শুভ্ররাঙা ভালোবাসা পর্ব ৩৬

শুভ্ররাঙা ভালোবাসা পর্ব ৩৬
তানিয়া মাহি

” স্যার আমি আপনাকে বিয়ে কেন করব? মা গতকাল বলল আমার নাকি এখন থেকে কোথাও গেলে আপনার সাথে যেতে হবে?”
সাহিল বাইকে উঠে বসতেই ফাউজিয়ার কথা শুনে তার দিকে ফিরে তাকায়। চারপাশে একবার তাকিয়ে দেখে ফাউজিয়াকে জিজ্ঞেস করে, ” আপনার কি অমত আছে? আপনি কাউকে পছন্দ করেন?”
সাহিলের প্রশ্নটা একটু অন্যরকম লাগে ফাউজিয়ার কাছে। সাহিলের কথায় স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে তিনিও হয়তো এই বিষয়টায় অবগত।

ফাউজিয়া গলার স্বর নিম্ন করে বলে, ” সেটা নেই কিন্তু স্যার আপনি তো আমার স্যার। আপনার সাথে আমার বিয়ে কীভাবে সম্ভব হবে বলেন? ডিপার্টমেন্টে জানাজানি হলে তো কেলেঙ্কারি হয়ে যাবে।”
” কেলেঙ্কারি কেন হবে? আমরা তো বিয়ে নামক পবিত্র সম্পর্কে জড়াবো, আপনার কীসের?”
” আপনি আমাকে পছন্দ করেন? প্রথমদিকে আপনার চালচলন দেখে মনে করেছিলাম আপনি শুভ্রতাকে….”
ফাউজিয়াকে থামিয়ে দিয়ে সাহিল শেখ বলে ওঠে, “শুভ্রতা আমার মৃ*ত বোনের নাম।”

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

ফাউজিয়া সাথে সাথে থমকে যায়, মনে হয় শীতল একটা হাওয়া বয়ে গেল তার ওপর দিয়ে। বাইকে ওঠার কথাই সে ভুলে গেছে। সাহিল তাকে জানায় তার ছোট বোনের নাম ছিল শুভ্রতা। সে সাহিলের আট বছরের ছোট ছিল। সে যদি বেঁচে থাকতো তাহলে প্রায় ফাউজিয়ার সমবয়সী হতো নয়তো দুই এক বছরের ছোট হতো। শুভ্রতার বয়স যখন ছয়, তখন গ্রামের বাড়ি পুকুরে গোসল করতে নেমেছিল সাহিল।

শুভ্রতা ছিল ভাইভক্ত, পুকুরের ওপাশে সাহিলসহ অনেকে গোসল করছিল আর শুভ্রতা ভাইয়ের কাছে যেতে পুকুরে নেমেছিল। গোসল করে ওঠার সময় বোনকে নিজের চোখে ভাসতে দেখেছিল সে। ফাউজিয়া বুঝতে পারে সাহিলের কথায় পরিবেশ অন্যরকম হয়ে যাচ্ছে। ফাউজিয়া সাহিল শেখের নিরবতা ভেঙে বলে ওঠে, ” স্যার, শুভ্রতা কল করছে আমাদের রওয়ানা দিয়ে দেওয়া উচিৎ বোধ হয়।”
” হুম। উঠে বসুন, সমস্যা হলে কাধ ধরে বসতে পারেন।” সাহিল ছোট করে কথার সমাপ্তি ঘটিয়ে ফাউজিয়া উঠে বসতেই বাইক চালানো শুরু করল।

রাত আটটা বাহিরে হৈচৈ শোনা যাচ্ছে। ফাউজিয়া বসে বসে শুভ্রতাকে মেহেদী পরিয়ে দিচ্ছিল। বাহিরের উঠোনে সবাই বসে আছে, আগামীকালের রান্নার জন্য পেয়াজ,রসুন কাটছে মশলা বাটছে। দুই বাড়ির অনুষ্ঠান একদিনেই হবে বলে কথা। শাকিরাও কাজ করছিল, রায়হান বাহিরে থেকে এসে পুকুরপাড়ের সিড়িতে গিয়ে বসতেই সুযোগ বুঝে শাকিরাও সেখানে চলে গিয়েছে। ফাউজিয়া আর শুভ্রতা রুমে বসে মোবাইলে গান ছেড়ে গল্প করছে আর মেহেদী দিচ্ছে। শুভ্রতা এতক্ষণে জেনে গিয়েছে সাহিল স্যারের সাথে ফাউজিয়ার বিয়ের কথা চলছে।

শুভ্রতাও পরামর্শ দিয়েছে বিয়েটা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব করে নেওয়াই ভালো। ফাউজিয়াও জানায় সে এই বিষয়ে ভেবে দেখবে৷ শুভ্রতা আর ফাউজিয়ার কথাবার্তার মাঝে দরজায় নিহান এসে দাঁড়ায়। গলা খাঁকারি দিতেই ফাউজিয়া পিছনে ফিরে তাকায়। শুভ্রতা নিহানকে দেখেই লজ্জায় চোখ বন্ধ করে কপাল আর চোখ হাত দিয়ে ঢেকে নেয়। ফাউজিয়া নিহানের দিক থেকে চোখ ফিরিয়ে শুভ্রতার দিকে তাকায়। শুভ্রতার লজ্জামাখা মুখ দেখে তার ভীষণ হাসি পাচ্ছে। শুভ্রতার দিকে তাকিয়েই বলে, ” তোরা কথা বল, আমি আম্মুর সাথে কথা বলে আসছি।”

ফাউজিয়া বেরিয়ে যেতেই নিহান মাথা চুলকাতে চুলকাতে শুভ্রতার দিকে এগিয়ে আসে। নিহানকে ভেতরে আসতে দেখে শুভ্রতা তাড়াহুড়ো করে বিছানা থেকে নেমে দাঁড়াতে গিয়ে শাড়ির আঁচল হাতের মেহেদীর ওপর পড়ে যায়। শুভ্রতা সেটা ডান হাতে দুই আঙুল দিয়ে তুলতে যাবে তখনই নিহান সেটা মাথায় তুলে দেয়।
” এখন সুন্দর লাগছে, একদম বউ বউ লাগছে।”
” আপনি এখানে আসতে গেলেন কেন?”

শুভ্রতার প্রশ্নের কোন উত্তর না দিয়ে সে পাঞ্জাবির পকেট থেকে কিছু একটা বের করতে লাগলো। শুভ্রতা এতক্ষণে খেয়াল করল নিহান নীল রঙের পাঞ্জাবি পরে তার সামনে এসেছে। বলিষ্ঠ দেহে আটসাট নীলরঙা পাঞ্জাবিতে নিহানকে অসম্ভব সুন্দর দেখাচ্ছে। শুভ্রতা অনুভব করে নিহানকে তার ভালো লাগতে শুরু করেছে। শুভ্রতা অনিচ্ছায় বলে ওঠে, ” শুনুন আপনাকে নীল পাঞ্জাবীতে সুন্দর লাগছে।”

শুভ্রতার কথায় নিহান মুচকি হাসে, প্রিয় মানুষের নজরে সুন্দর হতে কে না চায়! প্রিয় মানুষটি যখন তার বিষয়ে ভালো লাগার কথা বলে এরকম সুন্দর অনুভূতি হয়তো পৃথিবীতে আর নেই।
হাতের দিকে খেয়াল করতেই শুভ্রতার মনটা খারাপ হয়ে যায়, নিহানকে প্রশ্ন করে ওঠে,” আপনি ঘড়িটা আজ পরেছেন কেন? আমি তো নেহাকে বলে দিয়েছি ঘড়িটা আগামীকাল রাতে পরার কথা।”
নিহান নিজের হাতের ঘড়ির দিকে তাকিয়ে বলে, ” কোন ঘড়ি?”

” আপনার হাতে যেটা আছে ওটা নেহা দেয় নি?”
” না, এটা তো আমি এখানে আসার আগে কিনেছিলাম।”
শুভ্রতা কপালে দিয়ে বসে পড়ে। কপালে মেহেদীর দাগ পড়বে ভেবে তাড়াতাড়ি হাত সরিয়ে নেয়। নিহান কিছু বুঝতে না পেরে আবার জিজ্ঞেস করে, ” কোন ঘড়ির কথা বলছিলে তুমি?”
শুভ্রতা নিহানের দিকে একবার তাকিয়ে আবার চোখ সরিয়ে নিয়ে বলে, ” আপনার জন্য আজ একটা ঘড়ি কিনেছিলাম, নেহার কাছে দিয়ে বলেছি কাল পরতে। ঘড়িটা বোধ হয় এরকমই হবে।”

” আচ্ছা পরব। এবার আমার কাছে একটু এগিয়ে আসা যাবে কি?”
” কেন?”
নিহান হাতের প্যাকেট থেকে একটা ছোট গলার হার বের করে শুভ্রতার সামনে মেলে ধরে। শুভ্রতার হারটা চিনতে একটুও কষ্ট হয় না। বাড়ির সবাই যখন বিকেলে কিছু কেনাকাটা করতে বের হয়েছিল তখন স্বর্ণের কিছু গহনাও কিনে। নিহানের আগে থেকেই নিষেধ ছিল শুভ্রতা যা যা নেবে সবকিছুর খরচ নিহান বহন করবে। বাড়ির সবার জন্য কিছু না কিছু নেওয়া হয় বিধায় অনেক টাকা খরচ হয়ে যায়।

বিয়েটা যদিও পারিবারিকভাবেই হচ্ছে তবুও কেনাকাটা করতে গেলে কম কেনা হয় না বরং প্রয়োজনের চেয়ে বেশিই হয়ে যায়। শুভ্রতা ছোটবেলা থেকেও মিতব্যয়ী তাই কয়েকটা স্বর্ণের জিনিস কেনা হয়েছে বলে তার খুব পছন্দ হওয়া হারটার কথা কাউকে জানানো হয়নি। নিহানের চোখ হয়তো সেটা এড়িয়ে যায় নি তাই সে হারটা নিয়েই এসেছে। নিহানকে সে যতই চিনতে শুরু করেছে ততই সে অবাক হচ্ছে। একটা মানুষ সবদিকে এত নজর কীভাবে রাখতে পারে!
শুভ্রতা নিহানের দিকে এগিয়ে যায়, সামনে দাঁড়াতেই নিহান বলে, ” আমি পরিয়ে দিই?”

” হুম।”
নিহান শুভ্রতার মাথা থেকে ঘোমটা নামিয়ে হারটা পরিয়ে দেয়। শুভ্রতাকে আয়নার দিকে এগিয়ে নিয়ে গিয়ে বলে, ” দেখো তো আয়নায় কাকে দেখতে পাচ্ছো, নিজেকে নাকি আমার শুভ্রাকে? আমার মানুষটাকেই নিশ্চয়ই দেখছ। অসম্ভব সুন্দর না বলো? আমি আমার মানুষটাকে পুতুলের মতো আমার মনে সাজিয়ে রাখব। যেখানে আর কারও উপস্থিতি নেই। ”
শুভ্রতার চোখ টলমল করছে, মুখে কোন কথা নেই। নিহান বলে ওঠে, ” এই এই এই একদম কাঁদবে না। আমার প্রিয় মানুষের চোখের কাজল চোখের পানিতে লেপ্টে যাওয়ার নয়। ”

” আপনি এত ভালো কেন নিহান..…”
” এই একদম ভাই বলবি না। সবসময় এই নিহান অবধি এসেই আটকে যাবি। মুখ দিয়ে যদি কখনো….”
নিহানের মুখের অবস্থা দেখে শুভ্রতা ফিক করে হেসে দেয়। নিহান আয়নার দিকে তাকিয়ে শুভ্রতার হাসি দেখছে। নিহান শুভ্রতাকে তার দিকে ফিরিয়ে নেয়। মেয়েটা তখনও হাসছে। এমনভাবে হাসছে যেন সে খুব হাসির কোন জোকস শুনিয়েছে। মেয়েটার কপালে একটা চুমু দিতে পারলে হয়তো নিহানের শান্তি লাগতো। নিহান শুভ্রতার দিকে বাঁকা হতেই শুভ্রতা পিছনে সরে যায়। নিহান ভ্রু উঁচু করে জানতে চায় কি হয়েছে?

” আমরা বিবাহিত নই। প্রথম স্পর্শটা হালাল হলে ক্ষতি কি?”
” হুম।”
নিহান বুঝতে পারে সে একটা ভুল করতে যাচ্ছিল। এত বছর যার জন্য অপেক্ষা করেছে তার অপেক্ষায় যে আর এই কয়েকটা ঘণ্টাই যেতে চাইছে না সেটা সে শুভ্রতাকে কি করে বোঝাবে!
নিহান অসহায়ের মতো আবার বলে, ” আ’ম স্যরি শুভ্রা, আমি আসলে….”

” আমি বুঝি। ”
” হ্যাঁ? ”
” আমি হয়তো আপনাকে বুঝতে শুরু করেছি।”
” কেউ হয়তো আসছে এদিকে, আমি যাই তবে। গলার ওটা পরেই থাকো, খুলে রেখো না। এটা আমার পক্ষ থেকে তোমার জন্য উপহার।”
” কালকের উপহার পাব না?”
” কালকে সবার সামনে, সবাইকে সাক্ষী রেখে পুরো ‘আমি’টাকেই দিয়ে দেব, হবে না?”
” খুব হবে।”

নিহান রুম থেকে চলে গিয়ে আবার ফিরে আসে, তৎক্ষনাৎ ফিরে আসতে দেখে শুভ্রতা জিজ্ঞেস করে, ” আবার কি হলো?”
” খোপায় দেওয়ার জন্য ফুল এনেছিলাম, রেখে দাও। ফাউজিয়া আসলে খোপায় বেধে নিও, আর কয়েকটা ছবি দিও প্লিজ৷ আজ তো আর দেখতে পাব নাহ। ”
শুভ্রতা মুচকি হেসে বলে, ” ঠিক আছে এবার যান।”
চলে যাওয়ার জন্য পা বাড়িয়ে আবার পিছনে ফিরে তাকায় নিহান। বলে ওঠে, ” আচ্ছা তোমার কোনভাবে মনে হচ্ছে না তো যে আমি তোমার জন্য সঠিক নই?”

শুভ্রতা মুখে হাসির রেখা টেনে বলে, ” আপনাকে আমি নই, আমার আল্লাহ পছন্দ করেছেন, তিনি আমার জন্য সঠিক মানুষকেই রেখেছেন। এই মানুষের ভালোবাসা কখনো ভুল হতে পারে না।”
মিনিট বিশেক আগে আমজাদ সাহেবের পরিবার বিয়ে বাড়ি এসে পৌঁছেছে। সাফিয়া বেগম মেয়েকে বারবার বলে দিয়েছেন বিয়ে বাড়িতে যেন কোন ঝামেলা সে না করে। ইরাও মায়ের কথা বাধ্য মেয়ের মতো মেনে নিয়েছে তবুও সাফিয়া বেগম ভীত হয়ে আছেন। এই একটা সময়ে এসে তিনি নিজের মেয়েটাকেও বিশ্বাস করে উঠতে পারছেন না। তিনি সিদ্ধান্ত নেন মেয়েটাকে চোখে চোখে রাখতে হবে।

ইরা ফ্রেশ হয়ে শুভ্রতার কাছে যাওয়ার কথা জানালে সাফিয়া বেগম বলেন, ” দুই মিনিট অপেক্ষা করো আমিও যাব।”
” তুমি চিন্তা করো না আম্মু, আমি তোমাকে কথা দিচ্ছি আমি বিয়েতে কোনরকম সমস্যার সৃষ্টি করব না। আমি জানি তুমি আমাকে বিশ্বাস করে উঠতে পারছো না। আমার খারাপ লাগছে কিন্তু আমাকে ভরসা করতে পারো। ”
সাফিয়া বেগম মেয়ের মাথায় হাত বুলিয়ে দেন। মেয়েটা গাড়িতেও কান্না করেছে খুব। তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিয়েতে আসবে না কিন্তু ইরার জোরাজুরিতে আসতেই হলো। ইরা বুদ্ধিমতী মেয়ে, সে যেহেতু বলেছে তাহলে খারাপ কিছু করবে না বলে সাফিয়া বেগমের বিশ্বাস।

রাত নয়টা পয়ত্রিশ, ফাউজিয়া শুভ্রতার হাতে মেহেদী দেওয়া শেষ করে বসে বসে নিজের হাতে মেহেদী নিচ্ছিল। বিয়ে আর ঈদ, হাতে মেহেদী ছাড়া জমেই না।
ফোন বেজে উঠলে স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে দেখে সাহিল ফোন দিয়েছে। ফাউজিয়া ফোনটা নিয়ে বাহিরে চলে যায়৷ ফাউজিয়া বাহিরে যাওয়ার সাথে সাথেই ইরা রুমে প্রবেশ করে। ইরাকে দেখে শুভ্রতার মুখে হাসি ফুটে যায়।

” আরে ইরা! কখন এসেছিস?”
” এই তো আধাঘণ্টা হবে হয়তো। কেমন আছো বিয়ের কনে?”
” এই তো আলহামদুলিল্লাহ। তোকে কি বলে সম্বোধন করব বল, আমার বোন নাকি ননদ?”
” বোনই বলো, আমি তোমার বোনই তো হই। নিহান ভাইয়া কোথায়? তাকে তো দেখলাম না!”
” বাসায় হয়তো আছে। বাসায় গেলেই পাবি হয়তো।”
” এতরাতে অন্যজনের হবু বরের সাথে দেখা করা কি ঠিক হবে? থাক কালকেই দেখা করব।”
” তুই ও না…”

ইরা আর শুভ্রতা কথা বলছে, ফাউজিয়াও এসে তাদের সাথে যোগ দেয়। ফাউজিয়া এসে বলে, ” কি রে শাকিরা এলো না তো?”
শুভ্রতা ঘড়ির দিকে তাকিয়ে বলে, ” দশটা বাজতে দে, শাকিরা, নেহা, আবিরা আপু, স্নিগ্ধা সবাই চলে আসবে। আজ সবাই এখানেই থাকবে, ইরা তুইও এখানে থাকবি আজ।”

শুভ্ররাঙা ভালোবাসা পর্ব ৩৫

ইরা মাথা নেড়ে সম্মতি জানায়। তিনজন কথা বলছে এমন সময় ইরা বলে, ” আপু তোমার ফোন বাজছে হয়তো।”
শুভ্রতা আশেপাশে হাতড়ে ফোন খুঁজে পায় না। ফাউজিয়া টেবিলের ওপর ফোন দেখতে পেয়ে শুভ্রতার দিকে এগিয়ে দেয়। শুভ্রতা ফোন হাতে নিয়ে স্ক্রিনে তাকিয়ে দেখে আবার সেই অচেনা নম্বর।

শুভ্ররাঙা ভালোবাসা পর্ব ৩৭