ঢাকা বিশাল ও বদ্ধ রুমটিকে বাইরে থেকে তালা বন্ধ করে তিনি হন্তদন্ত হয়ে রুম থেকে বের হয়ে গেলেন। রাগে, জেদে, ক্ষোভে, হেরে যাওয়ার লজ্জায় টুটুল চৌধুরী “আআআ” করে চিৎকার করে ওঠলেন। নিজের মাথার চুল নিজে টেনে ছিঁড়ে ফেলতে লাগলেন! উদ্ভ্রান্তের ন্যায় বলতে শুরু করলেন,

“খাঁদে পরে গেলে পিঁপড়েও চামচিকাকে লাথ মারে!”
আব্রাহাম খানের ধারণকৃত ভিডিও রেকর্ডটি সামান্তার পরিবার, সাহিলের পরিবার, মিশালের পরিবারসহ সবাই বেশ মনোযোগ সহকারে দেখল এবং শুনল। যারা সামান্তার প্ল্যানিংয়ের সাথে সামিল ছিল তা ভিডিও রেকর্ডটি দেখে অবাক না হলেও তরুন চৌধুরী থেকে শুরু করে মিশাল, রুমকি, সায়মা ও শাহনাজ বেগম অবাকের চরম শীর্ষে পৌঁছে গেলেন! মাথায় গন্ডগোল লেগে গেল তাদের। মৃদু হেসে আব্রাহাম খান সামান্তার সাথে হাত মিলালেন। কৃতজ্ঞতার স্বরে বললেন,

“থ্যাংকস সামান্তা। তোমার জন্যই সব সম্ভব হলো। একজন বিশ্বাসী মানুষের অভাবে আমি টুটুলের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর সাহস পাচ্ছিলাম না। তুমি ছিলে বলেই আমি আমার ক্ষমতার সঠিক ব্যবহার করতে পেরেছি। আ’ম সো হ্যাপি। আমার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বেস্ট ওয়ার্ক ছিল এটা। ভবিষ্যতে তোমার যেকোনো বিপদে আপদে তুমি আমায় পাশে পাবে। আমি সবসময় প্রস্তুত থাকব তোমার যেকোনো প্রয়োজনে।”
সামান্তাও মিহি হেসে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে বলল,

“আপনাকেও ধন্যবাদ স্যার। আপনি না থাকলে এতো বড়ো প্ল্যানটা সাকসেসফুল হতো না আমার। আপনার সাহায্য পেয়েছিলাম বলেই আমরা প্ল্যান অনুযায়ী আগাতে পেরেছিলাম। এবং দিনশেষে এর একটা ভালো ফলাফলও পেলাম। আপনার দীর্ঘ আয়ু কামনা করি।”
সামান্তাকে স্যালুট জানালেন আব্রাহাম খান। সামান্তার এই প্ল্যানের কারণে যেমন মুখোশধারী একজন পাপিষ্ঠ লোক সাজা পেতে চলল তেমনি আব্রাহাম খানের প্রমোশনও হতে চলল! তাই সামান্তার প্রতি তিনি পুরোপুরি অনার ও সন্তুষ্ট।

উপস্থিত সবার মধ্যখান থেকে একটুখানি দূরে এক কোণায় দাঁড়িয়ে রইল মিশাল। নির্বাক বস্তুর ন্যায় ঠায় দাড়িয়ে রইল সে। সকল বৃত্তান্ত জানা ও শোনার পর কি প্রতিক্রিয়া করা উচিৎ তার, তাই ভেবে ওঠতে পারছিলনা। সামান্তার দিকে ফিরে তাকানোরও মুখ নেই তার। মেয়েটা তাকে সবদিক থেকে হারিয়ে দিলো। একেবারে গোঁ হারান হারিয়ে দিলো। তার বেঁচে থাকাটাই যেনো নিরর্থক মনে হতে লাগল! যেখানে সামান্তার জন্য সে আজও অবধি কিছু করতে পারলনা, বিনিময়ে তাকে ভুল বুঝল, কষ্ট দিলো, নানানভাবে আ’ঘা’তও করল। সেখানে মেয়েটি তার ষোলআনা ভালোবাসা ও মহত্ত্ব দেখিয়ে দিলো? এই অবস্থায় সামান্তার মুখোমুখি হওয়ার কি আর কোনো পথ অবশিষ্ট আছে তার?

ইতোমধ্যেই আব্রাহাম খান দুষ্টু ভাব নিয়ে মিশালের মুখোমুখি হলেন। মিশালের কাঁধে হাত রেখে ডানপিটে হেসে বললেন,
“সামান্তাকে ডিল করা কিন্তু খুব একটা ইজি নয় ইয়াং ম্যান। সি ইজ সো ইনটেলিজেন্ট এণ্ড ব্রেভ গার্ল। সো তুমি তোমার সামান্তাকে কিভাবে হ্যান্ডেল করবে তা আগে থেকে ভেবেচিন্তেই কিন্তু তার কাছে যাবে, ওকে?”

হাসতে হাসতে তিনি কক্ষ থেকে বের হয়ে গেলেন। মিশাল ক্ষীণ হেসে মাথা চুলকে আঁড়চোখে সামান্তার দিকে তাকালো। সামান্তা বেশ ব্যস্ত ফোনে রাফিনের সাথে কথা বলতে। সাহিল ও জেনিয়ার খবরাখবর জানতে। ইতোমধ্যেই বিচলিত গলায় তরুন চৌধুরী সামান্তার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে শুধালেন,
“আমার ছেলে কোথায়?”
ফোনটি কেটে সামান্তা রয়ে সয়ে বলল,
“আসছে আঙ্কেল। রওনা হচ্ছে তারা।”

বাসের সিটে বেশ রগচটা ভাব নিয়ে বসে রয়েছে জেনিয়া। জানালার পাশের সিটটিই তার। দুপুরের কড়া রোদ তার বিবর্ণ মুখখানিতে ঠিকরে পরছে। সেই সাথে তার রাগের পরিধিও তরতর করে বেড়ে যাচ্ছে। আতঙ্কে সিটিয়ে রয়েছে সাহিল। আজ তার খবর আছে বলে। যেকোনো ক্রমেই হোক জেনিয়ার রাগকে এখনই শান্ত করতে হবে তার। নয়তো প্রলয় বেঁধে যাবে। কৌশলে জেনিয়ার হাত ধরল সাহিল। অমনি জেনিয়া ছ্যাঁত করে ওঠল! গরম দৃষ্টি নিক্ষেপ করল ভীত সাহিলের দিকে। চোয়াল উঁচিয়ে বলল,

“ডোন্ট টাচ মি! ফারদার আপনি আমার গাঁয়ে টাচ করেছেন তো আমি বাস ড্রাইভারকে ডেকে বলব আপনি আমাকে ইভটিজিং করার চেষ্টা করছেন!”
“আর ইউ মেড জেনিয়া? আমি তোমাকে ভালোবাসি। ভালোবেসে তোমার হাত ধরেছি। আর তুমি কিনা বলছ আমি তোমাকে ইভটিজিং করার চেষ্টা করছি?”

“ওহ্ রিয়েলি? আপনি আমাকে ভালোবাসেন? আমাকে ভালোবাসেন বলেই কি আপনি সামান্তা আপুকে বিয়ে করেছিলেন? তার সাথে দশদিন সংসার করেছিলেন? আমাকে কোনদিক থেকে আপনার বোকা মনে হয়?”
“আমি আর কতবার বলব জেনিয়া? সামান্তাকে আমি বিয়ে করিনি। এটি একটি প্ল্যান ছিল জাস্ট। আমার বাবাকে ও টুটুলকে বিভ্রান্ত করার একটি প্ল্যান ছিল মাত্র। তুমিতো জানোই?

মিশালকে আমার বাবা দু’চোখে দেখতে পারেননা। মিশালকে যখন জেলে নেওয়া হয় তখন টুটুল চৌধুরীর সাথে হাত মিলিয়েছিলেন আমার বাবা। মিশালকে মেরে ধরে আধমরা করে, সামান্তাকে আহত করে তার চেহারা বদলে দিয়েও ক্ষান্ত হননি তিনি। মিশাল ও সামান্তাকে চূড়ান্তভাবে আলাদা করার জন্য টুটুল চৌধুরী আমাকে এক অদ্ভুত শর্ত জুড়ে দিয়েছিলেন। মিশালকে তিনি তখনই থানা থেকে বেকসুর খালাস করবেন যখন আমি সামান্তাকে বিয়ে করব! যদিও এই শর্তে রাজি ছিলেননা আমার বাবা।

যতো যাই হয়ে যাক সামান্তার সাথে আমার বিয়ে মানতে চাইছিলেন না তিনি। তখনই সামান্তা মিথ্যে বিয়ের প্ল্যানটি করে। যখন সামান্তা পুরোপুরিভাবে নিশ্চিত হয় যে আমাদের বিয়ের পরই মিশালের ছাড়া পাওয়ার চান্স রয়েছে! সেই সুযোগ হাতছাড়া করতে চায়নি সামান্তা। এছাড়া আর কোনো পথও খোলা ছিলনা। কাজী সাহেব সেদিন এসেছিলেন ঠিকই কিন্তু সেদিন আমাদের বিয়েটা হয়নি।

আমরা কেউ কাউকে কবুল বলিনি। ভাগ্যিস সেদিন বাবা সেখানে উপস্থিত ছিলেননা। শুধু সামান্তার পরিবার, মিশালের পরিবার ও আমার মা উপস্থিত ছিলেন সেখানে। সেই মিথ্যে বিয়ের দুইদিন পর টুটুল চৌধুরী মিশালকে মামলা থেকে রেহাই করেন! আর তখনই শুরু হয় আমাদের মূল প্ল্যানিং। একসাথে থেকে আমরা ঠাণ্ডা মাথায় প্ল্যানিং করতে থাকি।

বাবা ও টুটুল চৌধুরীকে আশ্বস্ত করানোর জন্য আমি ইচ্ছে করেই সামান্তার সাথে খারাপ ব্যবহার করতে শুরু করি। যেনো তারা বুঝতে পারে বিয়ের পর আমি সামান্তাকে টর্চার করছি। তার জীবনটা বিষিয়ে তুলছি! তারা যা চাইছিল সেই অনুযায়ী কাজ করতে থাকি। এরপর সময় আসে আমাদের মূল প্ল্যানিংকে সফল করার। যদিও এই প্ল্যানিংটি আরও দুইদিন পরে হওয়ার কথা ছিল কিন্তু গতকাল সন্ধ্যায় হুট করেই শুনি তোমার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে! মাথা ঠিক ছিলনা আমার। তখনই সামান্তা প্ল্যান ঘুরিয়ে আমার একার নিরুদ্দেশ হওয়ার বদলে তোমাকেও ভাগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্ল্যানিং করে।”

বুকে যে শ্রাবণ তার সিজন ২ পর্ব ৪

বৃত্তান্ত শোনার পর জেনিয়া কিয়ৎক্ষণ মৌন রইল। অতঃপর সাহিলের অসহায় দৃষ্টিতে শিথিল দৃষ্টি নিক্ষেপ করল। রাশভারি গলায় বলল,
“এই প্ল্যানিংয়ের ব্যাপারে আমাকে একবার জানালে কি হতো? জানেন এই দশদিন যাবত আমার ওপর দিয়ে কি বয়ে গেছে? আপনাকে মনে মনে অনেক অভিশাপ দিয়েছি আমি! প্লে বয় ভাবতে শুরু করেছিলাম আপনাকে।”

বুকে যে শ্রাবণ তার সিজন ২ পর্ব ৬