সে আমার সুকেশিনী পর্ব ১১

সে আমার সুকেশিনী পর্ব ১১
রাউফুন

‘আর যদি বলি, আমিই তোর সুপ্রিয় ভাই তখন?’
চমকপ্রদ ভাবে তার দিকে তাকালো বিউটি। পরক্ষণেই তার মনে পরলো গতকাল জ্বরের ঘোরে সে অনেক কিছু বলেছে। হইতো সেটারই সুযোগ নিচ্ছে মিনহাজ। তাই সে দাঁতে দাঁত চিপে চোয়াল শক্ত করে বললো,

‘এসব কি বলছেন মিনহাজ স্যার? আপনি আমার সঙ্গে গেইম খেলছেন, ছিঃ! আমি আপনাকে রিজেক্ট করেছি বলে সরাসরি আপনি আমার ইমোশন্স নিয়ে এভাবে খেলবেন না প্লিজ। আমি আপনাকে অন্তত ভালো একজন মানুষ ভেবেছিলাম। হ্যাঁ হতে পারে আমি আপনাকে জ্বরের ঘোরে অনেক কিছু বলেছি কিন্তু তাই বলে এটা নয় যে আপনি আমার সুপ্রিয় ভাই হয়ে আমাকে ধোঁকা দিবেন। আমাকে দেখতে এসেছেন ভালো, কিন্তু এখন আপনি আসতে পারেন।’

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

মিনহাজ বিউটির দিকে তাকিয়ে হাসলো। হাটু মুড়ে বসে বিউটির দিকে তাকিয়ে পাগলের মতো হাসতে থাকলো সে। দুই ঠোঁট কামড়ে চোখের পানি গড়িয়ে পরার আগেই মুছে নিলো। যেনো সে বহুদিন পর অনেক বড় একটা খুশির দেখা পেয়েছে। সে আবেগে কথা বলার ভাষা খুঁজে পাচ্ছে না। এক পর্যায়ে বিউটি চেঁচামেচি শুরু করলো। তার চেঁচানোর সময় মিনহাজ এমন কিছু বললো যাতে করে সে স্তব্ধ হয়ে গেলো। নিশ্চুপ, নিষ্পলক চোখে মিনহাজের দিকে ফিরে তাকালো। মিনহাজ কথাটা আবার রিপিট করলো, ‘এই দেখ আমার ঘাড়ের নিচের কাটা দাগ টা এখনো আছে।’

বিউটির তখন নাজেহাল অবস্থা। হুট করেই মিনহাজের এমন কথায় তার মধ্যে কি হচ্ছে এটা সে আফ আল্লাহ্ ছাড়া কেউ-ই বুঝবে না। সুপ্রিয় ভাই তার আবেগ, ভালোবাসা, তার দূর্বলতা, কল্পনা, তার অনুভব, দেহ, মন প্রাণ, তার সবটা জুড়ে আছে। আর মিনহাজ তার সবচেয়ে দূর্বলতায় আঘাত করার চেষ্টা করছে। মিনহাজ মিনমিনে স্বরে বললো,

‘বিশ্বাস না হলে আমার ঘাড়ের কা’টা দাগ টা দেখ না নিজের চোখে! গভীর ক্ষ’ত হওয়ায় দাগ টা এখনো রয়ে গেছে। বলতো কিভাবে কে’টেছে? আচ্ছা আমিই বলছি। তোর মনে আছে, তোর জন্য চুরি করে আম গাছ থেকে আম পারতে গিয়ে এই হাল হয়েছে আমার। লোকের তাড়া খেয়েও তোকে আম এনে দিয়েছিলাম। তারপর আম চুরি করায় বাবার হাতে সে কি প্রচন্ড মা’র-ই না খেতে হয়েছে। বাবার মা’র খেয়ে কতদিন জ্বরে ভুগেছি। মনে পরছে? মনে আছে না বল? আর তোর কোনো কথা না শুনলে আমার হাতে তুই কেমন কামড়ে দিতি। কাল যখন জ্বরের ঘোরে কামড়ে দিলি আমার হাতে তখন আমিও ছোট বেলায় হারিয়ে গেছিলাম!’

মিনহাজ কলার তুলে ঘাড়ের কা’টা দাগ দেখালো। বিউটি দেখলো সেই একই স্থানের কা’টা দাগ। সে মাথায় হাত দিয়ে ধপাস করে বসে পরলো। সে উত্তেজিত হয়ে দাঁড়িয়ে গেছিলো। হসপিটালের বেডে বসে জোরে জোরে শ্বাস নিচ্ছিলো বিউটি। মিনহাজ তড়িঘড়ি করে পানি এগিয়ে দিলো। সে পানি নিলো না। দূরে সরিয়ে দিলো।
‘আরে এতো উত্তেজিত হস না। কিছুই হয়নি। পানি টা খেয়ে নে প্লিজ!’

‘দূরে, দূরে সরুন। আপনি আমার সুপ্রিয় ভাই হতেই পারেন না। কোনোদিন না। আপনি নাটক করছেন, আমার সঙ্গে কোনো ভাওতা বাজি করার চেষ্টা করছেন। কেন করছেন এমনটা বলুন স্যার? কেন আমার আবেগ নিয়ে টানা হেচড়া করছেন?’
মিনহাজ অসহায় ভাবে তাকালো। করুণ কন্ঠে বললো, ‘আমি তোর সুপ্রিয় ভাই, আর কি কি বললে বিশ্বাস করবি?’

‘আমার সুপ্রিয় ভাই আমার সামনে আসলেই আমি তাকে অনুভব করতে পারবো। তাকে আমি না ছুঁয়ে, না দেখেও চিনতে পারবো। কিন্তু আপনাকে দেখে আমার এমন কিছুই হয়নি। যদি আপনি আমার সুপ্রিয় ভাই হতেন তবে আপনি আমাকে এতোদিন চিনতে পারেন নি কেন? আমার কাছে পরিচয় দেন নি কেন?’

‘তোকে পরীক্ষা করবো বলেই এতোদিন কিছু বলিনি। কিন্তু এখন যখন তোর মনের কথা জানি তখন তোকে কি করে অন্য কারোর হতে দিই বল তো? ছোট বেলায় তুই যে ছেলেদের পোশাক পরিধান করতি মনে আছে? তুই মেয়েদের জামার ধারে কাছে যেতি না। হাশেম চাচা তোকে সব সময় ছেলেদের জামা কিনে এনে দিতো আর তুই খুশি হয়ে যেতি।

কিন্তু সেবার ছেলেদের পোশাক পরার জন্য চাচি তোকে ঘরের থামে বেঁধে বেধড়ক মা’র’ধ’র করলেন। আমি তা দেখে তোকে জাপটে ধরে নিজের পিঠ এলিয়ে দিয়েছিলাম। তোকে আগলাচ্ছিলাম। কত গুলো মা’র আমিও খেয়েছিলাম। পরবর্তীতে সেইদিনই তোকে আমি দর্জিকে দিয়ে সুন্দর সুন্দর দুটো ফ্রক বানিয়ে দিয়েছিলাম।

তিন ঘন্টায় দুটো ফ্রক দোকানে বসেই দর্জিকে দিয়ে বানানো ইজি ছিলো না কিন্তু! ফ্রক বানানো হলে পরিয়েও দিয়েছিলাম আমি নিজে। তোকে কি যে সুন্দর লাগছিলো। এরপরই তোর একটা নতুন ড্রেস পছন্দ হলো। তুই একদিন পরেই সেটা আর পরতে চাস নি। তুই আমার কথায় নিজের জেদ বহালতবিয়তে রাখতেই এখনো সেই একই ডিজাইনের ড্রেস পরে আছিস।’
‘এসব কথা আপনি জানলেন কিভাবে? কিভাবে বলুন? আর যদি আপনি গলা পানিতে ডুবে বলেন আমি বিশ্বাস করবো না আপনি সুপ্রিয় ভাই। আপনি যান এখান থেকে। আপনার মুখ দেখতে চাই না আমি। প্লিজ চলে যান!’

‘বিশ্বাস করা না করা সেটা সম্পুর্ন তোর ব্যাপার বিউটি। তোর ইচ্ছেরা আমার কাছে স্বাধীন ছিলো, আছে আর থাকবে। তুই যা চাইবি তাই হবে। তুই ভুল ভাবনা ভাবলেও সেটা আমার কাছে সেটা ঠিক। তুই না চাইলে আমি তোর সামনে আসবো না।’

‘এইটাই তফাৎ, আমার সুপ্রিয় ভাই কখনোই বলতো না সে আর আমার সামনে আসবে না। আমি বারণ করলেও সে জোর পূর্বক আসতো। বার বার আমার চোখের সামনে দিয়ে ঘুরঘুর করে আমাকে পা’গ’ল করে দিতো। আপনি কে বলুন তো? আমার আর সুপ্রিয় ভাই এর মধ্যে কার এতো ঘটনা জানলেন কিভাবে? আমার মন বলছে কেউ আপনাকে এসব বলেছে আর আপনি আমাকে পাওয়ার জন্য এতো নাটক করছেন। আপনি কি কোনো ভাবে সুপ্রিয় ভাইকে চেনেন? তাকে আটকে টাটকে রাখেন নি তো? হ্যাঁ হতেই পারে আপনি আমার সুপ্রিয় ভাইকে চেনেন, আর তাকে ধরে রেখেছেন। তারপর সুপ্রিয় ভাইয়ের কাছ থেকে এতো ইনফরমেশন নিচ্ছেন!’

‘বিউটি তুই কি পাগল হয়ে গেছিস? শান্ত হো। আমি নিজেই যখন সুপ্রিয় তখন এতো কিছু অন্যের থেকে জানতে হবে না। তুই তো অনেক ছোট ছিলি। তোর আর আমার বয়সের পার্থক্য সাত বছরের। ওতো ছোট থেকে কেউই কাউকে গভীর ভাবে ভালোবাসতে পারে না। হইতো তাকে মনে রেখে, মন কুঠুরিতে লালন করা যায়। কিন্তু ভালোবাসার মতো মহৎ বিষয় একটা বাচ্চার মাথায় আসে না।

তাই তোর মনের কথা জানার জন্য এতোদিন তোর থেকে সত্যি টা আড়াল করেছি। তোর সবকিছু খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছি। পাগলের মতো খুঁজেও পাইনি তোর দেখা কিন্তু আমার অফিসেই তোকে কাকতালীয় ভাবে পেয়ে গেলাম। তোর কথায় কথায় আশ্চর্য বলা, তোর সেইম ডিজাইন, সেইম কালারের ড্রেস পরা, তারপর তোর সিভিতে জন্ম তারিখ, আর তোর নাম, আংকেল আন্টির নাম এসব দেখেই তোকে চিনে ফেলি প্রথম দিনেই।

তাই কোনো কিছু না ভেবেই তোকে চাকরি দিয়ে দিয়েছি। তাছাড়াও আমার অফিসের ঐ পোস্টে তোর মতো যোগ্য কাউকেই পেতাম না। আমি দেখতে চেয়েছিলাম এখনো তোর আমাকে মনে আছে কি না। বা মনে থাকলেও আমাকে কোন নজরে দেখতে পারিস। এতোদিন পর বলার পরেও তোর কিছুই বিশ্বাস হচ্ছে না। কিন্তু হুট করেই যদি প্রথম দেখাই আমি আমার পরিচয় দিতাম তবে তুই মানতে পারতি?

তখন আরও ভুল বুঝতিস। ভালোবাসার অপর নাম দুঃখ হওয়া সত্ত্বেও আমি তোর ভালবাসায় শতবার ম’রে যেতে রাজি আছি বিউটি। তোর প্রতি আমার যে ভালোবাসা এই ভালোবাসায় আমি সাগরের সমুদ্রে ডুব দিতে চাই। তোর প্রতি বলা আমার প্রতিটা কথা আমার হৃদয়ে থেকে আগত। আমি তোকেবযা বললাম তা কখনোই মিথ্যার প্রয়াস নয়। ভালোবাসা এ যেন এক মায়া, তোর মায়ায় আমি ক্লান্ত, পরিশ্রান্ত। আমায় বিশ্বাস কর আমিই তোর সুপ্রিয় ভাই।’

বিউটি শান্ত চোখে তাকালো মিনহাজের দিকে। সে মন দিয়ে দেখলো মিনহাজকে। মিনহাজের চোখ যেনো কথা বলছে। তার চোখে অন্য কিছু ধরা পরছে। হঠাৎই মিনহাজ নিজেকে সুপ্রিয় দাবী করছে কেন? যদি মিনহাজ সত্যি কথা বলে থাকে তবে সে কেন তা অনুভব করতে পারছে না? সত্যিই কি মিনহাজই তার সুপ্রিয় ভাই? কেন? কেন মনে হচ্ছে মিনহাজ মিথ্যা বলছে?

বিউটির ছটফটে ভাব দেখে মিনহাজ আর কিছু বলতে চাইলো না৷ সে বিউটিকে আরও বেশি উত্তেজিত হতে দেখে নার্সকে ডেকে আনলো। নার্স উত্তেজিত বিউটিকে ঘুমের ইঞ্জেকশন দিয়ে দিলো। মিনহাজের এখন ভীষণ আফসোস হচ্ছে। বিউটি অসুস্থ এটা তার মাথায় রাখা উচিত ছিলো। মিনহাজ আরও কতক্ষণ হসপিটালে থেকে সবার থেকে বিদায় নিয়ে বাড়ি ফিরলো।

অফিসের ইম্পর্ট্যান্ট মিটিং ও ক্যান্সেল করে রুমে গিয়ে শুয়ে পরলো। মাথা দপদপ করছে, মাথা ব্যথায় ছিড়ে যাচ্ছে। সারা শরীর যেনো ঝিমিয়ে আসছে তার। আজকের কাজ টা ঠিক হয়নি। একদম ঠিক হয়নি। কারোর দূর্বলতায় আঘাত করাটা পাপ, অন্যায়, অনুচিত। এটা ঠিক হয়নি। একদম ঠিক হয়নি। সে নিজেকে কখনোই ক্ষমা করতে পারবে না। সে ভেতর থেকে অনুতপ্ত হয়ে থাকে। অপরাধ বোধ ভেতর থেকে তাকে কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে! রাগে দুঃখে যা কিছু পারছে ছুড়ে মা’র’ছে সে। হাতের কাছে যা কিছু পাচ্ছে ভেঙে চুরমার করছে। বিউটি বিশ্বাস করেনি তার কথা। সে বুঝলো সুপ্রিয়র প্রতি কতটা গভীর ভালোবাসা বিউটির।

মিনহাজের চাল চলন সবটাই খেয়াল করেছে রাহেলা। উপর থেকে ভাঙচুরের শব্দ পেলেও সে তার রুমে গেলো না। সে জানে না তার প্ল্যান কতটা কাজে দিয়েছে তবে সে মিনহাজের ভালো চাই মন থেকে। মিনহাজকে দেখে সে পুরো টা না বুঝলেও বুঝলো একটা গন্ডগোল ঠিকই হয়েছে। যা একদম ঠিক হয়নি।

তবে সে মিনহাজের জানি নিজের সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা চালাবে। বিউটিকে মিনহাজের জীবনে আনবে সে। যেভাবেই হোক তাকে এই কাজ টা করতেই হবে। মিনহাজের প্রথম ভালোবাসার মতো দ্বিতীয় তথা শেষ ভালোবাসাকে সে হাঁরাতে দেবে না সে। সে বিউটিকে বোঝাবে এবং মিনহাজকেই বিয়ে করার জন্য রাজি করাবে।

বিকেলে বিউটিকে বাড়ি আনা হলো। তার জ্বর কমেনি বলে ডক্টর তাকে ছাড়তে চাইনি। কিন্তু সে জেদ করে বাড়ি চলে এসেছে। মিনহাজের নিজেকে সুপ্রিয় দাবী করাটা সে কিছুতেই মানতে পারছে না।
মিনহাজ সুপ্রিয় হলেও নাম পরিবর্তন এর কারণ কি? সে নিজের এতো সুন্দর নাম কেন বদলালো? মারিয়ামকে ডাকলো বিউটি। মারিয়াম এলে একে একে সব কথা বললো বিউটি। মারিয়াম কিংকর্তব্যবিমুঢ় হয়ে তাকিয়ে রইলো বিউটির দিকে। অতঃপর মারিয়াম উৎফুল্লতার সহিত বললো,

‘মিনহাজ স্যার এমন অযাচিত ভাবে মিথ্যা বলার মানুষ না। উনি মিথ্যা বললেও এতো কিছু কিভাবে জানলেন? উনার কথা কিন্তু আমার মিথ্যা বলছে না। তোর অপেক্ষার অবসান হলো বিউটি। কংগ্রেস মাই বেস্টি।’
‘আশ্চর্য, আমি বিশ্বাস করিনি সে আমার সুপ্রিয় ভাই। তুই আগে আগে লাফাচ্ছিস কেন?’

‘তো লাফাবো না? আমি নিজে দেখেছি তুই সুপ্রিয় ভাইয়ের জন্য কতটা উৎকন্ঠা নিয়ে অপেক্ষা করেছিস। কতটা ভালোবাসিস তাকে। বড় হওয়ার পর থেকে কখনোই কোনো পুরুষের দিকে চোখ তুলে তাকাস নি পর্যন্ত। আর এখন যখন সুপ্রিয় ভাই ওরফে মিনহাজ স্যার স্বীকার করছে তবে কেন তাকে বিশ্বাস করছিস না?’

‘তুই বুঝবি না মারিয়াম। আমি কেন তাকে এতো কাছে থেকেও অনুভব করলাম না? আমার বিশ্বাস সুপ্রিয় ভাই আমার সামনে এলেই আমি তাকে চিনতে পারবো। ছোট বেলায় সুপ্রিয় ভাই আর মিনহাজ স্যারের মধ্যে বিন্দু পরিমাণ মিল পায়নি আমি। আশ্চর্য। তাদের চেহারার অন্তত মিল থাকা উচিত ছিলো। আমি আজকে তাকে দেখেছি, তার চোখ, নাক, ঠোঁট কিছুই মিল পায়নি। শুধু সুপ্রিয় ভাই আর তার বয়স ইকুয়াল। সে মিনহাজ নামে পরিচিত তাহলে সে নিজেকে কি করে সুপ্রিয় দাবী করছে? আমার জানা মতে সুপ্রিয় ভাই এর আর কোনো নাম নেই, ছিলোও না।’

‘হতেই পারে মিনহাজ স্যার তোর আশে পাশে ছিলো বলেই আর সুপ্রিয় ভাইকে অনুভব করতে পারিস নি!’
‘নাহ, নাহ, নাহ৷ আমি মানতে পারছি না কোনো ভাবেই না। আমি সুপ্রিয় ভাইকে ঠিক অনুভবে চিনে ফেলবো। আমার এতোটুকুও ভুল হবে না।’

সে আমার সুকেশিনী পর্ব ১০

একটা গুমোট ভাব আর বিষন্নতায় বিউটির জ্বর বেড়ে গেলো তড়তড় করে৷ সুপ্রিয় নামক অসুখ তাকে আষ্ঠেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরেছে।মিনহাজের এই স্বীকারোক্তিতে বোঝা গেলো তার শৈশবের অনেক কথায় মিনহাজ জানে এবং সবটাই সঠিক বলেছে। কিন্তু মিনহাজ কিভাবে এতো কিছু জেনেছে? একটা প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যায়!

সে আমার সুকেশিনী পর্ব ১২