সে আমার সুকেশিনী পর্ব ২৪

সে আমার সুকেশিনী পর্ব ২৪
রাউফুন

সুপ্রিয় আর বিউটি যখন গ্রামে পৌঁছালো তখন সন্ধ্যা ছয়টা বাজে। এর মধ্যে মিনহাজ তাকে একবার কল করেছিলো। সুপ্রিয় ফোনটা নিয়ে নিজের কাছে রেখে দিয়েছে! বিউটি কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারেনি। তারও ইচ্ছে করছিলো না মিনহাজের কল ধরতে৷

‘আমাদের গ্রামে রাতে না আসলে কি হতো না? এখন কি করবো? কোথায় যাবো? বুঝতে পারছি না। রাতে ফিরতে পারবো বলে তো মনে হচ্ছে না! রাস্তা ঘাটের ভীষণ বাজে অবস্থা!’
‘আমি থাকতে তোর এতো চিন্তা কিসের শুনি?’
‘চিন্তা কি সাধে করছি? বাড়ি গিয়ে কি জবাব দেবো! পুরো রাতটা কোথায় ছিলাম?’
‘আমি বাড়িতে ফোন করে দিয়ে বলেছি তুই আমার সঙ্গেই আছিস!’

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

‘কিহ! আশ্চর্য আপনি এভাবে বলে দিলেন? ওঁরা কি ভাববে? ইয়া আল্লাহ্, আমার মান সম্মান আর রাখলেন না!’
‘হবু বউ তার হবু বরের সঙ্গে ঘুরতেই পারে এতে সমস্যা কোথায়? আমি জানি তাঁরা তোকেও বিশ্বাস করে। আমাকেও বিশ্বাস করে। সেজন্য আমি জানানোর পর তাদের রিয়াকশন সম্পুর্ন স্বাভাবিক ছিলো! সো নো চিন্তা ডু ফূর্তি। দেখ রাতের আকাশ কি সুন্দর লাগছে আহ! অনেক দিন পর গ্রামের মা’টিতে পা রাখলাম!’

‘আপনি আসেনি আগে?’
‘দিনের বেলা আসাটা আমার জন্য রিস্কি ছিলো, তাই রাতের অন্ধকারে আসতাম। এতো বছরেও আমি দিনের আলোতে এখানে কেন আসিনি জানিস? ‘
‘কেন?’

‘উত্তর টা খুব সহজ! আমি আসলে তো আমাদের বাড়ির আশেপাশে যেতাম। সেক্ষেত্রে সবার মনে প্রশ্ন উঠতো আমি কে? এই বাড়ির আশেপাশে কেন ঘুরঘুর করছি। গ্রামের সবাই জানে ডাকাতদের ক’ব’লে পড়ে আমার পুরো পরিবার নিঃস্ব হয়ে গেছে। তাই রাতে আসা ছাড়া আর কোনো উপায় ছিলো না। যদি কোনো ভাবেই সেসময় শত্রু পক্ষ টের পেয়ে যেতো আমি বেঁচে আছি,তাহলে আমার বাঁচা সম্ভব হতো না। আগেও বলেছি এখনো বলছি, শত্রপক্ষকে কখনোই দূর্বল ভাবা উচিত না। তারা যদি প্ল্যান এ ভাবে আমাদের প্ল্যান বি রেডি রাখতে হবে। যেনো ওঁদের চালেই ওঁদের মাত দিতে পারি।’

‘তার মানে আজ এখানে আপনি একটা প্ল্যান নিয়ে এসেছেন!’
‘সসসসসসসশিহ!’ বিউটির ঠোঁটে আঙুল চেপে সুপ্রিয় তাকে কথা বলতে বারণ করলো। ডিউটি স্বর নিচু করে বললো, ‘কি হয়েছে?’

‘কথা বলিস না, এখন চুপচাপ গাড়িতে বস। কুইক!’
সুপ্রিয়র সাবধানি গলায় বিউটি আর কথা বাড়াতে পারলো না। সে চুপচাপ গাড়িতে বসে পরলো। সুপ্রিয় তার একজন লোককে কল করলো। কল রিসিভ হতেই বললো, ‘যাকে সামনে পাবি, শত্রুপক্ষ বুঝেই সটকে দিবি। এদিকে কেউ একজন আমাদের উপর নজর রাখার চেষ্টা চালাচ্ছে। এঁকে সরা। আমার সুকেশিনী যেনো কোনো ভাবেই না বুঝে কিছু হচ্ছে তার অগোচরে! ওকে জানতে দেওয়া যাবে না কিছুই!’

‘ওকে ভাই!’
সুপ্রিয় গাড়িতে গিয়ে বসলো। আরও একটু সামনে এগোলো তারা। দুইজনেই নিরব তখন! আশপাশ থেকে ঝিঁঝিঁ পোকার দল ডেকে যাচ্ছে। গ্রাম বলেই সন্ধ্যা সাতটাকে নিস্তব্ধ, গুপ্ত নগরী মনে হচ্ছে। অন্ধকার ছেঁয়ে গেছে একদম। বিশেষ করে এই দিকটাই বেশি অন্ধকার। আশেপাশের দুই ধারে শুধু কাঠ বাগান। মাঝে সরু রাস্তা। ভাগ্যিস গাড়িটা এগোচ্ছে। সে আগেই খোঁজ নিয়ে জেনেছে এই রাস্তায় যাওয়া যাবে সেজন্য এই রাস্তায় ধরেছে।

‘ভয় পাচ্ছিস বিউটি?’
‘কোন বিষয় আমাকে জানতে দিতে চান না?’
‘কোন বিষয় মানে?’
‘আপনি কথা বলছিলেন কারোর সঙ্গে! আমি আবছা আবছা শুনেছি!’
‘আরেব্বাস, তুই তো দেখি সব দিকেই কান খাড়া রাখিস!’
‘একটা কথা জিজ্ঞেস করবো?’
‘হু কর! একটা না যত ইচ্ছে কর!’
‘সিজানকে আপনি সরিয়েছেন?’

সুপ্রিয় অবাক হয় না। কারণ সে জানে এমন প্রশ্ন বিউটি তাকে করতে পারে, আজ হোক বা কাল। এই প্রশ্নের জন্য সে প্রস্তুত ছিলো। সে চাই না তার আলাদা জগৎ সম্পর্কে বিউটির কোনো রকম ধারণা হোক। সেই ভয়ংকর রূপ সে বিউটিকে জানাতে চাই না৷ সে শুধুই তার সুপ্রিয় ভাই হয়ে থাকবে। ঘুনাক্ষরেও টের পেতে দেওয়া যাবে না। সুপ্রিয় নিজেকে ধাতস্থ করে স্বাভাবিক কন্ঠে বললো,

‘কোন সিজান?’
‘ওওহো হো আপনি সিজানকে চেনেন না?’
‘নাহ!’
‘আচ্ছা!’
‘তুই কি আমাকে বিশ্বাস করছিস না?’

‘সিজান মারিয়ামের প্রাক্তন স্বামী। তাকে প্রায় মাস খানেক হলো পাওয়া যাচ্ছে না। আর আপনাকে বিশ্বাস করবো না কেন? বিশ্বাস করি বলেই তো আপনার সঙ্গে এই এতো দূরে আসতে পেরেছি! এটা কি বিশ্বাস না থাকলে সম্ভব?’
সুপ্রিয় চুপ করে রইলো। শুধু বিউটির মনের সন্দেহ দূর করতে বললো, ‘আমি সিজানকে কেন সরাবো? সে কি করেছে?’

‘নাহ আমার মনে হলো, আপনি তাকে সরিয়েছেন!’
‘কেন মনে হলো? হ্যাঁ আমি নিজের একটা জায়গা তৈরি করেছি, আমাকে যেনো কেউই আঘাত না করতে পারে সেজন্য। আমার নিজের সেফটির জন্যই সেটা করেছি! অন্য ব্যাক্তির ক্ষতি করে আমি সব হাসিল কর‍তে চাই না। আমার জন্য যে লোকজন কাজ করে তারা প্রত্যেকেই অসহায় ছিলো। তাদের আমি টাকা দিয়ে থাকি মাসে মাসে। এখন দু-বেলা দু-মুঠো পেট পুড়ে খেতে পারে তারা।

একটু আগে আমার এক লোককে বলছিলাম, সাবধানে কাজ করিস। কেউ যেনো তার প্রাপ্য পাওয়া থেকে বাদ না যায়। আর এসব তোকে আমি জানাতে চাই না। হতেই পারে তাদের আমার সঙ্গে দেখলে তোর ভয় লাগতে পারে৷ সেজন্য কল করে তাদের চলে যেতে বললাম। তুই যেনো এটাই বুঝতে না পারিস বারণ করে দিচ্ছিলাম। বুঝলি?’

‘হ্যাঁ বুঝেছি!’
‘নাহ বুঝিস নি! শোন, ঐ লোকজনকে আমি কোনো বা”জে কাজে লাগায় না। তারা সবাই ভালো কাজ করে। গরীবদের সাহায্য করে। আমি ওঁদের টাকা দিই। বলতে গেলে ওঁদের এটা চাকরি! সবাই অশিক্ষিত বলে ভালো চাকরি পায়নি। ওঁদের তো চাকরির প্রয়োজন আছে নাকি, বুঝলি?’

‘হ্যাঁ বুঝলাম।’
‘এখনো বুঝিস নাই। ওঁদের ফ্যামিলিতে ওঁরা থাকে না৷ আমি ওঁদের একটা বাড়ি বানিয়ে দিয়েছি! ওঁরা ওখানে থেকেই পরিবারের জন্য রোজগার করছে। আমি যখন কানাডায় ছিলাম তখন শেখর আংকেল আমাকে তার ব্যবসায়ীক সমস্ত দায়িত্ব দিয়েছিলেন। তার তো ছেলে নেই তাই আমাকেই সব দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে তিনি অবসরে গেছেন!

আমার দায়িত্ব পালনে আমি সব সময় সচেষ্ট ছিলাম। আমি সম্পুর্ন একজন সাধারণ মানুষ! আমাকে নিয়ে কোনো সন্দেহ যেনো না থাকে তাই সব বলে দিলাম! আমি জানি তোর পরের প্রশ্ন এটা হতো, আপনি এতো টাকা কোথায় পান? এতো জন লোককে কিভাবে টাকা দেন? তাই আগেই উত্তর টা দিয়ে দিলাম।’

বিউটি কিছু বললো না। সে নিশ্চুপ হয়ে চোখ বন্ধ করতেই একটা ধাক্কা খেলো একটা। গাড়ি থেমেছে একটা নির্দিষ্ট স্থানে!

‘আমরা এসে গেছি বিউটি! এতো দিন একা আসতে পারিনি। সবার সন্দেহ হবে বলেই আসতে পারিনি। আজ তুই সঙ্গে আছিস বলেই আসতে পারলাম। আমাদের ঘরে ঢুকার সময় যদি কারোর নজরে পড়ে যায় তবে বলবি, তুই আমার বাবা মানে হিকমতের আলীর ভাগনী। উনার সব সম্পত্তি তোর নামেই লেখা আছে। এই বাড়িটার এতো দিন আড়াল থেকে দেখা শোনা করেছিস। তুই তোর স্বামীর সঙ্গে ঘুরতে এসেছিস। এসেই গাড়িটা খারাপ হয়েছে তাই এখানেই এসেছিস রাত কা’টা’তে। বুঝলি কি বলবি?’

‘হ্যাঁ! আগেও তো একা আসতেই পারতেন আপনি! রাতে তো কেউ-ই খেয়াল করতো না!’
‘এসেছিলাম তো চোরের মতো! আবার চলেও গেছি চোরের মতো! ঘরে গিয়ে মায়ের জিনিস গুলো ছুঁয়েছি। বাবার জিনিস ছুঁয়েছি! বেশি থাকতে পারিনি চলে যেতে হতো!
‘এখানে থাকাটা জরুরি?’
‘হ্যাঁ জরুরি!’

বিউটি আর প্রশ্ন করলো না। সুপ্রিয় ভাই বলেছে মানে নিশ্চয়ই কোনো না কোনো কারণ আছে। এই রাস্তায় লাইট দেওয়া রয়েছে। চাঁদের আলোয় আর লাইটের আলোয় স্পষ্ট সব কিছু দেখা যাচ্ছে। সুপ্রিয়র বুক কাঁপছে। ধুকপুক ধুকপুক ধুকপুক! হৃদয়টা কেমন যেনো ছলাৎ ছলাৎ করছে। সুপ্রিয়দের বাড়িটা হাফ বিল্ডিং। তিনরুম বিশিষ্ট এই রুম গুলোর প্রতিটিতে তালা ঝুলছে। সুপ্রিয় চাবি বের করে বিউটির হাতে দিলো।

‘আপনি কবে থেকে আসা শুরু করেছেন এখানে?’
‘মাস ছয়েক হলো। তখনই আমি চাবি বানিয়ে রেখেছিলাম।’
‘আপনি ছয় মাস যাবৎ দেশে এসেছেন অথচ আপনার সঙ্গে দেখা হয়েছে দুই মাস হলো।
‘মন খারাপ করিস না একদম। শ্বশুর বাড়িতে এসেছিস দরজা খুলে প্রবেশ কর!’

বিউটি এতক্ষণে হাসলো। গাড়িতে সে হাসেনি। কারণ তার মনে হচ্ছিলো সুপ্রিয় ভাই তার থেকে কিছু একটা লুকাচ্ছে। বিউটি দরজার তালা খুলতে গিয়ে বুঝলো ক্যাচক্যাচ শব্দ হচ্ছে।
‘কে এই বাড়িতে? কে যায়?’

বিউটি ভয়ে চাবি ফেলে দিলো। সুপ্রিয় তাকে সামলালো। বিউটিকে আশ্বস্ত করে ইশারায় তার শেখানো বুলি বলতে বললো! বিউটি তাই করলো।
‘আপনি কে? আমি এই বাড়ির মালিক! হিকমত আংকেলের ভাগ্নী আমি! উনার সব সম্পত্তি এখন আমাদের। এদিকেই এসেছিলাম। পথিমধ্যে আমাদের গাড়িটা খারাপ হয়ে গেছে তাই এখানে এসেছি!’
‘ওও তার মানে তুমিই লোক রেখেছিলে এই বাড়ি দেখাশোনা করার জন্য?’

বিউটি সুপ্রিয়র দিকে তাকালো। বললো, ‘হ্যা চাচা, আপনি কে?’
‘আমি হিকমতের প্রতিবেশি মুসা। আমি এলাকার চেয়ারম্যান! হিকমতের নৃশংস মৃ’ত্যুর কথা ভাবলেই আমাদের এখনো অনেক খারাপ লাগে। যায় হোক বাদ দাও। আমি এই পথেই যাচ্ছিলাম। তোমাদের দেখে দাঁড়িয়ে পরলাম। এতো বছরেও যে বাড়িতে কারোর ছাঁয়া পড়েনি সেখানে আজ তোমাদের দেখে একটু চমকেছি বটে!’

‘আসলে অনেক ব্যস্ত থাকি তো তাই আসা হয়নি। আজ হঠাৎই আমার স্বামীর ইচ্ছে হয়েছে গ্রাম ঘুরে দেখার। আমরা ফিরেই যেতাম কিন্তু গাড়িটা খারাপ হয়ে গেছে। মনে হচ্ছে সকালের আগে ঠিক করতে পারবো না। রাতটা থেকেই যাবো ভাবছি!’

‘আচ্ছা, মা তোমরা ঘরে যাও। তোমাদের আপ্যায়নের ব্যবস্থা করছি আমি। আমার বাড়িতেই আসো, তোমাদের চাচির হাতের রান্না খেয়ে যাও!’
‘যাবো চাচা! একটু জিড়িয়ে নিবো! অনেক জার্নি করেছি তো!’
‘আচ্ছা। এসো কিন্তু! তোমাদের চাচিকে বলি গিয়ে। তোমরা আজ আমাদের মেহমান!’
‘না না চাচা আমাদের সঙ্গে খাবার আছে। আসলে যাওয়ার সময় খিদে পাবে ভেবেই খাবার রেখেছিলাম! ওতেই আমাদের হবে!’

‘ওগুলো না হয় আমাদের দিও। আজ আমাদের খাবার তোমরা খাবে।’ কথা শেষ করেই মুসা চেয়ারম্যান হোহোহো করে হেসে উঠলেন।
বিউটিও হাসলো। ওঁদের কথোপকথনের মধ্যেই প্রায় অনেকের জটলা বেঁধেছে। পাশাপাশি অনেক গুলো ঘর হওয়ায় প্রায় সবাই জেনে গেছে হিকমতের ফেলে রাখা বাড়িতে এতো বছর পর তার ভাগ্নী তার স্বামীকে নিয়ে এসেছে। ভীড় করে অনেকেই তাদের দেখে গেলো।

সুপ্রিয় চুপ করে ছিলো এতক্ষণ। বিউটি ঘরে ঢুকলো তালা খুলে। সুপ্রিয় লাইট অন করলো। বিউটি দেখলো একদম পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন চারপাশ। কোথাও কোনো ময়লার ছিটেফোঁটাও নেই। বাইরে থেকে বাড়িটা পরিত্যক্ত মনে হলেও ভেতরটা সম্পুর্ন আলাদা।

‘কোন লোক রেখেছেন আপনি? এসব পরিষ্কার কে করেছে?’
‘আমিই করিয়েছি সব! আমার বিশ্বস্ত লোক সব সময় বাড়িটার উপর নজর রেখেছে। চেয়ারম্যান চাচা তার কথায় বলেছিলেন!’

‘কোথায় আপনার লোক?’
‘এখন তো নেই। আজ তার ছুটি!’
‘ছুটি কেন?’
‘আজ আমরা আসবো তাই!’
‘আচ্ছা।’
‘বাইরে তুই কি যেনো বলে স্বীকার করলি আমাকে?’
‘কি বলেছি?’

সুপ্রিয় বিউটির একদম কাছে এসে দাঁড়ালো। বিউটি একটু ঘাবড়ে গিয়ে সরে গেলো।
‘আমি তোকে আমায় স্বামী বলে পরিচয় করিয়ে দিতে বললাম আর দিয়ে দিলি? এখন যদি আমি তোর সর্বনাশ করে ফেলি? তুই তো চেঁচাতেও পারবি না। কারণ তুই অলরেডি বলেই দিয়েছিস আমি তোর স্বামী। এই ঘরে আমি তোর সঙ্গে যা খুশি করতে পারি৷ ফাঁকা রুম, তুই আর আমি একা। আর কেউ-ই নেই৷ ভাবতো, কেমন রোমাঞ্চকর সবটা। আমার তো ভয়ংকর কিছু করে ফেলতে ইচ্ছে করছে। এখানে বিষয়টা কি সুন্দর হবে তাই না? উফফ ভাবতেই ভালো লাগছে।’

সে আমার সুকেশিনী পর্ব ২৩

বিউটি সুপ্রিয়র তার এতোটা নিকটে আসা তারপর, এরকম ভয়ানক কথা শুনে থরথর করে কাঁপতে লাগলো। ‘কি বলছে এসব সুপ্রিয় ভাই? সে কি তবে এখানে এসে বিরাট ভুল করলো? ‘

সে আমার সুকেশিনী পর্ব ২৫