বুকে যে শ্রাবণ তার সিজন ২ পর্ব ৮

বুকে যে শ্রাবণ তার সিজন ২ পর্ব ৮
নিশাত জাহান নিশি

“তোর মাকে গিয়ে জিজ্ঞেস কর কি হয়েছে। যতবারই আমি তোকে “আমার” করে পেতে চাই, ঠিক ততবারই একটা না একটা বাঁধা ঘাড়ে এসে পরবেই। সবাই শুধু আমার অসহায়ত্বটাকেই দেখল, আমার ভেতরটাকে দেখলনা। আমার ভেতরে যে একটা মন আছে, ছোট্টো একটা হৃদয় আছে, সেই হৃদয়ে যে আমারও আঘাত হয়, ব্যথা হয় সেটা কেউ বুঝলনা?”

অতিরিক্ত রাগ, জেদ, আবেগ ও দুঃখের প্রভাবে মিশালের রক্তিম দু’চোখের কোটর বেয়ে টুপটাপ ছন্দে জল গড়াচ্ছিল! সামান্তা শঙ্কিত, বিমূঢ় ও রূঢ় দৃষ্টিতে মিশালের পাগলামি দেখছিল। মিশালের এহেন কার্যকলাপে নারাজ হলো সামান্তা। এক পা দু’পা করে এগিয়ে এলো মিশালের দিকে। মিশালের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে শক্ত মন্দ গলায় বলল,

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

“এসব কি হচ্ছে মিশাল? তুমি ছোটো বাচ্চাদের মতো নিরর্থক পাগলামি করছ কেন? তোমার মতো ম্যাচিউরড একটি ছেলের কাছ থেকে এমন ইমম্যাচিউরড আচরণ কিন্তু আমরা এক্সেপ্ট করিনা। সো বি পোলাইট।”
“আমি ইমম্যাচিউরড হ্যাঁ? আমি ইমম্যাচিউরড? একটি হারাম সম্পর্ককে হালাল সম্পর্কে রূপ দিতে চাওয়া ইমম্যাচিউরডের কাজ? তোর মায়ের মতো কি তোরও মনে নয় আমি বিয়ের পর তোর খরচ বহন করতে পারবনা? আমাকে এতোটাই অপদার্থ মনে হয় তোদের?”

“হ্যাঁ হয়! গুন্ডা, মস্তানি, মারামারি, শরীরের রক্ত ঝরানো ছাড়া তুমি আর কি কাজটাই বা করতে পারো? যে ছেলে নিজের জীবনের ক্ষতি করতে দু’বার ভাবেনা সে আমাকে বিয়ের পর কিভাবে সুস্থ, নিরাপদে ও সুখে রাখবে? যদি আমাদের ধারণাকে পাল্টাতে চাও, তবে নিজেকে পরিবর্তন করে দেখাও। গুন্ডা, মস্তানি ছাড়া ভালো কিছু একটা করে দেখাও, নিজেকে প্রমাণ করে দেখাও। আমাদের সবার মুখে তালা ঝুলিয়ে দাও!”

সামান্তার কথার আঘাত হৃদয়ে গভীর ঘাঁ তৈরি করল মিশালের! থমকে দাঁড়ালো সে। সামান্তার কঠিন দু’চোখে চোখ রেখে হতবিহ্বল গলায় শুধালো,
“আমি কি করতে পারি না করতে পারি এসব নিয়ে তোর ডাউট আছে?”
“হ্যাঁ আছে!”

“ওকে। তবে তাই হবে। আজ, এখানে, এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে আমি তোকে কথা দিয়ে গেলাম বিয়ের পর তোর শুধু ঔষধের খরচ নয় বরং তোর সার্জারির সমস্ত টাকা আমি দু’হাতে খরচ করব! আগামী একবছরে আমি নিজেকে এমনভাবে তৈরি করে দেখাব তখন তুইও আমার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে এইযে এখন কথাগুলো বললি সেই কথাগুলো বলার সাহস পাবিনা!”

হনহনিয়ে হেঁটে জায়গা থেকে প্রস্থান নিলো মিশাল। মাথা নুইয়ে চোখের জল ছাড়ল সামান্তা। মিশালকে আঘাত করে যে সেও শান্তি পাচ্ছিলনা। তবে এই ক্ষেত্রে সামান্তার কঠিন হওয়া উচিৎ ছিল। নরম হয়ে থাকলে মিশাল এই সিরিয়াস বিষয়টিকে নিয়ে হেলাফেলা করবে। পাশ থেকে সাহিল দীর্ঘশ্বাস ফেলল। মনোক্ষুণ্ণ হয়ে সামান্তাকে বলল,
“কেন পাগলটাকে রাগালি বল তো? এমন একটা শুভ দিনে তাকে আলাদা করে দিলি?”

“যা করেছি একদম ঠিক করেছি সাহিল ভাই! তাকে তাড়া না দিলে সে জীবনেও কিছু করে দেখাবেনা। আমার যতটুকু করার আমিতো তা করেই দিয়েছি, এবার সেও কিছু করে দেখাক! নিজেকে প্রমাণ করুক। সবদিক তো আমার একার পক্ষে সামলানো সম্ভব নয়।”

এই বলে সামান্তাও চোখের জল মুছতে মুছতে প্রস্থান নিলো। নিচে নেমে দেখল মিশাল কোথাও নেই। রাগের চোটে কোথায় চলে গেছে কে জানে। সামান্তা সেদিকে ভ্রুক্ষেপ করলনা। মিশালকে মিশালের মতো করে ছেড়ে দিলো! হারিয়ে আর কোথায় যাবে সে? সামান্তার কাছেই তো বার বার ফিরে আসতে হবে। সামান্তাই হলো তার শেষ আশ্রয়স্থল।

কাজী সাহেব এসে গেছে বিধায় নিচে সবাই সামান্তাকে বেশ তাড়া দিচ্ছিল। দায়িত্ব নিয়ে সামান্তা চলে গেল জেনিয়ার রুমে। জেনিয়াকে নিয়ে এক্ষুণি বিয়ের আসরে যেতে হবে তাই। কিন্তু ইতোমধ্যেই ঘটে গেল আরেক বিপত্তি। জেনিয়ার হঠাৎ পি’রি’য়ড! অস্বস্তির মধ্যে ফেঁসে গেল সে। নাজিয়া বেগমের সাহায্য নিয়ে জেনিয়াকে কোনো রকমে সামলে সামান্তা, সাইফা, রুমকিও সায়মা মিলে নিচে নেমে এলো।

সাহিলও লাল পাঞ্জাবি পরে প্রস্তুত বিয়ে করার জন্য! আড়চোখে সাহিল কেবল জেনিয়ার ঘোমটার নিচে তাকানোর চেষ্টা করছে। তবে জেনিয়া ভুল করেও একটিবারের জন্য সাহিলের দিকে ফিরে তাকাচ্ছেনা৷ ব্যাপারটায় ভীষণ বিরক্ত সাহিল। তবে তা প্রকাশ করতে পারছেনা। দাঁতে দাঁত চেপে কেবল সহ্য করছে। তবে এই মুহূর্তে তো সাহিলের মতো আর রঙে নেই জেনিয়া, তার যে কতোটা অস্বস্তি কেবল সে-ই জানে।

কাজী সাহেবও ঐ মুহূর্তে বিয়ে পরানো শুরু করে দিলেন। অবশেষে তিন কবুলের মধ্য বিয়ে সম্পন্ন হলো তাদের। সবাই আনন্দে ও উচ্ছ্বাসে মিষ্টিমুখ করল। অতঃপর রাতের খাবারের জন্য টেবিল সাজানো হলো। তবে উপস্থিত কারোরই মিশালের কথা স্মরণে নেই! রুমকি নিজেও আনন্দের চোটে তার ভাইয়ের কথা ভুলে গেছে!রাতের খাবারদাবার শেষ করে সামান্তার পরিবার ও মিশালের পরিবার বাড়ি ফেরার জন্য প্রস্তুতি নিলো। নাজিয়া চৌধুরীর অনুমতিক্রমে সামান্তা টিফিন কেরিয়ারে মিশালের জন্য খাবার নিয়ে নিলো! সবার থেকে বিদায় নিয়ে বাড়ি ফিরে যাওয়ার পথে সামান্তা টিফিন কেরিয়ারটি শাহনাজ বেগমের হাতে তুলে দিলো। শান্ত স্বরে বলল,

“চাচী। খাবারটা মিশাল ভাইয়ার জন্য।”
“ওহ্ খাবার নিয়েছিস তুই? আমি না অনেকবার নাজিয়ার কাছে বলতে গিয়েও থেমে গিয়েছিলাম। ভাবলাম কি না কি ভাবে!”
“ধ্যাত চাচী। কি যে বলোনা? ফুফু বুঝি মিশাল ভাইয়ার খাবারের জন্য মানা করবে? বরং আমি বলার আগেই ফুফু বুঝে গিয়েছিল মিশাল ভাইয়ার জন্য খাবার দিতে হবে।”

মৃদু হেসে শাহনাজ বেগম খাবারের ক্যারিয়ারটি নিলেন। বাসার সামনে ক্যাব পৌঁছাতেই শাহনাজ বেগম ও রুমকি ক্যাব থেকে নেমে গেল। এরপরের গেইটেই অর্থাৎ সামান্তাদের বাড়ির সামনে ক্যাবটি পুনরায় থামলো। তারাও এক এক করে বাড়ির ভেতর ঢুকে গেল। তবে সামান্তা থামলো। ইশারায় রুমিককে বুঝালো জোর করে হলেও মিশালকে খাওয়াতে। সামান্তার ইশারা বুঝে রুমকি মিষ্টি হেসে ঘাড় নাড়ালো। স্বস্তির শ্বাস ফেলে সামান্তা আশ্বস্তি বুঝালো।

মিশালদের বাড়ির সদর দরোজা খোলা। তা দেখেই শাহনাজ বেগম বুঝতে পেরে গেলেন মিশাল এই মুহূর্তে বাড়িতেই রয়েছে। ভেতরে প্রবেশ করেই তিনি প্রথমে টিফিন কেরিয়ার থেকে প্লেটে খাবার সাজিয়ে মিশালের রুমের দিকে রওনা হলেন। দরোজা ভেজানো ছিল মিশালের। তাই ডাকাডাকি করতে হয়নি মিশালকে। রুমের ভেতরে প্রবেশ করে তিনি সম্পূর্ণ অবাক হয়ে গেলেন।

মেঝেতে হাঁটু ভাজ করে বসে মিশাল তার মৃত মায়ের ছবি আঁকড়ে ধরে অঝরে কাঁদছে! এই প্রথম তিনি দেখলেন মিশাল তার মায়ের ছবি হাতে নিয়ে এভাবে কাঁদছে। সচরাচর তার বাবার ছবিই তার সাথে থাকে। ছবির দিকে তাকিয়ে বাবার সাথে মাঝেমাঝে বকবক করে। কখনও হাসে, তো কখনও কাঁদে। কেনো যেনো আজ এই দৃশ্যটি শাহনাজ বেগমের হৃদয়ে আঁচড় কাটলো। মাতৃত্ব বোধ জেগে ওঠল। অজান্তেই তিনি আবেগপ্রবণ হয়ে চোখের জল ছেড়ে দিলেন! খাবারের প্লেটটি তিনি ডেস্কের ওপর রেখে ছুটে এসে মিশালকে বুকের মাঝে মিশিয়ে নিলেন! ভারী গলায় বললেন,

“তুই কাঁদছিস কেন বাবা? তোর এক মা চলে গেছে তো কি হয়েছে? আমিতো আছি! তোর মতো ছেলে পাওয়া যে ভাগ্যের ব্যাপার। দেরি করে হলেও কিন্তু আমি তা বুঝতে পেরেছি। আগে যা হয়েছে হয়েছে। এখন ক্ষমা করে দেওয়া যায়না এই মা টাকে বল?”

এই প্রথম শাহনাজ বেগমের গাঁ থেকে মায়ের গন্ধ ভেসে এলো! মিশাল বুঝতে পারল শাহনাজ বেগমের এই বদল মিথ্যে নয়, এই মমতা নাটক নয়, এই অনুতাপ ছলনা নয়। মিশাল নিজেও সমব্যথী হয়ে জড়িয়ে ধরল শাহনাজ বেগমকে। ভারাক্রান্ত গলায় বলল,

“মা বিশ্বাস করুন আমি সামান্তাকে হারাতে চাইনা! আমি আমার এক মাকে হারিয়েছি। আমার বাবাকে হারিয়েছি। হারানোর যন্ত্রণা আমি বুঝি। নতুন করে আমি আর কাউকে হারাতে চাইনা। আমার নিজেকে খুব অসহায় লাগছে মা। আমি সামান্তাকে কথা দিয়ে এসেছি আগামী একবছরের মধ্যেই আমি কিছু একটা করে দেখাব, তাকে বীরদর্পে বিয়ে করে দেখাব।

কিন্তু এখন আমি ঠাণ্ডা মাথায় ভেবে দেখলাম মা, আসলেই এতো কম সময়ের মধ্যে আমার পক্ষে ভালো কিছু একটা করা সম্ভব নয়! যদি আমি ভালো কোনো একটা চাকরী বাকরী পেয়েও যাই মান্থলি বিশ হাজার টাকার স্যালারির উপরে পরবেনা। আজকালকার যুগে একটি সংসার চালানোর জন্য তো বিশ হাজার টাকা হাতের ময়লা জাস্ট। সেই জায়গায় গোটা একটি সংসার চালানো, সামান্তার ভরণ-পোষণ, তার ঔষধ খরচ কিভাবে চালাব আমি?”

শাহনাজ বেগম কিয়ৎক্ষণ মৌণ রইলেন। গভীর কিছু চিন্তাভাবনার পর তিনি মুখ খুললেন। স্বস্তিকর গলায় বললেন,
“ইতালিতে আমার একজন দুঃসম্পর্কের আত্নীয় থাকে। তুই চাইলে আমি তার সাথে কথা বলে তোর ইতালিতে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দিতে পারি! আমার মনে হয় তোর লক্ষ্য পূরণে আমার এই আইডিয়াটিই ঠিক হবে।”
সোজা হয়ে বসল মিশাল। চক্ষু চড়ক গাছ তার। অবিশ্বাস্যকর গলায় তার মাকে শুধালো,
“কিন্তু এতো টাকা আমি কোথায় পাব মা? আমার হাতে তো এখন একটা কানাকড়িও নেই।”

“আমার সব গহনাগাটি, রুমকির সব গহনা বিক্রি করে কমপক্ষে তিন, চার লাখ টাকা তো ম্যানেজ হয়ে যাবেই! প্রয়োজনে ব্যাংক লোন নিব আমরা। যদি এতেও না হয় তবে আমরা তোর ফুফার থেকেও কিন্তু আমরা টাকা ধার হিসেবে নিতে পারি! আশা করি তিনি আমাদের ফেরাবেননা।”
“আপনি কি পাগল হয়ে গেছেন মা? রুমকির গহনা বিক্রি করতে পারবনা আমি! এসব গহনা ওর বিয়ের জন্য রাখা। না না, ওসবে হাত দিতে পারবনা আমি!”

মিহি হেসে মিশালের মাথায় হাত বুলালেন শাহনাজ বেগম। শান্তনার স্বরে বললেন,
“ভালোয় ভালোয় ইতালিতে পৌঁছে গেলে তুই এক বছরে যে টাকা কামাবি বাপ সেই টাকা দিয়ে আমরা রুমকির জন্য আরও ভালো ভালো গহনা গড়াতে পারব। ওসব নিয়ে এখন ভাবতে হবেনা তোকে। তোর ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করা এখন আমাদের মা, মেয়ের দায়িত্ব!”

বাকরুদ্ধ মিশাল। নির্বাক দৃষ্টিতে তার মায়ের দিকে তাকিয়ে রইল। তার এক মা চলে গেছে তো কি হয়েছে? আরেক মা যে তার পাশে ঢাল হয়ে দাঁড়াবে কে জানত? দরোজার আড়াল থেকে চুপটি করে সব শুনছিল রুমকি। চোখে তার আনন্দ অশ্রু। এমন একটি পরিবারই তো চেয়েছিল সে। যেখানে তার মা, ভাই এবং সে পরস্পর মিলেমিশে থাকবে। চোখ দুটি ধন্য হয়ে গেল রুমকির। উত্তেজিত হয়ে সে দৌঁড়ে তার রুমে গেল। সামান্তাকে কল করে মুখ ঝামটা দিলো! বেশ গর্বিত গলায় বলল,
“আমার ভাইয়া ইতালি যাচ্ছে আপু! দেখব এবার তুমি কি করে আমার ভাইকে ফিরিয়ে দাও!”

ফুলসজ্জার খাটে বেশ রোমান্টিক ভাব নিয়ে বসে রয়েছে সাহিল! জেনিয়াকে পাওয়ার আকাঙ্ক্ষায় উদ্ভাসিত সে। অপেক্ষা শুধু জেনিয়ার আসার। সেই কখন জেনিয়া ওয়াশরুমে গেল কিন্তু এখনও অবধি এলোনা! কি এমন হিসাব নিকাশ করছে সে ওয়াশরুমে বসে? আর কত ধৈর্যের পরীক্ষা দিবে সাহিল? মাথা টাথা গরম হয়ে যাচ্ছে তার। অবশেষে মাথা নুইয়ে কাপড় ঠিক করতে করতে জেনিয়া ওয়াশ রুম থেকে বের হয়ে এলো। উত্তেজিত হয়ে ওঠল সাহিল! ছুটে গিয়ে জেনিয়াকে পেছন থেকে জাপটে ধরল। জেনিয়ার ঘাড়ে মুখ ডুবিয়ে বলল,

“হেই জান। ওয়েট করাতে করাতে তো এতক্ষণ মেরে দিচ্ছিলে। আর কতো ওয়েট করাবে বলো? আই কান্ট ওয়েট বেবি!”
ইতোমধ্যেই সাহিলকে ঝাড়ি দিয়ে ফেলে দিলো জেনিয়া। মাথার ঘোমটা খুলে সে তিরিক্ষিপূর্ণ গলায় বলল,
“এই সরুন তো এখান থেকে। আইছে কান্ট ওয়েট বলতে। আগামী সাতদিন আপনি আমার গাঁয়ের সাথে ঘেঁষবেন না! দূরে দূরে থাকবেন আমার থেকে ওকে?”

বুকে যে শ্রাবণ তার সিজন ২ পর্ব ৭

সাতদিন বলাতে সাহিলের বুঝতে বেশি বেগ পেতে হলোনা ঘটনা কি ঘটেছে! মাথায় যেনো আকাশ ভেঙে পরল সাহিলের। উল্টো পাশ ফিরে সে নখ কাঁমড়ালো। মিশালকে গালমন্দ করে বিড়বিড়িয়ে বলল,
“ব্লা’ডি, স্টু’পিট, ন’নসে’ন্স মিশাল। শালা তোর রুহের হায়ের জন্য আজ আমার দুর্বল জায়গায় ফুলস্টপ পরে গেল!”

বুকে যে শ্রাবণ তার সিজন ২ পর্ব ৯